Prescription_ব্যবস্থাপত্র
Bootstrap Example

Prescription_ব্যবস্থাপত্র

Type something in the input field to search the table for first names, last names or others:

একটি চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে রোগীর নাম, বয়স, তারিখ, ক্ষেত্র বিশেষে শিশুদের ওজন লিখতে হয়। বামদিকে রোগীর রোগ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো লিখতে হয়। এরপর চিকিৎসক রোগী পরীক্ষা করে কী কী অনুসন্ধান পেলেন সেগুলো লিখতে হয়। ডান দিকে আরএক্স চিহ্ন দিয়ে ওষুধের নাম লিখতে হয় এবং নিচে চিকিৎসকের স্বাক্ষর দিতে হয়।

ওষুধ লেখার সময় ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা ইনজেকশন এটা লিখতে হয়। এটা কত মিলি, মাত্রা (ডোজ) কতটুকু, খাওয়ার আগে না পরে গ্রহণ করতে হবে, তা লিখতে হয়। সেইসঙ্গে ওষুধের নামটা অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হয়। কেননা, ইংরেজিতে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র লিখলে এটা বিশ্বের যেকোনও দেশের চিকিৎসক দেখতে পারবেন। রোগীর জন্য ব্যবস্থাপত্রের লেখা সহজবোধ্য করতে তা স্পষ্টভাবে এবং বড় হরফে লিখতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা রয়েছে চিকিৎসাপত্রে ওষুধের ‘শ্রেণীগত (জেনেরিক নাম)’ উল্লেখ করতে হবে, কোনো বাণিজ্যিক নাম উল্লেখ করা যাবে না।

প্রেসক্রিপশনে লেখা সঙ্কেতের অর্থ

অনেক সময় চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে এমন কিছু চিহ্ন ও অক্ষর থাকে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা কঠিন। এগুলির অর্থ কী?
প্রেসক্রিপশনে লেখা সঙ্কেতের অর্থ
১। আর এক্স: চিকিৎসা
২। কিউ: প্রত্যেক
৩। কিউ ডি: প্রতি দিন
৪। কিউ ও ডি: এই দিন ছাড়া প্রতিদিন
৫। কিউ এইচ: প্রতি ঘণ্টায়
৬। এস: বাদ দিয়ে
৭। সি: সঙ্গে
৮। এস ও এস: জরুরি ভিত্তিতে করণীয়
৯। এ সি: খাবার খাওয়ার আগে
১০। পি সি: খাবার খাওয়ার পরে
১১। বি আই ডি: দিনে দু’বার
১২। টি আই ডি: দিনে তিন বার
১৩। বি ডি/ বি ডি এস: দিনে দু’বার ওষুধ নিতে হবে
১৪। টি ডি এস: দিনে তিন বার ওষুধ নিতে হবে
১৫। কিউ টি ডি এস: দিনে চার বার ওষুধ নিতে হবে
১৬। বিটি: শোয়ার সময়
১৭। বিবিএফ: প্রাতরাশের আগে
শরীর সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত ব্যবহার করা নাম বা অক্ষর
Bp = ব্লাড প্রেশার বা রক্তের চাপ
HR = হার্ট রেট বা হৃদ্‌স্পন্দন
PR = পালস রেট
T = তাপমাত্রা
BSF = ব্লাড সুগার ফাস্টিং
usg = আল্ট্রাসনোগ্রাফি
CXR = চেস্ট/বুক এক্সরে
RR = রেসপিরেশন বা শ্বাসপ্রশ্বাস
প্রেসক্রিপশনে ব্যবহৃত কিছু সংক্ষিপ্ত নাম
OPD = আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট। অর্থাৎ, রোজ যে রোগী হাসপাতালে ডাক্তার দেখান কিন্তু ভর্তি থাকেন না, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে OPD ব্যবহার করা হয়।
IPD = ইন পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট। অর্থাৎ, হাসপাতলে ভর্তি থেকে চিকিৎসা করান, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে IPD ব্যবহার করা হয়।
C/O = কেয়ার অফ। অর্থাৎ, রোগী যখন তার শারীরিক সমস্যা ডাক্তারকে বলেন, সে ক্ষেত্রে কেয়ার অফ লিখে সে সমস্যাগুলো লিখে রাখেন।
o/e = অন এক্সামিনেশন। অর্থাৎ, ডাক্তার রোগীকে দেখে যা বোঝেন, তা লিখে রাখেন অন এক্সামিনেশন লেখার পর।
Rx = প্রেসক্রিপশন। অর্থাৎ, রোগীকে যে ওষুধগুলো বলবেন, সেগুলো লেখার আগে Rx লেখেন।
Hx = হিস্ট্রি। অর্থাৎ, রোগীর আগে যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলো লিখে রাখেন।
Sx = সিমটমস। অর্থাৎ, রোগীর কী কী লক্ষণ রয়েছে।
Dx = ডায়াগনসিস। অর্থাৎ রোগী কি রোগে ভুগছেন, সেটি পরীক্ষার পর লিখে রাখেন।
ওষুধের পরিমাণ বা ডোজ
ml = মিলি লিটার
mg = মিলি গ্রাম

What is Rx?

Rx ল্যাটিন শব্দ 'রেসিপি' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'নেওয়া' বা 'গ্রহণ করা'। অনেকেই নিশ্চয়ই খেয়াল করে থাকবেন যে, কিছু কিছু চিকিৎসক রোগী দেখার পরে যখন প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্র লেখেন তখন ওষুধের নাম লেখার আগে Rx কথাটি লিখে থাকেন। আসলে Rx-কে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।

Rx এর ইতিহাস; আমাদের দৈনিক জীবনে কত কিছুই ঘটে, চোখে দেখলেও সহজ জিনিষের অর্থ জানি না। যেমন ডাক্তাররা কোন রোগী দেখার পর প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লেখার আগে Rx কথাটি লেখেন। আমরা সবাই দেখেছি। কিন্তু কেন এই Rx লেখা হয় এবং কিই বা এর গুরুত্ব জানেন কি ? আসুন দেখে নেওয়া যাক Rx লেখার কারন।

প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লেখার আগে Rx কথাটি লেখার বেশ কয়েকটি ইতিহাস রয়েছে। শব্ধ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, Medical Dictionary মতে Rx একটি ল্যটিন শব্দ যা “recipe” ও “to take.” এই দুটি কথা বুঝায়। এদিকে Rx এর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, প্রাচীন মতে Rx হল বৃহস্পতি গ্রহের Astrological সাইন। বৃহস্পতিকে দেবতাদের গুরু মানা হয়। অন্যদিকে বৃহস্পতি গ্রহকে ইংরেজিতে Jupiter বলা হয়। Jupiter আবার রোমান মতে দেবতাদের রাজা। এই কারনেই Rx লিখে বৃহস্পতিকে স্মরণ করে পথ্য দেন ডাক্তাররা। জ্যোর্তিবিদরা RX কে বৃহষ্পতি গ্রহের প্রতীক হিসেবে কুষ্ঠি, ঔষধের ব্যবস্থাপত্রে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিপদের হাত থেকে দেবতার সাহায্য পাওয়ার আশায় এটি ব্যবহার শুরু করেন।

আবার Rx নিয়ে আর একটি প্রবাদ রয়েছে। সংক্ষেপে Rx হল Referred to Jesus Christ । এখানে কোন পথ্য দেবার আগ ‘প্রভু যিশু’ সমীপে সোপর্দ করে বাকি সব কিছু লেখা হয়। এই মতে Rx কে যেভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সেটি হল R = Refer to এবং X = Jesus Christ, অর্থাৎ Rx = Refer to Jesus Christ, মানে ‘যিশুর নামে পড়া শুরু করুন’।

আবার Rx একটা প্রতীক হিসাবে ধরা হলে দেখা যাচ্ছে এই প্রতীকটি নেওয়া হয়েছে ল্যাটিন শব্দ থেকে। এর অর্থ হল Recipe, যার বাংলায় অর্থ ‘আপনি নিন’। মিশরীয় দেবতাদের মধ্যে স্বাস্থ্য দেবতার নাম ছিল হোরাস । প্রাচীন মিশরীয়দের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ‘হোরাসের চোখ’ নামে একটি কবচ রোগ থেকে মুক্তির জন্য ব্যবহার করা হত। এই কবচের প্রথমিক আকার অনেকটা হেরাসের চোখের মত ছিল। হোরাসের ডান চোখ সুর্যের (Ra) এবং বাম চোখ চন্দ্রের (X) প্রতিনিধিত্ব করে বলে মিশরীয়রা বিশ্বাস করত। আর দুইটি মিলে Rx । এটা নানান জিনিস দিয়ে তৈরি করা হত। কালক্রমে এটি স্বাভাবিক ব্যবস্থাপত্রে চলে আসে।

অন্যদিকে ব্যবলনীয় সভ্যতায়ও Rx এর ব্যবহার দেখা গেছে। সেই আমলে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করার সময় দেবতা মারডুককে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতেন। তাদের দেবতা মারডুকের প্রতীক চিহ্ন ছিল Rx । এই কারনে তারা রোগীর প্রেসক্রিপশনে Rx শব্দটি ব্যবহার করতেন।

বর্তমানে Rx means report extended. আপনার শরীরের সমস্যা বা রোগ নির্নয় করে এক্সটেন্ডেড যে রিপোর্ট বা পরবর্তি পদক্ষেপ এতে থাকে বিধায় এখানে Rx লেখা থাকে। চিকিৎসা শাস্ত্রের ঐতিহ্য মাথায় রেখে এটা বাদ দেওয়ার প্রায় অসম্ভব । তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ম অনুসরণ করে Rx-এর মাধ্যমে To take বুঝায়। এই কারনে বর্তমান সময়ে প্রেসক্রিপশনে অনেকটা প্রথা হিসেবেই Rx লিখা হচ্ছে। তবে অনেকে আবার Rx না লিখে Adv (Advice) লিখা শুরু করছেন।

প্রেসক্রিপশনের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা

প্রেসক্রিপশনের একদম প্রথমের অংশে থাকে তারিখ বা date, এটা সাহায্যে ফার্মাসিস্ট (pharmacist) বুঝতে পারে কোন ডেটে প্রেসিডেন্টের দেয়া হয়েছে কোন কোন তারিখে ঔষধ নেওয়া হয়েছে বা নিতে হবে এবং এখানে যদি কোন নেশা জাতীয় ঔষধ থাকে থেকে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিশেষ করে এটা খুবই ভালোভাবে দেখে নেওয়া দরকার।

এরপরের অংশে রোগীর নাম বয়স , লিঙ্গ এবং তার ঠিকানা লেখা থাকে, এটা প্রেসক্রিপশনের একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।

Superscription
এরপরে যে অংশটা আসছে সেটা নাম হচ্ছে সুপারস্ক্রিপশন (Superscription): প্রতিটি প্রেসক্রিপশনে এই অংশটি থাকেএটাকে বর্ণনা করার জন্য একটা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় সেটা হল Rx আরএক্স, এটা একটা ল্যাটিন শব্দ রেসিপি (recipe) এর সংক্ষেপ রূপ। প্রাচীনকালে এই সংকেত কে মনে করা হতো গ্রীক দেবতা জুপিটারের চিহ্ন এবং এটা ব্যবহার করা হতো ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করার জন্য, তাড়াতাড়ি প্রেসেন্ট আগে সুস্থ করার জন্য করে দেওয়ার জন্য।
Inscription
এর পরের অংশ হলো ইনস্ক্রিপশন (Inscription), এটাই হচ্ছে প্রেসক্রিপশন এর প্রধান অংশ যার মধ্যে কি কি ঔষধ থাকবে, কত পরিমাণে থাকবে এইসব লেখা থাকে। সাধারনত এই অংশটি ইংরেজিতে লেখা হয় এবং ইংরেজি আর ল্যাটিন (latin) ভাষাতে অনেক সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
Subscription
এরপরে যে অংশটি আসছি সেটি হল সাবস্ক্রিপশন (Subscription), এই অংশটি আগেকার দিনে এটা ব্যবহার হতো, এই অংশে ফার্মাসিস্ট এর প্রতি একটা নির্দিষ্ট বার্তা থাকতো প্রেসক্রিপশনটা কে তৈরি করার জন্য এবং ডোজ গুলো দেওয়ার জন্য। যেহেতু আজকালকার দিনে বেশিরভাগ ঔষধ ই রেডিমেড অর্থাৎ তৈরি হয়েই আসে, তাই প্রেসক্রিপশনের এই অংশটি আর লেখা হয়না আর ব্যবহার ও আর নেই।
Signatura
সিগনেচার বা হস্তাক্ষর (Signatura): এই অংশে রোগীকে কখন কিভাবে ঔষধ নিতে হবে সেই বিষয়ে বলা থাকে। এই ব্যাপারে কোন প্রেসক্রিপসনে যা তথ্য দেওয়া থাকতো সেটাকে ঔষধ দেওয়ার পর সেই ঔষধের পাত্রে লেবেল হিসাবে লাগাতে হতো।
রেনুয়াল ইন্সট্রাকশন (renewal instructions) বা পুনর্নবীকরণঃ এই অংশটির প্রেসক্রিপশনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই অংশে বলা থাকে কখন আবার নতুন করে কিনতে হবে এবং নিতে হবে বিশেষ করে এটা নারকোটিক (narcotic) এবং যে সব ওষুধ অভ্যাসে পরিণত হয় অর্থাৎ habit forming drug এর ক্ষেত্রে এই অংশটি খুবই জরুরী।

সর্বশেষে অংশটি যিনি প্রেসক্রিপশনটা করছেন অর্থাৎ prescriber, তার স্বাক্ষর, ঠিকানা এবং তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়া থাকে যাতে এই প্রেসক্রিপশনের কোন ভুল ব্যবহার না হয়।

বেশিরভাগ প্রেসক্রিপশন আমরা সাধারণ মানুষরা বুঝতে পারিনা, কিন্তু প্রেসক্রিপশনের প্রতিটি অংশই খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ঔষধ নেওয়ার পর ফার্মাসিস্ট আপনাকে যেভাবে কোন নির্দিষ্ট ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে বোঝাবেন এবং করতে বলবেন, আপনারা ঠিক সেই ভাবেই করবেন কারণ কোন ওষধ যতটা আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী, তার ভুল ব্যবহার হলে ঠিক তো ক্ষতিকর হতে পারে। সেই জন্য আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।



বেলেডোনার ব্যথা নিচের দিকে ধাবিত হয় যেমন মাথা থেকে দূরে। সাইলিসিয়া ও জেলসের ব্যথা পিঠে ওপর দিকে ওঠে। স্হুলমাত্রার ব্যবহারে এর দ্বারা হৃদপিণ্ডের (নিউমোগ্যাস্ট্রিকের) পক্ষাঘাত, সিমপ্যাথেটিকের শক্তি বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া দ্রুত এবং নাড়ি পূর্ণ ও বেগবতী হয়।

বেলেডোনার ব্যথা নিচের দিকে ধাবিত হয় যেমন মাথা থেকে দূরে। সাইলিসিয়া ও জেলসের ব্যথা পিঠে ওপর দিকে ওঠে। স্হুলমাত্রার ব্যবহারে এর দ্বারা হৃদপিণ্ডের (নিউমোগ্যাস্ট্রিকের) পক্ষাঘাত, সিমপ্যাথেটিকের শক্তি বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া দ্রুত এবং নাড়ি পূর্ণ ও বেগবতী হয়।

Complementary : Calc.
Followed Well By : Cham, Chin, Con, Dulc, Hep, Hyos, Lach, Rhus-t, Seneg, Stram, Valer, Verat.
Follows Well : Arn, Ars, Aur, Bry, Calc, Caps, Caust, Cham, Cic, Cinch, Cocc, Con, Hep, Hyos, Ign, Ip, Lach, Lyc, Merc, Nat-c, Nat-m, Nit-ac, Nux-v, Op, Phos, Puls, Rhus-t, Seneg, Sep, Spig, Staph, Stram, Sulph, Valer, Verat.
Inimical : Dulc.
Compare : Caps, Dulc, Hyos, Lycp, Stram.
Similar : Acon, Ars, Bry, Calc, Cham, Cic, Coff, Cupr, Eup-pur, Gels, Hep, Hyos, Lach, Merc, Nux-v, Op, Puls, Rhus-t, Stram, Ter, Verat.
Antidoted By : Acon, Arum-t, Atrop, Camph, Cinch, Cupr, Ferr, Jab, Merc, Plat, Plb.
It Antidotes : Camph, Coff, Hep, Hyos, Op, Puls, Sabad.



সুচিপত্র বিস্তারিত আলোচনা
সমনাম এটরোপা বেলেডোনা, বেলেডোনা বেক্সি ফেরা, ডেডলি নাইট সেড, বিউটিফুল লেডি, বিট্রিকোটোমা টলক্রাউট, সোলানাম ফিউরিওসাম।
উৎস উদ্ভিজ্জ।
প্রাপ্তিস্থান ইউরোপে এই সকল গাছ জম্মায়া থাকে। ভারতের হিমালয় অঞ্চলে ছয় হাজার হইতে বার হাজার ফুট উঁচু স্থানে (সিমলা হইতে কাশ্মীর পর্যন্ত বিস্তৃত)ইহা প্রচুর পরিমাণে জম্মে।
প্রুভার ডা.স্যামুয়েল হ্যানিম্যান, ভিয়েনা প্রুভারস সোসাইটি, নিউয়র্ক মেডিকেল সোসাইটি।
কাতরতা শীতকাতর।
মায়াজম সোরিক, টিউবারকুলার, সিফিলিটিক।
ত্রিয়াস্থল মস্তিষ্ক, স্নায়ুকেন্দ্র, রক্তবাহিনালী, কৈশিকনালী, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী, চক্ষু, মুখ, গহ্বর, গলদেশ, গাত্রচর্ম, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস।
ঔষধের নিজস্ব কথা ১ম কথাঃ উত্তপ ও আরক্তিমতা।
২য় কথাঃ জ্বালা ও স্পর্শকাতরতা।
৩য় কথাঃ আকাস্মিকতা ও ভীষণতা।
৪র্থ কথাঃ ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়।
মানসিক লক্ষণ
  • চরিত্রঃ শান্ত, সান্তানায় বৃদ্ধি, কটুভাষী, লাজুক, লজ্জাহীন, দুশ্চরিত্রতা, অসন্তষ্ট, সন্দেহযুক্ত, অভিসম্পাত দেয়, বোকার ন্যায় ব্যবহার, দুর্দান্ত ভাব, দীর্ঘশ্বাস ফেলে, ছিদ্রান্বেষী, কেউ বিষ খাওয়াবে এরূপ, গান করে, গান করে (ক্রন্দনের সঙ্গে, জ্বরের সময়, নিদ্রার মধ্যে)।
  • উদাসিনতা এবং বিরক্তী।
  • হাত হইতে দ্রব্য পড়ে যাওয়া, অন্য মনস্ক হইয়া কিছু পড়ে গেলে হাসিয়া ফেলা।
  • অচেনা ভাব, স্মৃতি শক্তি দূর্বলতা।
  • সর্বদা কাদে, শিশুগন কর্বদা ঘ্যান ঘ্যান করে কাদে এবং নিদ্রাবস্থায় চিতকার দিয়ে উঠে।
  • শিশুকে সন্তষ্ট করা খুব মুশকিল।
  • একা থাকতে ভয়, ব্যাস্ত এবং অস্থিরতা।
  • বিধবাগনের যৌন সংগম করতে ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়।ততসহ ঈর্ষা পরায়ন।
  • অত্যান্ত অস্থিরতা।
  • নির্বধ ও সন্দেহ প্রবন।
চরিত্রগত লক্ষণ
  • ইহার শিশু ভয়ানক বদ মেজাজী। রাগ ও বিরক্তির জন্য পীড়ার উতপত্তি।
  • দিনরাত কেবল ঘ্যান ঘ্যান করে কাদে। কোলে লইয়া ঘুরে বেড়াইলে চুপ করে থাকে। বা আরাম পায়, চুপ করে।
  • খোলা বাতাসে সহ্য হয় না। ইহার যন্ত্রনা গরমে, ঠান্ডা প্রয়োগে, ঠান্ডা বাতাসে কোন কিছুতেই উপশম হয়না। বরং বৃদ্ধি পায়।
  • যে কোন বেদনাই হোক রোগী সহ্য করতে পারে না। কাতর হইয়া পড়ে। কেউ সান্তনা দিলে আরো অসহ্য হয়।
  • সর্ব শরীর ঠান্ডা, কিন্তু মুখ মন্ডল ও নিশ্বাস গরম, কপালে ও মাথায় চট চটে ঘাম।
  • এক দিকের গাল হরম, লাল ও অন্যটি ফ্যাশে, ঠান্ডা।
  • রাত্রি ১২টার পর থেকে উপসর্গ থাকে না।
  • পায়ের তলা জ্বালা সে জন্য পা বিছানায় বাহিরে রাখে।
  • রোগ অল্প হোক আর বেশি হোক যন্ত্রনা মোটেই সহ্য করতে পারেনা।
  • সকল উপসর্গ রাত্রে বেশি।
  • দন্তশুলে গরম জল মুখে নিলে যন্ত্রনা বৃদ্ধি পায়।
  • বর্হি বায়ু আসিয়া উত্তপ্ত ঘরে প্রবেশ করে দন্তশুল বাড়ে।
  • মল পাতলা জ্বলের ন্যায় সবুজ রংয়ের মত, গরম ও দুগন্ধ যুক্ত মল, মল দ্বার হাজিয়া যায়।
হ্রাস-বৃদ্ধি বৃদ্ধিঃ গরম ঘরে, উত্তাপ ও নড়াচড়ায়, রাতে। হ্রাসঃ ঠান্ডা, গোসলে, মুক্ত বাতাসে।
ওষুধের সাথে সম্পর্ক
  • অনুপূরক ঔষধঃ Natrium Muriaticum
  • পরবর্তী ঔষধঃ Arnica Mont, Arsenic Alb, Graphitic, Idiom, Lycopodium, Pulsatila, Natrum Mur, Stramonium, Sulphar.
  • শত্রুভাবাপন্ন ঔষধঃ Rhus toxicodendron
  • প্রতিষেধক ঔষধঃ এসিড কার্বলিক, এসিড লাকেসিস, ক্যানথারিস, ইপিকাক, লিডমপাল, নেট্রামা মিউর, প্লানটেগো
ক্রিয়াকাল ৭-১৫ দিন।

Note that we start the search in topic, to prevent filtering the table headers.

Previous Post
Next Post

post written by:

DHMS (BHB), PDT and MBA

0 Comments: