Protoplasm_প্রোটোপ্লাজম।
আবিষ্কার ও নামকরণ : বিজ্ঞানী পারকিনজি (Purkinje, ১৮৪০) সর্বপ্রথম প্রােটোপ্লাজম কথাটি ব্যবহার করেন। প্রােটোপ্লাজমই যে প্রাণের ভৌত ভিত্তি সে সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানী ম্যাক্স সূলজ (Max Schultze, ১৮৬৩) এবং টমাস হাক্সলে (Thomas Huxley, ১৮৬৮)।
Cytoplasm_সাইটোপ্লাজম।
সাইটোপ্লাজম হচ্ছে কোষের ভেতরে বেশির ভাগ অংশ জুড়ে অবস্থিত স্বচ্ছ, সমসত্ব,
জেলি-সদৃশ পদার্থ। সাইটোপ্লাজমের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোষের বিভিন্ন জৈবনিক
ক্রিয়াকলাপের সাথে সংশ্লিষ্ট সজীব বস্তুসমূহকে একত্রে সাইটোপ্লাজমীয়
অঙ্গাণু বলা হয় । সাইটোপ্লাজমের ৮০ শতাংশই পানি এবং সাধারণত বর্ণহীন।
১৮৬২ সালে বিজ্ঞানী রুডলফ ভন কলিকার সর্বপ্রথম সাইটোপ্লাজম শব্দটি ব্যবহার
করেন। কোষের অধিকাংশ কার্যাবলি সাইটোপ্লাজমেই সম্পাদিত হয়। সাইটোপ্লাজমে
ক্যালসিয়াম আয়নের আসা-যাওয়া বিপাক ক্রিয়ার সংকেত হিসেবে সংঘটিত হয়।
উদ্ভিদকোষে কোষগহবর ঘিরে সাইটোপ্লাজমের নড়াচড়াকে সাইটোপ্লাজমিক স্ট্রীমিং
বলে।
নিউক্লিয়াস কোষের প্রাণকেন্দ্র যা কোষের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জীবনের অস্তিত্ব প্রকাশে সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস সমন্বিত প্রোটোপ্লাজম মূল কোষের প্রতিনিধিত্ব করে। এ জন্যই প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়।
প্রােটোপ্লাজম হলো কোষের ভিতরের অর্ধস্বচ্ছ, থকথকে জেলির মতো বস্তু।
গ্রিক শব্দ protos-প্রথম, plasma-আকার থেকে Protoplosm শব্দটির উৎপত্তি।
একে সাইটোপ্লাজমিক ধাত্র বা cytoplasmic matrix বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে এর
মধ্যেই নিউক্লিয়াস ও অন্যান্য কোষীয় অঙ্গাণুসমূহ অবস্থান করে।
প্রােটোপ্লাজমের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া
অবিরতভাবে চলে। বিভিন্ন প্রভাবকের প্রভাবে প্রােটোপ্লাজমের মৃত্যু ঘটলে
কোষেরও মৃত্যু ঘটে থাকে।
কোষ প্রাচীরের অভ্যন্তরে সমুদয় পদার্থ একসাথে প্রোটোপ্লাস্ট নামে
পরিচিত। প্রোটোপ্লাস্ট দুভাগে বিভক্ত।যথাঃ ১) সজীব প্রোটোপ্লাজম ২)
নির্জীব বস্তু বা অপ্রোটোপ্লাজমীয় উপাদান।নিম্নে এদের বর্ণনা দেওয়া হল।
এটি অর্ধস্বচ্ছ , বর্ণহীন, জেলিসদৃশ অর্ধতরল আঠালাে পদার্থ। এটি দানাদার ও কলয়েডধর্মী। এটি কোষস্থ পরিবেশ অনুযায়ী জেলি থেকে তরল এবং তরল থেকে জেলিতে রূপান্তরিত হয়। এটি জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। সকল মেটাবলিক কার্যকলাপ প্রােটোপ্লাজম করে থাকে।
প্রােটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্য |
---|
প্রোটোপ্লাজম অর্ধস্বচ্ছ,বর্ণহীন,জেলি সদৃশ্য অর্ধতরল আঠালো পদার্থ। |
এটি দানাদার ও কলয়ডধর্মী। |
ইহা কোষস্থ পরিবেশ অনুযায়ী জেলি থেকে তরলে এবং তরল থেকে জেলিতে পরিবর্তিত হতে পারে। |
প্রোটোপ্লাজমের আপেক্ষিক গুরুত্ব পানি থেকে বেশি। |
উত্তাপ,অ্যাসিড ও অ্যালকোহলের প্রভাবে প্রোটোপ্লাজম জমাট বাঁধে। |
রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য: |
---|
রাসায়নিকভাবে প্রোটোপ্লাজমে জৈব এবং অজৈব পদার্থ আছে।এতে অধিক পরিমাণে পানি আছে।জৈব পদার্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন এরপর আছে কার্বোহাইড্রেড ও লিপিড। এছাড়াও আছে অক্সিজেন, ম্যাগনেসিয়াম,নাইট্রোজেন,কার্বন,কপার,জিঙ্ক,সোডিয়াম,পটাশিয়াম,কেলসিয়াম,সালফার,আয়রন প্রভৃতি। |
জৈবিক বৈশিষ্ট্য: |
---|
প্রোটোপ্লাজম বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় সাড়া দেয়। খাদ্য তৈরি,খাদ্য হজম,আত্তীকরণ,শ্বসন,বৃদ্ধি,জনন ইত্যাদি সকল মেটাবলিক কার্যকালাপ প্রোটোপ্লাজম করে থাকে। প্রোটোপ্লাজমের জৈবিক বৈশিষ্ট্যই জীবের বৈশিষ্ট্য। অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় প্রোটোপ্লাজম পানি গ্রঽণ ও ত্যাগ করতে পারে। এদের মৃত্যু ঘটে। |
এটি অর্ধস্বচ্ছ , বর্ণহীন, জেলিসদৃশ অর্ধতরল আঠালাে পদার্থ। এটি দানাদার ও কলয়েডধর্মী। এটি কোষস্থ পরিবেশ অনুযায়ী জেলি থেকে তরল এবং তরল থেকে জেলিতে রূপান্তরিত হয়। এটি জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। সকল মেটাবলিক কার্যকলাপ প্রােটোপ্লাজম করে থাকে।
সাইটোপ্লাজম হচ্ছে কোষের ভেতরে বেশির ভাগ অংশ জুড়ে অবস্থিত স্বচ্ছ,
সমসত্ব, জেলি-সদৃশ পদার্থ। সাইটোপ্লাজমের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোষের
বিভিন্ন জৈবনিক ক্রিয়াকলাপের সাথে সংশ্লিষ্ট সজীব বস্তুসমূহকে একত্রে
সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু বলা হয় । সাইটোপ্লাজমের ৮০ শতাংশই পানি এবং
সাধারণত বর্ণহীন।
১৮৬২ সালে বিজ্ঞানী রুডলফ ভন কলিকার সর্বপ্রথম সাইটোপ্লাজম শব্দটি
ব্যবহার করেন। কোষের অধিকাংশ কার্যাবলি সাইটোপ্লাজমেই সম্পাদিত হয়।
সাইটোপ্লাজমে ক্যালসিয়াম আয়নের আসা-যাওয়া বিপাক ক্রিয়ার সংকেত হিসেবে
সংঘটিত হয়। উদ্ভিদকোষে কোষগহবর ঘিরে সাইটোপ্লাজমের নড়াচড়াকে
সাইটোপ্লাজমিক স্ট্রীমিং বলে।
সাইটোপ্লাজম এর কাজ: |
---|
১। বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় বিক্রিয়া বা বিপাক সাইটোপ্লাজমে ঘটে। |
২। কোষের গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে। |
৩। বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গানুর কাজে সমন্বয় সাধন ঘটায়। |
৪। প্রোটোজোয়ার গমনে সাহায্য করে। যেমন – অ্যামিবা। |
রাইবোজোম জীব কোষে অবস্থিত রাইবোনিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা গঠিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা। রাইবোজোম প্রধানত প্রোটিন সংশ্লেষণে সাহায্য করে। প্রোটিনের পলিপটাইড চেইন সংযোজন এই রাইবোজোমে হয়ে থাকে। এছাড়া রাইবোজোম এ কাজে প্রয়োজনীয় উৎসেচক সরবরাহ করে। এই উৎসেচক বা এনজাইমের কাজ হলো প্রাণরাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেওয়া।
প্রোটোপ্লাজম কখনো স্খির থাকেনা।প্রোটোপ্লাজমের এ গতিময়তাকে চলন বলে।কোষপ্রাচীর যুক্ত প্রোটোপ্লাজম জলস্রোতের মত যে চলন দেখা যায় তাকে আবর্তন বা সাইক্লোসিস বলে।আবর্তন দুই প্রকার হয়ে থাকে।যে চলনে প্রোটোপ্লাজম একটি গহ্বরকে কেন্দ্র করে কোষ প্রাচীরের পাশ দিয়ে নির্দিষ্ট পথে একদিকে ঘুরে তখন তাকে একমুখী আবর্তন বলে।যেমনঃপাতা ঝাঝির কোষ।যে চলনে প্রোটোপ্লাজম কতকগুলো গহ্বরকে কেন্দ্রকে অনিয়মিতভাবে আবর্তন করতে থাকে তখন তাকে বহুমূখী আবর্তন বলে।
কোষ প্রাচীরের ঠিক নিচে সমস্ত প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে একটি সজীব ঝিল্লি আছে।এ ঝিল্লিকে কোষ ঝিল্লি বলে।একে প্লাজামামেমব্রেন,প্লাজমালেমা,সাইটোমেমব্রেন এসব নামেও অভিহিত করা হয়।তবে বর্তমানে অনেকে একে বায়োমেমব্রেন বলতে চান।ঝিল্লিটি স্থানে স্থানে ভাজ বিশিষ্ট হতে পারে।প্রতিটি ভাজকে মাইক্রোভিলাস বলে।কোষাভ্যন্তরট অধিক প্রবিষ্ট মাইক্রোভিলাসকে বলা হয় পিনোসাইটিক ফোস্কা।
আমরা বেচে আছি কারন আমাদের কোষীয় অঙ্গানু গুলো সচল আছে। প্রতিনিয়ত আমাদের
রাইবোসম প্রোটিন তৈরি করে যাচ্ছে,প্রতিনিয়ত মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি তৈরি
করে যাচ্ছে।প্রতিনিয়ত কোষের যাবতীয় কার্যক্রম গুলো সচল আছে বলেই আমরাও
বেচে আছি।
আর আমাদের যাবতীয় কোষীয় অঙ্গানু গুলো ধারন করে প্রটোপ্লাজম।কোষপ্রাচীর এর
অভ্যন্তরে যাবতীয় সজীব অঙ্গানু ধারন করে থাকে এই প্রটোপ্লাজম।তাই
প্রটোপ্লাজম কে জীবনের ভিত্তি বলা হয়ে থাকে।
আরএই প্রটোপ্লাজম এর ৭০% হলো পানি। তাই বলা হয়ে থাকে পানির অপর নাম জীবন।
সাইটোপ্লাজম এবং প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হ’ল সাইটোপ্লাজমের নিউক্লিয়াস থাকে না তবে প্রোটোপ্লাজমের নিউক্লিয়াস থাকে এর কাঠামো। নিচে পার্থক্য দেখানো হলো-
প্রোটোপ্লাজম ও সাইটোপ্লাজমের মধ্যে পার্থক্যট্য |
---|
১। একটি কোষের কোষপর্দার ভিতরে ভ্যাকুওল বাদে সমগ্র অংশ কে প্রোটোপ্লাজম বলে। অন্যদিকে প্রোটোপ্লাজমের ভিতরে নিউক্লিয়াস বাদে সমগ্র অংশ কে সাইটোপ্লাজম বলে। |
২। প্রোটোপ্লাজম এর তিনটি অংশ- কোষঝিল্লি, নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম। অন্যদিকে সাইটোপ্লাজমের দুটি অংশ- সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু ও মাতৃকা। |
৩। প্রোটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াস থাকায় বংশগতির ধারক ও বাহক। অন্যদিকে সাইটোপ্লাজমের বংশগতির ধারক ও বাহক নয়। |
৪। পরিবেশ অনুযায়ী জেলি থেকে তরলে এবং তরল থেকে জেলিতে পরিবর্তিত হতে পারে। অন্যদিকে বস্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে, সাইটোপ্লাজম কোষের সোল-জেল হিসেবে আচরণ করে। |
৫। প্রোটোপ্লাজম জীবনের আধার হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে সাইটোপ্লাজম কোষীয় অঙ্গাণুর আধার হিসেবে কাজ করে। |
What Is Cytoplasm?
The cytoplasm is a transparent material present between the cell
membrane and the nucleus of the eukaryotic cell.
The main components of the cytoplasm are cell organelles, metabolic
wastes, proteins, and food reserves. It tends to be semi-fluid and
transparent in nature.
The cytoplasm normally surrounds the nucleus and it contains both
cytosol and cytoplasmic matrix. This substance helps to differentiate
between outer ectoplasm and inner endoplasm.
What Is Protoplasm?
Protoplasm is a jelly-like substance where biological activities take
place in a cell. The main constituents of protoplasm are 90% water,
salts, proteins, lipids, and carbohydrates.
The main features of protoplasm are selective permeability, elastic,
granular, colloidal, and colourless substance.
Cytoplasm | Protoplasm |
---|---|
It is a semi-solid material found between the nucleus and cell membrane | It is a jelly-like substance that surrounds the cytoplasm, nucleus and cell membrane |
Consists of cytosol + cell organelles | Consists of cytosol + cell organelles + nucleus |
Contain Golgi body, Endoplasmic reticulum, Mitochondria, Ribosomes, Lysosomes | Contain cytoplasm and nucleus |
Water, metabolic wastes, proteins, food reserves. | Proteins, lipids, carbohydrates, nucleic acid and inorganic salts. |
The term is still relevant in modern biology | The term is considered obsolete by today’s standards |
0 Comments: