Cell Biology - Rectopen

Download Free Android Apps

Ads 728x90

Cell Biology

Cell Biology

Cell Biology

Type something in the input field to search the table for first names, last names or others:

কোষ কাহাকে বলে ?

কোষ হলো সকল জীবদেহের গঠন, বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ ও বংশগতিমূলক তথ্য বহনকারী একক। এটি জীবের ক্ষুদ্রতম জীবিত একক, অর্থাৎ একটি কোষকে পৃথকভাবে জীবিত বলা যেতে পারে। এজন্যই একে জীবের নির্মাণ একক নামে আখ্যায়িত করা হয়।) ব্যাক্টেরিয়া এবং এ ধরনের কিছু জীব এককোষী।

কিন্তু মানুষসহ পৃথিবীর অধিকাংশ জীবই বহুকোষী। মানবদেহে প্রায় ৩৭ লক্ষ কোটি কোষ রয়েছে; একটি কোষের আদর্শ আকার হচ্ছে ১০ মাইক্রোমিটার এবং ভর হচ্ছে ১ ন্যানোগ্রাম। জানামতে বৃহত্তম কোষ হচ্ছে উটপাখির ডিম।

সকল জীবিত বস্তুই এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত এবং সব কোষই পূর্বে অস্তিত্বশীল অন্য কোনো কোষ থেকে উৎপত্তি লাভ করে। জীবের মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ সব ক্রিয়াই কোষের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়। সকল কোষের মধ্যে কার্যক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বংশগতীয় তথ্য এবং পরবর্তী বংশধরে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
কোষ কি
১। জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে।
২। কোষ হলো জীবন্ত সত্তার গাঠনিক, শারীরিক ও সাংগাঠনিক একক।
৩। কোষ হলো জীবনের মৌলিক একক।
৪। কোষ বংশগতির একক।
৫। সকল জীব এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত এবং পূর্বসৃষ্ট কোষ থেকেই নতুন কোষের সৃষ্টি হয়।

১। বিজ্ঞানী রবার্ট হুক ১৬৬৫ সালে কোষ আবিষ্কার করেন।
২। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে প্রায় ৬ থেকে ১০ লক্ষ কোটি কোষ থাকে।
৩। নিউক্লিয়াসের গঠন অনুযায়ী কোষ ২ প্রকার– (i) আদি কোষ বা প্রাককেন্দ্রিক কোষ। (ii) প্রকৃত কোষ বা সুকেন্দ্রিক কোষ।
৪। অবস্থান ও কাজের ভিত্তিতে কোষ ২ প্রকার– (i)দেহ কোষ ও (ii) জনন কোষ।

কোষের উপাদানসমূহঃ

আদি বা প্রকৃত সকল কোষেই একটি আবরণ থাকে যার মাধ্যমে এটি বাইরের পরিবেশ থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং এই আবরণটি কোষের বাইরের পদার্থের সাথে ভিতরের পদার্থের আদান প্রদানের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়াও এই আবরণটির মাধ্যমে কোষের তড়িৎ বিভব বজায় থাকে। ঝিল্লি বা আবরণটির ভিতরে একটি লবণাক্ত সাইটোপ্লাজম অধিকাংশ আয়তন দখল করে থাকে। সকল কোষেই জিনের বংশগতিক পদার্থগুলো বহনের জন্য ডিএনএ এবং এনজাইম সহ অন্যান্য প্রোটিন সংশ্লেষের জন্য আরএনএ উপস্থিত থাকে। এ দুটিই কোষের প্রাথমিক যন্ত্রপাতি। এছাড়াও কোষে অন্যান্য ধরনের জৈব অণু থাকে। এখানে এই উপাদানগুলোর তালিকা তৈরি করা হবে।

Gene বংশাণু বা জিন (ইংরেজি হলো Gene) জীবন্ত প্রাণের বংশগতির আণবিক একক। এটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় কর্তৃক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় মূলত ডাইঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) এবং রাইবোনিউক্লিক এসিড (আরএনএ) এর প্রসারিত অর্থে যা পলিপেপটাইড বা একটি আরএনএ শৃঙ্খলকে গঠন করে। জীবন্ত প্রাণী বংশাণুর ওপর নির্ভর করে, কারণ তারা সকল প্রোটিন এবং গঠনমূলক আরএনএ শৃঙ্খলকে স্বতন্ত্রিত করে। বংশাণু প্রজাতির তথ্যধারণ করে এবং প্রাণীর কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর মাধ্যমেই প্রজাতির গুণ অব্যাহত থাকে। সমস্ত জৈবিক বৈশিষ্ট্যধারণকারী প্রাণীর বংশাণু আছে। ইংরেজি জিন শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ জেনেসিস থেকে যার অর্থ "জন্ম" বা জিনোস থেকে যার অর্থ "অঙ্গ"।

জিন কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী জোহান সেন ১৯০৯ সালে।

DNA ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ইংরেজি: DNA) একটি নিউক্লিক অ্যাসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে। একটি সম্ভাব্য ব্যতিক্রম হচ্ছে কিছু ভাইরাস গ্রুপ যাদের আরএনএ জিনোম রয়েছে, তবে ভাইরাসকে সাধারণত জীবন্ত প্রাণ হিসেবে ধরা হয় না। কোষে ডিএনএর প্রধান কাজ দীর্ঘকালের জন্য তথ্য সংরক্ষণ। জিনোমকে কখনও নীলনকশার সাথে তুলনা করা হয় কারণ, এতে কোষের বিভিন্ন অংশে যেমন: প্রোটিন ও আরএনএ অণু, গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি থাকে। ডিএনএর যে অংশ এ জিনগত তথ্য বহন করে তাদের বলে জিন, কিন্তু অন্যান্য ডিএনএ ক্রমের গঠনগত তাৎপর্য রয়েছে অথবা তারা জিনগত তথ্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়।

DNA উৎসেচক বা "এনজাইম" (ইংরেজি: Enzyme) হচ্ছে এক প্রকার জৈব অনুঘটক (ইংরেজি:organic catalyst)। গঠনগতভাবে এটি প্রোটিন জাতীয় পদার্থ । ব্যতিক্রম রাইবোজাইম (ribozyme) এবং ডিএনএজাইম যেখানে যথাক্রমে আরএনএ ও ডিএনএ উৎসেচক (এনজাইম) হিসাবে কাজ করে।

DNA প্রোটিন (Protein) হল এক প্রকারের বৃহৎ জৈব অণু কিংবা বৃহদাণু, যা এক বা একাধিক দীর্ঘ অ্যামিনো অ্যাসিড উদ্বৃত্তের শৃঙ্খল নিয়ে গঠিত। প্রোটিনগুলি জীবদেহের ভেতরে বিশাল সংখ্যক কার্য সম্পাদন করে, যেমন বিপাকীয় বিক্রিয়াসমূহের অনুঘটন, ডিএনএ প্রতিলিপিকরণ, উদ্দীপকের প্রতি সাড়াদান, কোষ ও জীবদেহে কাঠামো প্রদান, এক স্থান থেকে অন্যত্র বিভিন্ন অণু পরিবহন, ইত্যাদি।

DNA রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (অ্যাক্রোনিম বা সংক্ষিপ্তকরণে আরএনএ বা RNA) হল একটি নিউক্লিক অ্যাসিড যা সরাসরি প্রোটিন সংশ্লেষণের সাথে জড়িত এবং যার পলিনিউক্লিয়োটাইডের মনোমার এককগুলোতে গাঠনিক উপাদানরূপে রাইবোজ শুগার ও অন্যতম বেস বা ক্ষারক হিসেবে ইউরাসিল থাকে।[১] রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড হল একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউক্লিওটাইড যা নিউক্লিক অ্যাসিডের দীর্ঘ শৃঙ্খলের ন্যায় সমস্ত জীবন্ত কোষে উপস্থিত রয়েছে। সাধারণত ডিএনএ থেকে প্রাপ্ত এই নিউক্লিক অ্যাসিড মানবদেহে নতুন কোষ তৈরির জন্য দায়ী। আরএনএ-কে কোন কোন সময় এনজাইম হিসাবেও উল্লেখ করা হয় কারণ এটি শরীরের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

RNA-এর প্রধান ভূমিকা হল প্রোটিন সংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিএনএ থেকে নির্দেশাবলী বহনকারী একটি বার্তাবাহক হিসাবে কাজ করা।

উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের পার্থক্যঃ

উদ্ভিদ কোষঃপ্রাণী কোষঃ
১। কোষ প্রাচীর উপস্থিত। ১। কোষ প্রাচীর অনুপস্থিত।
২। কোষ প্রাচীর দ্বারা আবৃত। ২। প্লাজমা পর্দা দ্বারা আবৃত।
৩। প্লাস্টিড উপস্থিত। ৩। প্লাস্টিড অনুপস্থিত।
৪। বড় কোষগহ্বর থাকে। ৪। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষগহ্বর থাকে।
৫। নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে না। ৫। প্রায় সময় নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে।
৬। সেন্ট্রিওল থাকে না। ৬। সেন্ট্রিওল থাকে।
৭। লাইসোজোম খুবই কম থাকে। ৭। লাইসোজোম সবসময় উপস্থিত থাকে।
৮। আকারে সাধারণত বৃহত্তর হয়। ৮। আকারে তুলনামূলক ছোট হয়।
৯। নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমের এক কোণায় থাকে। ৯। নিউক্লিয়াস সাধারণত কেন্দ্রে থাকে।
১০। গ্লাইঅক্সিজোম উপস্থিত থাকতে পারে। ১০। গ্লাইঅক্সিজোম অনুপস্থিত থাকে।
১১। সঞ্চিত খাদ্য শ্বেতসার বা স্টার্চ । ১১। সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন।

কোষ বিভাজন ও তার প্রকারভেদ or Cell division and its types:

কোষ বিভাজন ৩ প্রকার।

অ্যামাইটোসিস- যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম কোনো জটিল মাধ্যমিক পর্যায় ছাড়াই সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য (শিশু) কোষের সৃষ্টি করে, তাকে অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলে।

মাইটোসিস- যে বিভাজনে প্রকৃত কোষের নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোজোম উভয়ই একবার করে বিভক্ত হয়, তাকে মাইটোসিস বলে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনকে সমীকরণিক বিভাজন বলা হয় কারণ এতে অপত্য কোষ হুবহু মাতৃ কোষের অনুরূপ হয়ে থাকে।

মিয়োসিস- যে বিভাজনে নিউক্লিয়াস পরপর দুইবার ও ক্রোমোজোম একবার করে বিভক্ত হয়ে মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয়, তাকে মিয়োসিস বলে। উন্নত জীবের জনন মাতৃকোষে মিয়োসিস হয়ে থাকে।

Cell Function Description of the cell
Animal CellNucleus নিউক্লিয়াস (ইংরেজি: Cell Nucleus) হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ।যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস ৷ রবার্ট ব্রাউন(Robert Brown) সর্বপ্রথম ১৮৩১ সালে কোষে নিউক্লিয়াস দেখতে পান এবং এর নামকরণ করেন।তিনিই এটি আবিষ্কার করেন সর্বপ্রথম।

এটি ৪ টি অংশে বিভক্ত। যথাঃ (১) নিউক্লিয় পর্দা, (২) নিউক্লিওলাস, (৩) নিউক্লিয়প্লাজম এবং (৪) নিউক্লিয়জালক
Animal CellNucleolus নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থিত ক্ষুদ্র,গোল,উজ্জ্বল ও অপেক্ষাকৃত ঘন বস্তুটি নিউক্লিওলাস (ইংরেজিঃ Nucleolus) নামে পরিচিত।বিজ্ঞানী ফণ্টানা (Fontana) 1781 সালে সর্বপ্রথম এটি দেখতে পান।প্রাণিবিদ বোম্যান (Bowman) ১৮৬৬ সালে নিউক্লিওলাসের নামকরণ করেন।

নিউক্লিয়াসের ভেতরে, প্রোটিন ও ডিএনএ দ্বারা গঠিত যে ছোট, গোলাকার ও অধিকতর ঘন বস্তুটি ক্রোমাটিন তন্তুর সাথে লেগে থাকে, তাকে নিউক্লিওলাস বলে।
Animal CellRough endoplasmic reticulum এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম শুধু মাত্র সুকেন্দ্রিক কোষে পাওয়া যায়। এর পৃষ্ঠে রাইবোজম দানা থাকলে তাকে অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম বলে যা প্রোটিন সংশ্লেষে সক্ষম। এবং রাইবোজম দানা না থাকলে তাকে মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম বলে যা লিপিড সংশ্লেষে সক্ষম।
Animal CellGolgi Bodies or apparatus সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত কতকগুলো ঘনসন্নিবিষ্ট চওড়া সিস্টারনি,থলির মতো ভ্যাকুওল এবং ক্ষুদ্র ভেসিকল এর সমন্বয়ে গঠিত জটিল অঙ্গাণু হল গলজি বস্তু বা গলজি বডি। ইতালীয় স্নায়ুবিজ্ঞানী ক্যামিলো গলজি ১৮৯৮ সালে পেঁচা ও বিড়ালের মস্তিষ্কের কোষে গলজি বস্তু আবিষ্কার করেন। গলজি বস্তুকে কোষের প্যাকেজিং কেন্দ্র বলে। গলজি বস্তু প্রধানত প্রাণিকোষে পাওয়া যায়। তবে উদ্ভিদকোষেও কদাচিৎ দেখা যায়। ইতালীয় স্নায়ুতত্ত্ববিদ ক্যামিলো গলজি ১৮৯৮ সালে গলজি বডি আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই গলজি বডির নামকরণ করা হয়। একে কোষের ট্রাফিক পুলিশও বলা হয়।
Animal CellSmooth endoplasmic reticulum এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম বা অন্তঃপ্লাজমীয় জালিকা হল কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত একপ্রকার জালিকাকার অঙ্গাণু। এরা একক আবরণী ঝিল্লি দ্বারা বেষ্টিত অসংখ্য সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম নালিকা এবং পরস্পর সংযোগ স্থাপন করে একটি জালকের সৃষ্টি করে।
Animal CellRibosome রাইবোসোম (Ribosome) হলো ঝিল্লিবিহীন একটি কোষীয় অঙ্গাণু যা প্রোটিন তৈরি করে এবং কোষের প্রয়োজনে বিভিন্ন এনজাইম সরবরাহ করে। প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় প্রকার কোষেই এদের পাওয়া যায়। কোথায় আমিষ সংশ্লেষ হবে তার স্থান নির্ধারণ করা এর কাজ। প্রোটিনের পলিপেপটাইড চেইন সংযোজন এই রাইবোসোমে হয়ে থাকে। রাইবোসোম হল কোষের প্রোটিন সংশ্লেষক।

আবিষ্কারঃ বিজ্ঞানী ক্লড (Claude) ১৯৪০ সালে এটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন। পরে Palade (১৯৫৫) প্রাণীকোষে এর ইলেকট্রনিক আণুবীক্ষণিক গঠন পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রকারঃ আকার ও সেডিমেন্টেশন সহগ হিসাবে এটি দু’প্রকার। যথাঃ ৭০s এবং ৮০S।

রাইবোসোমের গঠন রাইবোসোম প্রধানত প্রোটিন ও RNA দিয়ে তৈরি। রাইবোসোমের বহু প্রোটিন মূলত এনজাইম। mRNA অণু রাইবোসোমের সাথে যুক্ত হলে tRNA-র সহায়তায় প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়। সংশ্লেষণের সময় একই সাথে পরস্পর বেশ কয়েকটি রাইবোসোম mRNA-এর সাথে যুক্ত হলে তখন তাকে পলিরাইবোসোম (polyribosome) বা পলিসোম বলে।

রাইবোসোমের কাজ প্রোটিন সংশ্লেষণ করা। প্রোটিন সংশ্লেষণের শুরুতে mRNA আদি কোষের 30S এবং প্রকৃত কোষের 40S সাব ইউনিটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এরপর 50S এবং 60S সাব-ইউনিটে একত্রিত হয়ে যথাক্রমে 70S (আদি কোষে) এবং 80S (প্রকৃত কোষে) একক গঠন করে। এছাড়া স্নেহ বিপাকে সহায়তা করে।
Animal CellMitochondria মাইটোকন্ড্রিয়া দ্বি-স্তরবিশিষ্ট আবরণী ঝিল্লি দ্বারা সীমিত সাইটোপ্লাজমস্থ যে অঙ্গাণুতে ক্রেবস চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ঘটে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন হয় সেই অঙ্গাণুকে মাইট্রোকন্ডিয়া বলে।

মাইটোকন্ড্রিয়নকে "কোষের পাওয়ার হাউস" বলা হয়। এটিকে বলা হয় কারণ এটি ATP তৈরি করে - কোষের শক্তির মুদ্রা।

মাইটোকনড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলে। খাদ্যের শক্তি নির্গত হয়ে মাইটোকন্ড্রিয়াতে সঞ্চিত থাকে। এবং ওই শক্তি কোষের প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয়। তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউজ বলা হয়।
Animal CellPeroxisome ইউনিট পর্দা বেষ্টিত জারণ গুণসম্পন্ন এনজাইমে পূর্ণ ক্ষুদ্র, গোলাকার, আত্ম প্রজনন ক্ষম সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত অঙ্গাণুকে পারঅক্সিসোম বলে। পারঅক্সিসোমের অভ্যন্তর ভাগ দানাদার।

পারঅক্সিসোম এর কাজ ১. পারঅক্সিসোম H2O2-কে পানি ও Ox-এ বিভক্ত করে কোষে মুক্ত করে। ২. মানব দেহে দীর্ঘ শৃঙ্খল ফ্যাটি এসিড জারণ করে। ৩. কিছু সংখ্যক জারণ এনজাইম ধারণ করে।
Animal CellLysosome লাইসোসোম বা লাইসোজোম (ইংরেজি:Lysosome) এক ধরনের কোষীয় অঙ্গাণু যা সাধারণত প্রাণী কোষে পাওয়া যায়। কোষের সাইটোপ্লাজমে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট লিপো-প্রোটিন সম্বনয়ে গঠিত মেমব্রন বা ঝিল্লি দ্বারা আবৃত যে অঙ্গাণুটি নানাবিধ হাইড্রোলাইটিক এনজাইমের ধারক বা বাহক হিসেবে কাজ করে তাই লাইসোজোম বলে।
Animal CellCentriole সেন্ট্রিওল: প্রাণীকোষ ও কিছু উদ্ভিদকোষে যে একজোড়া নলাকার অঙ্গাণু নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থিত এবং কোষ বিভাজনে মাকুতন্ত্র গঠনে সমর্থ, তাকে সেন্ট্রিওল বলে। সেন্টিওল এর কাজ মনে রাখার ছন্দ "শুভ মার ফাজিল ছেলে"

শু = শুক্রাণুর লেজ গঠনে সাহায্য করে,
ভ = কোষ বিভাজনে সহায়তা করে,
মা = কোষ বিভাজনে মাকুতন্ত্র গঠন করে,
ফাজিল ছেলে = ফ্ল্যাজেলা ও সিলিয়া গঠন করে।
Animal CellCytoskeleton সেল মেমব্রেন, নিউক্লিয়ার এনভেলপ ও অন্যান্য অঙ্গাণুর সাথে সংযুক্ত থেকে এদের সাথে যোগাযোগ ও পরিবহন কার্যে সাহায্য করে। এরা সাইটোস্কেলিটন বা কোষীয় কঙ্কাল হিসেবে কাজ করে এবং কোষকে দৃঢ়তা প্রদান করে। যোগাযোগ ও পরিবহনে সাহায্য করে।

কোষকঙ্কাল (ইংরেজি: cytoskeleton) কোষের ভেতরে সাইটপ্লাজমে অবস্থিত তন্তুসমূহের সমষ্টি, যা কোষের আকৃতি রক্ষা, বিভিন্ন অঙ্গাণুর সমন্বয় সাধন, চলন, ইত্যাদি কাজের দায়িত্ব পালন করে। কোষঝিল্লি অতিক্রম কিরে কোষের ভিতরে ঢুকলে প্রথমেই কোষকঙ্কাল নজরে পড়বে। কোষকঙ্কাল ভিতর থেকে কোষটাকে ধরে রাখে।

সাইটোকঙ্কাল তিনপ্রকার:
  • অ্যাকটিন সূক্ষ্মতন্তু (Actin microfilament): ৬-৯ ন্যানোমিটার ব্যাস
  • অন্তর্বতী তন্তু (intermediate filament)
  • সূক্ষ্মনালিকা (microtubule): ~২৫ ন্যানোমিটার ব্যাস
Animal CellPlasma membrane রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে। রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস(Plasma) বলা হয়। রক্তরস তরল কঠিন পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি। এতে তরল পদার্থের(পানির) পরিমাণ ৯০-৯২% এবং কঠিন পদার্থের পরিমাণ ৮-১০%।

রক্তরসের ৫টি কাজ।
  • ১। রক্ত জমাট বাঁধার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো পরিবহন করে।
  • ২। হরমোন, এনজাইম, লিপিড প্রভৃতি দেহের বিভিন্ন অংশে বহন করে।
  • ৩। টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ নির্গত করে রেচনের জন্য বৃক্কে পরিবহন করে।
  • ৪। রক্তকণিকাসহ রক্তরসে দ্রবীভূত খাদ্যসার দেহের বিভিন্ন অংশে বাহিত হয়।
  • ৫। শ্বসনের ফলে কোষে সৃষ্ট CO2 কে বাইকার্বনেট হিসেবে ফুসফুসে পরিবহন করে।

রক্তরস হল রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি হালকা হলুদাভ তরল যা সাধারণত দেহের বিভিন্ন প্রকার রক্তকোষ ধারণ করে। মানব দেহের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগই হল রক্তরস। রক্তরস মূলত কোষপর্দার বাইরের রক্তগহ্বরের মধ্যকার তরল পদার্থ। এর ৯৫ শতাংশ হল জল এবং ৬-৮% (শতাংশ) বিভিন্নপ্রকার প্রোটিন (অ্যালবুমিন, গ্লোবুলিন, ফাইব্রিনোজেন),গ্লুকোজ, ক্লোটিং উপাদান, ইলেক্টোপ্লেট (Na+, Ca2+, Mg2+, HCO3-, Cl-, ইত্যাদি), হরমোন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (রক্তরস বিপাকীয় সংবহনতন্ত্রের মূল মাধ্যম)। রক্তরস মানবদেহের আমিষ সংরক্ষণের কাজও করে থাকে। এটি রক্তগহ্বরের অভিস্রবণ প্রক্রিয়া অটুট রাখে যাতে রক্তে বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট যথানুপাতে বিদ্যমান থাকে এবং মানবদেহ জীবাণু সংক্রমণ ও বিবিধ রক্তবৈকল্য থেকে মুক্ত থাকে।
Animal Cell
Organelles of cellsProtoplasm প্রোটোপ্লাজম – কোষমধ্যস্থ অর্ধস্বচ্ছ, দানাদার, থকথকে কলয়েড জাতীয় সজীব পদার্থ যার ৭৫-৯৫% পানি।
Organelles of cellsCell Wall কোষপ্রাচীর – প্রাণিদেহে কোষ প্রাচীর থাকে না। উদ্ভিদ দেহে কোষ প্রাচীর মৃত ও জড় বস্তু দিয়ে গঠিত।
-ব্যাকটেরিয়াতে মাইটোকন্ড্রিয়া অনুপস্থিত।
-জীবের শ্বসন কার্যে সহায়তা করা মাইটোকন্ড্রিয়ার প্রধান কাজ।
Organelles of cellsChromoplast ক্লোরোপ্লাস্ট – সবুজ বর্ণের, ক্লোরোফিল এ এবং বি – এ দুই ধরনের ক্লোরোফিল দেখতে পাওয়া যায়।
ক্রোমোপ্লাস্ট – রঙিন প্লাস্টিড, ক্যারোটিন (লাল) এবং জ্যান্থোফিল (হলুদ)।
লিউকোপ্লাস্ট – বর্ণহীন। আলোর সংস্পর্শে এলে লিউকোপ্লাস্ট ক্রোমোপ্লাস্টে অথবা ক্লোরোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হয়। ছত্রাক, নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া এবং প্রাণী কোষে প্লাস্টিড নেই।
Organelles of cellsNucleus নিউক্লিয়াসকে – কোষের মস্তিষ্ক, কোষের প্রাণ বা প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।
Organelles of cellsSinocyte সিনোসাইট – একাধিক নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট কোষের গঠনকে সিনোসাইট বলা হয়, যেমন- Vaucheria, Botrydium, Sphaeroplea ইত্যাদি শৈবাল ও Penicillium সহ কতিপয় ছত্রাক।

Note that we start the search in tbody, to prevent filtering the table headers.

Add Comments

Ads 728x90