Aconite Nap_একোনাইট ন্যাপেলাস
ছটফটানি ও মৃত্যুভয় ( মৃত্যুর সমায় বা তারিখ বলে ) বাচিবে না বলিয়া হতাশা, অত্যন্ত পিপাসা পানি মিষ্টি অন্য সবকিছু তিত, একবার শিত একবার গরম, হঠাৎ পীড়ার আক্রমন।
মায়াজমঃ সোরা।
কাতরতা ও ক্রিয়াকালঃ গরমকাতর / উভয়কাতর / ১ দিন।
এক কথায়ঃ হঠাৎ আসা তরুণ বা যেকোন রোগে- Aconite
প্রতিশব্দঃ ১. হেলমেট ফ্লাওয়ার ২. নেকডের বিষ ৩. একোনাইট ৪. ফ্রায়ার্স ক্যাপ
বাংলা নামঃ মিঠাবিষ, কাঠবিষ
উৎসঃ এটি এক ধরনের বিষাক্ত গাছের পুষ্প ও মূল সংগ্রহ করে ঔষধ প্রস্তুত করা হয়।
চিনার উপায়ঃ এই গাছটি বহুবষজীবি সোজা খাড়া, এবং ওল বা আলুজাতী মূল। ইহা কান্ড হইতে মূল ৬ ফুট লম্বা হয়।
প্রুভারঃ ডাঃ হ্যানেম্যান ১৮০৫ সালে রোগীতে প্রয়োগ করেন।
ক্রিয়াস্থানঃ স্নায়ুমণ্ডলী, পৃষ্ঠদেশ, মস্তিষ্ক এবং রক্ত সঞ্চালনের আধিক্য ঘটায়। (Causes excessive circulation to the nervous system, surface, brain and blood) ।
ঔষধের নিজস্বকথাঃ // সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ (১) আকস্মিকতা ও ভীষনতা। (২) অস্থিরতা ও মৃত্যুভয়। (৩) জ্বালা ও পিপাসা। (৪) প্রচন্ড শীত বা গরমের প্রকোপ।
সতর্কতাঃ
(ক) ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, সেপটিক, ইত্যাদি দূষিত বা বিষাক্ত জ্বরে অ্যাকোনাইট ব্যবহৃত হয় না।
(খ) অসুস্হ রোগী যেখানে স্হির ও শান্ত থাকে সেক্ষেত্রে কখনও অ্যাকোনাইট দেবেন না।
![]() |
একোনাইটের রোগী |
যে সমস্ত রোগে কার্যকারীঃ
জ্বর, সর্দি, কাঁশি, ক্রপ, ডেঙ্গু জ্বর, হাঁপানী, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, ধনুষ্টংকার, মুত্রারোধ, মূত্র না জমা, হুপিং কাঁশ, দাঁতের ব্যাথা, ভয় জনিত রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, লেরেঞ্জাইটিস, যকৃতের প্রদহ, প্লুরিসি, ওলা উঠা, (বিশেষত: লাল তরমুজের ঘোলানবৎ মল) শিশু ডাইরিয়া, এপোপ্লোক্সি, পানি বসন্ত, হার্নীয়া, অন্ড কোষ প্রদাহ, দৃষ্টিহীনতা রোগে যদি একোনাইটের প্রকাশ পায়।
ধাতু প্রকৃতিঃ বলিষ্ট রক্ত প্রধান ব্যক্তি।
চরিত্রগত লক্ষণঃ
- পেশী সমূহ দৃঢ়।
- চক্ষুর তারা কাল।
- রক্ত প্রধান ধাত তাদের হঠাৎ ও তীব্র রোগে।
- হঠাৎ পীড়ার আক্রমন।
- অতিশয় ছটফটানি ও মৃত্যুভয়, চলিতে ফিরিতে বা বেড়াইতে সর্বদা শঙ্কা, বাচিবে না বলিয়া হতাশা।
- নাড়ী খুব দ্রুত, কঠিন ও পুষ্ট।
- জ্বালা-পোড়া, একবার গরম একবার শিতবোধ হয়।
- পীড়ার লক্ষণসমূহ রাত্রিতে বৃদ্ধি এবং সকল পীড়া হঠাৎ প্রকাশিত হয়।
- পানি পান ছাড়া সকল জিনিষই তিক্ত বোধ।
- ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব, প্রস্রাব লালবর্ণ, গরম ও যন্ত্রনাদায়ক, শিশুদের ভূমিষ্ট হইবার পরই প্রস্রাব বন্ধ।
মানসিকগত লক্ষণঃ
- ভীষনভীতি , ও উৎকন্ঠা
- মৃত্যুভয় ও অস্থিরতা ,(মৃত্যুর সময় নির্দেশ বা তারিখ বলে)
- সর্বদাই পরিবর্তনশীল মন।
- ভয়ে কাতর হইয়া পড়ে।
- লোক সমাগমে যাইতে চায় না।
- রোগীর অস্থিরতা, মানসিক অবসাদ হেতু ছটফটানি।
- বন্ধু-বান্ধব ও আত্নীয় স্বজনের প্রতি উদাসীন।
- রাস্তা – ঘাট পার হইতে ভয় বোধ হয়।
Mind.--Great fear, anxiety, and worry accompany every ailment, however trivial. মন।--প্রচণ্ড ভয়, উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা প্রতিটি অসুখের সাথে থাকে, তা তুচ্ছ হোক।
Head.--Fullness; heavy, pulsating, hot, bursting, burning undulating sensation. মাথা।---পূর্ণতা; ভারী, স্পন্দিত, গরম, বিস্ফোরণ, জ্বলন্ত অস্বস্তিকর সংবেদন।
Eyes.--Red, inflamed. Feel dry and hot, as if sand in them. Lids swollen, hard and red. চোখ।-- লাল, স্ফীত। শুষ্ক এবং গরম অনুভব করুন, যেন তাদের মধ্যে বালি। ঢাকনা ফোলা, শক্ত এবং লাল।
Ears.--Very sensitive to noises; music is unbearable. External ear hot, red, painful, swollen. কান।--শব্দের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল; সঙ্গীত অসহ্য। বাহ্যিক কান গরম, লাল, বেদনাদায়ক, ফোলা।
Nose.--Smell acutely sensitive. Pain at root of nose. নাক।--গন্ধ তীব্রভাবে সংবেদনশীল। নাকের গোড়ায় ব্যথা।
Face.--Red, hot, flushed, swollen. One cheek red, the other pale. মুখ.--- লাল, গরম, ফ্লাশড, ফোলা। একটি গাল লাল, অন্যটি ফ্যাকাশে।
Mouth.--Numb, dry, and tingling. Tongue swollen; tip tingles. Teeth sensitive to cold. মুখ.--অসাড়, শুষ্ক, এবং ঝনঝন। জিহ্বা ফুলে যাওয়া; টিপ tingles. ঠাণ্ডার প্রতি সংবেদনশীল দাঁত।
Throat.--Red, dry, constricted, numb, prickling, burning, stinging. Tonsils swollen and dry. গলা।--লাল, শুষ্ক, সংকুচিত, অসাড়, কাঁটা, জ্বলন্ত, হুল ফোটানো। টনসিল ফুলে যায় এবং শুকিয়ে যায়।
Stomach.--Vomiting, with fear, heat, profuse sweat and increased urination. পেট।-ভয়, তাপ, প্রচুর ঘাম এবং প্রস্রাব বৃদ্ধি সহ বমি।
Abdomen.--Hot, tense, tympanitic. Sensitive to touch. পেট।--গরম, টান, টাইম্পানিটিক। স্পর্শে সংবেদনশীল।
Rectum.--Pain with nightly itching and stitching in anus. Frequent, small stool with tenesmus; green, like chopped herbs. White with red urine. Watery diarrhœa in children. They cry and complain much, are sleepless and restless. মলদ্বার।--- মলদ্বারে রাত্রিকালীন চুলকানি ও সেলাই সহ ব্যথা। ঘন ঘন, টেনেসমাসের সাথে ছোট মল; সবুজ, কাটা ভেষজ মত. লাল প্রস্রাবের সাথে সাদা। শিশুদের মধ্যে জলযুক্ত ডায়রিয়া। তারা কাঁদে এবং অনেক অভিযোগ করে, নিদ্রাহীন এবং অস্থির।
Urine.--Scanty, red, hot, painful. প্রস্রাব।--স্বল্প, লাল, গরম, বেদনাদায়ক।
Modalities: রোগ বৃদ্ধিঃ সন্ধ্যাকালে , বিছানা থেকে উঠিলে, গরম ঘরে,আক্রান্ত পাশ্ব শয়ন করিলে, ভয় পাইলে। রোগ উপশমঃ মুক্ত বাতাসে।
Causation: Fear; Fright; Chill; Cold, dry winds. Heat, especially of sun; Injury, Surgical operation; Shock.
প্রতিষেধকঃ সালফার , পরিপূরকও সালফার।
পরবর্তী ওষুধঃ আর্সেনিক, সালফার, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, ক্যান্থারিস, হিপার, ইপিকাক, পালসেটিলা, রাসটক্স, সাইলিসিয়া, স্পঞ্জিয়া।
ক্রিয়ানাশকঃ বেলেডোনা, সালফার, কফিয়া, এসেটিক এসিড।
ক্রিয়া কালঃ ১ দিন।
খাদ্য নিষেধঃ মাংস, মিষ্টি এবং ঝাল।
শততমিক শক্তিঃ ১x, ৩x, ৩০।
৫০ সহস্রতমিক শক্তিঃ এম ২, এম ৩, এম ৪, এম ৫, পুরাতন রোগের ক্ষেত্রে শক্তি উর্দ্ধে।
শক্তিঃ ১X হইতে ২০০।
Aconite অর্থ ধুলামুক্ত।
একোনাইট উদ্ভিদটি মাটি থেকে টান দিয়ে উঠানোর সময় এর শিকড়ে বিন্দু পরিমান ধূলিকণা লেগে থাকেনা যে কারণে একোনাইট কে ধুলামুক্ত উদ্ভিদ বলা হয়।
হয়তো সে কারণেই একোনাইট এর রোগীরা ধুলামুক্ত অবস্থায় সুস্থ থাকে ও ধুলাযুক্ত অবস্থায় অপেক্ষাকৃত বেশি অসুস্থ হয়।
বিষয়টি পরিষ্কার করে বলি, এর রোগীরা শুষ্ক, ঠান্ডাযুক্ত আবহাওয়ায় বেশি অসুস্থ হয়, অর্থাৎ হেমন্ত, শীত ও বসন্ত কালে বেশি অসুস্থ হয়। কারণ এইসব ঋতু বেশি ধুলাযুক্ত থাকে।
বর্ষাকাল ধুলামুক্ত থাকে বলে হয়তো এই ঋতুতে অপেক্ষাকৃত অনেক কম অসুস্থ হয়।
Nap অর্থ জুয়াখেলার বাজিতে, একবারে সব অর্থ বাজি ধরা।
হেরে গেলে সব শেষ। বাজিতে যেমন টেনশন থাকে হেরে গেলে সব শেষ হয়ে যাবে।
ঠিক তেমনি,
একোনাইট এর মানুষেরা অসুস্থ হলে মনে করে আমি বুঝি এইবারে শেষ। আর বাঁচবো না। ঠিক যেন জুয়াখেলার বাজির মতো টেনশন।
আকৃতি : একোনাইট এর রোগীরা রক্তপ্রধান, স্বাস্থবান, হৃষ্টপুষ্ট।
কারণ : ভীষণ ভয়, ভীষণ ঠাণ্ডা বাতাস, ভীষণ গরম, ভীষণ শীত।
রোগের কারণের মধ্যে এই ৪টি লক্ষণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
জিহ্বা : ভীষণ শুষ্ক। (ফার্স্ট গ্ৰেড)।
ভীষণ ও হঠাৎ আক্রমণ। কালবৈশাখী ঝড়ের মত ভীষণ ও হঠাৎ আক্রমণ।
ভীষণ অস্থিরতা ও ছটফটানি।
ভীষণ মৃত্যুভয়।
ভীষণ অন্তর্দাহ বা জ্বালা।
ভীষণ ব্যাকুলতা ও উৎকণ্ঠা।
ভীষণ পিপাসা।
হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া ভীষণ দ্রুত হওয়া বা অস্বাভাবিক হওয়ায় উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, ভয় ও মৃত্যু ভয় এর কারণ।
মৃত্যুভয় এত ভীষণ হয় যে, রোগী নির্দিষ্ট করে তার মৃত্যুর সময় বলে। বলতে থাকে আমি আর বাঁচবো না, চিকিৎসা করে লাভ নাই, আত্মীয়স্বজনকে ডেকে ক্ষমা চাই, শেষ বিদায় চাই, এমন আচরণে স্বজনরা ভীষণ ভয় পেয়ে যায়।
ডেলিভারীর পূর্ব মুহূর্তে গর্ভবতী মা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকতে ভীষণ ভয়, যদি মরে যায়, এই ভয়ে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। একজন মনীষী রসিকতা করে বলেছেন ওকে ক্ষমা নয়, ২ডোজ একোনাইট দাও, সব ঠিক হয়ে যাবে। অর্থাৎ ভয় কেটে যাবে।
ভীষণ ক্রোধ ও উত্তেজনা প্রবণতা।
ভীষণ হতাশা।
ভীষণ এক্সিডেন্টের ভয়, ফলে মানুষের ভীড়, গাড়ি-ঘোড়ার ভীড়, সকল প্রকার ভীড়, এমনকি সেতু বা রাস্তা পারাপারে, দুই বিল্ডিং এর মাঝে, সরু রাস্তায় চলতে ভীষণ ভয়।
উত্তেজনাপ্রবণ জায়গায় যেতে ভীষণ ভয়।
কথাবার্তা সবকিছুতেই ভীষণ তাড়াহুড়া করে।
ভীষণ ব্যস্তবাগীশ ও কর্মঠ তবে কুমারী মেয়েরা অলস।
ভীষণ দ্রুত কথা বলে।
একোনাইট এর রোগ ভীষণ হলেও সাধারণত পুরাতন বা স্থায়ী হয় না। ডা. কেন্ট।
আমাশয় রোগে ভীষণ কোঁথুনি, শুলুনী ব্যথা ও লাল, তাজারক্ত থাকে।
ভীষণ ঠান্ডার জন্য পক্ষাঘাত হলে ইহা প্রযোজ্য তবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত জায়গাটি ঝিঝি ধরা ও ঠান্ডা থাকে।
ভীষণ অধৈর্য : কোন কিছু চাইলে বা করতে নির্দেশ দিলে, দ্রুত করতে হবে, না হলে ভীষণ রেগে যাবে।
ভীষণ অধৈর্য হয়ে চিৎকার করে, মুখ খারাপ করে গালাগালি করে, কেউ যদি তার কথার প্রতিবাদ করে তবে।
মুখমন্ডলে ভীষণ ভয়ের সুস্পষ্ট ছাপ থাকলে, হঠাৎ আক্রমণকারী যে কোন রোগের প্রথম অবস্থায় এখনাইট প্রয়োগে দ্রুত সুস্থ হয়। অধ্যাপক ডা. আবু বকর।
ভীষণ কথা বলে, অনর্গল কথা বলতে থাকে।
ভীষণ মানসিক ভয়, উদ্বেগ লক্ষণ বর্তমান থাকলে, পুরাতন ব্যাধি বা প্রতি ঋতু পরিবর্তনে বারবার আক্রমণ করে এমন ব্যাধিতে ইহা দারুন কাজ করে।
ভীষণ ভয় অন্ধকারে।
ভীষণ শ্বাসরোধ হওয়ার ভয়।
ভীষণ উত্তেজনাপ্রবণ ব্যক্তিরাই একনাইট, শান্ত প্রকৃতির মানুষেরা সাধারণত একোনাইট নয়।
সবকিছুতেই হঠাৎ ভীষণ উত্তেজিত বা রাগ হয়। আবার হঠাৎ শান্ত হয়ে যায়।
ভীষণ সন্দেহপ্রবণ। (ফাস্ট গ্রেড)।
ভীষণ উদ্ভট একটা লক্ষণ একোনাইটে পাবেন, এর ধারণা, তার চিন্তাভাবনা পাকস্থলী থেকে আসে, মস্তিষ্ক থেকে নয়।
অভিজ্ঞানঃ
জেনে রাখা ভালো সবল, হৃষ্টপুষ্ট মানুষেরা অচির রোগে, যে ভাবে হঠাৎ ভীষণভাবে আক্রান্ত ও উত্তেজনা প্রবণ হয়,
দুর্বল মানুষেরা সাধারণত সেইভাবে হঠাৎ ভীষণ ভাবে আক্রান্ত ও উত্তেজনা প্রবণ হয় না।
বরং দুর্বল লোকেরা ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়।
শিশু জন্মের পর প্রস্রাব বা পায়খানা না হলে কিংবা বন্ধ হয়ে গেলে দারুণ কাজ করে।
তুলনাঃ
একোনাইট রক্তসঞ্চালনে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
বেলাডোনা মস্তিষ্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
ক্যামোমিলা মেজাজ কে উত্তেজিত করে।
ওষুধের নামের মধ্যেই ওষুধের মূল লক্ষণসমূহ অন্তর্নিহিত যথা :
Aconite Nap :
A : Anguish : মারাত্মক যন্ত্রণা।
C : Confusion of mind : মনের বিশৃঙ্খলা।
O : Offended easily : সহজে ক্ষুব্ধ হয়।
N : News bad from, ailments : দুঃসংবাদ হতে অসুস্থ।
I : Impatience : অধৈর্য।
T : Touched anger : স্পর্শ করলে রাগ হয়।
E : Excitement : উত্তেজনা।
N : Narrow place of fear : সংকীর্ণ জায়গায় ভয়।
A : Attacks of anxiety : আক্রমণের আশঙ্কা।
P : Panic : উদ্বেগ।
সুত্রঃ https://www.sunrise71.com/archives/2724