Comparative Materia Medica
Type something in the input field to search the table for first names, last names or others:
যে চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর রোগ লক্ষণের সদৃশ রোগ লক্ষণ সৃষ্টিকারী ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
আরোগ্যের আদর্শ ও স্বাস্থ্যরক্ষা বিষয়ে চিকিৎসকের জ্ঞাতব্য ও কর্তব্য, চিকিৎসকের চারিত্রিক গুণাবলী, রোগী চিকিৎসার ক্ষেত্রে লক্ষণ সমষ্টি সংগ্রহের পদ্ধতি ও সদৃশ লক্ষণের ভিত্তিতে ঔষধ নির্বাচনের নিয়মসহ শক্তিকৃত সূক্ষমাত্রায় পরিবর্তনশীল শক্তিতে ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগারোগ্যের কলাকৌশল সম্পর্কিত বিবরণ পাওয়া যায়।
চিকিৎসকের জীবনের মহৎ উদ্দেশ্য আদর্শ আরোগ্য সম্বন্ধে জানা যায়, সদৃশ লক্ষণে চিকিৎসার শ্রেষ্ঠত্ব সম্বন্ধে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পাওয়া যায়, জীবনীশক্তি, রোগ শক্তি, ঔষধ প্রয়োগ, আরোগ্যের বিঘ্নকর অবস্থা প্রভৃতি উল্লেখ আছে তাই হোমিওপ্যাথি।
রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক নিয়ম Simila Similibus Curantur এর বাক্যগত অর্থ Let like be cured by like অর্থাৎ সদৃশ রোগ সৃজনক্ষম ঔষধ দিয়াই রোগ আরোগ্য সম্ভব। হোমিওপ্যাথি একটি সুসংগঠিত নিয়মতান্ত্রিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং আরোগ্য কলা। যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূল সূত্র হইতেছে সুস্থবস্থয় কোন ঔষধ স্থুল মাত্রায় সেবন করিলে মানুষের দেহ ও মনে যে সকল অসুস্থকর লক্ষন প্রকাশ পায়, ঐ প্রকার লক্ষনযুক্ত প্রাকৃতিক অসুস্থতায় উক্ত ঔষধের শক্তিকৃত সূক্ষ্মমাত্রা প্রয়োগে লক্ষণসমূহ অন্তর্হিত হয়।
হোমিওপ্যাথির সংজ্ঞায় বলা যায় "প্রাকৃতিক রোগের দ্বারা সৃষ্ট মানব শরীরের বিকৃত লক্ষণসমষ্টি দ্বারা অংকিত প্রতিচ্ছবির ন্যায় সুস্থ দেহে পরীক্ষিত অনুরুপ প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করিতে সক্ষম শক্তিকৃত ঔষধের একবার একটিমাত্র ঔষধ প্রয়োগ ব্যবস্থাকে হোমিওপ্যাথি বলে।
হোমিওপ্যাথির উপর মনীষীদের বিভিন্ন সংজ্ঞাঃ |
---|
♦ডা: বোরিকের মতে সদৃশ লক্ষণ ভিত্তিক আরোগ্য পদ্ধতিকে হোমিওপ্যাথি বলে। |
♦ডা: এলেনের মতে হোমিওপ্যাথি সদৃশ বিধানভিত্তিক একটি নিয়নভিত্তিক চিকিৎসা। |
♦ডাঃ এ, ডাইট স্মিথ বলেন, হোমিওপ্যাথি একটি বিশেষ আরোগ্য বিজ্ঞান। |
♦ডাঃ স্যামুয়েল ফ্রেডারিক হ্যানিম্যান যাহার বিকাশ সাধন করেছেন এবং যা আরোগ্যের বৈজ্ঞানিক ও প্রাকৃতিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। |
♦ডাঃ হাবাট এ. রবার্টস এর মতে আরোগ্যের যে বিজ্ঞান ও কলা প্রকৃতির মৌলিক নিয়ম নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত, তাকেই হোমিওপ্যাথি বলে। |
চিকিৎসকের গুণাবলী
চিকিৎসার গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করিবার পূর্বে চিকিৎসকের কি কি বিষয়ে গুণ ও জ্ঞান থাকিতে হইবে তাহা নিম্নে আলোচিত হইলঃচিকিৎসকের গুণাবলী |
---|
১। রোগ সম্বন্ধে জ্ঞান। |
২। ঔষধের আরোগ্যকারী শক্তি সম্বন্ধে জ্ঞান। |
৩। ঔষধ প্রয়োগ সম্পর্কিত জ্ঞান। |
৪। আরোগ্যের বিঘ্ন দূর করার জ্ঞান। |
৫। রোগের গতিধারা, অবস্থা, পরিণতি সম্পর্কিত জ্ঞান। |
৬। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অবস্থান, তাহাদের ক্রিয়া ও পরস্পরের সম্পর্কে জ্ঞান। |
আদর্শ আরোগ্য বলিতে কি বুঝ?
হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান বলেছেন- “আরোগ্যের সবচেয়ে উত্তম আদর্শ হচ্ছে – “সহজবোধ্য ও সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতির উপর ভিত্তি করে সবচেয়ে নির্ভ রযোগ্য উপায়ে, রোগীর ক্ষতি না করে দ্রুত, মৃদু, ও স্থায়ীভাবে রোগের সম্পূর্ণ অপসারণের মাধ্যমে রোগীকে পুনরায় সুস্থাবস্থায় ফিরিয়ে আনা”।
আদর্শ আরোগ্য বলিতে কি বুঝ? |
---|
১। আরোগ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যে প্রত্যাবর্তন যেখানে আক্রান্ত অঙ্গের লক্ষণসমূহই কেবল দূরীভূত হয়না বরং রোগী শারীরিক, মানসিকভাবে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ বোধ করে। |
২। আরোগ্য কোন অস্থায়ী ব্যবস্থা নয়; বরং স্থায়ী। |
৩। আরোগ্য তাকেই বলে যা মৃদুভাবে সম্পন্ন হয় – রোগীকে কোন প্রকার কষ্ট না দিয়ে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে। |
৪। সহজবোধ্য ও চিরন্তন নীতি বা নিয়মের উপর ভিত্তি করেই আরোগ্য সাধিত হয়। |
রোগ সম্বন্ধে হোমিও মতবাদ
রোগ বলতে কি বুঝায় বা রোগ সম্পর্কে হোমিওপ্যাথিতে কিরূপ ধারনা পোষণ করা হয় ?
জীবনীশক্তির বিকৃত অবস্থাজনিত সৃষ্ট লক্ষণকেই রোগ বলা হয়। অদৃশ্য জীবনীশক্তি মানবদেহে অতি সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থিত। জীবনীশক্তির এই গতি ভিতর হইতে বাহিরের দিকে। কোন ব্যক্তি পীড়িত হইলে আমাদের প্রথম বুঝিতে হইবে জীবনীশক্তির বিপর্যস্ত অবস্থা। রোগশক্তির বিরুদ্ধে সব সময় জীবনীশক্তি যুদ্ধ করিয়া আসিতেছে এবং রোগশক্তিকে প্রতিহত করিয়া জীবন ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখিতেছে। যদি রোগশক্তিটি জীবনীশক্তি অপেক্ষা শক্তিশালী হয় তবে জীবনীশক্তির সুশৃংঙ্খল কর্মকান্ডে বিপর্যয় ঘটিলে সঙ্গে সঙ্গে বাহিরে জানাইয়া দেয়।প্রাকৃতিক রোগশক্তি সূক্ষ্ম ও অজড়। এই অজড় রোগশক্তির প্রভাবেই অজড় জীবনীশক্তি বিকৃতাবস্থা প্রাপ্ত হইয়া দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে লক্ষণ সমষ্টির সাহায্যে বিশৃঙ্খল অবস্থা প্রকাশ করে। যাহার ফলে মানবের দেহ ও মনের বিকৃত অবস্থা প্রাপ্ত হয়। অনুভূতির বিকৃতি ঘটে ও বিশৃঙ্খল ক্রিয়াকলাপ দেখা দেয়। এই সকল বিকৃত অনুভূতি, বিশৃঙ্খল ক্রিয়াকলাপ অর্থাৎ জীবনীশক্তির বিকৃত অবস্থাজনিত যে সকল লক্ষণ মানবদেহে প্রকাশিত হয় ঐ লক্ষণসমষ্টিকেই হোমিওপ্যাথি রোগ বলা হয়। রোগ সম্পর্কে হোমিওপ্যাথিতে যে ধারণা পোষণ করা হয় তাহা হইল এই যে প্রাকৃতিক রোগ শক্তি সূক্ষ ও অজড়।
রোগ চিকিৎসায় লক্ষণসমষ্টির প্রয়োজনীয়তা কি?
রোগীর লক্ষণের সাদৃশ্য আছে এমন ঔষধ প্রয়োগ করে রোগীকে আরোগ্য করাই হোমিওপ্যাথি। রোগীর রোগ সর্ম্পকে জানতে হলে লক্ষণসমষ্টিকে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। রোগী বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ নিয়ে চিকিৎসকের নিকট আসে, ওইসব লক্ষণ পর্যালোচনা করে যে রোগী-চিত্র আমরা পাই তার সাথে সাদৃশ্য আছে এমন ঔষধ প্রয়োগ করাই হলো হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতি। স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে, তাহলে রোগী যে লক্ষণ নিয়ে আসে সেই লক্ষণ যোগ করে যে ঔষধ আসে সে ঔষধটি প্রয়োগ করলেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে -এখানে আবার লক্ষণের মূল্যায়নের কি প্রয়োজন? আর এই ধারণাটি নিয়েই আমাদের দেশের অনেক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ চিকিৎসা করে যাচ্ছেন।আমরা সচরাচর যে অবস্থাটি দেখতে পাই, একজন রোগী ১০ জন চিকিৎসকের নিকট গেলে ১০ ধরণের ঔষধ প্রেসক্রিপসন করি। আসলে কি রোগী ১০ ধরণের রোগী-চিত্র নিয়ে চিকিৎসকের নিকট এসেছিলেন! অবশ্যই তা নয়। আর ফলস্বরূপ অনেক রোগীকেই বলতে শোনা যায়, আমি অনেক জায়গায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নিয়েছি কিন্তু সামান্য কিছু উপকার ছাড়া আর কিছু হয়নি, আরোগ্য তো দূরের কথা।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঔষধ নির্বাচনে লক্ষণসমষ্টির গুণগত বৈশিষ্ট্যই হলো প্রধান, সংখ্যাগত ব্যাপারটি এখানে গৌণ। আরোগ্যদায়ক ঔষধ নির্বাচনে লক্ষণসমষ্টির ভিত্তিটি হচ্ছে সেই সকল লক্ষণ- যেগুলি বিচিত্র, অনন্য অসাধারণ হিসাবে ঔষধের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং অন্যান্য ঔষধ থেকে পার্থক্য নির্ণয় করে। যেমন, হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে কারো জ্বর আসলে আমরা সাধারণভাবে প্রায় সকলের মাঝেই যে সকল লক্ষণ দেখি- অরুচি, মাথাব্যথা, গাজ্বালা, অস্থিরতা। এই লক্ষণগুলো দেখে আমরা কোনো ঔষধ নির্বাচন করতে পারি না – যতক্ষণ পর্যন্ত না জানা যায় ঠাণ্ডা পানির অদম্য পিপাসা, মৃত্যুভয়, প্রচণ্ড অস্থিরতা। মনে হয় এ যাত্রায় আর বাঁচবে না তখন অ্যাকোনাইট বা আর্সেনিকামের কথা স্মরণ করতে দেরি হয় না। এই লক্ষণগুলো বিচিত্র, অসাধারণ, অনন্য। যা পর্যবেক্ষণ করে আমরা নিশ্চিতভাবে উপযুক্ত ঔষধ নির্বাচন করতে পারি।
হোমিওপ্যাথিতে রোগের লক্ষণ বলতে কী বোঝায় ?
মেটেরিয়া মেডিকায় বর্ণিত প্রতিটি ওষুধ যেন এক একটি রুগ্ন মানুষের প্রতিচ্ছবি অর্থাৎ স্বতন্ত্র লক্ষণ সমষ্টির একক চিত্র। সুস্থ শরীরে ওষুধ পরীক্ষা করে যেমন ওষুধের লক্ষণ সমষ্টি জানা যায় তেমনি প্রতিটি মানব স্বত্ত্বার অখণ্ডতা বিবেচনায় রেখে সামগ্রিক লক্ষণ নির্ণয় করা হয়। রোগ বা রোগের নাম নয়, লক্ষণ সমষ্টিই ওষুধ নির্বাচনের একমাত্র নিয়ামক।
প্রসঙ্গতঃ অ্যালোপ্যাথিসহ অন্যান্য চিকিৎসাক্ষেত্র এবং সাধারণ মানুষ মানব স্বত্ত্বার অখণ্ডতায় বিশ্বাস করলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রোগের বিষয়টি দেখে থাকেন। রোগ যে অঙ্গেই আক্রমণ করুক না কেন, একই স্নায়ুমণ্ডলি ও রক্তস্রোতের অধীনে বলে পুরো মানুষটি রুগ্ন হয়ে থাকে। আধুনিক চিকিৎসায় এই বাস্তবতাকে গ্রহণ করা হয় না।
পক্ষান্তরে, রোগাক্রান্ত অঙ্গটিসহ পুরো মানুষটি রোগগ্রস্ত হয় হোমিওপ্যাথির এই বাস্তব বিশ্বাস এবং সেই নিরিখে দেহ, মন ও অঙ্গকে অবিচ্ছিন্নভাবে রুগ্ন ধরে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার নিয়মই হোমিওপ্যাথিকে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে আলাদা করেছে। উদরাময়,আমাশয়, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, গলগণ্ড, গলস্টোন, অর্শ, ভগন্দর,টিউমার,র হার্নিয়া, একশিরা, মাথাবেদনা, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, ক্যানসার প্রভৃতি রোগের নাম যাই হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে পুরো মানুষটিই রুগ্ন হয়। অতএব, রোগ যাই হোক, চিকিৎসা হবে সামগ্রিক- এটাই হবে প্রকৃত সত্য।
লক্ষণ কত প্রকার ও কি কি ? |
---|
১। ব্যক্তিনিষ্ঠ লক্ষণঃ Subjective Symptoms- রোগের যে সকল লক্ষণ শুধুমাএ রোগী স্বয়ং অনুভব করিতে পারেন এবং রোগী না বলিলে চিকিৎসক বা অন্য কেহ তাহা বুঝিতে পারে না উহাদিগকে ব্যক্তিনিষ্ঠ লক্ষণ বলে। যেমন- পিপাসা, মাথাব্যথা, ক্ষুধা, ব্যথা বেদনা প্রভৃতি। |
২। বস্তুনিষ্ঠ লক্ষণঃ Objective Symptoms- রোগের যে সকল লক্ষণ রোগী নিজে না বলিলেও চিকিৎসক তাহার জ্ঞান ইন্দ্রিয়ের দ্বারা ও যান্ত্রিক পরীক্ষার দ্বারা, পার্শ্ববর্তী লোকজন প্রত্যক্ষ করেন উহাদিগকে বস্তুনিষ্ঠ লক্ষণ বলে। যেমন- জ্বর, প্রলাপ, পক্ষাঘাত, কাশি প্রভৃতি। |
পূর্ণাঙ্গ রোগ লক্ষণ কাহাকে বলে ? |
---|
যে লক্ষণের অবস্থান, অনুভূতি, হ্রাসবৃদ্ধি ও আনুষাঙ্গিক অবস্থা আছে জ্ঞান ইন্দ্রিয় দ্বারা সহজেই বোধগম্য হয় তাহাকে পূণাঙ্গ রোগ লক্ষণ বলে। |
প্রকৃত রোগ লক্ষণের বৈশিষ্ট্যসমূহ কি কি ? |
---|
প্রকৃত রোগ লক্ষণ রোগীর স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের বিকৃত অবস্থা প্রকাশ করে। |
প্রকৃত রোগ লক্ষণ জ্ঞান ইন্দ্রিয় দ্বারা সহজেই বোধগম্য হইবে। |
প্রকৃত রোগ লক্ষণের অবস্থান, অনুভূতি, হ্রাসবৃদ্ধি ও আনুষাঙ্গিক অবস্থা স্পষ্টভাবে বুঝা যাইবে। |
লক্ষণ ও চিহ্নের মধ্যে পার্থক্য কি ? |
---|
চিকিৎসকের নিকট যখন রোগী নিজে রোগ সম্পর্কে বা কষ্টকর উপসর্গ সম্বন্ধে বর্ণনা দেয় তখন রোগীর বর্ণিত কষ্টকর উপসর্গগুলিকে লক্ষণ বলে। |
অপরদিকে চিকিৎসক রোগী পর্যবেক্ষণ করিয়া এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা দ্বারা রোগ সম্পর্কে যাহা জানিতে পারেন তাহাকে চিহ্ন বলে। |
সুতরাং লক্ষণ হইল রোগ সম্পর্কে রোগীর নিজের বর্ণনা, আর চিহ্ন হইল পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ দ্বারা রোগ সম্পর্কে চিকিৎসকের ধারন। অনেক সময় লক্ষণ ও চিহ্ন হইতে পারে। যেমন একজন রোগী বলিল আমার বমির সহিত রক্ত বাহির হয়। এখানে রক্ত বমি একটি লক্ষণ। আবার যদি রোগী চিকিৎসকের সামনে রক্তবমি করে বা চিকিৎসককে রক্তবমি আনিয়া দেখায় তাহা হইলে এখানে রক্তবমি চিহ্ন। |
বলা বাহুল্য, রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগের নামের তেমন কোন মূল্য নেই। একিউট এবং ক্রনিক রোগ যেমনই হোক না কেন ব্যক্তিস্বাতন্ত্রীকরণ প্রণালীতে মানসিক ও সার্বদৈহিক, বিশেষ লক্ষণ সংগ্রহ করে তার সমন্বয়ে লক্ষণ সমষ্টি বা রোগচিত্র অংকন করা হয়। হোমিওপ্যাথিতে রোগ নির্ণয় ও ওষুধ নির্বাচনের এটাই একমাত্র পথ।
লক্ষণ স্বাস্থ্যের স্বাভাবিক অবস্থার বিকৃত পরিবর্তন বা পীড়ার অস্তিত্বের প্রমাণ। ইহা এমন একটি অবস্থা যাহা রোগী স্বয়ং তাহার নিকট আত্মীয় ও পার্শ্ববর্তী লোকজন এবং চিকিৎসক প্রত্যক্ষ করিয়া থাকেন।লক্ষণ শুধুমাএ রুগ্নাবস্থার বহিঃপ্রকাশ বা রোগের নিদর্শনই নয়, ইহা প্রতিকারক সদৃশ ঔষধ নির্বাচনের ও চাবিকাঠি।
What is symptoms according to homeopathy?
For a homeopath, symptoms are the important pointers to understand the sickness in the patient. These symptoms could be at the physical level known as physical symptoms or at mental level, commonly called mental symptoms.
একজন হোমিওপ্যাথের জন্য রোগীর অসুস্থতা বোঝার জন্য উপসর্গগুলি হল গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। এই লক্ষণগুলি শারীরিক স্তরে হতে পারে যা শারীরিক লক্ষণ হিসাবে পরিচিত বা মানসিক স্তরে, যাকে সাধারণত মানসিক লক্ষণ বলা হয়।
লক্ষ্মণ সংগ্রহের ব্যপারে আসা যাক। অর্গাননের ৮৩ থেকে ১০৩ পর্যন্ত সূত্রের ভিত্তিতে লক্ষ্মণ সংগ্রহ করতে হবে। যেমন— |
---|
Common diagnostic and uncommon individualistic symptoms অর্থাৎ PUSS—Peculiar, Uncommon, Striking and Singular; |
Pathological symptoms অর্থাৎ morbid condition, location, sensation, modalities, physical changes, mental changes, subjective symptoms, objective symptoms; |
Intellectual aspects; |
Intellectual aspects; |
Social aspects; |
Environmental aspect; |
Miasmatic Sphere; |
Constitutional aspects; |
Past history of the patient; |
Family history; |
Causation; |
Iatrogenic sphere; |
Generalities; |
Disease | Medicine | Description of the medicine |
---|---|---|
Fever | Introduction | অতিশয় উত্তাপ বা অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম। অপরিমিত আহার বিহার, অন্ত্রে কৃমি, রাত্রি জাগরণ, ঋতু পরিবর্তণ, ঘর্ম রোধ, জলে ভিজা, ভয় পাওয়া প্রভৃতি কারণে জ্বর হইতে পারে। জ্বর নিজে কোন রোগ নয়, অন্য রোগের প্রতিফল স্বরূপ জ্বর দেখা দেয়। এই কারণে জ্বরের কারণ জানা বিশেষ প্রয়োজন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দ্বারা জ্বর আরোগ্য লাভ করবে এবং জ্বর পরবর্তী সময়ে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। |
Fever | Aconite | এটি অস্থিরতা এবং উত্তেজনা যুক্ত অসুস্থতা এর প্রতিকারে ব্যবহার করা হয়। ঐ সমস্ত রোগী এর মধ্যে ঠান্ডা জলের জন্য চেষ্টা এবং অসহনীয় গা হাত পা ব্যথা নিয়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। অ্যাকোনাইট ঠান্ডা বাতাসে যে সমস্ত রোগ প্রচন্ড বৃদ্ধি পায় তার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। |
Fever | Bryonia alba | এটি গা হাত পা ব্যথা যুক্ত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই রোগ যুক্ত ব্যক্তিরা সারাদিন শুয়ে থাকতে চায় ব্যথা থেকে আরাম পেতে এবং এমনকি সামান্য সরে গেলেও তা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জলের জন্য একটি প্রচন্ড তৃষ্ণাও করা যায়। |
Fever | Nux-vomica | এটি কাঁপুনি যুক্ত জ্বরের প্রতিকার এ ব্যবহার করা হয়। এটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এবং কাঁপুনি ভাবের নিরাময়ের জন্য প্রচন্ড ভাবে সাহায্য করে। এরকম অসুস্থতা যুক্ত ব্যক্তি নিজেকে সব সময় ঢাকা দিয়ে রাখতে চায়। |
Fever | Gelsemium | এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যেটি মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং সহজে ভয় পাওয়া সম্ভব না যুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি তৃষ্ণার অনুপস্থিতির জন্য হতে পারে। |
Fever | Rushtox | এই প্রতিকারটি সেই সমস্ত রোগের চিকিৎসার জন্য প্রচুর ভাবে অনুমোদিত যারা প্রচন্ড অস্থিরতা অনুভব করেন এবং যাদের গা হাত পা ব্যথা আছে। এই সমস্ত রোগীরা সব সময় চলন্ত থাকতে চায়। এই প্রতিকারটি বৃষ্টিতে ভিজে থাকার কারণে হওয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। |
Fever | Arsenic Alb | অবিরাম সবিরাম বাত জ্বর, ম্যালেরিয়া যে কোন জ্বরে লক্ষণ মিলিলে আর্সেনিক প্রয়োগ করা যায়। গাত্র দাহ, ছটফটানি,মৃত্যু ভয়,অবসাদ,অল্প পরিমানে ঘন ঘন জল পান, পায়খানায় ভীষণ দুর্গন্ধ। |
Fever | Ipicac | যে কোন জ্বরের সহিত বমি বমি ভাব অর্থাৎ গা বমি বমি জ্বর আসিবার পুর্বে রোগীর হাই উঠে। জ্বরের সময় রোগী চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে। ইপিকাকের জিহ্বা প্রায় পরিস্কার থাকে, মাথা নীচু করিলে বমির ভাব আরো বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি লক্ষণে ইপিকাক অব্যর্থ। |
Fever | সিনা- | কৃমিগ্রস্ত শিশুদের জ্বর প্রায়েই বিকাল বা সন্ধায় আসে। খিট খিটে মেজাজ, ঘুমের ঘরে চিৎকার দিয়া উঠে। দাত কাটে নাক খোটে, ঘ্যান ঘ্যান, প্যান প্যান করে। |
Fever | Pulsatilla | হাত, পা, চক্ষুজ্বালার সহিত প্রায়ই বিকালে জ্বর আসে। মুখ শুকাইয়া যায়। তবু জল পিপাসা হয়না। শান্ত স্বভাব, কোমল মোন, গরমে কাতর, খোলা বাতাস পছন্দ করে এই ধাতুর রেগীতে ইহা উপকারী। |
Fever | মার্ক সল- | জ্বরের সহিত ঘর্ম, ঘর্মের সহিত জ্বর। ঘর্মে জ্বরের উপশম না হইয়া বরং আরো বৃদ্ধি। শরীরের কোন স্হানে গ্ল্যান্ড প্রদাহিত হইয়া উক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে মার্কসল উপকারী। |
Fever | Ferrum Phos | টাইফয়েড জ্বরের বিকার অবস্হায় বাহ্যি প্রস্রাব অসাড়ে হয় বিড় বিড় করিয়া বকে। মুখে দুর্গন্ধ ঘা, দাতে ময়লা। অজ্ঞন হইয়া পরিয়া থাকে। অত্যান্ত দুর্বল। বালিশ হতে মাথা গড়াইয়া পড়ে। নীচের চুয়াল ঝুলিয়া যায়। এক দৃষ্টি চাহিয়া থাকে। |
Fever | ফেরাম ফস- | সর্ব প্রকার জ্বরের প্যথমাবস্হায় ফেরাম ফস উৎকৃষ্ট ঔষধ। কোষ্ঠবদ্ধ জিহ্বায় সাদা প্রলেপ শরীর বেদনা ইত্যাদি লক্ষণে উক্ত ঔষধ উপকারী। |
Fever | Natrum mure | জ্বর আসিবার পুর্বে মাথা ব্যাথা ও জল পিপাসা হইতে থাকে। শীত করিয়া কম্প দিয়া বেলা ১০টা ১১টায় কিংবা বিকালে জ্বর আসে। নিম্ন ঠোটের মধে ভাগ ফাটা ফাটা, জ্বর ঠুটো। |
Fever | Natrum Sulph | ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা বর্ষাকালে জলে ভিজিয়া অবিরাম সবিরাম জ্বরে শরীরের টাটানী ব্যথায় ইহা উপকারী। রোগীর চরিত্রগত লক্ষণ বা রোগলক্ষণের বৈশিষ্ট্য যেমন শীতাবস্হায় পিপাসা বা ঘর্মবস্হায় পিপাসা কিম্বা জলপান মাত্রেই বমি বা জলপানের কিছুক্ষণ পরে বমি, মানসিক লক্ষণ ইত্যাদি ঔষধ নির্বাচনের শ্রেষ্ঠ উপায়। |
Fever | ক্যালি সালফ- | হাত, পা জ্বালার সহিত ঘর্ম বিহিন জ্বর। জ্বর সন্ধায় বৃদ্ধিতে ইহা আমোঘ। |
Fever | ক্যালি ফস- | টাইফয়েড জ্বরের রোগী অত্যান্ত দুর্বল, অনিদ্রা, পেট ফাপা, বাহ্যে প্রস্রাবে অত্যান্ত দুর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষণে ইহা অব্যর্থ। |
Cough | Bryonia | শুকনো কাশি, হলদে গয়ার, রক্তের ছিট, মাথাব্যথা। (30M) |
Cough | Rumax | গলা সুড়সুড় করে, অনবরত শুকনো কাশি। কাশির ধমকে প্রস্রাব নির্গত হয়, ঠান্ডা জলপানে কাশির উপশম। (30M) |
Cough | Hyoscyamus | কাশি শুকনো, রাতে বৃদ্ধি, শুইলে আরো বাড়ে, বসলে উপশম। আলজিভ বাড়ার জন্যে কাশি। (30M) |
Cough | Argent met | ফ্যারিংস, লেরিংস, ব্রঙ্কাই এর পুরনো অসুখে, জোরে হাসলে,পড়লে কাশির উদ্রেক। (30M) |
Cough | Belladonna | আপেক্ষিক শুষ্ক দম আটকানো কাশি, গলার ভেতর বেদনা, গরম বোধ। কুকুরের ডাক এর মত শব্দ, রাতে বৃদ্ধি, শক্ত ডেলা সর্দ্দি নির্গমন। (200M) |
Cough | Croton tig | বালিশে মাথা রাখা মাত্রই কাশি, দম আটকায়, তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে, হেঁটে চলে বেড়ায়, বসে ঘুমিয়া যায়। (30M) |
Cough | Eucalyptus | বুড়োদের ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি। অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট সহ কাশি ও হাঁপানি সর্দিতে পুঁজ। (Q) |
Eye | Arnica Mont | চোখে আঘাত পাওয়া বা চোখ রগড়িয়ে লাল হলে। ৬-৩০ শক্তি। আঘাত পুরনো হয়ে গেলে Symphytum ১এম-উচ্চশক্তি উপকারী। |
Eye | Belladona | -চোখ টকটকে লাল, চিরিক মারা ব্যথা, গরম, জল পড়ে ও জ্বালা করে। চোখসহ মাথায় দপদপানি ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে পারেনা। ৩x-৬ শক্তি ঘন ঘন প্রয়োগ। আঘাতের পর চোখে রক্তজমাট হলে ২০০ শক্তি উপকারী তদ্রূপ Ledum Pal ২০০ শক্তিও অব্যর্থ। |
Eye | Arsenic Alb | শীতকাতর, চোখ ফোলা, চোখ থেকে গরম জল পড়ে চুলকায় এবং জ্বালা যন্ত্রণা করে। গরম তাপে আরাম বোধ করে। ৩০-২০০ শক্তি প্রযোজ্য। |
Eye | Eupresia | চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। গাঢ় পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৬-৩০ শক্তি সেব্য এবং Q শক্তি ডিস্টিলড ওয়াটারে মিশিয়ে বাহ্যিক প্রয়োগ। |
Eye | Merc Sol | চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। পাতলা পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৩০০-২০০ শক্তি। |
Eye | Apis Mel |
ত্রিয়াস্থলঃ-
মন, চক্ষু, ডিম্বকোষ, কিডনী, মূত্র থলি, গল নালী, সেরাম, গ্লান্ড ও চর্ম।
ঔষধের নিজস্ব কথাঃ
|
Eye | Pulsetilla | শান্ত সংবেদনশীল মন। চোখ লাল, ঠান্ডা জল বা বাতাসে উপশম। নবজাতকের চোখে পিঁচুটি হয়ে চোখ জুড়ে থাকে। চোখের পাতা নাচা। ৩০ শক্তি অব্যর্থ। পরবর্তী ঔষধ Argent Nit ৩০-২০০ শক্তি। চোখের পাতা নাচলে Raphanus ঔষধটি ৩০-২০০শক্তি কার্যকারী। |
Eye | Kali Carb | চোখের যেকোন রোগে চোখের উপরের পাতা ফোলা, শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি। |
Eye | Rhus Tox | চোখ ব্যথা, চোখের পাতা ফোলা, গরম জল পড়া, আলোক সংবেদী। চোখ জ্বলে, ঘন পিঁচুটিতে চোখ জুড়ে থাকে। ঠান্ডায় যন্ত্রণা বাড়ে, চোখ বুজে থাকলে আরাম লাগে। জলে বা বৃষ্টিতে ভিজে চোখের পাতার পক্ষাঘাত। ৬ বা ৩০ শক্তি থেকে পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি। |
Eye | Conium | চোখে ছানি পড়া। গরমস্রাব, আলোক সংবেদী এবং শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি। |
Frecle | Sulphur | সালফারঃ অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন নোংড়া স্বভাবের রোগীদের ছুলিতে উহা উপযোগী।সালফারের বিশিষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী। |
Frecle | Psoralia Cory | সোরেলিয়া কুড়িঃ ছুলি রোগের একটি উত্তম কার্যকারী ঔষধ। ইহা ব্যবহারে অনেক রোগী আরগ্য হইয়াছে। |
Frecle | Acid Nit | এসিড নাইটঃ রোগী অতিশয় শীতে কাতর, ঠোটের কোনে ঘা,মুখে বিশ্রী দুর্গন্ধ,ঘুমের ঘরে বালিশে দুর্গন্ধ লালা পড়ে।প্রস্রাবে ভয়ানক দুর্গন্ধ এই ধাতু রোগীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুলিতে অমোঘ। |
Frecle | Arsenic Alb | আর্সেনিক এলবঃ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সৌখিন শীত কাতর ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানের ছুলিতে এই ঔষধ উপকারী। রোগীর মৃত্যুভয়,ছটফটানি অস্থিরতাসহ আর্সেনিক এলবমের বিশিষ্ট লক্ষণের রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী। |
Frecle | Graphites | গ্রাফাইটিসঃ মোটা,থলথলে দেহের অধিকারী কোষ্ঠবদ্ধ ধাতুর রোগীর ছুলি চিকিৎসায় উপযোগী। |
Frecle | Kali Mur | |
Frecle | Natrum Mur |
Note that we start the search in topic, to prevent filtering the table headers.
0 Comments: