ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব মাথা থেকে পা পর্যন্ত সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর পড়ে। বেশি আক্রান্ত হয় চোখ, দাঁত, হৃদযন্ত্র ও কিডনি। এছাড়া যৌন সমস্যা দেখা দেয়। পর্যায়ক্রমে শরীরের সমস্ত স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে। প্রথমে ব্যথা, পরে অবশ, আস্তে আস্তে ঘা, শেষে পা কেটে ফেলতে হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অবস্থায় গর্ভধারণ করলে মা এবং শিশু উভয়ই সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত হতে পারে।
উত্তর : ডায়াবেটিস হচ্ছে বহুমূত্র রোগ। প্রাচীন ভারতে এটাকে মধুমেহ বা বহুমূত্র রোগ বলা হতো। মধু মানে মিষ্টি আর মেহ মানে প্রস্রাব। প্রস্রাবের সাথে যেহেতু মধু জাতীয় মানে মিষ্টি জাতীয় জিনিস যাচ্ছে সে কারণে মধুমেহ বলত। ঘন ঘন প্রস্রাব হবে, প্রস্রাবের সাথে সুগার যাবে, শরীর শুকিয়ে যাবে- এই তিনটাকে একত্রে বলে ডায়াবেটিস। পুরো নাম ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস। আমরা শুধু ডায়াবেটিস বলি। ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিনের অভাব দেখা দেয়। ইনসুলিন কমে গেলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।
বহুমূত্ররোগ বা ডায়াবেটিস (যা ডায়াবেটিস মেলাইটাস নামেও পরিচিত) হলো একটি গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা যেটি ঘটে যখন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা দীর্ঘসময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, কারণ হয় শরীর যথেষ্ট পরিমাণে বা কোনো ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
উপসর্গগুলো হলো ঘনঘন প্রস্রাব (পলিইউরিয়া), অত্যধিক তৃষ্ণা (পলিডিপসিয়া) এবং অত্যধিক ক্ষুধা (পলিফেজিয়া)। চিকিৎসা না করালে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক জটিলতার মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস, হাইপারঅসমোলার হাইপারগ্লাইসিমিক স্টেট অথবা মৃত্যু।গুরুতর দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার মধ্যে রয়েছে হৃদ্যন্ত্র ও রক্তবাহের রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি, ডায়বেটিসজনিত পায়ের ক্ষত, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ও চিন্তাশক্তির লোপ।
বহুমূত্ররোগে হয় অগ্ন্যাশয় ঠিকমতো ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিনের প্রতি দেহের কোষগুলো যথাযথভাবে সাড়া প্রদান করে না।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয় যখন অগ্ন্যাশয়ের (Pancreas) বিটা কোষ বিনষ্ট হওয়ার ফলে যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদিত হয় না। পূর্বে এটি ইনসুলিন-নির্ভরশীল ডায়াবেটিস মেলিটাস অথবা জুভিনাইল ডায়াবেটিস নামে পরিচিত ছিল।বিটা কোষ বিনষ্ট হওয়ার কারণ হলো অটোইমিউন বিক্রিয়া অটোইমিউনের সঠিক কারণ এখনও অজানা।বিটা কোষ ধ্বংসের হার বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটি যে-কোনো বয়সে হতে পারে, তবে শিশু ও তরুণদের মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি। ১০-১৪ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে এই হার শিখরে পৌঁছে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসকে অটোইমিউন রোগ বলা হয়। অগ্ন্যাশয়ে (Pancreas) অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে যখন মানুষের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, চিকিৎসকরা এই অবস্থাকে বলছে টাইপ ১ ডায়াবেটিস।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই রোগটি অনেক বেশি দেখা যায়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস শুরু ইনসুলিন রোধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যেখানে কোষ ইনসুলিনের প্রতি যথাযথ সাড়া প্রদানে ব্যর্থ হয়।রোগের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইনসুলিনের ঘাটতিও তৈরি হয়। এটি পূর্বে ইনসুলিন-অনির্ভরশীল ডায়াবেটিস মেলিটাস নামে পরিচিত ছিল।গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো হলো শরীরের অত্যধিক ওজন ও কায়িকশ্রমের অভাব।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে শরীর ইনসুলিন গ্রহণে বাধা দেয়। তাই টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে যায়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের ওজনের ওপর নির্ভর করে। এই রোগের লক্ষণ শরীরে ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলো তৃতীয় প্রধান ধরন। এটি হয় যখন একজন গর্ভবতী মহিলা যার ইতঃপূর্বে কখনো ডায়াবেটিসের ইতিহাস ছিল না কিন্তু গর্ভধারণ করার পর রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা বেড়ে যায়।
উত্তর : ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব মাথা থেকে পা পর্যন্ত সকল অঙ্গ-প্রতঙ্গের ওপর পড়ে। বেশি আক্রান্ত হয় চোখ, দাঁত, হৃদযন্ত্র ও কিডনি। এছাড়া যৌন সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস একসাথে দুই চোখকেই আক্রান্ত করে। চোখ আক্রান্ত হওয়াকে আমরা ডায়াবেটিক আই ডিজিজ বা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বলি। রেটিনা হচ্ছে চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। এটি একবারে নষ্ট হয় না। আস্তে আস্তে নষ্ট হয়। ধীরে ধীরে তা অন্ধত্ব পর্যন্ত নিয়ে যায়। রেটিনা নষ্ট হলে চোখের কার্যকারিতা থাকেই না। এছাড়া ছানি পড়ে, চোখে বেশি বেশি ইনফেকশন হয়।
মুখের বেলায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে দাঁতের অসুখ বেশি হয়। যাকে ডেন্টাল ক্যারিজ বলা হয়। দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া। দাঁতের গোড়ার চারদিকে ইনফেকশন হয়ে যায়। ক্রামন্বয়ে একটার পর একটা দাঁত নষ্ট হতে থাকে। দাঁত ফেলে দিতে হয়। তাছাড়া মুখে অনেক ইনফেকশন হয়। হার্ট সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের হার্টের অসুখ দুই থেকে তিন গুন বেশি। এমনকি যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদেরও হয়। প্রচলিত অর্থে যাকে আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি, সেই হার্ট অ্যাটাক এবং হার্টের ব্যথা ডায়বেটিক রোগীদের অনেক বেশি। নিয়ন্ত্রণে রাখলে বেশি হয় না।
ডায়বেটিসের কারণে কিডনিতে বড় ধরনের অসুখ হয়। এটাকে ন্যাবোপ্যাথি বলা হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের দুটা কিডনিই একই সাথে আক্রান্ত হয়। ধীরে ধীরে একসময় কর্মক্ষমতা থাকেই না। এ অবস্থাকে আমরা বলি চূড়ান্তভাবে কিডনি অকার্যকর হয়ে যাওয়া। তখন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয় বা ডায়ালাইসিস করতে হয়। তা না হলে বেঁচে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। চূড়ান্তভাবে কিডনি ফেইলার হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে কিডনি রোগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
আরেক ধরনের জটিলতা আছে। এটাকে বলা হয় নিউরোপ্যাথি (নার্ভের সমস্যা)। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস পর্যায়ক্রমে শরীরের সমস্ত স্নায়ু সিস্টেমকে আক্রান্ত করে। প্রথমে ব্যথা, পরে অবশ, আস্তে আস্তে ঘা, শেষে পা কেটে ফেলতে হয়। এ ধরনের রোগীর সংখ্যা অনেক।
উত্তর : মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যেকোনো সময় ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবেটিস প্রধানত দুই প্রকার : টাইপ-১ এবং টাইপ-২। টাইপ-১ এ আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে তা ৫ শতাংশ। টাইপ-১ সাধারণত ১০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। আর টাইপ-২ হয়ে থাকে ২৫ বছরের পর থেকে। যত বয়স বাড়তে থাকে তত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টাইপ-১ হলে ইনসুলিন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে তার চিকিৎসা করা যায় না।
উত্তর : ডায়াবেটিস মূলত ইনসুলিনের অভাবজনিত রোগ। ইনসুলিনের অভাব হলেই ডায়াবেটিস হয়। তাই ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা করা যুক্তিসংগত।
ডায়াবেটিস এক ধরনের মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। এক্ষেত্রে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন ও তা ব্যবহার করতে পারে না। অনেকের ক্ষেত্রে ইনসুলিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।
যে কোনো খাবার খাওয়া পর আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, তা শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানি বা শক্তি হিসেবে।
শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।
ডায়াবেটিস ৪ ধরনের হয়ে থাকে- টাইপ-১, টাইপ-২, জেস্টেশনাল ও অন্যান্য। টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের শরীরের সব ইনসুলিন নষ্ট হয়ে যায়। তাদের যদি আলাদা করে ইনসুলিন দেওয়া না হয়, তাহলে তারা মারা যেতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত।
অন্যদিকে যাদের শরীরে ইনসুলিন আছে, কিন্তু সেটা কাজ করতে পারছে না। তখন আমরা যে খাবারই খাই, সেটা গ্লুকোজ হিসেবে শরীরে জমে যায়। এটেই হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
যে কোনো ব্যক্তিই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে।
এ ছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি ও অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে।
সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ ২ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি ও যাদেরকে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাজ করতে হয়, তাদেরও এ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।
বিশেষ কিছু এলাকার লোকেরাও এই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়া। গর্ভবতী নারীও ডায়াবেটিসে হতে পারে। তাদের দেহ থেকে যখন নিজের ও সন্তানের জন্যে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হয় না, তখনই তাদের ডায়াবেটিস হয়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬-১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়েট, শরীরচর্চা অথবা ইনসুলিন নেওয়ার মাধ্যমে তাদের শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গেলে তাদের টাইপ ২ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়াও যারা অত্যধিক জাঙ্কফুড খান, তাদের শরীরে ক্যালোরি ও ফ্যাট পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে শরীরে ইনসুলিনে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। জিনগত রোগের কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে। আবার অতিরিক্ত ওজনের কারণেও ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। এ কারণে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ দৈনিক করতে হবে।
আবার বেশি মানসিক চাপে থাকা, ধূমপান করা, ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ভুল ওষুধ সেবন, চা, কোল্ড ড্রিঙ্কস ও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণের ফলেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
>> ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা
>> দুর্বল দৃষ্টিশক্তি
>> ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করা
>> ঘন মূত্রত্যাগ
>> ত্বকের সংক্রমণ
>> চামড়া ফেটে যাওয়া
>> শুষ্ক ত্বক
>> শরীরের ওজন কমে যাওয়া
>> ঘন ঘন তৃষ্ণা
চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস চিকিৎসায় রোগীকে চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়াম বা যোগের মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করার পরামর্শ দেন। ডায়াবেটিস সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে, চিকিৎসকরা প্রথমে রোগীর চিনির স্তর পরীক্ষা করেন।
এই ব্লাড সুগার টেস্ট দুটি উপায়ে করা হয়-প্রথমত, রক্তে চিনির পরীক্ষা খালি পেটে ও দ্বিতীয়ত, রক্তে শর্করার পরীক্ষা খাওয়ার পরে করা হয়। এরপর রোগীর অবস্থায় বুঝে তবেই চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ দেন। টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরা পড়তেই রোগীর উচিত তার চোখের রেটিনা, ছানি ইত্যাদি পরীক্ষা করানো।
thanks
ReplyDelete