Rectopen: Practice of Medicine

Download Free Android Apps

Ads 728x90

Showing posts with label Practice of Medicine. Show all posts
Showing posts with label Practice of Medicine. Show all posts
Pneumonia
March 28, 2025
Pneumonia

Pneumonia / নিউমোনিয়া / ফুসফুস-প্রদাহ

Type something in the input field to search the table for first names, last names or others:


নিউমোনিয়া (ইংরেজি: Pneumonia) ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম।ইহা হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ বিশেষ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়া থেকে ফ্লু হবারও সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (RSV) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়।

উপসর্গসমূহ
নিউমোনিয়ার উপসর্গ গুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কি ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার উপর। নিউমোনিয়ার লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপ:

  • জ্বর
  • কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • কাপুনি
  • ঘাম হওয়া
  • বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে
  • মাথা ব্যথা
  • মাংসপেশীতে ব্যাথা
  • ক্লান্তি অনুভব করা

নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ

বিভিন্ন জীবাণু নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে। তাদের মধ্যে বায়ু-বাহিত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস অগ্রগণ্য। আমাদের শরীরর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত এই জীবাণু দের থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু কোন কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা দুর্বল হলে, সংক্রমণ হয়। এরফলে ফুসফুস ফুলে যায় এবং সেখান থেকে তরল শ্লেষ্মা (mucus) বের হয়।

প্রধান প্রধান নিউমোনিয়া সৃষ্টি কারক জীবাণু হোল -

স্ত্রেপটোক্ককাস নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া প্রায় শতকরা 50 টি নিউমোনিয়ার কারন। - এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সরাসরি হতে পারে। আবার সাধারণ সর্দি এবং ফ্লু-র পর এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

অন্যান্য নিউমোনিয়া সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া হোল - হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, ক্লামিদোফিলিয়া নিউমোনিই, লেজিওল্লা নিমফিলিয়া এবং মরাক্সেল্লা কাতারহালিস। অতিরিক্ত মদ্যপানে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি হয়।

ব্যাকটেরিয়ার মতন জীবাণু যেমন মাইকোপ্লাসম নিউমোনিই (Mycoplasma pneumoniae) থেকেও ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে।

ভাইরাসের কারণে সাধারণত প্রায় একতৃতীয়াংশ নিউমোনিয়ার সংক্রমণ হয়। সর্বাধিক নিউমোনিয়া-কারক ভাইরাস হোল - রাইনোভাইরাস, করোনা ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেস্পিরেটোরি সিঙ্কসাইটাল ভাইরাস, আডেনো ভাইরাস ইত্যাদি। অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং দুর্বল ইমুনিটির কারণ ভাইরাল নিউমোনিয়া হতে পারে।

ছত্রাক-জাত নিউমোনিয়ার হার অত্যন্ত কম। এই ধরনের ছত্রাকদের নাম - হিসটোপ্লাসম কাপ্সুলাটাম, ব্লাসটোমাইসেস, ক্রিপ্টোকক্কাস নিওফরমান্স ইত্যাদি। দুর্বল ইম্মুনিটির কারনে ছত্রাক থেকে নিউমোনিয়ার সংক্রমন হয়ে থাকে।

বিভিন্ন পরজীবী থেকেও নিউমোনিয়া হতে পারে যেমন - ট্যাক্সোপ্লাসম্ গণ্ডী, স্ত্রোঙ্গিলইদেস স্তেরকরালিস, আস্কারিস লাম্ব্রিকইদেস ইত্যাদি।

শিশুদের নিউমোনিয়ার

শিশুদের নিউমোনিয়ার সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
  • শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
  • কাশির সময় ব্যথা
  • বুকে ব্যথা
  • কাশি যা শ্লেষ্মা তৈরি করে
  • দ্রুত বা কঠিন শ্বাস
  • জ্বর
  • ঝগড়া
  • মাথা ব্যাথা

নিউমোনিয়া নির্ণয়ে পরীক্ষার নামঃ

নিউমোনিয়া রোগটি প্যাথলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন এর দ্বারা নির্ণয় করতে হলে বেশ কিছু টেস্ট করা যেতে পারে। যেমন-
  • Chest X-ray
  • Chest CT scan
  • CBC
  • Blood culture
  • Sputum culture
এই সকল প্যাথলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন দ্বারা রোগটির নির্বাচন এবং তীব্রতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।
যাই হোক, অর্গাননের ১৫৪ সূত্রে মহাত্মা হ্যানিমান বলছেন, “যোগ্যতম ঔষধের লক্ষণতালিকা হইতে যে প্রতিরূপ প্রস্তুত করা হয় তাহার মধ্যে যদি সেই সকল বিচিত্র, অসাধারণ, অনন্য এবং বিশিষ্ট (পরিচায়ক) লক্ষণসমূহ বিদ্যমান থাকে- যেগুলি অধিকতম সংখ্যায় ও অধিকতম সাদৃশ্যসহ যে রোগ চিকিৎসা করতে হইবে তাহার মধ্যে দেখা যায়, তাহা হইলে সেই ঔষধই হইবে সেই রোগে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত আরোগ্যদায়ক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। রোগ যদি খুব বেশি পুরাতন না হয় তা হইলে সাধারণত প্রথম মাত্রাতেই বেশি গোলযোগ ব্যতীত তাহা দূরীভূত ও বিনষ্ট হইবে।”


হোমিওপ্যাথিতে রোগের লক্ষণ বলতে কী বোঝায় ?

মেটেরিয়া মেডিকায় বর্ণিত প্রতিটি ওষুধ যেন এক একটি রুগ্ন মানুষের প্রতিচ্ছবি অর্থাৎ স্বতন্ত্র লক্ষণ সমষ্টির একক চিত্র। সুস্থ শরীরে ওষুধ পরীক্ষা করে যেমন ওষুধের লক্ষণ সমষ্টি জানা যায় তেমনি প্রতিটি মানব স্বত্ত্বার অখণ্ডতা বিবেচনায় রেখে সামগ্রিক লক্ষণ নির্ণয় করা হয়। রোগ বা রোগের নাম নয়, লক্ষণ সমষ্টিই ওষুধ নির্বাচনের একমাত্র নিয়ামক।

প্রসঙ্গতঃ অ্যালোপ্যাথিসহ অন্যান্য চিকিৎসাক্ষেত্র এবং সাধারণ মানুষ মানব স্বত্ত্বার অখণ্ডতায় বিশ্বাস করলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রোগের বিষয়টি দেখে থাকেন। রোগ যে অঙ্গেই আক্রমণ করুক না কেন, একই স্নায়ুমণ্ডলি ও রক্তস্রোতের অধীনে বলে পুরো মানুষটি রুগ্ন হয়ে থাকে। আধুনিক চিকিৎসায় এই বাস্তবতাকে গ্রহণ করা হয় না।

পক্ষান্তরে, রোগাক্রান্ত অঙ্গটিসহ পুরো মানুষটি রোগগ্রস্ত হয় হোমিওপ্যাথির এই বাস্তব বিশ্বাস এবং সেই নিরিখে দেহ, মন ও অঙ্গকে অবিচ্ছিন্নভাবে রুগ্ন ধরে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার নিয়মই হোমিওপ্যাথিকে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে আলাদা করেছে। উদরাময়,আমাশয়, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, গলগণ্ড, গলস্টোন, অর্শ, ভগন্দর,টিউমার,র হার্নিয়া, একশিরা, মাথাবেদনা, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, ক্যানসার প্রভৃতি রোগের নাম যাই হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে পুরো মানুষটিই রুগ্ন হয়। অতএব, রোগ যাই হোক, চিকিৎসা হবে সামগ্রিক- এটাই হবে প্রকৃত সত্য।

লক্ষণ কত প্রকার ও কি কি ?
১। ব্যক্তিনিষ্ঠ লক্ষণঃ Subjective Symptoms- রোগের যে সকল লক্ষণ শুধুমাএ রোগী স্বয়ং অনুভব করিতে পারেন এবং রোগী না বলিলে চিকিৎসক বা অন্য কেহ তাহা বুঝিতে পারে না উহাদিগকে ব্যক্তিনিষ্ঠ লক্ষণ বলে। যেমন- পিপাসা, মাথাব্যথা, ক্ষুধা, ব্যথা বেদনা প্রভৃতি।
২। বস্তুনিষ্ঠ লক্ষণঃ Objective Symptoms- রোগের যে সকল লক্ষণ রোগী নিজে না বলিলেও চিকিৎসক তাহার জ্ঞান ইন্দ্রিয়ের দ্বারা ও যান্ত্রিক পরীক্ষার দ্বারা, পার্শ্ববর্তী লোকজন প্রত্যক্ষ করেন উহাদিগকে বস্তুনিষ্ঠ লক্ষণ বলে। যেমন- জ্বর, প্রলাপ, পক্ষাঘাত, কাশি প্রভৃতি।
পূর্ণাঙ্গ রোগ লক্ষণ কাহাকে বলে ?
যে লক্ষণের অবস্থান, অনুভূতি, হ্রাসবৃদ্ধি ও আনুষাঙ্গিক অবস্থা আছে জ্ঞান ইন্দ্রিয় দ্বারা সহজেই বোধগম্য হয় তাহাকে পূণাঙ্গ রোগ লক্ষণ বলে।
প্রকৃত রোগ লক্ষণের বৈশিষ্ট্যসমূহ কি কি ?
প্রকৃত রোগ লক্ষণ রোগীর স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের বিকৃত অবস্থা প্রকাশ করে।
প্রকৃত রোগ লক্ষণ জ্ঞান ইন্দ্রিয় দ্বারা সহজেই বোধগম্য হইবে।
প্রকৃত রোগ লক্ষণের অবস্থান, অনুভূতি, হ্রাসবৃদ্ধি ও আনুষাঙ্গিক অবস্থা স্পষ্টভাবে বুঝা যাইবে।
লক্ষণ ও চিহ্নের মধ্যে পার্থক্য কি ?
চিকিৎসকের নিকট যখন রোগী নিজে রোগ সম্পর্কে বা কষ্টকর উপসর্গ সম্বন্ধে বর্ণনা দেয় তখন রোগীর বর্ণিত কষ্টকর উপসর্গগুলিকে লক্ষণ বলে।
অপরদিকে চিকিৎসক রোগী পর্যবেক্ষণ করিয়া এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা দ্বারা রোগ সম্পর্কে যাহা জানিতে পারেন তাহাকে চিহ্ন বলে।
সুতরাং লক্ষণ হইল রোগ সম্পর্কে রোগীর নিজের বর্ণনা, আর চিহ্ন হইল পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ দ্বারা রোগ সম্পর্কে চিকিৎসকের ধারন। অনেক সময় লক্ষণ ও চিহ্ন হইতে পারে। যেমন একজন রোগী বলিল আমার বমির সহিত রক্ত বাহির হয়। এখানে রক্ত বমি একটি লক্ষণ। আবার যদি রোগী চিকিৎসকের সামনে রক্তবমি করে বা চিকিৎসককে রক্তবমি আনিয়া দেখায় তাহা হইলে এখানে রক্তবমি চিহ্ন।

বলা বাহুল্য, রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগের নামের তেমন কোন মূল্য নেই। একিউট এবং ক্রনিক রোগ যেমনই হোক না কেন ব্যক্তিস্বাতন্ত্রীকরণ প্রণালীতে মানসিক ও সার্বদৈহিক, বিশেষ লক্ষণ সংগ্রহ করে তার সমন্বয়ে লক্ষণ সমষ্টি বা রোগচিত্র অংকন করা হয়। হোমিওপ্যাথিতে রোগ নির্ণয় ও ওষুধ নির্বাচনের এটাই একমাত্র পথ।

লক্ষণ স্বাস্থ্যের স্বাভাবিক অবস্থার বিকৃত পরিবর্তন বা পীড়ার অস্তিত্বের প্রমাণ। ইহা এমন একটি অবস্থা যাহা রোগী স্বয়ং তাহার নিকট আত্মীয় ও পার্শ্ববর্তী লোকজন এবং চিকিৎসক প্রত্যক্ষ করিয়া থাকেন।লক্ষণ শুধুমাএ রুগ্নাবস্থার বহিঃপ্রকাশ বা রোগের নিদর্শনই নয়, ইহা প্রতিকারক সদৃশ ঔষধ নির্বাচনের ও চাবিকাঠি।

What is symptoms according to homeopathy?

For a homeopath, symptoms are the important pointers to understand the sickness in the patient. These symptoms could be at the physical level known as physical symptoms or at mental level, commonly called mental symptoms.

একজন হোমিওপ্যাথের জন্য রোগীর অসুস্থতা বোঝার জন্য উপসর্গগুলি হল গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। এই লক্ষণগুলি শারীরিক স্তরে হতে পারে যা শারীরিক লক্ষণ হিসাবে পরিচিত বা মানসিক স্তরে, যাকে সাধারণত মানসিক লক্ষণ বলা হয়।

লক্ষ্মণ সংগ্রহের ব্যপারে আসা যাক। অর্গাননের ৮৩ থেকে ১০৩ পর্যন্ত সূত্রের ভিত্তিতে লক্ষ্মণ সংগ্রহ করতে হবে। যেমন—
Common diagnostic and uncommon individualistic symptoms অর্থাৎ PUSS—Peculiar, Uncommon, Striking and Singular;
Pathological symptoms অর্থাৎ morbid condition, location, sensation, modalities, physical changes, mental changes, subjective symptoms, objective symptoms;
Intellectual aspects;
Intellectual aspects;
Social aspects;
Environmental aspect;
Miasmatic Sphere;
Constitutional aspects;
Past history of the patient;
Family history;
Causation;
Iatrogenic sphere;
Generalities;

নিউমোনিয়ার ঔষধের নাম কি?

ওফুক্সিন ২০০ এম জি ইনজেকশন (Ofuxin 200 MG Injection) কমিউনিটি-অ্যাকুইয়ার নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় যা স্ট্রিপ্টোকোকাস নিউমোনিয়া, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা দ্বারা সৃষ্ট সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ফুসফুস সংক্রমণ।

নিউমোনিয়ার জন্য কি টেস্ট করতে হয়?

নিউমোনিয়া সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং অন্যান্য অণুজীবের দ্বারা কম হয়। দায়ী প্যাথোজেন সনাক্ত করা কঠিন হতে পারে । রোগ নির্ণয় প্রায়ই লক্ষণ এবং শারীরিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে। বুকের এক্স-রে , রক্ত ​​পরীক্ষা এবং থুতনির কালচার রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।

বাংলাদেশে নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন কী?

শিশুদের সুরক্ষায় এক নবদিগন্ত: শিশুদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধে নতুন ভ্যাকসিন 'ইভিমার-১৩' নিয়ে এলো ইনসেপ্টা দেশে প্রথমবারের মতো নিউমোনিয়ার জন্য নিজস্বভাবে তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। 'ইভিমার-১৩' নামের এই ভ্যাকসিন সব বয়সী মানুষের জন্য উপযোগী।


Disease Medicine Description of the medicine
নিউমোনিয়াBryonia Alba নিউমোনিয়া থেকে মুক্তি : ব্রায়োনিয়া (Bryonia Alba) হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি নিউমোনিয়ার জন্য আল্লাহ্‌র একটি বিরাট রহমত স্বরূপ। সাধারণত নিম্নশক্তিতে (৩০ বা ২০০) খাওয়ালে ঘনঘন খাওয়াতে হয় কয়েকদিন কিন্তু (১০,০০০ বা ৫০,০০০ ইত্যাদি) উচ্চশক্তিতে খাওয়ালে দুয়েক ডোজই যথেষ্ট। হ্যাঁ, অধিকতর জটিল কেইসের ক্ষেত্রে কয়েকদিন খাওয়ানো লাগতে পারে। আপনি যদি বড়িতে উচ্চশক্তির এক ড্রাম ব্রায়োনিয়া কিনে আনেন এবং তা থেকে একটি বড়ি আধা বোতল পানির সাথে মিশান এবং তা থেকে এক চায়ের চামচ পানি করে রোগীকে রোজ ৩ বার করে অথবা আরো ঘনঘন খাওয়ান। তাহলে সহজেই সেরে যাবে।

ব্রায়োনিয়ার লক্ষ্মণঃ মুখ শুকিয়ে আসার সাথে ঘন ঘন বেশি পরিমাণে পানি খেতে চায়, চুপচাপ শুয়ে থাকে সাথে স্পর্শকাতরতা, নিঃশ্বাস নিতে গেলে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।
FeverAconite এটি অস্থিরতা এবং উত্তেজনা যুক্ত অসুস্থতা এর প্রতিকারে ব্যবহার করা হয়। ঐ সমস্ত রোগী এর মধ্যে ঠান্ডা জলের জন্য চেষ্টা এবং অসহনীয় গা হাত পা ব্যথা নিয়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। অ্যাকোনাইট ঠান্ডা বাতাসে যে সমস্ত রোগ প্রচন্ড বৃদ্ধি পায় তার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
FeverBryonia alba এটি গা হাত পা ব্যথা যুক্ত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই রোগ যুক্ত ব্যক্তিরা সারাদিন শুয়ে থাকতে চায় ব্যথা থেকে আরাম পেতে এবং এমনকি সামান্য সরে গেলেও তা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জলের জন্য একটি প্রচন্ড তৃষ্ণাও করা যায়।
FeverNux-vomica এটি কাঁপুনি যুক্ত জ্বরের প্রতিকার এ ব্যবহার করা হয়। এটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এবং কাঁপুনি ভাবের নিরাময়ের জন্য প্রচন্ড ভাবে সাহায্য করে। এরকম অসুস্থতা যুক্ত ব্যক্তি নিজেকে সব সময় ঢাকা দিয়ে রাখতে চায়।
FeverGelsemium এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যেটি মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং সহজে ভয় পাওয়া সম্ভব না যুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি তৃষ্ণার অনুপস্থিতির জন্য হতে পারে।
FeverRushtox এই প্রতিকারটি সেই সমস্ত রোগের চিকিৎসার জন্য প্রচুর ভাবে অনুমোদিত যারা প্রচন্ড অস্থিরতা অনুভব করেন এবং যাদের গা হাত পা ব্যথা আছে। এই সমস্ত রোগীরা সব সময় চলন্ত থাকতে চায়। এই প্রতিকারটি বৃষ্টিতে ভিজে থাকার কারণে হওয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
FeverArsenic Alb অবিরাম সবিরাম বাত জ্বর, ম্যালেরিয়া যে কোন জ্বরে লক্ষণ মিলিলে আর্সেনিক প্রয়োগ করা যায়। গাত্র দাহ, ছটফটানি,মৃত্যু ভয়,অবসাদ,অল্প পরিমানে ঘন ঘন জল পান, পায়খানায় ভীষণ দুর্গন্ধ।
FeverIpicac যে কোন জ্বরের সহিত বমি বমি ভাব অর্থাৎ গা বমি বমি জ্বর আসিবার পুর্বে রোগীর হাই উঠে। জ্বরের সময় রোগী চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে। ইপিকাকের জিহ্বা প্রায় পরিস্কার থাকে, মাথা নীচু করিলে বমির ভাব আরো বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি লক্ষণে ইপিকাক অব্যর্থ।
Feverসিনা- কৃমিগ্রস্ত শিশুদের জ্বর প্রায়েই বিকাল বা সন্ধায় আসে। খিট খিটে মেজাজ, ঘুমের ঘরে চিৎকার দিয়া উঠে। দাত কাটে নাক খোটে, ঘ্যান ঘ্যান, প্যান প্যান করে।
FeverPulsatilla হাত, পা, চক্ষুজ্বালার সহিত প্রায়ই বিকালে জ্বর আসে। মুখ শুকাইয়া যায়। তবু জল পিপাসা হয়না। শান্ত স্বভাব, কোমল মোন, গরমে কাতর, খোলা বাতাস পছন্দ করে এই ধাতুর রেগীতে ইহা উপকারী।
Feverমার্ক সল- জ্বরের সহিত ঘর্ম, ঘর্মের সহিত জ্বর। ঘর্মে জ্বরের উপশম না হইয়া বরং আরো বৃদ্ধি। শরীরের কোন স্হানে গ্ল্যান্ড প্রদাহিত হইয়া উক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে মার্কসল উপকারী।
FeverFerrum Phos টাইফয়েড জ্বরের বিকার অবস্হায় বাহ্যি প্রস্রাব অসাড়ে হয় বিড় বিড় করিয়া বকে। মুখে দুর্গন্ধ ঘা, দাতে ময়লা। অজ্ঞন হইয়া পরিয়া থাকে। অত্যান্ত দুর্বল। বালিশ হতে মাথা গড়াইয়া পড়ে। নীচের চুয়াল ঝুলিয়া যায়। এক দৃষ্টি চাহিয়া থাকে।
Feverফেরাম ফস- সর্ব প্রকার জ্বরের প্যথমাবস্হায় ফেরাম ফস উৎকৃষ্ট ঔষধ। কোষ্ঠবদ্ধ জিহ্বায় সাদা প্রলেপ শরীর বেদনা ইত্যাদি লক্ষণে উক্ত ঔষধ উপকারী।
FeverNatrum mure জ্বর আসিবার পুর্বে মাথা ব্যাথা ও জল পিপাসা হইতে থাকে। শীত করিয়া কম্প দিয়া বেলা ১০টা ১১টায় কিংবা বিকালে জ্বর আসে। নিম্ন ঠোটের মধে ভাগ ফাটা ফাটা, জ্বর ঠুটো।
FeverNatrum Sulph ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা বর্ষাকালে জলে ভিজিয়া অবিরাম সবিরাম জ্বরে শরীরের টাটানী ব্যথায় ইহা উপকারী। রোগীর চরিত্রগত লক্ষণ বা রোগলক্ষণের বৈশিষ্ট্য যেমন শীতাবস্হায় পিপাসা বা ঘর্মবস্হায় পিপাসা কিম্বা জলপান মাত্রেই বমি বা জলপানের কিছুক্ষণ পরে বমি, মানসিক লক্ষণ ইত্যাদি ঔষধ নির্বাচনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
Feverক্যালি সালফ- হাত, পা জ্বালার সহিত ঘর্ম বিহিন জ্বর। জ্বর সন্ধায় বৃদ্ধিতে ইহা আমোঘ।
Feverক্যালি ফস- টাইফয়েড জ্বরের রোগী অত্যান্ত দুর্বল, অনিদ্রা, পেট ফাপা, বাহ্যে প্রস্রাবে অত্যান্ত দুর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষণে ইহা অব্যর্থ।
CoughBryonia শুকনো কাশি, হলদে গয়ার, রক্তের ছিট, মাথাব্যথা। (30M)
CoughRumax গলা সুড়সুড় করে, অনবরত শুকনো কাশি। কাশির ধমকে প্রস্রাব নির্গত হয়, ঠান্ডা জলপানে কাশির উপশম। (30M)
CoughHyoscyamus কাশি শুকনো, রাতে বৃদ্ধি, শুইলে আরো বাড়ে, বসলে উপশম। আলজিভ বাড়ার জন্যে কাশি। (30M)
CoughArgent met ফ্যারিংস, লেরিংস, ব্রঙ্কাই এর পুরনো অসুখে, জোরে হাসলে,পড়লে কাশির উদ্রেক। (30M)
CoughBelladonna আপেক্ষিক শুষ্ক দম আটকানো কাশি, গলার ভেতর বেদনা, গরম বোধ। কুকুরের ডাক এর মত শব্দ, রাতে বৃদ্ধি, শক্ত ডেলা সর্দ্দি নির্গমন। (200M)
CoughCroton tig বালিশে মাথা রাখা মাত্রই কাশি, দম আটকায়, তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে, হেঁটে চলে বেড়ায়, বসে ঘুমিয়া যায়। (30M)
CoughEucalyptus বুড়োদের ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি। অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট সহ কাশি ও হাঁপানি সর্দিতে পুঁজ। (Q)
EyeArnica Mont চোখে আঘাত পাওয়া বা চোখ রগড়িয়ে লাল হলে। ৬-৩০ শক্তি। আঘাত পুরনো হয়ে গেলে Symphytum ১এম-উচ্চশক্তি উপকারী।
EyeBelladona -চোখ টকটকে লাল, চিরিক মারা ব্যথা, গরম, জল পড়ে ও জ্বালা করে। চোখসহ মাথায় দপদপানি ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে পারেনা। ৩x-৬ শক্তি ঘন ঘন প্রয়োগ। আঘাতের পর চোখে রক্তজমাট হলে ২০০ শক্তি উপকারী তদ্রূপ Ledum Pal ২০০ শক্তিও অব্যর্থ।
EyeArsenic Alb শীতকাতর, চোখ ফোলা, চোখ থেকে গরম জল পড়ে চুলকায় এবং জ্বালা যন্ত্রণা করে। গরম তাপে আরাম বোধ করে। ৩০-২০০ শক্তি প্রযোজ্য।
EyeEupresia চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। গাঢ় পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৬-৩০ শক্তি সেব্য এবং Q শক্তি ডিস্টিলড ওয়াটারে মিশিয়ে বাহ্যিক প্রয়োগ।
EyeMerc Sol চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। পাতলা পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৩০০-২০০ শক্তি।
EyeApis Mel ত্রিয়াস্থলঃ- মন, চক্ষু, ডিম্বকোষ, কিডনী, মূত্র থলি, গল নালী, সেরাম, গ্লান্ড ও চর্ম।
ঔষধের নিজস্ব কথাঃ
  • ১। মূত্র স্বল্পতা ও মুত্রকষ্ট।
  • ২। জ্বালা ও ফোলা, চোখের নিম্নপাতা ফোলা।
  • ৩। স্পর্শকাতরতা ও গরমকাতরতা।
  • ৪। সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা। পিপাসাহীনতা।
Eye:-- চোখ লাল, হুল ফুটানো ব্যথা, নিচের পাতা ফোলা, চোখের সাদা অংশ লালচে/ গোলাপী। গরমকাতর রোগী ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম বোধ করে। ৬-৩০ শক্তি।
EyePulsetilla শান্ত সংবেদনশীল মন। চোখ লাল, ঠান্ডা জল বা বাতাসে উপশম। নবজাতকের চোখে পিঁচুটি হয়ে চোখ জুড়ে থাকে। চোখের পাতা নাচা। ৩০ শক্তি অব্যর্থ। পরবর্তী ঔষধ Argent Nit ৩০-২০০ শক্তি। চোখের পাতা নাচলে Raphanus ঔষধটি ৩০-২০০শক্তি কার্যকারী।
EyeKali Carb চোখের যেকোন রোগে চোখের উপরের পাতা ফোলা, শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি।
EyeRhus Tox চোখ ব্যথা, চোখের পাতা ফোলা, গরম জল পড়া, আলোক সংবেদী। চোখ জ্বলে, ঘন পিঁচুটিতে চোখ জুড়ে থাকে। ঠান্ডায় যন্ত্রণা বাড়ে, চোখ বুজে থাকলে আরাম লাগে। জলে বা বৃষ্টিতে ভিজে চোখের পাতার পক্ষাঘাত। ৬ বা ৩০ শক্তি থেকে পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি।
EyeConium চোখে ছানি পড়া। গরমস্রাব, আলোক সংবেদী এবং শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি।
FrecleSulphur সালফারঃ অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন নোংড়া স্বভাবের রোগীদের ছুলিতে উহা উপযোগী।সালফারের বিশিষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।
FreclePsoralia Cory সোরেলিয়া কুড়িঃ ছুলি রোগের একটি উত্তম কার্যকারী ঔষধ। ইহা ব্যবহারে অনেক রোগী আরগ্য হইয়াছে।
FrecleAcid Nit এসিড নাইটঃ রোগী অতিশয় শীতে কাতর, ঠোটের কোনে ঘা,মুখে বিশ্রী দুর্গন্ধ,ঘুমের ঘরে বালিশে দুর্গন্ধ লালা পড়ে।প্রস্রাবে ভয়ানক দুর্গন্ধ এই ধাতু রোগীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুলিতে অমোঘ।
FrecleArsenic Alb আর্সেনিক এলবঃ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সৌখিন শীত কাতর ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানের ছুলিতে এই ঔষধ উপকারী। রোগীর মৃত্যুভয়,ছটফটানি অস্থিরতাসহ আর্সেনিক এলবমের বিশিষ্ট লক্ষণের রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী।
FrecleGraphites গ্রাফাইটিসঃ মোটা,থলথলে দেহের অধিকারী কোষ্ঠবদ্ধ ধাতুর রোগীর ছুলি চিকিৎসায় উপযোগী।
FrecleKali Mur
FrecleNatrum Mur

Note that we start the search in topic, to prevent filtering the table headers.







উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
November 30, 2022
উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

হাইপারটেনশন বলতে উচ্চ রক্তচাপকে বুঝায়। হৃদপিন্ড (heart) সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনের সময় ধমনীর (arteries) দেয়ালে রক্তের যে চাপ প্রয়োগ হয় তাই রক্তচাপ। রক্তচাপকে সাধারণত দুইটি সংখ্যা দ্বারা পরিমাপ করা হয় - ১২০ এবং ৮০ (১২০/৮০ mmHg লেখা হয়)। শীর্ষ সংখ্যা (এখানে ১২০) কে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়, এবং নীচের সংখ্যা (এখানে ৮০) কে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়।

রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার হলো মানুষের শরীরের ধমনীর প্রবাহ। হূিপণ্ড থেকে রক্ত যখন শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রবাহিত হয়, তখন ধমনীর দেয়ালে চাপ প্রয়োগ করে এবং এ চাপই রক্তচাপ নামে পরিচিত। প্রতিটি হূদস্পন্দনের সময় একবার সর্বোচ্চ চাপ (সিস্টোলিক) এবং সর্বনিম্ন চাপ (ডায়াস্টোলিক) হয়।

রক্ত চলাচলের সময় ধমনির গায়ে যে চাপ তৈরি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ দুই প্রকার৷ যথা: (১) সিস্টোলিক রক্তচাপ এবং (২) ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ।

হৃৎপিণ্ডের সংকোচন বা সিস্টোল অবস্থায় ধমনির গায়ে রক্তচাপের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। একে সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) বলে। হৃৎপিণ্ডের (প্রকৃতপক্ষে নিলয়ের) প্রসারণ বা ডাইয়াস্টোল অবস্থায় রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে। একে ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure) বলে।

রক্তচাপ সম্পর্কে
আপনার রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg বা অধিকাংশ সময় এর একটু কম হলে স্বাভাবিক রক্তচাপ ধরা হয়।
আপনার রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা অধিকাংশ সময় এর উপরে হলে উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) ধরা হয়।
আপনার রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg বা এর বেশি, কিন্তু ১৪০/৯০ mmHg এর নিচে হলে, একে প্রাক বা প্রাইমারি উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।
আপনার রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা এর বেশি থাকলে একে সেকন্ডারি বা উচ্চ রক্তচাপ বলে।

আপনার প্রাক উচ্চ রক্তচাপ থাকলে উচ্চ রক্তচাপে বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আপনার হৃদপিন্ড বা কিডনি সমস্যা থাকলে অথবা একটি স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে, আপনার ডাক্তার অবশ্যই আপনাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের পরামর্শ দিবেন।

চিকিৎসকদের মতে, পরিণত বয়সে একজন মানুষের আদর্শ রক্তচাপ (Blood pressure) সাধারণত ১২০/৮০ মিলিমিটার মানের কাছাকাছি। রক্তচাপকে দুটি সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়। প্রথমটি উচ্চমান এবং দ্বিতীয়টি নিম্নমান। রক্তের উচ্চ চাপকে সিস্টোলিক (Systolic) চাপ বলে যার আদর্শ মান ১২০ মিলিমিটারের নিচে। নিম্নচাপকে ডায়াস্টোলিক (Diastolic) চাপ বলে।

এই চাপটির আদর্শ মান ৮০ মিলিমিটারের নিচে। এই চাপটি হৃৎপিণ্ডের দুটি বিটের মাঝামাঝি সময় রক্তনালিতে সৃষ্টি হয়। দুধরনের রক্তচাপের পার্থক্যকে ধমনিঘাত বা নাড়িঘাত চাপ (Pulse pressure) বলা হয়।

সাধারণত সুস্থ অবস্থায় হাতের কব্জিতে রেট তথা হৎস্পন্দনের মান প্রতি মিনিটে ৬০-১০০। হাতের কব্জিতে হালকা করে চাপ দিয়ে ধরে পালস রেট বের করা যায়। স্ফিগমােম্যানােমিটার (Sphygmomanometer) বা সংক্ষেপে বিপি যন্ত্রের সাহায্যে রক্তচাপ মাপা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে ডায়াস্টোলিক ও সিস্টোলিক চাপ দেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা যায়।

প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের সময় হৃৎপিণ্ড সংকুচিত হয় এবং সেই চাপে রক্ত সমগ্র শরীরের ধমনিতে ছড়িয়ে পড়ে। রক্তনালির দেয়ালে এ সময় রক্ত যে চাপ দেয়, এটিই হচ্ছে সিস্টোলিক প্রেশার। আর দুটি হৃৎস্পন্দনের মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাৎ হৃৎপিণ্ড যখন শিথিল থাকে, সে সময়ে ধমনির গায়ে রক্তের যে চাপ বিরাজমান থাকে, সেটাই ডায়াস্টোলিক প্রেশার।

  • তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস_Acute and chronic glomerulonephritis
  • এথেরোস্ক্লেরোসিস_Atherosclerosis
  • ক্রনিক রেনাল ফেইলিউর_Chronic renal failure
  • রক্তনালিকায় এম্বলাস_An embolus in a blood vessel
  • ফাইব্রো মাসকোলার ডিস্পক্লাসিয়া_Fibromuscular dysplasia
  • পলি-আর্থ্রাইটিস নডোসা_Poly-arthritis nodosa
  • পায়েলোনেফ্রাইটিস_Pyelonephritis
  • পলিসিস্টিক রোগ_Polycystic disease
  • উইলমস টিউমার_Wilms tumor
  • ডায়াবেটিস মেলিটাস_Diabetes Mellitus
  • রেনাল আর্টারি সংকুচিত_Renal artery constriction
  • কসিংস সিন্ড্রোম_Cussing's syndrome
  • এয়র্টার কোয়ার্কটেশন_Coarctation of the aorta
  • স্টেরয়েড এবং জন্মবিরতিকরণ পিলের অত্যধিক ব্যবহার।_Excessive use of steroids and birth control pills.
  • গর্ভাবস্থায় টক্সিমিয়া_Toxemia in pregnancy
  • সীসার বিষক্রিয়া_Lead poisoning
  • ইন্ট্রাক্রেনিয়াল চাপ বৃদ্ধি_Increased intracranial pressure
  • মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • নাক দিয়ে রক্ত আসা
  • উদ্বেগ
  • বম বা বমি বমি ভাব
  • লালাভ মুখ এবং ত্বক
  • ফোলা বৃদ্ধি
  • দ্বিত্ব দৃষ্টি
  • উত্তাপ প্রবাহ
  • স্বাস কষ্ট
  • হৃদস্পন্দন বেড়ে জাবে
  • শরীরে কম্পন
  • ক্লান্তি
  • চটকা
  • বিরক্ত
রক্তচাপ কত প্রকার কি কি?
কোন অসুখে রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাকে হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ এবং কমে গেলে হাইপো টেনশন বা নিম্ন রক্তচাপ বলে। অনেক কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও নিন্ন রক্তচাপ হতে পারে এবং উভই হটাৎ সূত্রপাত হতে পারে অথবা দীর্ঘদিন ধরে হতে পারে।
হাই ব্লাড প্রেসার কি কি খাওয়া যাবে না?
উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা কাঁচা নুন ও নুন দেওয়া খাবার একেবারেই খাবেন না। এমনকি 'প্রসেসড ফুড' খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন। খেতে ভাল লাগলেও সস, চিপস, রোল বা স্যান্ডউইচ যতটা না খাওয়া যায়, ততই ভাল। এই রোগে অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি দেওয়া খাবার যেমন, কেক বা মিষ্টি খাবার খাওয়া উচিত না।
হাই ব্লাড প্রেসার হলে কি করা উচিত?
ব্যায়াম করুন, স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে আপনার ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখুন। নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখুন। নিয়মিত ওয়ার্কআউট উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখে। বেশি না হলে, আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তত ৩০ মিনিটের ওয়ার্কআউট সহ।
হাই ব্লাড প্রেসারের লক্ষণ কি?
ব্লাডপ্রেশার সমস্যায় কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে এই লক্ষণ (High Blood Pressure Symptoms) - মাথা ব্যথা, খুব ঘাম হওয়া, মাথার পিছনে ব্যথা, হাঁফ ধরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এমন কোনও লক্ষণ দেখা দিলেই আপনাকে অবশ্যই হতে হবে সাবধান।
হাইপারটেনশন এর লক্ষণ কি?
কিন্তু সাধারণভাবে তিনি কয়েকটি লক্ষণের কথা বলেছেন, যেমন ঘাড় ও মাথা ব্যথার পাশাপাশি মাথা ঘোরা, অল্পে রেগে যাওয়া, রাতে ভালো ঘুম না হওয়া, অস্থির লাগা-- এমন লক্ষণ দেখা গেলে সতর্ক হতে হবে, এবং রক্তচাপ পরিমাপ করে দেখতে হবে।
নরমাল ব্লাড প্রেসার কত?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কারও ব্লাড প্রেশার রিডিং যদি ১৪০/৯০ বা এর চেয়েও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে, তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়।
প্রেসার কত হলে কম?
লো ব্লাড প্রেশার: ধমনীতে রক্তচাপ ৯০/৬০ mmHg বা তার কম হলে বুঝতে হবে যে, নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। উল্লেখ্য, বয়সের উপর ভিত্তি করে উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
লো প্রেসার কমানোর উপায় কি?
হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। স্ট্রং কফি, হট চকলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাডপ্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। আর যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ কফি খেতে পারেন।
হোমিও ঔষধ""
একোনাইটবেলেডোনান্যাট্রাম মিউর
আর্সেনিক এল্বব্যারাইটা মিউরপ্লাম্বাম মেট
এলিয়াম সেপাকার্বো এনিমিলিসস্যাঙ্গুইনেরিয়া নাইট
অরাম মেটক্যাল্কেরিয়া কার্বথুজা
এড্রেনালিনগ্লোনইনভিরেট্রাম এল্ব
আর্জেন্টাম নাইটনাক্স ভমিকা
Diabetes_ডায়াবেটিস
November 23, 2022
Diabetes_ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব মাথা থেকে পা পর্যন্ত সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর পড়ে। বেশি আক্রান্ত হয় চোখ, দাঁত, হৃদযন্ত্র ও কিডনি। এছাড়া যৌন সমস্যা দেখা দেয়। পর্যায়ক্রমে শরীরের সমস্ত স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে। প্রথমে ব্যথা, পরে অবশ, আস্তে আস্তে ঘা, শেষে পা কেটে ফেলতে হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অবস্থায় গর্ভধারণ করলে মা এবং শিশু উভয়ই সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত হতে পারে।

উত্তর : ডায়াবেটিস হচ্ছে বহুমূত্র রোগ। প্রাচীন ভারতে এটাকে মধুমেহ বা বহুমূত্র রোগ বলা হতো। মধু মানে মিষ্টি আর মেহ মানে প্রস্রাব। প্রস্রাবের সাথে যেহেতু মধু জাতীয় মানে মিষ্টি জাতীয় জিনিস যাচ্ছে সে কারণে মধুমেহ বলত। ঘন ঘন প্রস্রাব হবে, প্রস্রাবের সাথে সুগার যাবে, শরীর শুকিয়ে যাবে- এই তিনটাকে একত্রে বলে ডায়াবেটিস। পুরো নাম ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস। আমরা শুধু ডায়াবেটিস বলি। ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিনের অভাব দেখা দেয়। ইনসুলিন কমে গেলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।

বহুমূত্ররোগ বা ডায়াবেটিস (যা ডায়াবেটিস মেলাইটাস নামেও পরিচিত) হলো একটি গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা যেটি ঘটে যখন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা দীর্ঘসময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, কারণ হয় শরীর যথেষ্ট পরিমাণে বা কোনো ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না।

উপসর্গগুলো হলো ঘনঘন প্রস্রাব (পলিইউরিয়া), অত্যধিক তৃষ্ণা (পলিডিপসিয়া) এবং অত্যধিক ক্ষুধা (পলিফেজিয়া)। চিকিৎসা না করালে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক জটিলতার মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস, হাইপার‌অসমোলার হাইপারগ্লাইসিমিক স্টেট অথবা মৃত্যু।গুরুতর দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার মধ্যে রয়েছে হৃদ্‌যন্ত্র ও রক্তবাহের রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি, ডায়বেটিসজনিত পায়ের ক্ষত, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ও চিন্তাশক্তির লোপ।

বহুমূত্ররোগে হয় অগ্ন্যাশয় ঠিকমতো ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিনের প্রতি দেহের কোষগুলো যথাযথভাবে সাড়া প্রদান করে না।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয় যখন অগ্ন্যাশয়ের (Pancreas) বিটা কোষ বিনষ্ট হওয়ার ফলে যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদিত হয় না। পূর্বে এটি ইনসুলিন-নির্ভরশীল ডায়াবেটিস মেলিটাস অথবা জুভিনাইল ডায়াবেটিস নামে পরিচিত ছিল।বিটা কোষ বিনষ্ট হওয়ার কারণ হলো অটোইমিউন বিক্রিয়া অটোইমিউনের সঠিক কারণ এখনও অজানা।বিটা কোষ ধ্বংসের হার বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটি যে-কোনো বয়সে হতে পারে, তবে শিশু ও তরুণদের মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি। ১০-১৪ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে এই হার শিখরে পৌঁছে।

টাইপ ১ ডায়াবেটিসকে অটোইমিউন রোগ বলা হয়। অগ্ন্যাশয়ে (Pancreas) অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে যখন মানুষের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, চিকিৎসকরা এই অবস্থাকে বলছে টাইপ ১ ডায়াবেটিস।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই রোগটি অনেক বেশি দেখা যায়।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস শুরু ইনসুলিন রোধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যেখানে কোষ ইনসুলিনের প্রতি যথাযথ সাড়া প্রদানে ব্যর্থ হয়।রোগের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইনসুলিনের ঘাটতিও তৈরি হয়। এটি পূর্বে ইনসুলিন-অনির্ভরশীল ডায়াবেটিস মেলিটাস নামে পরিচিত ছিল।গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো হলো শরীরের অত্যধিক ওজন ও কায়িকশ্রমের অভাব।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে শরীর ইনসুলিন গ্রহণে বাধা দেয়। তাই টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে যায়।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের ওজনের ওপর নির্ভর করে। এই রোগের লক্ষণ শরীরে ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলো তৃতীয় প্রধান ধরন। এটি হয় যখন একজন গর্ভবতী মহিলা যার ইতঃপূর্বে কখনো ডায়াবেটিসের ইতিহাস ছিল না কিন্তু গর্ভধারণ করার পর রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা বেড়ে যায়।

উত্তর : ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব মাথা থেকে পা পর্যন্ত সকল অঙ্গ-প্রতঙ্গের ওপর পড়ে। বেশি আক্রান্ত হয় চোখ, দাঁত, হৃদযন্ত্র ও কিডনি। এছাড়া যৌন সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস একসাথে দুই চোখকেই আক্রান্ত করে। চোখ আক্রান্ত হওয়াকে আমরা ডায়াবেটিক আই ডিজিজ বা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বলি। রেটিনা হচ্ছে চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। এটি একবারে নষ্ট হয় না। আস্তে আস্তে নষ্ট হয়। ধীরে ধীরে তা অন্ধত্ব পর্যন্ত নিয়ে যায়। রেটিনা নষ্ট হলে চোখের কার্যকারিতা থাকেই না। এছাড়া ছানি পড়ে, চোখে বেশি বেশি ইনফেকশন হয়।

মুখের বেলায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে দাঁতের অসুখ বেশি হয়। যাকে ডেন্টাল ক্যারিজ বলা হয়। দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া। দাঁতের গোড়ার চারদিকে ইনফেকশন হয়ে যায়। ক্রামন্বয়ে একটার পর একটা দাঁত নষ্ট হতে থাকে। দাঁত ফেলে দিতে হয়। তাছাড়া মুখে অনেক ইনফেকশন হয়। হার্ট সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের হার্টের অসুখ দুই থেকে তিন গুন বেশি। এমনকি যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদেরও হয়। প্রচলিত অর্থে যাকে আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি, সেই হার্ট অ্যাটাক এবং হার্টের ব্যথা ডায়বেটিক রোগীদের অনেক বেশি। নিয়ন্ত্রণে রাখলে বেশি হয় না।

ডায়বেটিসের কারণে কিডনিতে বড় ধরনের অসুখ হয়। এটাকে ন্যাবোপ্যাথি বলা হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের দুটা কিডনিই একই সাথে আক্রান্ত হয়। ধীরে ধীরে একসময় কর্মক্ষমতা থাকেই না। এ অবস্থাকে আমরা বলি চূড়ান্তভাবে কিডনি অকার্যকর হয়ে যাওয়া। তখন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয় বা ডায়ালাইসিস করতে হয়। তা না হলে বেঁচে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। চূড়ান্তভাবে কিডনি ফেইলার হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে কিডনি রোগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

আরেক ধরনের জটিলতা আছে। এটাকে বলা হয় নিউরোপ্যাথি (নার্ভের সমস্যা)। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস পর্যায়ক্রমে শরীরের সমস্ত স্নায়ু সিস্টেমকে আক্রান্ত করে। প্রথমে ব্যথা, পরে অবশ, আস্তে আস্তে ঘা, শেষে পা কেটে ফেলতে হয়। এ ধরনের রোগীর সংখ্যা অনেক।

উত্তর : মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যেকোনো সময় ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবেটিস প্রধানত দুই প্রকার : টাইপ-১ এবং টাইপ-২। টাইপ-১ এ আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে তা ৫ শতাংশ। টাইপ-১ সাধারণত ১০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। আর টাইপ-২ হয়ে থাকে ২৫ বছরের পর থেকে। যত বয়স বাড়তে থাকে তত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টাইপ-১ হলে ইনসুলিন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে তার চিকিৎসা করা যায় না।

উত্তর : ডায়াবেটিস মূলত ইনসুলিনের অভাবজনিত রোগ। ইনসুলিনের অভাব হলেই ডায়াবেটিস হয়। তাই ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা করা যুক্তিসংগত।

ডায়াবেটিস এক ধরনের মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। এক্ষেত্রে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন ও তা ব্যবহার করতে পারে না। অনেকের ক্ষেত্রে ইনসুলিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।

যে কোনো খাবার খাওয়া পর আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, তা শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানি বা শক্তি হিসেবে।

শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।

ডায়াবেটিস ৪ ধরনের হয়ে থাকে- টাইপ-১, টাইপ-২, জেস্টেশনাল ও অন্যান্য। টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের শরীরের সব ইনসুলিন নষ্ট হয়ে যায়। তাদের যদি আলাদা করে ইনসুলিন দেওয়া না হয়, তাহলে তারা মারা যেতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত।

অন্যদিকে যাদের শরীরে ইনসুলিন আছে, কিন্তু সেটা কাজ করতে পারছে না। তখন আমরা যে খাবারই খাই, সেটা গ্লুকোজ হিসেবে শরীরে জমে যায়। এটেই হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস।

যে কোনো ব্যক্তিই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে।

এ ছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি ও অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে।

সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ ২ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি ও যাদেরকে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাজ করতে হয়, তাদেরও এ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।

বিশেষ কিছু এলাকার লোকেরাও এই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়া। গর্ভবতী নারীও ডায়াবেটিসে হতে পারে। তাদের দেহ থেকে যখন নিজের ও সন্তানের জন্যে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হয় না, তখনই তাদের ডায়াবেটিস হয়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬-১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়েট, শরীরচর্চা অথবা ইনসুলিন নেওয়ার মাধ্যমে তাদের শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গেলে তাদের টাইপ ২ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

এ ছাড়াও যারা অত্যধিক জাঙ্কফুড খান, তাদের শরীরে ক্যালোরি ও ফ্যাট পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে শরীরে ইনসুলিনে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। জিনগত রোগের কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে। আবার অতিরিক্ত ওজনের কারণেও ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। এ কারণে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ দৈনিক করতে হবে।

আবার বেশি মানসিক চাপে থাকা, ধূমপান করা, ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ভুল ওষুধ সেবন, চা, কোল্ড ড্রিঙ্কস ও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণের ফলেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

>> ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা
>> দুর্বল দৃষ্টিশক্তি
>> ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করা
>> ঘন মূত্রত্যাগ
>> ত্বকের সংক্রমণ
>> চামড়া ফেটে যাওয়া
>> শুষ্ক ত্বক
>> শরীরের ওজন কমে যাওয়া
>> ঘন ঘন তৃষ্ণা

চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস চিকিৎসায় রোগীকে চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়াম বা যোগের মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করার পরামর্শ দেন। ডায়াবেটিস সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে, চিকিৎসকরা প্রথমে রোগীর চিনির স্তর পরীক্ষা করেন।

এই ব্লাড সুগার টেস্ট দুটি উপায়ে করা হয়-প্রথমত, রক্তে চিনির পরীক্ষা খালি পেটে ও দ্বিতীয়ত, রক্তে শর্করার পরীক্ষা খাওয়ার পরে করা হয়। এরপর রোগীর অবস্থায় বুঝে তবেই চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ দেন। টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরা পড়তেই রোগীর উচিত তার চোখের রেটিনা, ছানি ইত্যাদি পরীক্ষা করানো।

Blood Pressure
November 08, 2022
Blood Pressure Chart: হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত প্রবাহের সময় ধমনীতে যে চাপের সৃষ্টি হয়, তাকে ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ বলে। এক জন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির গড় রক্তচাপ সাধারণত স্থির থাকে। যদিও দৈনিক ছোটখাটো ওঠা-নামা দেখা যায়। যেমন-- বিশ্রাম নেওয়ার সময় রক্তচাপ কিছুটা হলেও হ্রাস পায় এবং উত্তেজিত হয়ে গেলে বা মানসিক অস্থিরতার মধ্যে থাকলে ব্লাড প্রেশার আবার কিছুটা বেড়ে যায়।

ব্লাড প্রেশার মিলিমিটার মার্কারি (mmHg) ইউনিটে পরিমাপ করা হয় এবং দু’টি মানের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় - সিস্টোলিক প্রেশার এবং ডায়াস্টোলিক প্রেশার। যার সংখ্যা বেশি, তাকে বলা হয় সিস্টোলিক চাপ এবং যার সংখ্যা কম, তাকে বলা হয় ডায়াস্টোলিক চাপ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনও ব্যক্তির রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg হলে ১২০ হল সিস্টোলিক নম্বর এবং ৮০ হল ডায়াস্টোলিক নম্বর।

রক্ত চাপ বলতে কি বোঝায়?
হৃৎস্পন্দনের হার, হৃদ কম্পন,অক্সিজেনের সমপৃক্তি, এবং শরীরের তাপমাত্রারর মত রক্তচাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন। প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সাধারণ স্থির রক্তচাপ প্রায় ১২০ মিলিমিটার পারদচাপ সংকোচক এবং ৮০ মিলিমিটার পারদচাপ প্রসারক। সংক্ষেপে ১২০/৮০ মিমিপারদ।

ব্লাড প্রেসার এর লক্ষণ কি?
ব্লাডপ্রেশার সমস্যায় কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে এই লক্ষণ (High Blood Pressure Symptoms) - মাথা ব্যথা, খুব ঘাম হওয়া, মাথার পিছনে ব্যথা, হাঁফ ধরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এমন কোনও লক্ষণ দেখা দিলেই আপনাকে অবশ্যই হতে হবে সাবধান।


ব্লাড প্রেসার হওয়ার কারণ কি?
প্রাথমিক উচ্চ রক্তচাপের বিভাগ হল একটি অ-নির্দিষ্ট জেনেটিক বা জীবনধারার কারণের কারণে সৃষ্ট একটি অবস্থা, যা 90-95 শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী। ধূমপান, অ্যালকোহল, শরীরের ওজন, অতিরিক্ত লবণ লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। সেকেন্ডারি হাই ব্লাড প্রেসার ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশের জন্য দায়ী।

মানুষের রক্তের চাপ কত?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কারও ব্লাড প্রেশার রিডিং যদি ১৪০/৯০ বা এর চেয়েও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে, তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়।

সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক প্রেসার কি?
প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের সময় হৃৎপিণ্ড সংকুচিত হয় এবং সেই চাপে রক্ত সমগ্র শরীরের ধমনিতে ছড়িয়ে পড়ে। রক্তনালির দেয়ালে এ সময় রক্ত যে চাপ দেয়, এটিই হচ্ছে সিস্টোলিক প্রেশার। আর দুটি হৃৎস্পন্দনের মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাৎ হৃৎপিণ্ড যখন শিথিল থাকে, সে সময়ে ধমনির গায়ে রক্তের যে চাপ বিরাজমান থাকে, সেটাই ডায়াস্টোলিক প্রেশার।

লো প্রেসার কমানোর উপায় কি?
হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। স্ট্রং কফি, হট চকলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাডপ্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। আর যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ কফি খেতে পারেন।


ব্লাড প্রেসার এর হোমিও ঔষধ
Rauwolfia Serpentina Q- রাউলফিয়া
Crataegus Oxyacantha Q -ক্রেটিগাস অক্সিয়াকান্থা







কানের সমস্যায় হোমিও চিকিৎসা
September 05, 2022
 কানের সমস্যায় হোমিও চিকিৎসাঃ

কানে পানি যাওয়া, ঠান্ডা লাগা, কাঠি দিয়ে কান খোঁচানো, আঘাত লাগা, প্রদাহ, হাম জ্বর বসন্তাদির পর কানে পুঁজ হওয়া, বধিরতা।

কান
Belladona: কান অত্যান্ত গরম, লাল, চিরিকমারা, দপদপে ব্যথা। ৩x-৬ সেব্য।

Arnica Mont: কানে কটন বাড প্রবেশ করানো বা কোন আঘাত থকে উপসর্গের উৎপত্তি হলে নতুনদের জন্য ৩x-৩০, পুরাতন অবস্থায় ২০০- ১০এম।

Tellurium: নতুন পুরাতন কান পাকা। লালচে পাতলা পানি, ভীষণ দূর্গন্ধ। নতুনদের জন্য ৬-৩০ শক্তি, পুরনো হলে ২০০ থেকে উচ্চশক্তি।

Chamomilla: রুক্ষ মেজাজী শিশু, খিটখিটে স্বভাব, গালাগালি, ঝগড়াঝাটি, কান্নাকাটি ক্যামোমিলার চরিত্র। এমন রোগীদের কান ব্যথায় ৬-২০০ ফলপ্রদ।

Cal.Pic: কানের ভিতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফোঁড়ার মত উদ্ভেদ, ব্যথা। ৩x-৬ শক্তি।

Psorinum: যেকোন কান পাকায়, দূর্গন্ধযুক্ত হলুদ বর্ণের পুঁজ, কানে চুলকানি, প্রস্রাব-পায়খানা বা ঘামে দূর্গন্ধ, অপরিস্কার নোংরা, শীতকাতর রোগীদের ঔষধ। ২০০-উচ্চক্রম।

Merc.Sol: রাতে রোগ লক্ষণ বৃদ্ধি, হলুদ বা সবুজ পুঁজ, লালচে পানি। ২০০-১এম।

Plantego, Mulen Oil: ঔষধ দু’টি Q শক্তি বাহ্যিক ব্যবহার্য্য।



বায়োকেমিকঃ
Ferrum Phos, Mag Phos: ব্যথার ক্ষেত্রে গরম জলে সেব্য। ৬xশক্তি।

Cal.Sulph, Silicea: কান পাকা বা পাতলা স্রাবে ১২x-২০০x, হোমিওপ্যাথি ২০০-১এম।



★কানের পর্দা ফেটে গেলে করনীয়----
কানের ভেতরের দিকে একটি পর্দার মতো থাকে, যা টিমপ্যানিক মেমব্রেন নামে পরিচিত। মধ্যকর্ণ থেকে অন্তঃকর্ণের মাঝখানে এটি পর্দা হিসেবে থাকে। এটি খুবই স্পর্শকাতর, শব্দতরঙ্গ কানের পর্দায় কম্পন তৈরি করে। এই কম্পন মধ্যকর্ণের ছোট ছোট হাড়ের মাধ্যমে অন্তঃকর্ণে পৌঁছায়। অতঃপর অন্তঃকর্ণ থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। এভাবে আমরা শুনতে পাই।
কিন্তু বহু কারণে এই পর্দা ফেটে যেতে পারে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ছিঁড়ে যেতে পারে। এতে শুনতে অসুবিধা হয়, কখনো কখনো শ্রবণশক্তি পুরোপুরি লোপ পায়। কানের পর্দা ফেটে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মধ্যকর্ণে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
💎 পর্দা ফাটার কারণঃ
কানের পর্দা বিভিন্ন কারণে ফাটতে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেমন-
১.কানের কোনো অসুখ যেমন-মধ্যকর্ণে ক্রনিক সাপোরেটিভ অটাইটিস মিডিয়া হলে
২. কোনো কিছু দিয়ে কান খোঁচালে। যেমন-কটন বাড।
৩.কানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে এবং অদক্ষ হাতে তা বের করার চেষ্টা করলে
৪.দুর্ঘটনা বা আঘাতে কান ক্ষতিগ্রস্ত হলে
৫.হঠাৎ কানে বাতাসের চাপ বেড়ে গেলে। যেমন-থাপ্পড় মারা, বোমা বিস্ফোরণ, অতি উচ্চ শব্দের শব্দ ইত্যাদি কারণে
৬.পানিতে ডাইভিং বা সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ পানির বাড়তি চাপের কারণে পর্দায় চাপ পড়লে
৭. কানের অন্য অপারেশনের সময়ও কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলে
৮.যাদের কানের পর্দা আগে থেকেই দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ক্ষেত্রে নাক চেপে কানে বাতাস দিয়ে চাপ দিলে।
💎 উপসর্গঃ
১.প্রথমে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, যা পরবর্তী সময়ে কমে আসে
২.কান দিয়ে রক্ত পড়া। বিশেষ করে আঘাতজনিত কারণে কানের পর্দা ফেটে গেলে কান দিয়ে রক্ত পড়তে পারে
৩.কানে কম শোনা
৪.মাথা ঘোরানো বা ভার্টিগো
৫.কানে শোঁ শোঁ বা ভোঁ ভোঁ শব্দ (টিনিটাস) হওয়া।
💎পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ
অটোস্কোপের মাধ্যমে খালি চোখেই ডাক্তার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কানের পর্দা ফেটে গেছে কি না তা নির্ণয় করতে পারেন। এ ছাড়া কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষারও প্রয়োজন হতে পারে। এর মধ্যে আছে কানের ভেতর থেকে বের হওয়া তরলের কালচার পরীক্ষা, টিউনিং ফর্ক এভালুয়েশন, টিমপ্যানোমেট্রি। এগুলো থেকেও যথাযথ রোগ নির্ণয় না করা গেলে অডিওলজি টেস্ট করা হয়।
💎চিকিৎসাঃ
অনেকেই কানে কোনো সমস্যা হলে নিজেরাই কানের ড্রপ ব্যবহার করে, যা উচিত নয়। কানের পর্দা ফেটে গেলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ নেওয়া উচিত। যাদের কানে আগে থেকেই কোনো সমস্যা আছে বা কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার ইতিহাস আছে, তাঁদের নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত।
১. কানে কোনোভাবেই যেন পানি প্রবেশ না করে এ জন্য গোসলের সময় কানে তুলা বা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা।
২.সাঁতার না কাটা
৩.উড়োজাহাজে ভ্রমণ এড়িয়ে চলা
৪.উচ্চ শব্দে গান না শোনা, হেড ফোন ব্যবহার না করা।
৫.কানে যাতে কোনো ইনফেকশন না হয়, এ জন্য কানো কোনো অসুবিধা হওয়ামাত্র ডাক্তার দেখিয়ে উপযুক্ত ওষুধ সেবন করা।
৬.কান না খোঁচানো
৭.নিজে নিজে কোনো ওষুধ দেওয়া থেকে বিরত থাকা
৮.কানে কোনো কিছু গেলে বা আটকে থাকলে নিজে তা বের করার চেষ্টা না করা।
কানের পর্দার ছিদ্র যদি ছোট হয় বা অল্প একটু ফেটে যায়, তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর আপনা আপনি তা ঠিক হয়ে যায়।
যদি তিন মাসের মধ্যেও ক্ষতিগ্রস্ত পর্দা ঠিক না হয়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অপারেশনের মাধ্যমে কানের পর্দা ঠিক করা যায়।
কানের পর্দা ফেটে যাওয়া জনিত সমস্যায় লক্ষন ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে যেকেউ এ সমস্যা থেকে সুস্থ হতে পারে।


একোনাইট – ঠান্ডা লাগার কারনে হঠাৎ করে কানে ব্যথা-বেদনা যন্ত্রনা হয়। কটকট দপদপ করে, ছটফটানি ও ভয় কাজ করে। কোন প্রকার শব্দ বা বাদ্যযন্ত্র সহ্য হয় না। ক্যামোমিলা – কানের ভিতর ব্যথা, কান কটকটানি বেদনা। কানে ব্যথা বাহিরে হাটিলে উপশম হয়, ঘরে টুকিলে কানের ব্যথা বৃদ্ধি হয়। শিশু কোলে নিয়ে হাটিলে উপশম। বেলেডোনা – হঠাৎ আসে কিছুক্ষণ ব্যথা করে আবার ধীরে ধীরে চলে যায়, চুপ করিয়া থাকিলে ব্যথার উপশম হয়, কথা বলিলে বৃদ্ধি। কোন কিছু ভাল লাগেনা, কারো ভালো কথা শুনতেও বিষের মত মনে হয়, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি। পালসেটিলা - কানে ভয়ানক বেদনা ও দপদপ করে, কানে যে পুঁজ হয় তাহা অত্যন্ত ঘন এবং হলদে বা একটু সবুজ রঙের। বিশেষ করে মহিলাদের কানের ব্যথায় ভালো কাজ করে।


সরলান্ত্র নির্গমন_Prolapsus Ani
June 09, 2022
সরলান্ত্র নির্গমন( Prolapsus Ani)

গুহ্যদ্বার দিয়ে সরলান্ত্র বের হয়ে পড়ে। ইহা বালক ও বৃদ্ধদের বেশী দেখা যায়। কারণ - দীর্ঘকাল স্থায়ী রক্ত আমাশয় বা উদারাময় রোগে,বেগ দিয়ে মল বের করার জন্য সরলান্ত্র নির্গমন হয়। এছাড়াও অর্শ,কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কোঁথ পেড়ে মলত্যাগ করার প্রধান কারণ। ক
লক্ষণ অনুসারে হোমিও ঔষধ -

Prolapsus Ani

✅ নাক্স ভমিকা -স্বাভাবিক কোষ্ঠবদ্ধ ধাতুবিশিষ্ট ব্যক্তিগণের অসুখে ইহা উপযোগী এবং  শিশুদের ক্ষেত্রে ও ইহা উপকারী। 
✅ ক্যালকেরিয়া কার্ব - শিশু ও গণ্ডমালা ধাতু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পীড়ায় ইহা উপকারী। 
✅ পেডোফাইলাম - ইহা সরলান্ত্রের প্রধান  ঔষধ। মলত্যাগের  সময় বা পরে সরলান্ত্র বের হলে  এবং শিশু ও বৃদ্ধ সকলের জন্য উপযোগী। 
✅ মার্কুরিয়াশ কর-   রক্তামাশয় বা উদরাময় রাগের সময় বেগ দেওয়ার জন্য সরলান্ত্র বের হলে ব্যবহার্য।
✅ ইগ্নেসিয়া- কোষ্ঠবন্ধ  বা অতি কষ্টে মল বের, অর্শ বলি বের হলে  ব্যবহার্য। ইহা ব্যবহারে অনেক সময় সরলান্ত্রের উপকার হয়।

আনুসঙ্গিক নিয়মঃ মলত্যাগের পর আঙুল দিয়ে গুহ্যদ্বারের মধ্যে সরলান্ত্র প্রবেশ করে দেবেন। একখানা নেকড়া নেংটির মতো করে পরবেন সরলান্ত্র বের না হয়। গুহ্যদ্বার ফোলা ও বেদনাযুক্ত জ্বালা হলে বরফের জলে নেকড়া ভিজিয়ে এতে দেবেন। 

পথ্য- কোষ্ঠবন্ধতা যাতে না হয় সেজন্য খাবারের দিকে লক্ষ রাখবেন। কাচা পেঁপে, পোটল,ডুমুর,মানকচু,ওল ইত্যাদি উপকারী। লঘু ও তরল খাদ্য খাওয়া উচিৎ।


নিউমোনিয়া_Pneumonia
January 07, 2022
নিউমোনিয়া কাকে বলে ?

নিউমোনিয়া ( ইংরেজি: Pneumonia) ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম।ইহা হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ বিশেষ। সাধারণত ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়া থেকে ফ্লু হবারও সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। 

নিউমোনিয়া_Pneumonia

নিউমোনিয়ার উপসর্গসমূহঃ
নিউমোনিয়ার উপসর্গ গুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কি ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার উপর। নিউমোনিয়ার লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপ:
  • জ্বর
  • কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • কাপুনি
  • ঘাম হওয়া
  • বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে
  • মাথা ব্যথা
  • মাংসপেশীতে ব্যাথা
  • ক্লান্তি অনুভব করা
নিউমোনিয়ার লক্ষণসমূহঃ
  • কাশি- ৭৯-৯১%
  • ক্লান্তি- ৯০%
  • জ্বর -    ৭১-৭৫%
  • শ্বাসকষ্ট-    ৬৭-৭৫%
  • থুথু -     ৬০-৬৫%
  • বুক ব্যথা-    ৩৯-৪৯%
শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণঃ
  • কাশির সঙ্গে সঙ্গে কফ ওঠা
  • কাশির সময় বুকে ব্যথা
  • বমি কিংবা ডায়ারিয়ার প্রকোপ
  • খিদে কমে যাওয়া
  • ক্লান্তি চলে আসা
  • জ্বর আসা।
  • গরমকালেও যদি শিশুর ঠাণ্ডা লাগে
  • যদি শিশু জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়
  • শ্বাস নেওয়ার সময় যদি শিশুর মুখ থেকে সাঁইসাঁই শব্দ বের  হয়
  • জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে ঘাম হলে বা শিশুর শরীরে কাঁপুনি দেখা দিলে
  • যদি ভীষণ কাশির সঙ্গে সঙ্গে লালচে, গাঢ় হলুদ কিংবা সবুজ রঙয়ের কফ বের হয়। আর কফের সঙ্গে যদি রক্ত বের হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • যদি শিশুর খিদে কমে যায় কিংবা সে একেবারেই কিছু না খায়।

নিউমোনিয়ার কারণঃ
  • ব্যাকটেরিয়া->নিউমোক্কাস,স্ট্যাফাইলোক্কাস ইত্যাদি।
  • আদ্যপ্রানী-> এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা
  • ছত্রাক: মূলত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ছত্রাক দিয়ে হয়।
  • ভাইরাস।
  • কেমিকেল
  • হঠাৎ ঠান্ডায় উন্মুক্ত হওয়া
  • অপারেশনের পরর্বতী সময় ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া হলে কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ
১। অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
২। এছাড়াও
  • যারা বৃদ্ধ এবং শিশু
  • যারা ধূমপান করেন
  • যারা ফুসফুসে কোন আঘাত পেয়েছেন
  • যাদের কেমোথেরাপি (ক্যান্সারের চিকিৎসা) অথবা অন্য কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে

নিউমোনিয়ার শনাক্তকরণঃ
  • শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা
  • বুকের এক্স-রে
  • রক্ত এবং কফ/শ্লেষ্মা (Mucus) পরীক্ষা
নিউমোনিয়ার বাড়তি সতর্কতাঃ
প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে
প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে
চিকিৎসাঃ
অ্যান্টিবায়োটিক, প্রচুর তরল খাবার,পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করার উপায়ঃ
  • ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে
  • নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে
  • ধূমপান করা যাবে না।
  • অন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
  • টিকা দিতে হবে। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর।
  • ডায়াবেটিস,এইডস, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদির চিকিৎসা করাতে হবে।

বিস্তারিতঃ http://bn.m.wikipedia.org/wiki/নিউমোনিয়া

Glomerulonephritis
May 15, 2021
Glomerulonephritis (গ্লোমারুলোনফ্রাইটিস) literally means ‘inflammation of glomeruli’. The term is used to describe all types of glomerular disease. Most types of glomerulonephritis are immunologically mediated and several respond to immunosuppressive drugs.

গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস একরকমের কিডনির রোগ যার ফলে গ্লোমেরুলির (ছোট ফিল্টারের মতো যা কিডনির ভিতরে থাকে এবং রক্তের তরল ও বর্জ্য পদার্থগুলিকে ফিল্টার বা পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে) ক্ষতি হয়। এটা সাধারণত, রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ার কিডনির সুস্থ টিস্যুগুলিকে আক্রমণের কারণে হয়।

Risk factors of Glomerulonephritis-
  • High blood pressure
  • Diabetes
  • Cancer
  • Strep throat
  • Regularly taking more NSAIDs such as ibuprofen, aspirin or naproxen
  • Bacterial infection of heart
  • Viral infections, such as HIV, hepatitis B and hepatitis C
  • Immune diseases, such as lupus, and IgA nephropathy
  • Vasculitis
Clinical Features of Glomerulonephritis-
Symptoms-
  1. Foamy or bubbly urine.
  2. Pink or brown-colored urine.
  3. Swelling in face, eyes, ankles, feet, legs.
  4. Feeling more tired than normal.
Signs-
  1. Temperature: 38-38.5C.
  2. Pulse: fast.
  3. Blood pressure: raised.
  4. Face: puffy.
  5. Oedema: pitting.
  6. Renal angle: may be tender.
  7. Tonsils: enlarged, congested.
  8. Heart: apex out, forceful.
গ্লোমেরুলোনেফ্রিটিসের নানান লক্ষণ ও উপসর্গ হলঃ
লক্ষণঃ
  • হেমাটোরিয়া (মূত্রে রক্ত)।
  • প্রোটিনের উপস্থিতিতে ফেনার মতন মুত্র তৈরি হওয়া।
  • অধিক রক্তচাপ।
  • ফ্লুয়িড থাকার ফলে হাত, পা ও তলপেট ফোলা।
  • চোখ ফোলা।
  • বমি।
উপসর্গঃ
  • গা গোলানো।
  • নিঃশ্বাসে দুর্বলতা।
  • মাথাযন্ত্রনা। 

কি কি কারণের জন্য গ্লোমেরুলোনেফ্রিটিস হয়?
১. শরীরে কোন সংক্রমণ কিংবা বিশেষভাবে স্ট্রেপ্টোকক্কাস সংক্রমণ হবার পরে গ্লোমেরুলোনেফ্রিটিস হতে পারে। স্ট্রেপ্টোকক্কাস সংক্রমণ থেকে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া মাথাচাড়া দেয়, যা সুস্থ গ্লোমেরুলাকে ধ্বংস করে দেয় ও কিডনির ক্ষতি করে।

২. ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডিটিস কিন্তু গ্লোমেরুলোনেফ্রিটিস চেগে ওঠার জন্য দায়ী।

৩. এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি সহ নানান ভাইরাল সংক্রমণ এর জন্য দায়ী হতে পারে।

৪. নানান অটোইমিউন রোগ, যেমন লুপাস, গুডপস্টারস সিন্ড্রোম এবং আইজিএ নেফ্রোপ্যাথি কিডনির পরিশ্রুত করবার ক্ষমতার ক্ষতি করে এবং গ্লোমেরুলার আঘাত থেকে রোগ হয়। 

৫. পলিআর্টারিটিস ও পলিঅ্যাঞ্জিটিস সহ গ্রানুলোম্যাটোসিস সহ বিভিন্ন ধরণের ভ্যাস্কুলিটিস এই সমস্যার জন্য দায়ী। 

গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিসকে মুখ্যত দুইভাবে ভাগ করা হয়, যা হলঃ 
১. প্রাইমারি গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস (এই ধরণের গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস নিজের থেকেই বেড়ে ওঠে এবং কোন ধরণের অন্তনির্হিত পরিস্থিতির পরিনামে হয় না)। 

২. সেকেন্ডারি গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস (ডায়াবেটিস বা লুপাসের মতন অন্যান্য সেকেন্ডারি কারণের জন্য এই ধরণের গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস হয়)। 

Diagnosis:
  1. Blood test: Check the levels of creatinine. 
  2. Urine test: Check for protein, white blood cells and red blood cells.
  3. Imaging tests: An X-ray, ultrasound or CT scan of kidneys.
  4. Kidney biopsy: A kidney biopsy if need.

Complications of glomerulonephritis-
  1. Acute kidney injury
  2. chronic kidney disease
  3. high blood pressure
  4. nephrotic syndrome
  5. Kidney infection
  6. Fluid build-up
  7. Hyperkalemia
  8. Kidney failure/ESRD

How can we prevent glomerulonephritis:
Try to reduce risk of damage to glomeruli by controlling blood pressure and keeping a healthy blood sugar level. 
  • Seeing a health care provider as soon as possible if think may have strep throat.
  • Practice safe sex and avoid drug use.
  • Do not take more NSAIDs.

Ref by-2020 American Kidney Fund, Inc.

General Management-
  1. Bed rest till haematuria, hypertension, fever, edema.
  2. Diet
  • Protein restriction.
  • Salt restriction.
  • Fluid restriction according to urinary output.

Homeopathic Treatment of glomerulonephritis

Terebinthinum-
“Congestive kidneys, with dull aching, and smoky-looking urine.” contains casts and blood. Violent burning and drawing pains in kidneys, bladder and urethra. Pressure in kidneys when sitting; relieved by motion. heaviness and pains in region of kidneys. Renal disease producing dropsy. Rapid attack with lumbar pain. Early scarlatinal nephritis. Tongue smooth glossy, red. Or a coating which peels in patches. ecchymoses. “Haemorrhages from all outlets, especially in connection with urinary or kidney troubles.”

Mercurius-
Nephritis with diminished secretion of urine, with great desire to pass it. Urine saturated with albumin, dark brown, mixed with blood, with dirty white sediment. Haematuria, with violent and frequent urging to urinate. Urine dark-red; becomes turbid and fetid: smells sour and pungent: mixed with blood; white flakes; or as if
containing pus: flesh-like lumps of mucus: With burning and scalding sensation during urination as from raw surfaces. Worse at night, heat and cold; profuse, oily sweat, which does not ameliorate.

Thuja-
Kidneys inflamed: feet swollen. Urine: profuse, light yellow: contains sugar: foams, scanty, exceedingly dark: deposits. brown mucus. Pain left kidney to epigastrium. Especially useful in gonorrhoeal, or “Vaccinosis” cases.

Phosphorus-
”Bright’s disease, with sensations of weakness and emptiness.” Albumen and exudation cells in urine. “Fatty degeneration of kidneys, liver and heart, with anaemia.” Urine contains epithelial, fatty or waxy casts. Dropsy accompanied by diarrhoea. Uraemia, with acute atrophy brain and medulla. Haematuria: general dissolution of blood. Thirst: craves ices: worse lying on left side: Phos. is a profuse, easy bleeder. Blood bright.

Benzoic acid-
Kidney pains, on taking a deep breath. Sore pain in back: burning in left kidney; with drawing pain when stooping. Dull pain in kidneys; loins stiff. Urine of a very repulsive odour. Pungent. From the time of first passing it. Contains mucus and pus. Strong, hot, dark-brown urine. Crampy pain in kidneys. Turbid urine: “Discharge of large quantities of bloody or thick purulent urine.” Urine with intolerable odour, like musk.

Cannabis Indica-
Constant pain right kidney: sharp stitches both kidneys. Aching, burning, in kidneys keep him awake at night. Pain in Kidneys when laughing. (Hashish) has the most extravagant mental? symptoms; with exaggerations of time and space.

Argentum nit-
Touching the kidney region increases the pain to the highest degree. Acute pain, kidneys, extends down ureters to bladder; worse slightest touch or motion, even deep inspiration. Gets diarrhoea from anticipation. Craves sweets, disagree salt. In nervous: hurried walks 














Urinary tract infection
May 15, 2021
Urinary Tract Infection ​(UTI) Cystitis, Urethritis

Contents
  1. Infections of the urinary tract
  2. Pathophysiology
  3. Risk factors for urinary tract infection
  4. Clinical features
  5. Investigations 
  6. Lab investigations
1. Infections of the urinary tract-

Urinary tract infection (UTI) is the term used to describe acute urethritis and cystitis caused by microorganisms. It is a common disorder accounting for 1–3% of consultations in general medical practice.

The urinary tract can become infected with various bacteria but the most common is E. coli derived from the gastrointestinal tract. The most common presenting problem is cystitis with urethritis (generally referred to as urinary tract infection).


2. Pathophysiology-

Urine is an excellent culture medium for bacteria; in addition, the urothelium of susceptible persons may have more receptors, to which virulent strains of E. coli become adherent. In women, the ascent of organisms into the bladder is easier than in men; the urethra is shorter and the absence of bactericidal prostatic secretions may be relevant. Sexual intercourse may cause minor urethral trauma and transfer bacteria from the perineum into the bladder.

3. Risk factors for urinary tract infection-
  • Incomplete bladder emptying 
  • Bladder outflow obstruction 
  • Benign prostatic enlargement 
  • Prostate cancer 
  • Uterine prolapse
  • Urethral stricture  
  • Vesico-ureteric reflux
  • Neurological- Multiple sclerosis, Diabetic neuropathy.
  • Foreign bodies 
  • Urethral catheter or ureteric stent
  • Urolithiasis
  • Diabetes mellitus
4. Clinical features- 

• Abrupt onset of frequency of micturition and urgency 
• Scalding pain in the urethra during micturition
• Suprapubic pain during and after voiding 
• Intense desire to pass more urine after micturition, due to spasm of the inflamed bladder wall (strangury) 
• Urine that may appear cloudy and have an unpleasant odour 
• Microscopic or visible haematuria.

5. Investigations- 

Investigation is necessary, however, in patients with recurrent infection or after failure of initial treatment, during pregnancy, or in patients susceptible to serious infection, such as the immunocompromised, those with diabetes or an indwelling catheter, and older people. The diagnosis can be made from the combination of typical clinical features and abnormalities on urinalysis. 

6. Lab investigations-
  • Full blood count; urea, electrolytes, creatinine 
  • Blood cultures 
  • Renal tract ultrasound or CT 
  • Pelvic examination in women, rectal examination in men Continuing haematuria or other suspicion of bladder lesion 
  • Cystoscopy
General Management of UTI
  • Drink plenty of water- Water helps to dilute urine and flush out bacteria.
  • Avoid drinks that may irritate bladder- Avoid coffee, alcohol, and soft drinks containing citrus juices or caffeine until infection has cleared. They can irritate bladder and tend to aggravate frequent or urgent need to urinate.
  • Use a heating pad- Apply a warm, but not hot, heating pad to abdomen to minimize bladder pressure or discomfort.
  • Hygiene- Maintain personal hygiene, complete bowel and bladder

Urinary Tract Infection treated by Homeopathy Cantharis-

Strong urging to urinate—with cutting pains that are felt before the urine passes, as well as during and after—may indicate a need for this remedy. Only several drops pass at a time, with a scalding sensation. The person may feel as if the bladder has not been emptied, still feeling a constant urge to urinate.

Sarsaparilla-
Frequent urging is felt, with burning pain at the end of urination. Urine passes when the person is standing up, but only dribbling occurs while sitting. Flakes or sediment are sometimes seen in the urine. (Sarsaparilla is sometimes helpful when stones are forming or the kidneys are involved)

Apis mellifica-
This remedy is indicated when the person frequently needs to urinate, but only small quantities are passed. Stinging and burning sensations are felt (especially with the last few drops) and the person may also experience soreness in the abdomen. Heat and touch make the symptoms worse, and cold applications, cool bathing, and open air bring relief. A lack of thirst is another indication that Apis may be needed.

Berberis vulgaris-
Cystitis with twinges of cutting pain, or a burning feeling that extends to the urethra and its opening, may indicate a need for this remedy. The passage may also burn at times when no attempt at urination is being made. After emptying the bladder, the person feels as if some urine still remains inside. Urging and discomfort are often worse from walking.

Staphysagria-
This remedy is often indicated for cystitis that develops in a woman after sexual intercourse, especially if sexual activity is new to her, or if cystitis occurs after every occasion of having sex. Pressure may be felt in the bladder after urinating, as if it is still not empty. A sensation that a drop of urine is rolling through the urethra, or a constant burning feeling. Staphysagria is also useful for cystitis that develops after illnesses with extended bed rest, or after the use of catheters.

Lycopodium-
This remedy may be helpful if a person has to urinate frequently during the night and passes large amounts of urine. Pain may be felt in the back before the urine passes. (If fever is present, the urine has a reddish color, or discomfort is felt in the kidney region).

Sepia-
This remedy may be helpful if a person has to urinate frequently, with sudden urging, a sense that urine will leak if urination is delayed, and small amounts of involuntary urine loss. The person may experience a bearing-down feeling in the bladder region, or pressure above the pubic bone. A person who needs this remedy often feels worn-out and irritable, with cold extremities, and a lax or sagging feeling in the pelvic area.

Borax-
This remedy can be helpful for cystitis with smarting pain in the urinary opening and aching in the bladder, with a feeling that the urine is retained. Children may cry or shriek, afraid to urinate because they know the pain is coming. Borax is often indicated for people who are sensitive to noise and inclined toward motion sickness.

Ads 728x90