হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নিজস্বকথাঃ ১ম পর্যায়
১. Aconit Nap-একোনাইট ন্যাপ
- আকস্মিকতা ও ভীষণতা
- মৃত্যুভয় ও অস্থিরতা
- পিপাসা ও জ্বালা
- প্রচন্ড শীত বা প্রচন্ড গরমের প্রকোপ
২. Acid Nitric-এসিড নাইট্রিক
- স্রাবে দূর্গন্ধ, বিশেষতঃ প্রস্রাবে
- শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি ও চর্মের সন্ধিস্থলে ক্ষত বা ফেঁটে যাওয়া
- কাটা ফোঁটার মত ব্যথা
- গাড়ীতে চড়ে বেড়ালে উপশম, দুধে বৃদ্ধি
৩. Acid Phos (এসিড ফস): (১) অবসাদ বা অবসন্নতা। (২) দুধের মত সাদা প্রস্রাব বা ঘন ঘন প্রচুর প্রস্রাব। (৩) উদরাময়ে উপশম এবং মলত্যাগকালে প্রচুর বায়ু নিঃসারণ। (৪) সম্পূর্ণ তন্দ্রাচ্ছন্নভাব বা উদাসভাব।
৪. Agnus cast (এগনাস ক্যাস্ট): (১) অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় সেবাজনিত ধাতুদৌর্বল্য। (২) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা পুনঃপুনঃ গণোরিয়া বশতঃ ধব্জভঙ্গ দোষ। (৩) আত্মহত্যার ইচ্ছা, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা । (৪) প্রসূতির স্তনে দুধের অভাব। নিদারুন বিষন্নতা।
৫. Allium cepa (এলিয়াম সিপা): (১) নাসিকা হতে ক্ষতকর শ্লেষ্মাস্রাব। (২) পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ু সঞ্চার । (৩) কানে কটকটানি, পায়ে ঠান্ডা লেগে কষ্টকর প্রস্রাব । (৪) অস্ত্রপচারের পর স্নায়ুশূল, প্রসবের পর স্নায়ুশূল।
৬. Antim crud (এন্টিম ক্রুড): (১) স্থুলদেহ এবং জিহ্বার উপর সাদা পুরু লেপ। (২) আহারে অরুচি এবং আহারের পর বমি। (৩) বিরক্তি, বিষন্নতা, ক্রোধ ও ক্রন্দন। (৪) গোসল সহ্য হয় না। গোসলে ভয়।
৭. Apis Mel (এপিস মেল): (১) মূত্র স্বল্পতা ও মুত্রকষ্ট। (২) জ্বালা ও ফোলা, চোখের নিম্নপাতা ফোলা। (৩) স্পর্শকাতরতা ও গরমকাতরতা। (৪) সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা। পিপাসাহীনতা।
৮. Aralia Race (এরালিয়া রেসি): (১) হাঁপানী যুক্ত শ্বাসকাশ, শয়নে বাড়ে। বর্ষাকালে সর্দি শুকিয়ে কাশি হলে । (২) দূর্গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব, পানির মত। (৩) অর্শ, গুহ্যদ্বারের স্থানচ্যুতি। (৪) রোগী সহজে প্রশ্বাস ত্যাগ করতে পারে, কিন্তু নিশ্বাস গ্রহনের সময়ে তার কষ্ট হয়।
৯. Arnica Mont (আর্নিকা মন্ট): (১) বেদনা, আঘাত জনিত বেদনা এবং রোগজনিত বেদনা। যে কোন বেদনা। (২) স্পর্শকাতরতা ও অস্থিরতা। (৩) বিছানা শক্ত মনে হয় কিন্তু অন্যান্য কষ্ট সম্বন্ধে বলে সে ভাল আছে। (৪) সজ্ঞানে প্রলাপ ও আতঙ্ক।
১০. Arsenic Alb (আর্সেনিক এল্ব): (১) নিদারুণ দুর্বলতা, অস্থিরতা ও মৃত্যু ভয়। (২) মধ্যদিবা বা মধ্যরাতে বৃদ্ধি কিংবা মধ্যদিবা এবং মধ্যরাতে বৃদ্ধি। (৩) প্রবল পিপাসা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে স্বল্প পানি পান এবং পানি পান মাত্রই বমি। (৪) জ্বালা ও দুর্গন্ধ।
১১. Bacillinum (ব্যাসিলিনাম): (১) বংশগত ক্ষয়দোষ এবং উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। (২) রোগ ও রোগীর পরিবর্তনশীলতা। (৩) অল্পে ঠান্ডালাগা এবং গ্রন্থির বিবৃদ্ধি। (৪) দুর্বলতা ও বাঁচালতা।
১২. Belladona (বেলাডোনা): (১) উত্তাপ ও আরক্তিমতা। (২) জ্বালা ও স্পর্শকাতরতা। (৩) আকস্মিকতা ও ভীষণতা। (৪) ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়।
১৩. Bryonia Alb (ব্র্রায়োনিয়া এ্ল্ব): (১) নড়াচড়ায় বৃদ্ধি এবং চুপ করে পড়ে থাকলে উপশম। (২) শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির শুষ্কতা। (৩) আক্রান্তস্থান বা বেদনা যুক্ত স্থান চেপে ধরলে উপশম। (৪) ক্রুদ্ধভাব এবং ক্রুদ্ধ হবার ফলে অসুস্থতা।
১৪. Calc Carb (ক্যাল্কে-কার্ব): (১) দেহের স্থুলতা শিথিলতা ও শ্লেষ্মা প্রবণতা। (২) ভীরুতা ও ভ্রান্তধারণা। (৩) মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায় ও অল্পে ঠান্ডা লাগে। (৪) ডিম খাবার প্রবল ইচ্ছা কিন্তু দুধ সহ্য করতে পারে না।
১৫. Calc Fluor (ক্যাল্কে-ফ্লোর): (১) গ্রন্থির বৃদ্ধি, গ্রন্থি প্রদাহ, অস্থিক্ষত, ক্ষত পেকে পুঁজ যুক্ত হয়ে উঠে। (২) অর্শ হতে রক্তপাত, মুখদিয়ে রক্তউঠা, চক্ষে ছানি। (৩) শীত কাতর, প্রথম চলতে আরম্ভ করলে বৃদ্ধি ও কিছুক্ষণ চলার পর হ্রাস। (৪) নাসিকার অস্থি আক্রান্ত, জরায়ুর স্থানচুতি, গরমে উপশম, নড়াচড়ায় উপশম।
১৬. Carbo Veg (কার্ব্বোভেজ): (১) স্বাস্থ্যহানীর অতীত কাহিনী। (২) হিমাঙ্গ অবস্থায় ঘর্ম ও বাতাসের জন্য ব্যাকুলতা। (৩) পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ুসঞ্চয় ও উদগারে উপশম। (৪) জ্বালা ও রক্তস্রাব।
১৭. Carcinosin (কারসিনোসিন): (১) রোগীতে ক্যান্সারের ইতিবৃত্তি প্রাপ্ত হলে কার্সিনোসিন সুফল প্রদান করে। (২) তীব্র বেদনা ও গ্রন্থির কাঠিন্যযুক্ত স্তনের ক্যান্সার। (৩) জরায়ুর ক্যান্সারে দূর্গন্ধ স্রাব ও বেদনা থাকে। (৪) অগ্নিমান্দ্য, আমাশয় ও অন্ত্রে বায়ুজমে। (৫) ক্যান্সার জনিত ধাতু বিকৃতি বশতঃ আমবাত।
১৮. Causticum (কষ্টিকাম): (১) একাঙ্গিন পক্ষাঘাত বিশেষতঃ দক্ষিণ অঙ্গের বাত বা পক্ষাঘাত। (২) আশঙ্কা ও শীতকাতরতা। (৩) নিদ্রাকালে অস্থিরতা। (৪) না দাঁড়ালে মলত্যাগে অসুবিধা। (৫) সঙ্গমের পর মূত্রত্যাগ কালে মূত্রনালীতে জ্বালা। (৬) বর্ষা ও বৃষ্টির দিনে ভাল থাকে।
১৯. China off (চায়না অফ): (১) অধিক স্তন্যদান, অত্যধিক ভেদ, বীর্যক্ষয় বা রক্তক্ষয় জনিত অসুস্থতা। (২) শোথ ও পেট ফাঁপা, হজম শক্তির অভাব। (৩) নির্দিষ্ট সময়ে বা নিয়মিতভাবে রোগাক্রমণ। (৪) রক্তস্রাব প্রবণতা ও রক্তস্রাবের সাথে আক্ষেপ।
২০. Cimicifuga/Actaea Race (সিমিসিফিউগা/একটিয়া রেসি): (১) ঋতুস্রাবের সঙ্গে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। (২) পর্যায়ক্রমে শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ। (৩) ডিম্বকোষের বা জরায়ুর দোষে শ্বাসকষ্ট বা হৃদস্পন্দন। (৪) যারা আঙ্গুলের কাজ করে তাদের পিঠে ব্যথা।
২১. Dulcamara (ডালকামারা): (১) শরৎকালীন অসুস্থতা। (২) ঠান্ডা লেগে প্রস্রাবের বেগ বা শ্লেষ্মার প্রকোপ। (৩) উত্তাপে উপশম ও অস্থিরতায় উপশম। (৪) ঘর্ম বা চর্মরোগ চাপা দেওয়ার কুফল।
২২. Graphites (গ্রাফাইটিস): (১) স্থুলতা ও কোষ্টবদ্ধতা। (২) ফাঁটা চর্ম ও চটচটে রস। (৩) শঙ্কা ও সতর্কতা। (৪) মাছ, মাংস, সঙ্গীত ও সঙ্গমে অনিচ্ছা।
২৩. Hepar Sulph (হিপার সালফ): (১) শীতার্ততা ও স্পর্শকাতরতা। (২) ক্ষিপ্রতা হঠকারীতা। (৩) টক ঝাল প্রভৃতি উগ্রদ্রব্য খেতে ইচ্ছা। (৪) কাটা ফোটার মত ব্যথা।
২৪. Kali bichrom (ক্যালি বাইক্রোম): (১) পর্যায়ক্রমে বাত ও শ্লেষ্মার প্রকোপ। (২) সুতার মত লম্বা শ্লেষ্মাস্রাব। (৩) নির্দিষ্ট দিনে বা নির্দিষ্ট সময়ে বৃদ্ধি। (৪) ভ্রমণশীল বেদনা।
২৫. Kalmia Lat (ক্যালমিয়া লেট): (১) ব্যথা নিম্নগামি কিন্তু বাতবেদনা ক্রমশ হৃৎপিণ্ড আক্রমণ করে, বামপার্শ্বে শুইতে অক্ষম। (২) স্বল্পমূত্র, শোথ, নাড়ীর গতি মন্দ। (৩) সঞ্চালনে বৃদ্ধি কিন্তু উত্তাপ প্রয়োগে বা ঠাণ্ডায় উপশম হয়না। (৪) গর্ভাবস্থায় মূত্রস্বল্পতা সহিত দৃষ্টি-বিভ্রম বা চক্ষশূল, যন্ত্রণা- সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
২৬. Lachesis (ল্যাকেসিস): (১) নিদ্রায় বৃদ্ধি। (২) ঈর্ষা, স্পর্শকাতরতা ও বাচালতা। (৩) বাম অঙ্গে রোগাক্রমণ বা প্রথমে বামদিকে পরে ডান দিকে। (৪) নির্গমণে নিবৃত্তি।
২৭. Ledum Pal (লিডামপাল): (১) ঠান্ডা পানিতে বেদনার উপশম। (২) নিম্নাঙ্গে রোগাক্রমণ বা প্রথমে নিম্নাঙ্গে ও পরে উর্ধ্বাঙ্গে। (৩) শোথ। (৪) স্নায়ু কেন্দ্র আঘাত।
২৮. Lobelia Erinus (লোবেলিয়া ইরিনাস): (১) ক্যান্সারজনিত চর্মের অস্বাভাবিক বিবৃদ্ধি ও শুষ্কতা। (২) মুখমন্ডলের এপিথেলিওমা ও আঙুলসমূহে উদ্ভেদ। (৩) পেটের ভিতর বা মস্তিষ্কের টিউমার। (৪) ওমেনটাম বা অন্ত্রপ্লাবকের ক্যান্সার।
২৯. Lycopodium (লাইকোপডিয়াম): (১) ডানে অঙ্গে রোগাক্রমন বা প্রথমে ডান অঙ্গে ও পরে বাম অঙ্গে আক্রমণ। (২) গরম খাবারে স্পৃহা ও বায়ুর প্রকোপ। (৩) ভীরুতা, কৃপণতা ও নিঃসঙ্গপ্রিয়তা। (৪) অল্প খেয়ে ক্ষুধা মিটে যায়। সকল ক্ষেত্রে অম্লস্বাদ। (৫) তলপেটে বায়ু জমে উর্দ্ধভাগশীর্ণ নিম্নাংশ স্থূল।
৩০. Medorrhinum (মেডোরিনাম): (১) বংশগত প্রমেহ দোষ ও উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। ২। জ্বালা , ব্যথা, স্পর্শকাতরতা। ৩। ব্যস্ততা ও ক্রন্দণশীলতা। ৪। স্নায়ুবিক দুর্বলতা, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা ও মৃত্যু ভয়।
৩১. Merc sol (মার্কসল): (১) অতিরিক্ত ঘর্ম, অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ ও অতিরিক্ত পিপাসা। (২) জিহ্বা পুরু ও দাঁতের ছাপ যুক্ত। (৩) দুর্গন্ধ ও ডান পার্শ্বে চেপে শুতে অসুবিধা।(৪) রাত্রে বৃদ্ধি, শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি, ঘর্মাবস্থায় বৃদ্ধি।
৩২. Mezereum (মেজেরিয়াম): (১) উদ্ভেদ বা একজিমা হতে প্রচুর রস নিঃসরণ। (২) টিকাজনিত কুফল ত্বক বা চর্ম রোগ চাপা দেয়ার কুফল। (৩) রাত্রে বৃদ্ধি।(৪) অত্যন্ত রাগী কিন্তু পরক্ষণেই অনুতপ্ত, উম্মাদ।
৩৩. Nux Vomica (নাক্স ভূমিকা): (১) অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়সেবা কিংবা অতিরিক্ত রাত জাগরণ জনিত অসুস্থতা। (২) বারম্বার মলত্যাগের ব্যর্থ প্রয়াস এবং মলত্যাগের পর উপশম বোধ। (৩) জিদ বা মনের দৃঢ়তা, ঈর্ষা ও হঠকারিতা । (৪) শীতকাতরতা, স্পর্শকাতরতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা|
৩৪. Phosphorus (ফসফরাস): (১) তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, লম্বা, পাতলা একহারা চেহারা। (২) রক্তস্রাবের প্রবণতা। (৩) বামপার্শ্ব ও চেপে শুতে পারে না। (৪) রাক্ষুসে ক্ষুধা, জ্বালা ও শুন্যবোধ।
৩৫. Phytolacca (ফাইটোলাক্কা): (১) স্তন ও স্তনের যে কোন প্রদাহে। (২) রাতে বৃদ্ধি, শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি, বর্ষায় বৃদ্ধি। (৩) স্পর্শকাতরতা ও অস্থিরতা। (৪) দাঁতে দাঁতে বা মাঢ়িতে মাঢ়িতে চেপে ধরতে ইচ্ছা।
৩৬. Psorinum (সোরিনাম) (১) ধাতুগত বা বংশগত সোরাদোষের উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। (২) উদ্বেগ, আতঙ্ক ও নৈরাশ্য। (৩) প্রবল ক্ষুধা ও অত্যধিক দুর্গন্ধ। (৪) দুর্বলতা ও শীতার্ততা।
৩৭. Pulsatilla (পালসেটিলা): (১) পরিবর্তনশীলতা। (২) নম্রতা ও ক্রন্দনশীলতা । (৩) তৃষ্ণাহীনতা। (৪) গরমে বৃদ্ধি ও গাত্র সর্বদা উত্তপ্ত।
৩৮. Rhus Tox (রাসটক্স): (১) বর্ষায় বৃদ্ধি ও বিশ্রামে বৃদ্ধি। (২) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কামড়ানি ও অস্থিরতা। (৩) অস্থিরতায় উপশম, উত্তাপে উপশম। (৪) জিহ্বার অগ্রভাগ ত্রিকোণ লাল বর্ণ ও জ্বরের শীত অবস্থায় কাশি।
৩৯. Ruta grav (রুটা গ্র্যাভ): (১) সন্ধিস্থানের অস্থিচ্যুতি বা সন্ধিস্থান মচকে যাওয়া। (২) কটি ব্যথা ও মলদ্বারের শিথিলতা। (৩) স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ে চুলকানির সঙ্গে বাম স্তনে ব্যথা। (৪) চক্ষু জ্বালা ও দৃষ্টি বিপর্যয়।
৪০. Selenium (সেলেনিয়াম): (১) অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় বা অতিদীর্ঘ রোগ ভোগের পর দেহ ও মনের অবসাদ। (২) মলত্যাগকালে শুক্রক্ষরণ। (৩) কামভাবের প্রাবল্য ও শুক্রতারল্য। (৪) স্বরভঙ্গ ও কোষ্ঠকাঠিন্য।
৪১. Senecio (সেনেসিও): (১) ঋতুস্রাবের পরিবর্তে রক্তকাশ। (২) রক্তস্রাব জনিত শোথ। (৩) স্বল্প রজঃরোগে উহা বর্ধিত করে ও অতিরিক্ত রজঃস্রাবে হ্রাসপ্রাপ্ত এবং কষ্ট রজঃরোগের যন্ত্রণা উপশমিত হয়। (৪) রজঃস্রাবের পরিবর্তে অথবা মূত্রদোষ সহ শ্বেতপ্রদর।
৪২. Sepia off (সিপিয়া অফ): (১) বিষন্নতা, ক্রন্দণশীলতা ও উদাসীনতা। (২) অতিরিক্ত রক্তক্ষয় বা অতিরিক্ত স্বামী সহবাস কিম্বা অতিরিক্ত গর্ভধারণ জনিত জরায়ুর শিথিলতা। (৩) উদরে শূন্যবোধ, মলদ্বারে পূর্ণবোধ। (৪) পরিশ্রমে উপশম এবং স্নানে অনিচ্ছা।
৪৩. Silicea (সাইলেসিয়া): (১) দৃঢ়তার অভাব ও শীতার্ততা, কোষ্ঠবদ্ধতা। (২) মাথার এবং পায়ের তলায় দুর্গন্ধ ঘাম বা বাধাপ্রাপ্ত ঘামের কুফল। (৩) উত্তাপে উপশম এবং অমাবস্যায় ও পূর্ণিমায় বৃদ্ধি। (৪) টিকাজনিত কুফল।
৪৪. Spigelia (স্পাইজেলিয়া): (১) স্নায়ুশূল নড়াচড়ায় বৃদ্ধি। (২) বামদিকে রোগাক্রমণ। (৩) বর্ষায় বা জলো হাওয়ায় বৃদ্ধি।
৪৫. Staphisagria (স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া): (১) কামভাবের প্রাবল্য এবং তাহার কুফল। (২) অতিরিক্ত ক্রোধ এবং তাহার কুফল। (৩) সঙ্গম বা সহবাসজনিত মূত্রকষ্ট বা শ্বাসকষ্ট। (৪) চক্ষে অঞ্জনি ও দাঁতে পোকা, অতিরিক্ত হস্তমৈথুন। (৫) অস্ত্রপচারের কুফল, যৌন বিষয় সম্বন্ধে অনবরত চর্চা করে থাকে।
৪৬. Sulphur (সালফার): (১) অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্নতা। (২) প্রাতঃকালে মলত্যাগ ও মধ্যাহ্নক্ষুধা। (৩) স্নানে অনিচ্ছা, দুগ্ধে অরুচি। (৪) ব্রহ্মতালূ হাতের তালূ ও পায়ের তলায় উত্তাপ বা জ্বালা। (৫) সকল রন্দ্রপথ লাল।
৪৭. Syphilinum (সিফিলিনাম): (১) বংশগত উপদংশ বা উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা। (২) রাত্রে বৃদ্ধি, অনিদ্রা ও অক্ষুধা। (৩) খর্বতা ও পক্ষাঘাত। (৪) ক্ষত ও দুর্গন্ধ।
৪৮. Thuja Occi (থুজা অক্সি): (১) আঁচিল, অর্বুদ ও রক্তহীনতা। (২) ঠান্ডায় বৃদ্ধি, বর্ষায় বৃদ্ধি এবং রাত ৩টায় বৃদ্ধি। (৩) বদ্ধমূল ধারনা ও স্বপ্নবহুল নিদ্রা। (৪) টিকা ও বসন্ত-এর পর যে কোন উপসর্গ।
৪৮. Tuberculinum (টিউবারকুলিনাম): (১) সবিরাম জ্বর। (২) ক্ষীণদেহ, রোগের পুনরাবৃত্তির প্রবণতা। (৩) উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত যক্ষ্মাসম্ভব অবস্থার প্রবণতা ও সহজেই রোগাক্রমন। (৪) রাত্রিকালে কষ্টদাযক ও সদাস্থায়ী চিন্তা।
৫০. Uranium Nitric (ইউরেনিয়াম নাইট্রিক): (১) ডায়াবেটিস মেলিটাস, শর্করাযুক্ত বহুমুত্রজনিত পিপাসা ও ক্ষুধা, শরীর শুকাইয়া যাওয়া। (২) ধ্বজভঙ্গ, ঋতুরোধ। (৩) পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ু, উদগার। (৪) শোথ, উদরী, নেফ্রাইটিস ও উচ্চরক্তচাপ।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নিজস্বকথাঃ ২য় পর্যায়
১. Abis Nigra (এবিস নাইগ্রা): (১) পাকস্থলীর পীড়ার বায়ু ও অম্লের লক্ষণের সহিত হৃদপিণ্ডের পীড়া। (২) আহারের পর পেট বেদনা, অতিরিক্ত চা পান ও তামাক খাওয়ার জন বদহজম। (৩) বুকের ভিতর বা ভুক্তদ্রব্য পেটের ভিতর শক্ত গোলার মত আটকে থাকার অনুভুতি। (৪) দুপুরে ও রাতে অত্যন্ত ক্ষুধা, সকালে ক্ষুধাহীনতা।
২. Acid Chryso (এডিস ক্রাইসো): (১) দাদ, সোরায়সিস, হার্পিস, একনি-রোজেসিয়া, নি¤œাঙ্গের একজিমা, খোঁস –পাচড়া। (২) চর্ম রোগের অসহনীয় চুলকানি, প্রচুর পরিমানে দুর্গন্ধ স্রাব, মাদার বাহ্যিক ব্যবহার্য। (৩) চক্ষুর শ্বেত ক্ষেত্রের প্রদাহ। (৪) শিশুর অধিক পরিমানে পিত্ত বাহ্যে ও পিত্ত বমন।
৩. Acid Fluor (এডিস ফ্লোর): (১) গরম কাতরতা ও চঞ্চলতা। (২) স্রাব অত্যন্ত ক্ষতকর ও দূর্গন্ধযুক্ত। (৩) সঙ্গমেচ্ছার প্রাবল্য ও কূফল। (৪) প্রস্রাব বাধা প্রাপ্ত হইলেই মাথাব্যথা।
৪. Aesculus Hip (ইস্কুলাস হিপ): (১) মলদ্বারে অস্বস্তিবোধ। (২) কটিবাত,কোমরে ব্যাথা। (৩) পূর্নতাবোধ বা অঙ্গ-প্রতঙ্গে ভারবোধ। (৪) বেদনা ভ্রমনশীল।
৫. Agaricus (অ্যাগারিকাস): (১) বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নর্তন, স্পন্দন বা আক্ষেপ। (২) মেরুদন্ডের স্পর্শকাতরতা। (৩) আড়া আড়ি ভাবে রোগাক্রমন- বাম উর্ধ্বাঙ্গ ও ডান নিম্নাঙ্গ। (৪) শরীরে গরম বা ঠান্ডা সূচিবিদ্ধবৎ বা হুল ফোটানোর অনুভূতি।
৬. Allumina (অ্যালুমিনা): (১) স্মৃতিভ্রংশ ও পক্ষাঘাত সদৃশ্য দূর্বলতা। (২) মলত্যাগে কষ্ট। (৩) শীতার্ততা ও শুস্কতা। (৪) আলু সহ্য হয় না।
৭. Aloe Soc (অ্যালো সোক): (১) অসাড়ে মলত্যাগ ও অক্ষমতা। (২) অতিরিক্ত বায়ুনি:সরন ও মলদ্বারে পূর্নতাবোধ। (৩) আহারে বৃদ্ধি, প্রাতঃকালে বৃদ্ধি। (৪) ঠান্ডা পানিতে অর্শের উপশম।
৮. Anacardium Ori (অ্যানাকার্ডিয়াম ওরি): (১) স্মৃতি শক্তির দূর্বলতা। (২) অভিশাপ ও শপথ করার ইচ্ছা। (৩) খাদ্যে হ্রাস। (৪) মলদ্বারে হুল ফোটানো অনুভুতি।
৯. Anacardium-occi (অ্যানাকার্ডিয়াম অক্সি): (১) চর্মের পীড়ায় ফোস্কার ন্যায় উদ্ভেদ, বিশেষতঃ মুখমন্ডলে, অসহ্য চুলকানি। (২) ইরিসিপেলাস, ডানদিক হতে বামদিকে যায়। কুষ্ঠরোগ, অসাড়। (৩) পায়ের তলার চামড়া ফাঁটা-ফাঁটা, আঁচিল, দাঁদ। (৪) ঘাড়ের বাতের বেদনায় ঘাড় সেঁটে ধরে থাকার মত অনুভূতি, একটু নড়াচড়ায় বেদনা বৃদ্ধি।
১০. Antim Tart (অ্যান্টিম টার্ট): (১) নিদ্রার সাথে শ্বাসকষ্ট ও নিদারুন দূর্বলতা। (২) মুখমন্ডল ঘর্মাক্ত ও নীলাভ। (৩) ক্রুদ্ধভাব ও কোলে উঠিতে চাওয়া। (৪) টিকার কুফল।
১১. Argent Nitric (আর্জেন্ট নাইট্রিক): (১) ব্যস্ততা ও ত্রস্তভাব। (২) চিনি বা মিষ্টি খাবার প্রবল ইচ্ছা, কিন্তু তা সহ্য হয় না। (৩) মলের রং পরিবর্তন ও বায়ুনি:সরন। (৪) কাটা/হুল ফোটার মত বেদনা।
১২. Aurum Met (অরাম মেট): (১) আত্মহত্যার ইচ্ছা, জীবনে বিতৃষ্ণা। (২) রাত,ঠান্ডা ও শীতকালে বৃদ্ধি। (৩) বেদনা ভ্রমনশীল। (৪) মানসিক ও শারীরিক ব্যস্তবাগীশ ভাব।
১৩. Baryta Carb (ব্যারাইটা কার্ব): (১) খর্বতা, মানসিক ও শারিরীক। (২) টনসিল বৃদ্ধি, ধাতুগত গন্ডমালা দোষ। (৩) বাম পাশ চেপে শুইলে বৃদ্ধি। (৪) অন্যমনস্কে উপশম।
১৪. Borax (বোরাক্স): (১) আতঙ্ক নিম্নগতিতে। (২) শব্দভীতি। (৩) চুলে জটা, মুখে ঘা। (৪) শ্বেতপ্রদর, বন্ধ্যাত্ব ও যোনি চুলকানি।
১৫. Calc-Phos (ক্যাল্কে-ফস্): (১) স্ক্রুফিউলা বা ধাতুগত দুর্বলতা ও উদরাময়। (২) মানসিক পরিবর্তনশীলতা। (৩) ঠান্ডায় বৃদ্ধি এবং রোগের কথা মনে পড়লে বৃদ্ধি। (৪) ঋতুকালে মুখমন্ডলে উদ্ভেদ। (অস্থির উপর ভাল কাজ করে।)
১৬. Cantharis (ক্যান্থারিস): (১) জ্বালা, আগুনের মত জ্বালা ও প্রদাহ। (২) মূত্রকৃচ্ছ্রতা সাথে অসহ্য বেগ। (৩) রক্তস্রাব, নাক মুখ মলদ্বার মূত্রদ্বার ইত্যাদি হতে। (৪) টনসিল প্রদাহ, মুখে ঘা, হাতে পায়ে শোথ ও উদরী। (৫) আমাশয় তৎসহ মল যেন অন্ত্র চেঁছে ফেলছে।
১৭. Carbo Anim (কার্ব্বো অ্যানিম): (১) বয়োঃব্রণ, টিউমার, রক্তার্বুদ, মুখের ব্রণ, পঁচনশীল ক্ষত, গ্রন্থির বৃদ্ধি। স্তন্যগ্রন্থি পাথরের ন্যায় শক্ত। (২) শুষ্ক ও ঠান্ডা খোলা হাওয়া ভাললাগে না। রোগী অত্যন্ত শীতকাতর। (৩) সর্ব প্রকার স্রাব- ঋতুস্রাব, প্রদরস্রাব, উদরাময় অত্যন্ত হীনবলকারী, জ্বালাকর ও দুর্গন্ধযুক্ত। (৪) কঠিন ক্যান্সারে ফলপ্রদ: স্তনের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত স্থান শক্ত ও নীল বর্ণ।
১৮. Chelidonium (চেলিডোনিয়াম): (১) ডান স্ক্যাপুলার নিম্ন প্রদেশে বেদনা, পাকস্থলীর ব্যথা ডান স্ক্যাপুলা পর্যন্ত প্রসারিত হয়। (২) আহারে উপশম, গরম দুগ্ধে উপশম। (৩) দক্ষিণ দিকে রোগাক্রমণ, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি উত্তাপে উপশম। (৪) বিকাল ৪টা বা ভোর ৪টায় বৃদ্ধি।
১৯. Cina mari (সিনা ম্যারি): (১) ক্ষুধা, রাক্ষুসে ক্ষুধা। (২) নাক, মুখ কড়মড় করা। (৩) স্পর্শকাতরতা ও ক্রুদ্ধ স্বভাব। (৪) শিশু কোলে থাকিতে চায়। (৫) মিষ্ঠান্ন খাবার প্রবল ইচ্ছা।
২০. Colocynth (কলোসিন্থ): (১) ব্যাথা চেপে ধরলে উপশম। (২) অসুস্থতা ক্রোধজনিত। (৩) আহারে বৃদ্ধি। (৪) ব্যাথার সাথে বমি।
২১. Conium (কোনিয়াম): (১) অবরুদ্ধ সঙ্গমেচ্ছার কূফল। (২) শয়নকালে মাথাঘোরা ও ঘুমকালে ঘর্ম। (৩) শীতার্ততা, পক্ষাঘাত সদৃশ্য দূর্বলতা। (৪) বাধাপ্রাপ্ত প্রস্রাব।
২২. Dioscorea (ডায়োস্কোরিয়া): (১) পেটের ব্যথা সামনের দিকে ঝুকলে বৃদ্ধি। (২) মেরুদন্ড খাড়া করে দাঁড়িয়ে থাকলে উপশম বা পিছনে হেলিয়া থাকলে উপশম। (৩) ব্যথা ক্ষুদ্র স্থান হতে শরীরের বহুদূর পর্যন্ত ছুটে যেতে থাকে। (৪) তৃষ্ণাহীনতা, এক এক রাতে একাধিক বার স্বপ্নদোষ, তাতে অত্যন্ত দুর্বলতা বিশেষতঃ হাঁটুতে। (৫) আঙ্গুল হাড়ায় খোচানো বা ফুটানো বেদনায় ব্যবহৃত হয় প্রাথমিক অবস্থায়।
২৩. Drosera (ড্রসেরা): (১) রাতে বালিশে মাথা রেখে শয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে কাশি। (২) গভীর কাশি ও সেই সঙ্গে স্বরভঙ্গ। কাশির সময় গলার স্বরটি মোটা হয় এবং বুকে হাত দেয়। (৩) অস্বাচ্ছন্দতা, পড়ার সময় এক বিষয়ে মন নিবিষ্ট রাখা যায় না। ব্যাকুলতা ও বিমর্ষভাব। (৪) মুখমন্ডলের উত্তাপ, হস্তের বরফবৎ শীতলতা ও পিপাসাহীনতাসহ সর্ব শরীরের জ্বর জনিত কম্পন।
২৪. Elaps Cor (ইল্যাপ্সকর): (১) রক্তস্রাব দোয়াতে কালির ন্যায় কালবর্ণের, ঠাণ্ডা অসহ্য। (২) ঠাণ্ডা অসহ্য, একটু ঠাণ্ডায় সর্দি হয়। (৩) কান, নাক ও ফুসফুসের পীড়া। (৪) ডানদিকের পক্ষাঘাত, বগলের গ্ল্যাণ্ড পাঁকে।
২৫. Formica Rufa (ফরমিকা রুফা): (১) বাত বেদনা, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি ও চাপে উপশম, ডানদিকে অধিক আক্রান্ত। (২) পলিপ, গ্যাঁজের মত টিউমার। (৩) পাকস্থলীর উর্দ্ধাংশে চাপবোধ ও নিম্নাঙ্গে দুর্বলতা। (৪) বুকে চাপবোধ ও পেশীর দুর্বলতা।
২৬. Fraxinus Am (ফ্রাক্সিনাস এম): (১) জরায়ুর স্থানচ্যূচি। (২) জরায়ুর টিউমার। (৩) পুরাতন বাত, গেঁটে বাত, গ্রন্থিস্ফীতি। (৪) উপরের পেটে বেদনা, ন্যাবা, গরহজম।
২৭. Guaiacum (গুয়েকাম): (১) ব্যাথা- গরম ও নড়াচড়ায় বৃদ্ধি। (২) পর্যায়ক্রমে দূর্গন্ধ ঘাম ও প্রস্রাব। (৩) পায়ের শিরা টানিয়া ধরে, দাঁতে দাঁতে চাপিলে ব্যথা। (৪) ঋতুকষ্ট, ঋতুরোধ ও ডিম্বকোষ প্রদাহ।
২৮. Hamamelis (হ্যামামেলিস): (১) রক্তস্রাব কালচে, আক্রান্তস্থানে টাটানি ব্যথা, রক্তস্রাবের আগে মাথায় তীব্র যন্ত্রণা, রক্ত অল্পঅল্প করে নির্গত হয়, রোগী দুর্বল ও ক্লান্তহয়ে পড়ে। (২) গণোরিয়া হতে বা অন্য কোন কারণে অন্ডদ্বয়ে টাটানো ব্যথা। প্রদাহের স্থানটি উত্তপ্ত, শুক্রবহা শিরায় ব্যথা ও স্ফীতি। (৩) অর্শের বলিগুলি লাল বা নীল রঙের, গুহ্যদ্বারে জ্বালা ও টাটানো ব্যথা। বাহ্যবলিতে ভালো কাজ করে। (৪) চক্ষু প্রদাহ, চক্ষুলাল, চোখে কিছু পড়লে বা অস্ত্র চিকিৎসার পর চোখ উঠা।
২৯. H.B.S. Agtibe (এইচ.বি.এস. এজটিভ): (১) ঘুমের পর হঠাৎ রোগলক্ষণ প্রকাশ। (২) ক্ষুধাহীনতা ও বমি ভাব। (৩) মাথায় যন্ত্রণা। (৪) পেটবেদনা ও অস্বস্তিবোধ।
৩০. Hypericum (হাইপেরিকাম): (১) ইঁদুর বিড়ালের কামড়াইলে, হাতে পায়ে সূচ বা পেরেক ফুটিলে। (২) মেরুদণ্ড মস্তিষ্ক বা স্নায়ুকেন্দ্রে আঘাত, অস্ত্রোপচার। (৩) আঘাত বা ক্ষতজনিত ধনুষ্টঙ্কার। (৪) ব্যথা স্নায়ুপথ দিয়ে উর্ধ্বে উঠে এবং উত্তাপে প্রশমিত।
৩১. Ignatia (ইগ্নেশিয়া): (১) অসুস্থতা অবরুদ্ধ মনোভাবজনিত। (২) নির্জনপ্রিয়তা ও দীর্ঘ-নি:শ্বাস। (৩) সান্তনায় বৃদ্ধি ও মানসিক পরিবর্তনশীলতা। (৪) বিরুদ্ধভাবাপন্ন হ্রাস বা বৃদ্ধি।
৩২. Insulinum (ইনসুলিনাম): (১) পরিপূরক অবস্থার সাথে বর্ধিত লিভার যেমন উদরাময়, বর্ধিত লিভারের সাথে দীর্ঘস্থায়ী পরিপূরক টিউবারকুলার গ্রন্থি।(২) দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়াসহ লিভারকে বড় করা। (৩) দীর্ঘস্থায়ী একজিমা সহ লিভারকে বড় করা। (৪) কোমলতা ছাড়াই শিশুর যকৃতপীড়া।
৩৩. Iodium (আয়োডিয়াম): (১) ধাতুগত গন্ডমালা দোষ। (২) ক্ষুধার প্রাবল্য। (৩) গরম কাতরতা। (৪) আত্মহত্যার ইচ্ছা ও অস্থিরতা।
৩৪. Ipecac (ইপিকাক): (১) বমনেচ্ছা ও বমি। (২) তৃষ্ণাহীনতা ও পরিস্কার জিহবা। (৩) শ্বাসকষ্ট। (৪) রক্তস্রাব।
৩৫. Iris Ver (আইরিশ ভার): (১) স্থান পরিবর্তনশীল বেদনা, বামদিকের সাইটিকা। (২) গল গ্রন্থি, পাচক গ্রন্থি, লালা গ্রন্থি, অন্ত্র গ্রন্থি এবং পাকাশয়, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি বিশেষঃ ভাবে আক্রান্তহয়। (৩) কোষ্ঠকাঠিন্য, সমগ্র অন্ননালীতে জ্বালা। (৪) আধকপালে শিরঃপীড়া এবং কলেরা জাতীয় উদরাময়।
৩৬. Kali Brom (কেলি ব্রোম): (১) দুর্দমনীয় কামভাব তজ্জন্য উম্মাদভাব বা মৃগী। (২) সর্বদা ঘুমাইতে চায়, দিনেও জাগিয়া থাকতে পারে না। (৩) মানসিক উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনিত আক্ষেপ, অনিয়মিত ঋতু, বন্ধ্যাত্ব। (৪) পিতামাতার উপদংশ এবং পানাসক্তির কারণে মৃগী।
৩৭. Kreosot (ক্রিয়োজোট): (১) ক্ষতকর স্রাব। (২) জ্বালা। (৩) দূর্গন্ধ। (৪) রক্তস্রাব ও অসাড়ে প্রসাব। (৫) অতুষ্টি, যাহা চায় তাহা দিলে তা ছুড়ে ফেলে।
৩৮. Lachnanthes (ল্যাকনান্থিস): (১) ঘাড়বাত, ঘাড় আড়ষ্ট। (২) থাইসিস বা য²াকাশ পীড়ার প্রথম আক্রমন অবস্থার কাশি। (৩) হাত পায়ের তলায় জ্বালা। (৪) পেটডাকা- মলবেগ কিন্তু বাহ্যে হয় না, নিউমোনিয়াসহ পেটফোলা।
৩৯. Lemna Minor (লেমনা মাইনর): (১) নাকের ভিতর অর্বুদ। (২) নাকের অস্থি ফোলা ও নাকবন্ধ। (৩) গাঢ় সর্দিস্রাব ও দূর্গন্ধ। (৪) বর্ষায় বৃদ্ধি।
৪০. Lobelia Inflata (লোবেলিয়া ইনফ্লাটা): (১) হাঁপানী ও যক্ষ্মায় উদরের উপরভাগে অবসন্নতা ও দুর্বলতাবোধ। (২) স্রাব বা উদ্ভেদ চাপা পড়ার পর যে সকল উপসর্গ দেখা দেয়। (৩) নিজে তামাকে অভ্যস্থ কিন্তু তামাকের গন্ধ সহ্য করতে পারেনা। (৪) বর্ধিত ক্ষুধা সহ প্রবল লালাস্রাব।
৪১. Magnesia phos (ম্যাগ্নেসিয়া ফস): (১) ব্যথা সূচীবিদ্ধবৎ কর্তনবৎ তড়িৎ প্রবাহের মত হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়। স্থান পরিবর্তন করে। (২) চাপে ও তাপে উপশম। (৩) শরীরের দক্ষিণ পার্শ্ব আক্রমণ করে। (৪) সেতার বা পিয়ান বাদক দিগের হাতে খিল ধরলে এবং লেখকদের অনেক্ষণ লিখবার পর হাতে খিলধরা ও অবশভাব হলে।
৪২. Opium (ওপিয়াম): (১) অর্ধ নিমীলিত চোখ ও নিদ্রালুতা। (২) পক্ষাঘাত সদৃশ দূর্বলতা ও বেদনা বোধের অভাব। (৩) নিদ্রাকালে নাক ডাকা বা গলায় ঘড়ঘড় শব্দ। (৪) গরমে বৃদ্ধি ও গরম ঘাম।
৪৩. Petroleum (পেট্রোলিয়াম): (১) প্রত্যেক শীতকালে আঙ্গুল ফাটে ও পায়ে দূর্গন্ধ ঘাম। (২) গাড়ীতে বা নৌকায় চড়িতে পারে না। (৩) উদরাময়,দিবাভাগে বৃদ্ধি। (৪) পেট ব্যাথা, আহারে উপশম।
৪৪. Petroselinum (পেট্রোসেলিনিয়াম): (১) প্রমেহ রোগের শেষ অবস্থ। (২) মূত্রযন্ত্রেরপীড়া। (৩) হঠাৎ প্রবল মূত্রবেগ এবং পরক্ষনেই মুত্রত্যাগ। (৪) মূত্রনালীতে ভয়ানক জ্বালা ও অনবরত মূত্রবেগ।
৪৫. Podophyllum (পডোফাইলাম): (১) প্রাতঃকালে প্রচুর ভেদ। (২) ভেদ অত্যান্ত দূর্গন্ধ। (৩) পর্যায়ক্রমে উদরাময় ও কোষ্ঠবদ্ধতা বা পর্যায়ক্রমে শির:পীড়া ও উদরাময়। (৪) মলদ্বারে শিথিলতা বা হারিশ বাহির হয়ে পড়ে।
৪৬. Sabina Off (স্যাবাইনা অফ): (১) সেক্রাম হতে পিউবিস বা পাছা হতে প্রসাবদ্বার পর্যন্ত ধাবমান ব্যাথা। (২) প্রবল রক্তস্রাবের সাথে কাল কাল রক্তের চাপ। (৩) স্রাব সান্য নড়াচড়াতেই বৃদ্ধি পায়। (৪) গান বাজনায় বিরক্তি।
৪৭. Sangunaria Nit (স্যাঙ্গুনেরিয়া নাইট): (১) নাকে পলিপাস। (২) পানির মত সর্দিস্রাব ও হাঁচি। (৩) ডানদিকের টনসিলের বেদনা, গিলিতে কষ্ট। (৪) স্বরযন্ত্রে জ্বালা ও ক্ষতের মত বেদনা।
৪৮. Secale cor (সিকেলীকর): (১) জ্বালা ও গরমকাতরতা। (২) রক্তস্রাব ও আক্ষেপ। (৩) জরায়ুর ও মলদ্বারের শিথিলতা। (৪) রাক্ষসে ক্ষুধা ও অদম্য পিপাসা।
৪৯. Thyroidinum (থাইরোডিনাম): (১) দেহ ও মনের খর্বতা। (২) অতিরিক্ত মোটা হইতে থাকা কিম্বা অতিরিক্ত রক্তহীনতা ও শীর্ণতা। (৩) চর্মরোগ ও চুল উঠা। (৪) উম্মাদভাব ও অনিদ্রা।
৫০. Zincum Met (জিঙ্কাম মেট): (১) স্নায়ুবিক অবসাদ। (২) পদদ্বয়ের অস্থিরতা বা পদসঞ্চালন। (৩) অবরোধ জনিত বৃদ্ধি বা বাধাপ্রাপ্ত অসুস্থতা। (৪) নির্গমনে নিবৃত্তি।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নিজস্বকথাঃ ৩য় পর্যায়
১. Anagalis (অ্যানাগ্যালিস): (১) আনন্দে উৎফুল্ল, মুখে হাসি। (২) দেহের মধ্য হতে কাঁটা বের করার ক্ষমতা। (৩) জলাতঙ্ক, সর্পদংশনের বিষ নষ্ট করে।
২. Apocynum (অ্যাপোসাইনাম): (১) পর্যায়ক্রমে শোথ ও উদরাময়। (২) প্রস্রাবের অভাব, ঘর্মের অভাব। (৩) ঠান্ডা পানি সহ্য হয় না। শীতকাতর। (৪) প্রস্রাব, ঘর্ম ও ঋতুস্রাব বাধা প্রাপ্ত হয়ে শোথ, শোথ উদরাময়ে উপশম।
৩. Aurum Trip (অ্যারাম ট্রিপ): (১) নাক,মুখ বা ঠোঁট খুঁটিতে থাকা। (২) জ্বালা ও প্রদাহ। (৩) প্রস্রাব কম ও বন্ধ হওয়া।
৪. Baptisia (ব্যাপটিসিয়া): (১) রোগের দ্রুতগতি, সংজ্ঞাশূন্যতা ও দূর্বলতা। (২) দূর্গন্ধ। (৩) অস্থিরতা ও অঙ্গে বেদনা। (৪) কুকুর কুন্ডলীবৎ হয়ে থাকা।
ব্যাপটিসিয়া
৫. Baryta iod (ব্যারাইটা আয়োড): ১। গ্রন্থির কাঠিন্যতা, বিশেষতঃ টনসিল ও স্তন। ২। গন্ডমালা ধাতুদোষ ও দৈহিক খর্বতা। ৩। অন্ডকোষের পুরাতন স্ফীতি ও কাঠিন্যতা। ৪। লসিকা গ্রন্থির পীড়া।
৬. Baryta mur (ব্যারাইটা মিউর): ১। গ্ল্যান্ডগুলো আক্রান্ত হয়। বিবৃদ্ধি ও প্রদাহ। ২। প্রবল সঙ্গমেচ্ছার সাথে উম্মাদভাব। ৩। কানপাকা, ফোড়ার দুর্গন্ধ পূঁজ নিঃসারণ। ৪। বুদ্ধিবৃত্তির খর্বতা এবং ডানদিকে রোগাক্রমন।
৭. Berberis Vul (বার্বেরিস ভাল): (১) পাথরিজনিত যন্ত্রনা। (২) ব্যাথা কেন্দ্র স্থল থেকে চারিদিকে ছুটিয়া বেড়ায়। (৩) স্পর্শকাতরতা বা সঙ্গম সুখের অভাব। (৪) নাড়ী অত্যন্ত মন্দ গতি, অত্যধিক ভয়।
বার্বেরিস ভালগেরিস
৮. Bufo Rana (বিউফো রানা): (১) জ্বালা। (২) বুদ্ধিবৃত্তির খর্বতা। (৩) মৃগী রাতে বৃদ্ধি, নিদ্রায় বৃদ্ধি, গরমে বৃদ্ধি। (৪) হস্তমৈথুনের অদম্য ইচ্ছা।
৯. Cactus Grandi (ক্যাক্টাস গ্র্যান্ডি): (১) মনে হয় যেন হৃৎপিন্ডটি লোহার দড়ি দিয়ে খুব টান করে বাঁধা আছে। (২) রক্তস্রাব, সংকোচন, নির্দিষ্ট সময়ান্তর উপসর্গের প্রত্যাবর্তন। (৩) অতিদ্রুত রক্ত বিন্দু জমাট বেঁধে যায়। (৪) মাথার চাঁদির উপর একটি বোঝা রয়েছে এইরূপ অনুভুতি। রক্তসঞ্চয় জনিত শিরঃপীড়া।
১০. Calc-sulp (ক্যাল সালফ): (১) ফোড়া, ক্ষত বা প্রদাহযুক্ত স্থান হতে পুঁজ যা প্রচুর ঘন পুরু (গাঢ়) পীত বর্ণ, সবসময় রক্তের রেখা যুক্ত হয়। (২) সহজে পুঁজ না শুকালে, স্ফোটক এবং পুঁজোৎপাদনে ক্ষমতা প্রবল। (৩) খিটখিটে রাগী সহজেই বিরক্ত, লোকসঙ্গ ভাল লাগে না। অল্পতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। (৪) কৌশিক অর্বুদ ও গ্রন্থির স্ফীতিতে ইহার কার্য্য যথেষ্ট রয়েছে।
১১. Camphor-off (ক্যাম্ফর অফ): (১) দ্রুতগামী হিমাঙ্গ অবস্থা। (২) পর্যায়ক্রমে উত্তাপ ও শীত। (৩) পর্যায়ক্রমে উত্তেজনা ও অবসাদ। (৪) রাত্রে একাকী থাকতে ভীতি।
১২. Capsicum (ক্যাপ্সিকাম): (১) সকল স্থানে জ্বালা, জ্বালা উত্তাপে উপশম। (২) পানি পান মাত্র শীত ও কম্পন, খুব শীতার্ত ভিতরে জ্বালা।(৩) কাশি দিলে দেহের দূরবর্তী স্থানে ব্যথা হয়।
১৩. Caulophyllum (কলোফাইলাম): (১) প্রসব বেদনা ক্ষণস্থায়ী, অনিয়মিত ও কষ্টকর। (২) লোকিয়া স্রাব দীর্ঘকাল চলতে থাকে, জরায়ুর দুর্বলতার জন্য গর্ভপাতের উপক্রম। (৩) জরায়ু রোগের জন্য স্ত্রীলোকদের চামড়ায় কালো দাগ বা অন্য রঙের দাগ বিশেষত মুখে। (৪) ক্ষুদ্র গ্রন্থির বাত, প্রসবের পর ফুল পড়ে না।
১৪. Chamomilla (ক্যামোমিলা): (১) কোপন স্বভাব ও কলহ প্রিয়তা। (২) কোলে উঠে বেড়াতে চাওয়া। (৩) ক্রন্দনশীলতা, স্পর্শকাতরতা ও সহ্য শক্তির অভাব। (৪) একটি গাল লাল ও গরম, অপরটি ঠাণ্ডা ও ফ্যাকাসে।
১৫. Cholesterinum (কোলেষ্টেরিনাম): (১) যকৃত ক্যান্সার ও অত্যধিক রক্তসঞ্চয়। (২) জ্বালাযুক্ত বেদনা, বেদনায় রোগী এত কাতর হয়ে পড়ে যে দুই হাতে দুই পাশে চেপে ধরে। (৩) অক্ষিগোলকের স্বচ্ছ তন্তুময় বিধানে অস্বচ্ছতা। (৪) পান্ডুরোগ, পিত্তশিলা ও অর্বুদ।
১৬. Clematis erc (ক্লিমেটিস ইরেক্টা): (১) প্রস্রাব দ্বারের সংকীর্ণতা এবং থেমে থেমে প্রস্রাব। (২) গ্রন্থি বা গ্ল্যা- ফুলে পাথরের মত শক্ত হয়। (৩) রাতে বৃদ্ধি, শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি। (৪) রোগী একা থাকতে ভয় পায়। আবার লোকজনের নিকট যেতে ভয় ও আতঙ্ক হয়।
১৭. Cuprum Met (কুপ্রাম মেট): (১) আক্ষেপ, নিম্নাঙ্গে সুত্রপাত। (২) শীতার্ততা ও পরিবর্তনশীলতা। (৩) ঠান্ডা পানি পানে উপশম। (৪) বাঁধাপ্রাপ্ত উদ্ভেদ বা অবরুদ্ধ স্রাব।
১৮. Digitalis Pur (ডিজিটালিস পার): (১) দুর্বল, অনিয়মিত ও মন্দগতি নাড়ী। (২) যকৃত প্রদাহ ও ধূসর বর্ণের মল। (৩) পেটের মধ্যে শূণ্যবোধ ও শয়নে শ্বাসকষ্ট। (৪) মূত্রকষ্ট ও মুত্রস্বল্পতা।
১৯. Euphrasia off (ইউফ্রেসিয়া অফ): (১) ক্ষতকর অশ্রুস্রাব। (২) আলোকাতঙ্ক দিনের আলোকে বা সূর্য্যালোকে বৃদ্ধি পায়। (৩) কাশির সময় চক্ষু হতে জল পড়ে, শয়নে কাশি কমে। (৪) কষ্টকর ঋতুুস্রাব , স্রাব মাত্র একঘন্টা কালো অথচ একদিন বর্তমান থাকে, অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
২০. Ferrum-phos (ফেরাম ফস): (১) রক্তস্রাব প্রবণতা, যে কোন দ্বার হতে উজ্জ্বল রক্তস্রাব। (২) আহারকালে বমি, বমির পর প্রচন্ড ক্ষুধা, খেতে বাধ্য হয়। (৩) বেদনা হঠাৎ আসে, হঠাৎ যায় ও ভ্রমনশীল বেদনা। (৪) দক্ষিণ দিকে রোগাক্রমণ ও সকল কষ্ট ধীরে ধীরে সঞ্চালনে আরাম।
২১. Gelsemium (জেলসিমিয়াম): (১) পক্ষাঘাত সদৃশ্য দুর্বলতা বা ভারবোধ ও তন্দ্রাভাব। (২) অঙ্গ প্রত্যঙ্গর অসংযত ভাব কম্পন। (৩) উত্তেজনা, দুর্ভাবনা বা দূঃসংবাদ জনিত অসুস্থতা। (৪) তৃষ্ণাহীনতা ও শীতার্ততা।
২২. Helleborus Niger (হেলিবোরাস নাইজার): (১) সংজ্ঞাশূন্যতা বা আচ্ছন্নভাব। (২) অর্ধনিমীলিত চক্ষু ও অর্থহীন শূন্যদৃষ্টি। (৩) অঘোরে হাত পা বা মাথা নাড়তে থাকা বা হঠাৎ চীৎকার করে উঠা। (৪) মূত্রস্বল্পতা ও শোথ।
২৩. Hydrastis can (হাইড্রাষ্টিস ক্যান): (১) মুখে অরুচি, পেটে ক্ষুধা। (২্) গাড় চটচটে শ্লেষ্মাস্রাব। (৩) হরিদ্রা বর্ণ ও ন্যাবা। (৪) কোষ্টকাঠিন্য।
২৪. Hyoscyamus (হায়োসায়েমাস): (১) গোপন অঙ্গ খুলিয়া রাখে এবং স্পর্শ করে, অত্যন্তকামুক, অশ্লীল কথা বলে। (২) রাতে আক্ষেপকর কাশি, শয়নে বৃদ্ধি; গলায় চুলকানি মনে হয় যে আলজিহ্বা দীর্ঘ হয়েছে। (৩) অত্যধিক প্রফুল্লতা; প্রত্যেক বিষয় হাস্য পরায়ণ হবার প্রবণতা। (৪) তন্দ্রাচ্ছন্ন প্রলাপ। সন্ধিগ্ধতা ও জলাতঙ্ক, সংজ্ঞাশূন্যতা, আক্ষেপ ।
২৫. Justicia (জাষ্টিশিয়া): (১) অবিশ্রান্ত এবং ভয়ানক কাশি, শুষ্ক কাশি রাতে বাড়ে। গলার মধ্যে সাঁ সাঁ শব্দ। (২) স্বরভঙ্গ, বুকে যেন অনেক শ্লেষ্মা জমা আছে মনে হয়, কাশতে কাশতে সামান্য উঠে অথবা মোটেও উঠেনা। (৩) উত্তেজনাশীল, বাহ্যপ্রভাবে অনুভবাধিক্য, মস্তক উত্তপ্ততা, পূর্ণতা ও গুরুত্বানুভব। (৪) অত্যন্তহাঁচির সঙ্গে প্রচুর পরিমানে তরল শ্লেষ্মা নিঃসরণ।
২৬. Kali-mur (ক্যালি মিউর): (১) জিহ্বাটি পাংশু বা শ্বেত বর্ণ ময়লা দ্বারা আবৃত, জিহ্বায় ক্ষত, ক্ষতের বর্ণ সাদা। (২) মৃগী রোগ কোন চর্মরোগের সঙ্গে বা কোন চর্মরোগ যেমন একজিমা প্রভৃতি চাপা পড়ে মৃগী রোগ হলে। (৩) যদি পাকস্থলীর বিশৃংখলা হেতু হাঁপানী হয়, কাশির সময় চক্ষু বের হয়ে পড়ে। (৪) টনসিল স্ফীততা, উহার আকার এত বর্ধিত হয় যে শ্বাসে প্রতিবন্ধকতা জম্মে। গলার অভ্যন্তরে ও টনসিলে ধূসরাভ দাগ। (৫) ছোট ছোট সাদা সূতার মত ক্রিমি অথবা ঐ প্রকার ক্রিমির জন্য মলদ্বার চুলকায়। (৬) অল্পরজঃ, কষ্টরজঃ, শ্বেতপ্রদর ও জরায়ু প্রদাহ।
২৭. Kali-phos (ক্যালি ফস): (১) স্নায়বিক দৌবল্য ইহার মর্মকথা, স্নায়ুর অবসাদ ও দূর্বলতার জন্য মাথা ব্যথা, স্নায়ু প্রধান ব্যক্তিদের ও অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম কারীদের মাথার যন্ত্রণায় এবং ছাত্র, ছাত্রী, উকিল, ডাক্তার, ব্যবসায়ী প্রভৃত বিষয়ক ব্যক্তিদের পীড়া। (২) চিত্তোম্মাদ, সূতিকাম্মাদ, পাগলামি প্রভৃতি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ঔষধ। উম্মাদ রোগী কখন হাসে, কখন কাঁদে, আবার কখন অত্যন্তবিষন্ন হয়ে পড়ে। (৩) ইহা সুপ্রসবের খুব ভাল ঔষধ বলে খ্যাত। অপ্রকৃত প্রসব বেদনায় ইহা সেবন করলে জরায়ুর বল বৃদ্ধি হয়, সুপ্রসব হয়ে থাকে। (৪) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা অন্য কোন কারণে অধিক বীর্যক্ষয় জনিত স্নায়ুবিক দুর্বলতা। সঙ্গমের পর অবসন্ন ও ক্লান্ত।
২৮. Kali-sulp (ক্যালি সালফ): (১) হলদে রঙের অনুত্তেজক স্রাব। যন্ত্রণা নানা স্থানে ঘুরে বেড়ায়, পঁচনশীল বাত। (২) রোগী অতি সহজে ক্রুদ্ধ হয়, মেজাজ ভয়ানক খিটখিটে, বড়ই একগুয়ে। পরিশ্রম বা লোকসঙ্গ মোটেও পছন্দকরে না, মানসিক অবস্থা বড়ই পরিবর্তনশীল। (৩) বিছানা ছাড়লে ও দাঁড়ালে মাথা ঘুরতে থাকে। কোন উজ্জ্বল জিনিষের প্রতি
তাকিয়ে থাকলে মাথা ঘুরে। মাথার যন্ত্রণা সন্ধ্যাবেলা,বদ্ধঘরে এবং উত্তাপে বাড়ে।শীতল বাতাসে ও মধ্যরাতের পর যন্ত্রণা উপশম। (৪) প্রমেহ রোগের হরিদ্রাবর্ণ বা পিচ্ছিল স্রাব এবং পূঁজের ন্যায় স্রাবযুক্ত পুরাতন প্রমেহ বা গ্লীট রোগ।
২৯. Lac-can (ল্যাক ক্যান): (১) রোগ লক্ষনের দিক পরিবর্তন। (২) স্মৃতি শক্তির দূর্বলতা, বিচার বুদ্ধির দূর্বলতা, স্নায়বিক দূর্বলতা। (৩) ঋতুকালে গলায় ব্যাথা, স্তনে ব্যাথা বা কাশি। (৪) পেটের মধ্যে শুন্যবোধ বা ক্ষুধার অতিশয্য।
৩০. Lac-Deflor (ল্যাক ডিফ্লোর): (১) দুধ খেতে অনিচ্ছা ও জীবনে বিতৃষ্ণা। (২) মাথা ব্যাথা ও কোষ্টবদ্ধতা। (৩) শীতার্ত ও স্থুলকায়। (৪) শোথ ও বহুমূত্র।
৩১. Melandrinum (মেলেন্ড্রিনাম): (১) বসন্ত ও হামের প্রতিষেধক। (২) টিকাজনিত কুফল, চোখে ও জিহ্বার মধ্যস্থলে লাল রেখা। । (৩) নখ ক্ষতযুক্ত, শ্বাস-প্রশ্বাস দুর্গন্ধযুক্ত ও পিপাসাহীনতা। (৪) কানে পুঁজ ও ছেলেদের মাথায় একজিমা ।
৩২. Merc-cor (মার্ক-কর): (১) আমাশয়ে রক্ত, কুন্থন ও পেট বেদনা, পেটের যন্ত্রণা অত্যধিক বাহ্যের পূর্বে, সময় ও পরে কুন্থন ইহার শ্রেষ্ঠ লক্ষণ। (২) মূত্রনালীর মুখ লাল, ফোলা, লিঙ্গমুন্ড গরম ও টাটায়। গাঢ় সবুজ স্রাব মূত্রনালীতে অত্যন্ত জ্বালা, প্রস্রাব গরম, অল্প ও ফোঁটা ফোঁটা রক্তময় বা রক্তপ্রস্রাব। (৩) গলার মধ্যে প্রদাহ, যন্ত্রণা, লাল ফোলা। আলজিব ফোলা, গিলতে কষ্ট হয়। গলায় চাপ সহ্য হয় না। গ্ল্যান্ড বড় শক্ত হয়। (৪) রাত্রে, শরৎকালে, গ্রীষ্মকালে, নড়াচড়ায়, মে মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত, টক দ্রব্য, সন্ধ্যাকালে, রতিক্রিয়ায়, বিকাল ৪টা হতে রাত ১০টার মধ্যে বৃদ্ধি। বিশ্রামে ও দিনে হ্রাস।
৩৩. Natrum-Mur (নেট্রাম মিউর): (১) বির্মষ, বিষন্নভাব, শান্তনায় বৃদ্ধি। (২) রৌদ্রে বৃদ্ধি এবং শীতল স্থানে উপশম। (৩) তিক্ত ও লবণ প্রিয়তা। (৪) প্রকাশ্য স্থানে প্রস্রাব করতে লজ্জাবোধ।
৩৪. Natrum-phos (নেট্রাম-ফস): (১) অম্লরোগ, টক ঢেকুর, টক স্বাদ ও টক বমি। (২) অতিরিক্ত শুক্রক্ষয়ের জন্য অজীর্ণ, বিনে স্বপ্নে রেতঃপাত, কোমরে অত্যন্ত দুর্বলতা, হাত পায়ে কম্পন, হাঁটুর দুর্বলতা। (৩) চক্ষু হতে হলুদ বর্ণের সরের ন্যায় পুঁজ বাহির হয়। (৪) স্ত্রীলোক বন্ধ্যা, যোনি হতে যে স্রাব বের হয় তাহা টকগন্ধ।
৩৪. Natrum-sulp (নেট্রাম সালফ): (১) জল, জলাভূমি ও জলীয় খাদ্যে বৃদ্ধি । (২) বিরক্ত,বিষন্নভাব ও আত্মহত্যার ইচ্ছা । (৩) প্রাতঃকালিন মলত্যাগ এবং মলত্যাগকালে প্রচুর বায়ু নিঃসরণ।(৪) নখ পঁচিয়া যাওয়া ।
৩৫. Sangunaria-can (স্যাঙ্গুইনেরিয়া ক্যান): (১) শরীরের দক্ষিণ দিকে রোগাক্রমণ, ডান দিকে শিরঃপীড়া। (২) উদরাময়ে উপশম। ইনফ্লুয়েঞ্জা সংশ্লিষ্ট কাশি, যক্ষ্মারোগ। (৩) গন্ডদেশে চক্রাকার রক্তিমাভা । (৪) নাকের মধ্যে পঁচনশীল ক্ষত, তৎসহ প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধময় হলদেটে স্রাব।
৩৬. Sarsaparilla (সার্সাপ্যারিলা): (১) সিফিলিস, সাইকোসিস বা পারদের অপব্যবহারজনিত দেহের শীর্ণতা বা ক্ষয়দোষ। (২) প্র¯্রাবের আগে বা পরে যন্ত্রণা। (৩) নাদাঁড়াইলে প্র¯্রাব হা না (কোনিয়াম)। (৪) ডান কিডনিতে পাথরী এবং দুর্গন্ধ জননেন্দ্রিয়।
৩৭.সেনেগা অফ (Senega off): (১) কাশতে কাশতে হাঁচি হয়, হাঁচি হয়ে কাশি বন্ধ হয়। বক্ষঃস্থলে শ্লেষ্মা ঘড় ঘড় করে। (২) শ্লেষ্মা সহ বক্ষঃস্থলে বেদনা থাকে। শ্লেষ্মা উত্তোলনে কষ্ট হয়। প্রচুর শ্লেষ্মা হয়। (৩) বক্ষঃস্থলে ক্ষুদ্র স্থানে জ্বালা ও সূঁচ ফোঁটানো ব্যথা হয়। (৪) ঝগড়াটে, অক্ষিপুট প্রদাহ অক্ষিপুট শুষ্ক এবং মামড়ি যুক্ত।
৩৮. Spongia Tosta (স্পঞ্জিয়া টোস্টা): (১) শ্বাসকষ্ট ও বুক ধড়ফড়ানি। (২) বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ। (৩) নিদ্রাকালে বৃদ্ধি। (৪) ঠান্ডা ও মুক্ত বাতাস পছন্দ, গরম খেলে কাশি কম পড়ে, প্রবল ক্ষুধা।
৩৮. Stramonium (স্ট্রামোনিয়াম): (১) প্রচন্ড প্রলাপ। (২) পর্যায়ক্রমে ধর্মভাব ও কামোম্মত্ততা। (৩) বাঁচালতা ও জলাতঙ্ক। (৪) আলোক ও সঙ্গী চায় কিন্তু রোগ যন্ত্রণার কোন অভিযোগ করে না।
৩৯. Symphytum off (সিম্ফাইটাম অফ): (১) চক্ষু গোলকের উপর আঘাত লাগলে পেশী বা শিরার আঘাত।(২) হাড় ভেঙ্গে গেলে বা মচকিয়ে গেলে। অস্থির ক্যান্সার।(৩) সূঁচ ফোটান মত ব্যথা। (৪) মস্তকের পশ্চাৎদিকে, মস্তকের উপরে এবং ললাটে বেদনা।
৪০. Stannum met (ষ্ট্যানাম মেট ): (১) বুকের মধ্যে শূন্যবোধ বা দুর্বলতা। (২) বিষন্নতা ও ক্রন্দনশীলতা। (৩) ব্যাথা ধরে ধীরে বৃদ্ধি, ধীরে ধীরে কমে আসে, চাপিয়া ধরিলে উপশম। (৪) বামপাশে চাপিয়া শুইলে উপশম।
৪১. Syzygium Jamb (সিজিজিয়াম জাম্ব): (১) শর্করাযুক্ত বহুমূত্রে, চর্মের উপর পুরাতন ক্ষত। (২) প্রবল পিপাসা, দুর্বলতা, শীর্ণতা, অধিক পরিমানে বার বার প্রস্রাব ত্যাগ। (৩) প্রস্রাবের পরিমাণ অত্যধিক, আপেক্ষিক গুরুত্বের মাত্রা উচ্চ।
৪২. Teucrium mar (টিউক্রিয়াম ম্যার): (১) গুহ্যদ্বারে চুলকানি কেঁচো ক্রিমি এবং সূত্রবৎ ক্রিমি তৎসহ রাতে অস্থিরতা। (২) শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির উপর কোমল মাংসাঙ্কুর সমূহ। (৩) নাসারন্দ্রের পঁচা ঘা। আঘ্রাণ শক্তির অভাব। (৪) নাসারন্দ্রে সুড়সুড় করে।
৪৩. Urtica urens (আটিকা ইউরেন্স): (১) প্রসূতিদিগের দুধের অভাবে আর্টিকা ইউরেন্স সেবন করতে দিলে স্তনে দুধ হয়ে থাকে। (২) পর্যায়ক্রমে আমবাত ও বাতের বেদনা দেখা দেয়। ইহার সমস্ত উদ্ভেদ ঘুমালে কমে যায়, আবার ঘুমের পর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। (৩) স্ত্রীজননেন্দ্রিয় হতে প্রচুর রক্তস্রাব, পর্যায়ক্রমে রক্তস্রাব ও প্রদরস্রাব, স্রাব যেখানে লাগে সে স্থান হেজে যায়। (৪) আগুনে পুড়ে গেলে অথবা গরম জল, তেল, ঘি ইত্যাদি পড়ে ফোস্কা হলে।
৪৪. Ustilago Maydis (অ্যাস্টিল্যাগো মেডিস): (১) জরায়ুর যে কোন রক্তস্রাব রক্ত উজ্জ্বল লাল বর্ণের, কখন বা ঘোর লাল ও চাপ চাপ। (২) যে সকল রমণীর প্রায় গর্ভপাত হয় তাহাদের ঔষধ। (৩) পুরুষদের হস্তমৈথুনের অদম্য ইচ্ছা, অশ্লীল স্বপ্নদর্শন, স্বপ্নদোষ, মানসিক অস্থিরতা, অন্ডকোষ উগ্র বেদনা ও স্ফীতি, কোমরে বেদনা। (৪) নানা প্রকার চর্মপীড়া, চুলকানী মাথায় ও শরীরে একজিমা বা কাউর ঘা, মাথায় টাকপড়া, চুল ও নখ উঠে যাওয়া।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নিজস্বকথাঃ ৪র্থ পর্যায়
১. Abrotanum (অ্যাব্রোটেনাম): (১) পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রোগ বা রোগের রূপান্তর। (২) উদরাময়ে উপশম। (৩) ক্ষয়দোষ বা প্রবল ক্ষুধা সত্ত্বেও দেহ শুকাইয়া যায়। (৪) বাচালতা।
২. Acid Acetic (এসিড অ্যাসেটিক): (১) প্রচুর প্রস্রাব,প্রবল পিপাসা ও অরুচি। (২) দারুণ দূর্বলতা ও শ্বাসকষ্ট। (৩) জ্বরে পিপাসা নাই কিন্তু অন্য রোগের সাথে প্রবল পিপাসা।
৩. Acid Picric (এসিড পিকরিক): (১) অতিশয় ¯œায়ু দুর্বলতা। (২) সর্বদা মনমরা, শুয়ে থাকার ইচ্ছা, উদাসীনতা। (৩) চোখে অন্ধকার দেখা, পায়ে ভারবোধ, কোমরে বেদনা ও পায়ে ফোলা অনুভব। (৪) প্রস্রাবে ইউরিক এসিড, এলবুমেন ও সুগার এবং ক্রমশ দুর্বলতা।
৪. Acid-Sulp (এসিড সালফ): (১) কম্পন আভ্যন্তরীন, বাইরে দেখা যায় না । (২) কালো বর্ণের রক্তস্রাব। (৩) মস্তিষ্কে আঘাত লাগার ফলে সর্বাঙ্গ হিমশীতল ও ঘর্মাক্ত । (৪) অত্যন্ত ব্যস্তবাগীশ, বিষন্ন, ক্রন্দনশীল। (৫) সমুদয় রক্তপ্রদেশ হতে রক্তস্রাব।
৫. Ammon Carb (অ্যামোন কার্ব): (১) শ্বাসকষ্ট ও হৃদপিন্ডের দূর্বলতা (২) সকালে নাক দিয়ে রক্তপড়া। (৩) রাতে নাক বন্ধ। (৪) ঋতুকালে ভেদবমি।
৬. Ammon Mur (অ্যামোন মিউর): (১) স্থুলকায় ব্যক্তি অথচ হাত পা শীর্ণ। (২) সর্দি সাধারণত তরল ও ঘড়গড়ে। (৩) নাভিমূলে বেদনা, পরিবর্তনশীল মল, মলত্যাগের পরও কুন্থন। (৪) ঋতুকালে উদরাময়।
৭. Arsenic-Iod (আর্সেনিক আয়োড): (১) সর্বপ্রকার স্রাব রুক্ষ্ম। যেখানে লাগে সে স্থান হেজে যায়। স্রাবে দুর্গন্ধ।(২) গরমকাতর। সে ঠান্ডা ভালবাসে কিন্তু সহ্য হয় না।(৩) ক্ষুধার সময় খেতে না পেলে বৃদ্ধি। আহারে উপশম।(৪) অত্যন্ত চঞ্চল ও ব্যস্তবাগীশ। যক্ষ্মা ও ক্যান্সারের পরিণত অবস্থা।(৫) নাসিকার সর্দিস্রাব। নতুন ও পুরাতন সেই সঙ্গে অনবরত হাঁচি।
৮. Argent-Met (আর্জেন্ট মেট): (১) বুকের মধ্যে দারুন দুর্বলতা। (২) স্বরভঙ্গ দোষ। (৩) বাম ডিম্বকোষের ব্যথা ও জরায়ুর শিথিলতা। (৪) অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় বা মানসিক পরিশ্রমবশত স্নায়বিক দূর্বলতা।
৯. Bismuthum Oxi (বিসমাথ): (১) একা থাকতে পারে না। (২) রোগী অত্যন্ত অস্থির প্রকৃতির, উঠে, বসে, শয়ন করে। (৩) খাদ্যদ্রব্য পাকস্থলীতে কিছুক্ষণ থাকে কিন্তু পানি পাকস্থলীতে স্পর্শ মাত্র বমন হয়ে যায়। (৪) চেহারা ফ্যাকাসে। পাকস্থলীতে একটি স্থানে যেন ভারি জিনিস চাপা রাখা হয়েছে এবং তার সঙ্গে জ্বালা ও খিলধরা যন্ত্রণা। (৫) প্রতি শীতকালে শিরঃপীড়া, দাঁত ব্যথা শীতল পানিতে উপশম হয়।
১০. Bovista (বোভিষ্টা): (১) সব জিনিস হাত হতে পড়ে যায়, তোতলায়। (২) রক্তস্রাব অত্যধিক, রাতে প্রকাশ পায়, দিনে থাকে না। (৩) বগলে ঘাম, তাহাতে পেয়াঁজের গন্ধ। (৪) ঋতুস্রাব বন্ধ হবার পর ও রোগিনীর ৪/৭ দিন অন্তর রক্তস্রাব হয়, রক্তজমাট ও অত্যন্ত লালবর্ণের।
১১. Cocculus Indica (ককুলাস ইন্ডিকা): (১) ঘোড়ার গাড়ী, নৌকা বা রেলগাড়ীতে চড়লে গা বমিবমি করে। চলন্তদ্রব্য দেখলে গা বমি বমি করে। (২) অবিবাহিতা, সন্তানহীনা, অল্পকেশযুক্তা রমণীদের পীড়ায়, যে সকল রমণী রাত দিন বই পড়ে উৎকন্ঠার সাথে। (৩) প্রতিবাদ সহ্য করতে পারেনা, সামান্য কারণেই রাগাম্বিত হয়ে পড়ে। সে মনে করে তার সময় অতি শীঘ্র শীঘ্র অতিবাহিত হয়ে যাচেছ। (৪) রাত্রি জাগরণে অসুস্থ্যতা, রাগ ও দুঃখের পর তড়কা, পৃষ্ঠবংশীয় মজ্জা আক্রান্তহয়ে কটিদেশে পক্ষাঘাত।
১২. Coffea Cruda (কফিয়া ক্রুডা): (১) রোগী আমোদ আহলাদে মগ্নভাব, সহজে অনুভূতি ও উপলব্দি, উত্তেজনা ও উদ্দীপনা, ইন্দ্রিয়নিচয়ের তীক্ষ্ণতা। (২) দন্তবেদনা, মুখের মধ্যে বরফজল রাখলে সাময়িক উপশম। (৩) জাগ্রত নিদ্রা, নিরন্তণ স্থান পরিবর্তনশীল, রাত ৩টা পর্যন্ত নিদ্রা যায়। স্বপ্ন দেখে নিদ্রা ব্যাহত হয়। মানসিক কার্যতৎপরতা হেতু অনিদ্রা। (৪) ঋতুস্রাব অতিশীঘ্র আরম্ভ হয় এবং দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়। যোনিকপাট ও যোনিপথ অত্যধিকমাত্রা স্পর্শসহিষ্ণু। কামোদ্দীপক চুলকানি।
১৩. Colchicum Autu (কলচিকাম অটা): (১) খাদ্য দ্রব্যে অভক্তি। (২) মূত্রস্বল্পতা বা মূত্ররোধ। (৩) ভ্রমণশীল বেদনা। (৪) পেটের মধ্যে অতিরিক্ত বায়ু সঞ্চয়।
১৪. Croton-tig (ক্রোটন টিগ): (১) তীরের মত ছুটে মল নির্গমন। (২) পর্যায় ক্রমে চর্মরোগ ও উদরাময় বা কাশি। (৩) আকর্ষণবৎ বেদনা।
১৫. Chlorum (ক্লোরাম): (১) স্বরযন্ত্রের আক্ষেপহেতু আকস্মিক শ্বাস কৃচ্ছতা, নিদ্রার উপক্রমে বৃদ্ধি। (২) স্মৃতি শক্তির দুর্বলতা, বিশেষতঃ নাম মনে রাখা সর্ম্পকে। (৩) হাঁপানিতে তীব্র স্বরযন্ত্রের আক্ষেপ কমিয়ে দেয়। (৪) শ্বাসগ্রহণ অবাধে হয়, কিন্তু নিঃশ্বাস ত্যাগ বাধাপ্রাপ্ত।
১৬. Cicuta Virosa (সিকুটা ভিরোসা): (১) আক্ষেপ,মাথা ও মুখমন্ডলে সুত্রপাত। (২) বুদ্ধি বা বিচার শক্তির অভাব। (৩) সশব্দে হিক্কা। (৪) চুলকানি বিহীন চর্মরোগ বা ক্ষত, স্পর্শ বা তামাক অসহ্য।
১৭. Cistas Can (সিস্টাস ক্যান): (১) গন্ডমালার সহিত উদরাময়। (২) শীতকালে বা ঠান্ডা জলে আঙুল ফাটিয়া যায়। (৩) ক্ষুধার সময় না খাইলে মাথাব্যথা (লাইকো, ফস)। (৪) টক খাওয়ার ইচ্ছা কিন্তু তাতে উদরাময়।
১৮. Crotalus-hor (ক্রোটেলাস হর): (১) রক্তস্রাব প্রবল, ঋতুস্রাব অধিক, কালো, রক্ত জমাট বাধে না, পঁচনশীলতা। (২) অক্ষিগোলকে রক্তস্রাব হলে ইহা প্রয়োগে শোষণ করে নেয়। চোখে আলো অসহ্য। (৩) ডান দিকে ভাল কাজ করে। ডানের পক্ষাঘাত, ডান কান বন্ধ। (৪) খাদ্য বমি, পিত্তবমন, রক্ত বমন, ইষৎ পীতবর্ণ চর্ম।
১৯. Ferrum Met (ফেরাম মেট): (১) রক্তহীনতা জনিত ফ্যাকাশে চেহারা। (২) রক্তস্রাবের প্রবণতা। (৩) বিশ্রামে বৃদ্ধি। (৪) বমনেচ্ছা ব্যতিরেকে বমি।
২০. Ferrum-mur (ফেরাম মিউর): (১) যৌবনাগমণে প্রভূত মূত্র অথবা শুক্রস্রাবের প্রবণতা। (২) মলিন সংযত রক্ত বিশিষ্ট ফুসফুসের রক্তস্রাব। (৩) দক্ষিণষ্কন্ধে বেদনা। (৪) রক্তহীনতা।
২১. Glonoine (গ্লোনইন): (১) মস্তকের রক্তাধিক্যতা বশতঃ ভীষণ দপদপানি যন্ত্রণা। (২) মুখমন্ডল অগ্নিবৎ উজ্জল লালবর্ণ হয়। (৩) রৌদ্রে বা গ্যাসের আলোয় কাজ করবার ফলে মাথাব্যথা। ঋতুস্রাব অবরুদ্ধ কিম্বা বিলম্ব বশতঃ শিরঃপীড়া। (৪) মস্তক অত্যন্তবৃহৎ বলে মনে হয়। (৫) মাথা ব্যথা সূর্যোদয় হতে আরম্ভ হয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্তস্থায়ী হয়।
২২. Jalafa (জেলাপা): (১) শিশু সমস্ত দিন শান্ত থাকে কিন্তু রাত আরম্ভেই চিৎকার করতে আরম্ভ করে এবং যন্ত্রণায় ছটফট করে।(২) শিশুর মল হতে অত্যন্তটক গন্ধ বাহির হয়।(৩) গাত্র-তাপের হ্রাস ও দুর্বল নাড়ী সহকারে কয়েকবার জলবৎ, অনেক সময় রক্তাক্ত অধিক মল নিঃসরণ।(৪) পেটের ভিতর কেটে ফেলারমত ব্যথা।
২৩. Kali-Carb (কেলি কার্ব): (১) দেহের স্থুলতা ও শেষরাতে রোগের বৃদ্ধি। (২) দূর্বলতা, শীতার্ততা ও স্পর্শকাতরতা। (৩) চোখের উপর পাতা ফোলা বা শোথ এবং ঘর্ম। (৪) কটি ব্যাথা বা কোমরে ব্যাথা।
২৪. Kali-iod (ক্যালি আয়োড): (১) রোগী মুক্ত হাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে, মুক্ত বাতাস চায় কিন্তু গরম খাদ্য ও পানীয় পছন্দ করে। (২) রোগীর থাইরয়েড গ্রন্থি দ্রুত বর্ধিত ও স্ফীত হয়, উহাতে বেদনা ও স্পর্শ কাতরতা থাকে। গলার ভিতর উপদংশ দুষ্ট ক্ষত হয়। (৩) রোগী অত্যন্তবাকপটু, রহস্য প্রিয় কিন্তু অতিশয় বদরাগী, নিষ্ঠুর ও গোয়ার। (৪) শরীরের নানা স্থানে শক্ত, শরীর গরম, গ্ল্যান্ড বড় শক্ত।
২৫. Mag Carb (ম্যাগ কার্ব): (১) অম্ল ও অজীর্ন দোষ। (২) গোশত খাইবার অদম্য ইচ্ছা। (৩) ঋতুর পূর্বে গলক্ষত, গর্ভাবস্থায় দন্তশূল। (৪) শয্যাত্যাগে অতিরিক্ত দুর্বলতাবোধ।
২৬. Manganum Acet (ম্যাঙ্গেনাম এসেট): (১) কাশি ও স্বরভঙ্গ অন্যান্য অবস্থায় বাড়ে এবং শয়নে কমে, ভিজা ঠান্ডা হাওয়ায় স্বরভঙ্গ আরম্ভ, কাশি রোগ সন্ধ্যাকালে আরম্ভ হয়, স্বরভঙ্গ। (২) সামনে ঝুকে চলে, শরীরের যেখানে হাত দেয় সেখানে টাটানি বেদনা।(৩) হাঁপানী রোগী পালকের বালিসে শুতে পারেনা।(৪) গোড়ালীর বাত, স্পর্শকাতরতা বেদনা সন্ধি হতে অন্য সন্ধিতে বিস্তৃত হয়, পক্ষাঘাত নিম্নাঙ্গ হতে উপর অঙ্গে সঞ্চালিত হয়। (৫) মাসিক স্রাব বন্ধ হয়ে রোগিনীর দেহে নানারূপ চর্মরোগ প্রকাশ পায়।
২৭. Natrum-carb (নেট্রাম কার্ব): (১) স্নায়বিক দূর্বলতা বা মানসিক অবসাদ। (২) দুধে বৃদ্ধি। (৩) প্র্স্রাবে দূর্গন্ধ,পায়ের গোড়ালির দূর্বলতা। (৪) আহারে উপশম।
২৮. Nux- moschata (নাক্স মস্কাটা): (১) নিদ্রালুতা বা তন্দ্রাচ্ছন্নতা। (২) মুখ অত্যান্ত শুকাইয়া যায় কিন্তু পিপাসা নাই। (৩) পেটে অতিরিক্ত বায়ু, সামান্য বেশি খাইলেই মাথাব্যথা। (৪) ঋতুর পরিবর্তে লিউকোরিয়া, গর্ভাবস্থায় কাশি।
২৯. Platinum Met (প্ল্যাটিনাম মেট): (১) অত্যন্ত গর্বিত, অত্যন্ত অহংকারিণী, অভিমানী, জাকজমক দেখাতে ভালবাসে। (২) জননেন্দ্রিয়ের অস্বাভাবিক উত্তেজনা, যোনিদ্বারে নিরতিশয় স্পর্শকাতরতা। (৩) নরম মল ও সহজে নির্গত হতে চায় না। (৪) কামেচ্ছা অতিশয় প্রবল কিন্তু স্বামী সহবাসের সময় জননেন্দ্রিয়ে বেদনা অনুভব করে।
৩০. Plumbum met (প্লাম্বাম মেট): (১) নাভিমুলে বা তলপেটে আকর্ষনবৎ ব্যাথা। (২) মাঢ়ীপ্রান্তে নীল বর্ণের রেখা। (৩) পক্ষাঘাত বা পক্ষাঘাত সদৃশ দূর্বলতা। (৪) পরিবর্তনশীলতা।
৩১. Pyrogen (পাইরোজেন): (১) দ্রুততর নাড়ী বা নাড়ী ও গাত্রতাপের মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাব। (২) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা ও শীত, সঙ্গে অস্থিরতা। (৩) বাচালতা ও শীতার্ততা। (৪) দুর্গন্ধ ও জ্বালা, সেপটিক অবস্থা বা রক্তদুষ্টি।
৩২. Rhododendron (রডোডেন্ড্রন): (১) বিশ্রামে ও ঝড়বৃষ্টির আগমনে বেদনা বৃদ্ধি। (২) বাতজনিত ও গণোরিয়া জনিত একশিরা বা অন্ডকোষ প্রদাহ বাম দিকের অন্ডকোষে।(৩) স্থান পরিবর্তনশীল বেদনা, বেদনার জন্য অঙ্গপ্রতঙ্গ স্থির রাখা যায় না এবং সঞ্চালন করা মাত্র তৎক্ষনাৎ বেদনার উপশমবোধ হয়, গ্রীষ্মকালে বৃদ্ধি। (৪) পা দুটো একটির উপর আর একটি না রেখে নিদ্রা যেতে পারে না। শয্যায় শয়ন করে অঙ্গপ্রতঙ্গ উপরের দিকে টেনে তুললে উপশম।
৩৩. Sabadilla off (স্যাবাডিলা অফ): (১) কৃমিজনিত উপসর্গ। (২) বামদিকে অধিক আক্রমণ। শীতকাতুরে। (৩) প্রতি চতুর্থ দিনে ও অমাবস্যায় এবং পূর্ণিমায় বৃদ্ধি। (৪) স্ত্রীলোক মনে করে সে গর্ভবর্তী হয়েছে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে পেটে বায়ুজমা। (৫) নখ শক্ত ও বিকৃত।
৩৪. Sanicula (স্যানিকিউলা): (১) নিম্নগতিতে আতঙ্ক বা পড়ে যাবার ভয়। (২)পরিবর্তনশীলতা। (৩) মাথায় ও পায়ের তলায় প্রচুর ঘর্ম। (৪) রোগী অত্যন্তগরমকাতর এবং লবণ প্রিয় হয়।
৩৫. Salphur Iod (সালফার আয়োড): (১) ক্ষৌরকর্মজনিত উদ্ভেদ বা চর্মরোগ। (২) রসযুক্ত একজিমা (নেট-সাল, মেজে)। (৩) টনসিলের বিবৃদ্ধি, কর্ণমূল প্রদাহ। (৪) বয়োব্রণ।
৩৬. Tabacum (ট্যাবেকাম): (১) তামাক খাবার আকাঙ্খা বিনষ্ট করে। নাড়ি অনিয়মিত সবিরাম দুর্বল লুপ্তপ্রায়।(২) অবিরাম বমি ও গা বমি বমি তৎসঙ্গে ঘাম, বমি করে মৃতবৎ হয়।(৩) প্রলাপ বকা, সবিরাম নাড়ী , কলেরায় সমস্ত শরীর ঠান্ডা কিন্তু পেটটি গরম থাকে।(৪) গন্ডস্থল এবং শরীরের পশ্চাদ্দেশ শুষ্ক হয়ে যায়, পেশী মন্ডলের সম্পূর্ণ অবসাদ।
৩৭. Tarentula His (ট্যারেন্টুলা হিস): (১) রোগিনী বড় কামাতুরা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করে, সঙ্গমের পর ও আকাঙ্খা নিবৃত্তি হয় না, উম্মাদ হয়ে উঠে এবং মাথা চাপড়ায় ও চুল ছিড়তে থাকে। (২) অস্থিরতা, নড়াচড়া করলে রোগের বৃদ্ধি, তথাপি রোগী না নড়ে থাকতে পারে না, মাংশপেশী সকল অনবরত নৃত্য করে। (৩) রক্ত বিষাক্ততা লক্ষণ, সর্বাঙ্গে চুলকানীর জন্য নিদ্রাহীনতা, অজ্ঞানতার মত চুলকানির। (৪) কৃত্রিম মৈথুনাদির পর প্রতিনিয়ত শুক্রপাত হয়ে বুদ্ধিভ্রংশ হয়। (৫) রোগিনী কাহার ও সাথে কথা বলে না। কেহ কথা বলতে আসলে রেগে নিজেকে এবং অন্যকে আঘাত করতে চায়।
৩৮. Variolinum (ভ্যারিওলিনাম): (১) বসন্ত রোগে আক্রমণ করবে এইরূপ ভয় হয়। বসন্তের সকল অবস্থায় ব্যবহার করা যায়।(২) টিকার কুফলে নানাবিধ অবস্থায় ব্যবহৃত হয়।(৩) জ্বর প্রবল সাথে অসহ্য মাথা ব্যথা এর সঙ্গে বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে যায়, শীতসহ।(৪) কটিদেশে ভীষণ যন্ত্রণা হয় এবং পদদ্বয় কন কন করতে থাকে। মুখ হতে অত্যন্ত দুর্গন্ধ বের হয়।
৩৯. Verbascum or Mulanoil (ভার্ব্যাসকাম বা মূলেনঅয়েল): (১) কর্ণশূল, তৎসহ অবরুদ্ধ অবস্থার অনুভূতি, কানের ভিতর শুষ্ক, বধিরতা।(২) স্বরভঙ্গ,স্বরযন্ত্র পথে ইহা খুব কার্য্যকর।(৩) ইহার কাশের ধরন ঢং ঢং কর শব্দ হয়।(৪) মলদ্বারে বা অর্শে অত্যন্তচুলকানি।
৪০. X-Ray (এক্স-রে): (১) শুষ্ক এবং চুলকানী যুক্ত একজিমা চর্ম শুষ্ক কুঞ্চিত বেদনাদায়ক ফাঁটাসমূহ (সোরিয্যাসিস)। (২) জিহ্বা শুষ্ক খসখসে স্পর্শকাতর।(৩) ওভারি শুকিয়ে যায়, স্ত্রীলোকের বন্ধ্যাত্ব।(৪) অশ্লীল স্বপ্ন, সম্ভোগ লিপ্সার অভাব ,এই ঔষধ বিলুপ্ত প্রমেহ পুনঃ প্রকাশিত হয়।
0 Comments: