করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ৪ টি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হাতের কাছে রাখবেন।
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জরুরি ৪ টি হোমিও ঔষধের নাম (সাথে প্রধান প্রধান লক্ষণসহ) দেওয়া হলো যেগুলো কিনে এনে ঘরে জমা করে রাখা উচিত। তাহলে প্রয়োজনের সময় রাত-বিরাতে ডাক্তার আর ঔষধ কেনার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না ।
1. Bryonia alba 200 : ব্রায়োনিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর ঠোট-জিহ্বা-গলা শুকিয়ে থাকে প্রচুর পানি পিপাসা থাকে, রোগী অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে, জিহ্বায় বাদামী বর্নের প্রলেপ, নড়াচড়া করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, রোগীর মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে, কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয় অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়, শিশুদের কোলে নিলে তারা বিরক্ত হয়, মুখে সবকিছু তিতা লাগে, । ব্রায়োনিয়া ঔষধটি নিউমোনিয়ার জন্য আল্লাহ্র একটি বিরাট রহমত স্বরূপ। ভারত এবং বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে করোনা ভাইরাসে ব্রায়োনিয়া বেশি কার্যকরী বলে প্রমানিত হয়েছে।
১ফোঁটা অথবা ৪ বড়ি ঔষধ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে ২চা চামুচ ১ঘন্টা পর পর / ৩ ঘন্টা পরপর অথবা রোজ তিনবার খাওয়াবেন। মাত্রা রোগীর অবস্থার উপর নির্ধারিত হবে।
2. Arsenicum album 30 : আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা (অর্থাৎ রোগী এক জায়গায় বা এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। এমনকি গভীর ঘুমের মধ্যেও সে নড়াচড়া করতে থাকে।), শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভীষণ জ্বালা-পোড়া ভাব, অল্প সময়ের মধ্যেই রোগী দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ হয়ে পড়ে, বারবার পায়খানার বেগ চাপে সাথে একেবারে তরল মল। রোগীর বাইরে থাকে ঠান্ডা কিন্তু ভেতরে থাকে জ্বালা-পোড়া, অতি মাত্রায় মৃত্যু ভয়, রোগী মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই- তার মৃত্যু নিশ্চিত, গরম পানি খাওয়ার জন্য পাগল কিন্তু খাওয়ার সময় খাবে দুয়েক চুমুক। নাকের ঘ্রাণ কমে যায়। শ্বাস কষ্টের সাথে অস্থিরতা বিদ্যমান থাকবে, শ্বাসকষ্ট বিছানা থেকে উঠে বসলে বা পাইচারী করলে আরাম বোধ করবে।
করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় লক্ষ্মণ ভিত্তিক আর্সেনিক এলবাম ৩০- ১ফোঁটা অথবা ৪বড়ি ঔষধ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে ২চা চামুচ ১ঘন্টা পর পর / ৩ ঘন্টা পরপর অথবা রোজ তিনবার খাওয়াবেন। মাত্রা রোগীর অবস্থার উপর নির্ধারিত হবে।
3. Gelsemium sempervirens ২০০ : জেলসিমিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর মধ্যে ঘুমঘুম ভাব থাকে বেশী, রোগী অচেতন-অজ্ঞান-বেঁহুশের মতো পড়ে থাকে, দেখা যাবে গায়ে প্রচণ্ড জ্বর অথচ রোগী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে, মাথা ঘুড়ানি থাকে, শরীর ভারভার লাগে, মাত্রাতিরিক্ত দুর্বলতার কারণে রোগী নড়াচড়া করতে পারে না এবং একটু নড়াচড়া করতে গেলে শরীর কাঁপতে থাকে, ওপর থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়, সাহসহীনতা, শরীরের জোর বা মনের জোর কম হওয়া, ইত্যাদি লক্ষণ আছে।
জেলসিমিয়াম ২০০- ১ফোঁটা অথবা ৪বড়ি ঔষধ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে ২চা চামুচ ১ঘন্টা পর পর / ৩ ঘন্টা পরপর অথবা রোজ তিনবার খাওয়াবেন। মাত্রা রোগীর অবস্থার উপর নির্ধারিত হবে।
4. Camphora 1M : ক্যাম্ফরা হলো শেষ মুহূর্তের ঔষধ। কোন রোগের কারণে অথবা কোন দুর্ঘটনার ফলে যদি কেউ মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যায়, তবে তাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে ঘনঘন ক্যাম্ফরা খাওয়াতে থাকুন। যখনই কেউ অজ্ঞান হয়ে যায়, হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায় কিন্তুতারপরও সে কাপড়-চোপড় গায়ে দিতে চায় না, রক্তচাপ কমে যায়, কপালে ঠান্ডা ঘাম দেখা দেয়, নিঃশ্বাস গভীর হয়ে পড়ে, তখন বুঝতে হবে তার মৃত্যু খুবই নিকটে। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে ঘনঘন ক্যামফরা খাওয়াতে থাকুন। হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে বা অত্যধিক বুক ধড়ফড়ানি শুরু হলে ক্যাম্ফরা পাঁচ মিনিট পরপর খাওয়াতে থাকুন, তাছাড়া অন্যান্য অবস্থায়
১ফোঁটা অথবা ৪ বড়ি ঔষধ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে ২চা চামুচ ১ঘন্টা পর পর / ৩ ঘন্টা পরপর অথবা রোজ তিনবার খাওয়াবেন। মাত্রা রোগীর অবস্থার উপর নির্ধারিত হবে।
0 Comments: