হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র হচ্ছে- "রোগ নয়, রোগীর চিকিৎসা।" একেকজন মানুষ অন্যজন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বা স্বতন্ত্র। তাই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ওষুধ সিলেকশন করতে হয়- তা সে যে রোগেই আক্রান্ত হোকনা কেন। সঠিকভাবে রোগীর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজন নির্ভুল কেস স্টাডি বা কেস টেকিং।
স্বাভাবিকভাবেই কেস টেকিং এ ভুল হলে ওষুধ সিলেকশনে ও ভুল হবে। তাই হোমিওপ্যাথিতে নির্ভুল কেস টেকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেস টেকিং কে বলা যেতে পারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মূল আর্ট বা শিল্প। হোমিও ডাক্তারদের সফলতা আর ব্যর্থতা অনেকাংশেই নির্ভর করে এই কেস টেকিং এর উপর। তাই হোমিও ডাক্তারদের সময় নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা ও যত্ন করে কেস টেকিং করতে হবে। নির্ভুল কেস টেকিং ছাড়া রোগীকে কখনোই পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়।
কোন রোগী বা রোগীনী যখন ডাঃ এর কাছে আসেন, তখন থেকে আরম্ভ করে তাকে ওষুধ দেওয়া পর্যন্ত কতগুলো কাজ ধাপে ধাপে করতে হয়। এই কাজ গুলি হল, কেস টেকিং, প্রপার কেস এনামনেসিস, ইভ্যালুয়েশন অফ দ্যা সিম্পটমস, টোটালিটি অফ দ্যা সিম্পটমস এবং টোটালিটির উপর নির্ভর করে ওষুধের সিলেকশন। এই একই কাজ প্রত্যেক পেশেন্টের ক্ষেত্রেই করা হয়। কিন্তু এই কেস টেকিং বিষয়টি যত সঠিকভাবে করা যায়, উপযুক্ত ওষুধের নির্বাচন ও ততো সঠিক হয়ে থাকে। তাই বারবার কেস টেকিং এর উপর জোর দেওয়া উচিত।
হোমিওপ্যাথি হল বিজ্ঞান এবং কলা বিদ্যার সমন্বয়ে গঠিত এক বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি। কেস টেকিং করার সময় আমাদের এই কলা বিদ্যায় পারদর্শিতা দেখাতে হবে। তাই যারা বর্তমানে হোমিওপ্যাথি নিয়ে পড়াশোনা করছে, তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে রোগ নির্ণয় , রোগের প্যাথোফিজিওলজি, কোন একটি রোগে ওষুধ প্রয়োগের সাথে সাথে উপযুক্ত ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দেয়া।
0 Comments: