Causticum - Rectopen

Download Free Android Apps

Ads 728x90

Causticum

কস্টি‌কাম


বহু সময় জোরে চেঁচালে বা কথা বললে গলা চিড়ে যায় বা গলায় ব্যথা হয়। সেই ক্ষেত্রে কস্টি‌কাম খুব উপকারী।

কস্টিকাম

প্রতিশব্দঃ হ্যানিমানস কস্টিকাম, টিংচার এক্রিস সাইনকালী।
প্রুভারঃ মহাত্মা হ্যানিমান ইহা প্রুভ করেন।

কষ্টিক পটাশ হ্যানিম্যান কর্তৃক পরীক্ষিত একটি অদ্বিতীয় ঔষধ, যা সোরাদোষঘ্ন ঔষধসমূহের মধ্যে তালিকাভুক্ত। এর রাসায়নিক গঠন সঠিকভাবে জানা না গেলেও, এটি একটি পটাশিয়ামের যৌগ হিসেবে ধারণা করা হয়।

কষ্টিক পটাশ তৈরির জন্য কষ্টিক লাইম এবং বাই সালফেট অফ পটাশ মিশ্রিত করা হয়। এর প্রথম থেকে তৃতীয় দশমিক ক্রম জল মিশ্রিত অ্যালকোহলে তৈরি হয়, এবং পরবর্তী ক্রমে অ্যালকোহলে প্রস্তুত করা হয়।
কষ্টিকাম (Causticum) ঔষধটিকে কখনও ফসফরাসের (Phosphorus) আগে বা পরে ব্যবহার করবেন না।
আঁচিল---- বিশেষ করে আঁচিল যখন শরীরের উপরের দিকে অর্থাৎ-- নাকের উপরে, চোখের উপর পাতায়, কপালে, কানের লতিতে, ---- বা মুখমন্ডলের কোথাও হয় বা পরপর হতে থাকে।

ক্রিয়াস্থান


গলমধ্য, চর্ম, স্বরযন্ত্র, শ্লৈষ্মিকঝিল্পী ও পাকাশয়ের উপর ক্রিয়া প্রকাশ করিয়া থাকে।
শক্ত পেশীযুক্ত ও কৃষ্ণবর্ণ মনুষ্য শরীর ইহার প্রিয় স্থান।
ইহা একটি এন্টিসোরিক ও টিউবারকুলার ঔষধ।

মানসিক লক্ষণ

১) তীব্র সুস্পষ্ট ও সুনিশ্চিত ভীতিপূর্ণ উৎকণ্ঠা। আসন্ন দুর্ভাগ্যের বিভীষিকাময় ঘটনাসমূহ সুনিশ্চিত ভাবে সংঘটিত হইবেই এই প্রকার একটি অবাস্তব চিন্তাধারা মনের মধ্যে সর্বদাই দানা বাঁধিয়া থাকে।
২) মনটি অত্যন্ত দুর্বল ও বিষাদে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে মনটি কোমলও বটে।
৩) অপরের দুঃখে কাঁদিয়া ফেলে, রক্ত দেখিলে ভয় পায় ।
৪) সকল বিষয়ে আশা শূন্য, চুপচাপ বসিয়া থাকার স্বভাব।
৫) অনেকদিন ধরিয়া মানসিক দুশ্চিন্তা, দুঃখ ও শোক সন্তাপ ভোগ করিয়া এই প্রকার মানসিক গোলযোগ।

চরিত্রগত লক্ষণ


১) হঠাৎ ভয়, আনন্দ, ক্রোধ, পুরাতন শোক, অনিদ্রা, রাত্রিজাগরণ এবং মৃত চর্মপীড়া জনিত কোনও পীড়ার উৎপত্তি।
২) ভঙ্গ, হঠাৎ স্বর বন্ধ হইয়া ল্যারিনজিয়াল পেশীর পক্ষাঘাত । গলায় টাটানি বেদনাসহ গলাধরা, প্রাতে স্বরভঙ্গের বৃদ্ধি ।
৩) কাশি এবং কাশিতে খুব গলা খাকাইয়া ভিতর হইতে গয়ার তুলিতে অসমর্থ, ঠাণ্ডা জল পান করিলে কাশির উপশম। কাশিতে কাশিতে অসাড়ে প্রস্রাব নিঃসরণ।
৪) প্রথম ঘুমেই ছেলেরা বিছানায় প্রসাব করে ।
৫) শিশুরা অনেক বিলম্বে চলিতে শিখে।
৬) ঘন ঘন বাহ্যের বেগ কিন্তু বাহ্য হয় না। দাঁড়াইয়া খুব জোরে কোঁথ দিলে তবে বাহ্য হয় ।
৭) হাঁচিতে ও চলিতে অসাড়ে প্রস্রাব নিঃসরণ।
৮) কাশিতে বুকে বেদনা, সে জন্যে সর্দি তুলিয়া ফেলিতে পারে না, গিলিয়া ফেলে। হুপিং কাশির প্রবল আক্ষেপ হইবার পর কাশি।
৯) অত্যন্ত দুর্বলতা, মূর্ছার মত হয় ও কাঁপে।
১০) পুড়িয়া যাইবার ক্ষত চিহ্নে পুনরায় বেদনা হয় ও পাকে।
১১) নাকে, মুখে ও চক্ষুর ক্রর উপর আঁচিল। মুখের বাত ও উপরের চক্ষুর পাতায় ভার বোধ ও পক্ষাঘাত। প্রায় ডান অঙ্গে পক্ষাঘাত। ঠাণ্ডা লাগা হেতু পীড় ।
১২) টাইফয়েড বা ডিপথিরিয়া প্রভৃতি পীড়ার পর হইতে ধীরে ধীরে পক্ষাঘাত উৎপন্ন ।
১৩) রজঃস্রাব ক্ষীণ ও বিলম্বিত, রাত্রিতে শুইলে স্রাব বন্ধ হয় ।
১৪) বর্ষাকালে রোগী ভাল থাকে আর সুন্দর ঋতুতে রোগ লক্ষণের বৃদ্ধি হয়।
১৫) চোখের সামনে অগুন ও কালো দাগ দেখা।
১৬) রমনি, মহিলারা সহবাস করিতে চায়না।

আঁচিলে লক্ষণ


থুজাই আঁচিলের প্রধান ঔষধ। তবে কস্টিকাম তাহার নিচে। কস্টিকামের আঁচিল নিরেট, আকারে ক্ষুদ্র ও থেবড়া কিন্তু সূঁচাল । ইহা সাধারণত মুখে, পায়ে, চোখের পাতায়, নাকের ডগায়, হাতের আঙ্গুলে ও নথের ধারে হয়। পুজা, আঁচিল ফাটা ফাটা। চোখে, যোনীর উপর, নাসিকায়, আঙ্গুলে আঁচিল। ক্যাল কার্ব- মুখে, ঘাড়ে শরীরের উর্ধাংশের আঁচিল।
  1. লাইকোপোডিয়াম-ফাটা ফাটা আঁচিল, দাড়ীতে ও হাতে।
  2. নেট্রাম মিউর- হাতের আঙ্গুলে অসংখ্যা আঁচিল, হাতের তালুতেও হয়।
  3. নেট্রাম সালফ- আঁচিল গাঁট, মলদ্বারে, পেটে ও উরুর মধ্য স্থলে আঁচিলের ন্যায় উদ্ভেদ।
  4. নাইট্রিক এসিড- আঁচিল যেন ভিজা ভিজা, ফুলকপির মত, শক্ত, ছুঁইলেই রক্ত পড়ে। মুখে, চক্ষুর পাতায়, বাহুতে, আঙ্গুলে আঁচিল।

উচ্চ শক্তি 1 এম থেকে শুরু করতে হবে, নিন্মশক্তি তেমন ফলদায়ক না।

  1. শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেবড়া থেবড়া ও রস জমে আঁচিল, অনেক সময় হাতে গায়ে বড় বড় অসংখ্য দেখা যায়, কলমের নিবের মত সুচালাে, বড় চেপ্টা আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum) । কার্যকারিতা ৭৫%
  2. হাতে আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum),নেট্রাম মিউর, নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid),থুজা (Thuja Occidentalis)
  3. চোখের পাতায় আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum),নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid),থুজা (Thuja Occidentalis)
  4. ঘাড়ে আঁচিল - থুজা (Thuja Occidentalis),কষ্টিকাম (Causticum),নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid)
  5. শক্ত আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum), নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid), এন্টিম ক্রুড (Antim Crud), সাইলেসিয়া, থুজা (Thuja Occidentalis) , কেলি মিউর (Kali Mur)।
  6. ছােট আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum), নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid), থুজা (Thuja Occidentalis), ডালকামারা (Dulcamara)

রিলেশনশিপ


ক্রিয়ানাশক ঔষধ- এসাফিউটিডা, ডালকামারা, ওয়েকাম, নাক্স ভম ।
সম্পূরক ঔষধ- কার্বোভেজ, কলোসিন্থ।
পরবর্তী ঔষধ- কেলি আয়োড, লাইকো, নাক্স ভম, পালস, রাসটক্স।
ক্রিয়া স্থিতিকাল- ৫০ দিন।

উপশম ও বৃদ্ধি


বৃদ্ধিঃ বৃদ্ধি শুষ্ক, ঠান্ডা, পরিষ্কার আবহাওয়ায় কষ্টিকামের লক্ষণগুলি বৃদ্ধি পায়। এই সময় গাড়িতে চললে বা ঠান্ডা বাতাসে থাকলে অসুবিধা হতে পারে।

উপশমঃ ভিজে, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বা উত্তাপে কষ্টিকামের লক্ষণগুলি উপশম হতে পারে। গরম বিছানায় বা গরম আবহাওয়ায় এটি প্রশমিত হয়।

Add Comments

Ads 728x90