Rectopen

Download Free Android Apps

Ads 728x90

Ads 728x90

recenlt Apps

Causticum
August 12, 2025

কস্টি‌কাম


বহু সময় জোরে চেঁচালে বা কথা বললে গলা চিড়ে যায় বা গলায় ব্যথা হয়। সেই ক্ষেত্রে কস্টি‌কাম খুব উপকারী।

কস্টিকাম

প্রতিশব্দঃ হ্যানিমানস কস্টিকাম, টিংচার এক্রিস সাইনকালী।
প্রুভারঃ মহাত্মা হ্যানিমান ইহা প্রুভ করেন।

কষ্টিক পটাশ হ্যানিম্যান কর্তৃক পরীক্ষিত একটি অদ্বিতীয় ঔষধ, যা সোরাদোষঘ্ন ঔষধসমূহের মধ্যে তালিকাভুক্ত। এর রাসায়নিক গঠন সঠিকভাবে জানা না গেলেও, এটি একটি পটাশিয়ামের যৌগ হিসেবে ধারণা করা হয়।

কষ্টিক পটাশ তৈরির জন্য কষ্টিক লাইম এবং বাই সালফেট অফ পটাশ মিশ্রিত করা হয়। এর প্রথম থেকে তৃতীয় দশমিক ক্রম জল মিশ্রিত অ্যালকোহলে তৈরি হয়, এবং পরবর্তী ক্রমে অ্যালকোহলে প্রস্তুত করা হয়।
কষ্টিকাম (Causticum) ঔষধটিকে কখনও ফসফরাসের (Phosphorus) আগে বা পরে ব্যবহার করবেন না।
আঁচিল---- বিশেষ করে আঁচিল যখন শরীরের উপরের দিকে অর্থাৎ-- নাকের উপরে, চোখের উপর পাতায়, কপালে, কানের লতিতে, ---- বা মুখমন্ডলের কোথাও হয় বা পরপর হতে থাকে।

ক্রিয়াস্থান


গলমধ্য, চর্ম, স্বরযন্ত্র, শ্লৈষ্মিকঝিল্পী ও পাকাশয়ের উপর ক্রিয়া প্রকাশ করিয়া থাকে।
শক্ত পেশীযুক্ত ও কৃষ্ণবর্ণ মনুষ্য শরীর ইহার প্রিয় স্থান।
ইহা একটি এন্টিসোরিক ও টিউবারকুলার ঔষধ।

মানসিক লক্ষণ

১) তীব্র সুস্পষ্ট ও সুনিশ্চিত ভীতিপূর্ণ উৎকণ্ঠা। আসন্ন দুর্ভাগ্যের বিভীষিকাময় ঘটনাসমূহ সুনিশ্চিত ভাবে সংঘটিত হইবেই এই প্রকার একটি অবাস্তব চিন্তাধারা মনের মধ্যে সর্বদাই দানা বাঁধিয়া থাকে।
২) মনটি অত্যন্ত দুর্বল ও বিষাদে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে মনটি কোমলও বটে।
৩) অপরের দুঃখে কাঁদিয়া ফেলে, রক্ত দেখিলে ভয় পায় ।
৪) সকল বিষয়ে আশা শূন্য, চুপচাপ বসিয়া থাকার স্বভাব।
৫) অনেকদিন ধরিয়া মানসিক দুশ্চিন্তা, দুঃখ ও শোক সন্তাপ ভোগ করিয়া এই প্রকার মানসিক গোলযোগ।

চরিত্রগত লক্ষণ


১) হঠাৎ ভয়, আনন্দ, ক্রোধ, পুরাতন শোক, অনিদ্রা, রাত্রিজাগরণ এবং মৃত চর্মপীড়া জনিত কোনও পীড়ার উৎপত্তি।
২) ভঙ্গ, হঠাৎ স্বর বন্ধ হইয়া ল্যারিনজিয়াল পেশীর পক্ষাঘাত । গলায় টাটানি বেদনাসহ গলাধরা, প্রাতে স্বরভঙ্গের বৃদ্ধি ।
৩) কাশি এবং কাশিতে খুব গলা খাকাইয়া ভিতর হইতে গয়ার তুলিতে অসমর্থ, ঠাণ্ডা জল পান করিলে কাশির উপশম। কাশিতে কাশিতে অসাড়ে প্রস্রাব নিঃসরণ।
৪) প্রথম ঘুমেই ছেলেরা বিছানায় প্রসাব করে ।
৫) শিশুরা অনেক বিলম্বে চলিতে শিখে।
৬) ঘন ঘন বাহ্যের বেগ কিন্তু বাহ্য হয় না। দাঁড়াইয়া খুব জোরে কোঁথ দিলে তবে বাহ্য হয় ।
৭) হাঁচিতে ও চলিতে অসাড়ে প্রস্রাব নিঃসরণ।
৮) কাশিতে বুকে বেদনা, সে জন্যে সর্দি তুলিয়া ফেলিতে পারে না, গিলিয়া ফেলে। হুপিং কাশির প্রবল আক্ষেপ হইবার পর কাশি।
৯) অত্যন্ত দুর্বলতা, মূর্ছার মত হয় ও কাঁপে।
১০) পুড়িয়া যাইবার ক্ষত চিহ্নে পুনরায় বেদনা হয় ও পাকে।
১১) নাকে, মুখে ও চক্ষুর ক্রর উপর আঁচিল। মুখের বাত ও উপরের চক্ষুর পাতায় ভার বোধ ও পক্ষাঘাত। প্রায় ডান অঙ্গে পক্ষাঘাত। ঠাণ্ডা লাগা হেতু পীড় ।
১২) টাইফয়েড বা ডিপথিরিয়া প্রভৃতি পীড়ার পর হইতে ধীরে ধীরে পক্ষাঘাত উৎপন্ন ।
১৩) রজঃস্রাব ক্ষীণ ও বিলম্বিত, রাত্রিতে শুইলে স্রাব বন্ধ হয় ।
১৪) বর্ষাকালে রোগী ভাল থাকে আর সুন্দর ঋতুতে রোগ লক্ষণের বৃদ্ধি হয়।
১৫) চোখের সামনে অগুন ও কালো দাগ দেখা।
১৬) রমনি, মহিলারা সহবাস করিতে চায়না।

আঁচিলে লক্ষণ


থুজাই আঁচিলের প্রধান ঔষধ। তবে কস্টিকাম তাহার নিচে। কস্টিকামের আঁচিল নিরেট, আকারে ক্ষুদ্র ও থেবড়া কিন্তু সূঁচাল । ইহা সাধারণত মুখে, পায়ে, চোখের পাতায়, নাকের ডগায়, হাতের আঙ্গুলে ও নথের ধারে হয়। পুজা, আঁচিল ফাটা ফাটা। চোখে, যোনীর উপর, নাসিকায়, আঙ্গুলে আঁচিল। ক্যাল কার্ব- মুখে, ঘাড়ে শরীরের উর্ধাংশের আঁচিল।
  1. লাইকোপোডিয়াম-ফাটা ফাটা আঁচিল, দাড়ীতে ও হাতে।
  2. নেট্রাম মিউর- হাতের আঙ্গুলে অসংখ্যা আঁচিল, হাতের তালুতেও হয়।
  3. নেট্রাম সালফ- আঁচিল গাঁট, মলদ্বারে, পেটে ও উরুর মধ্য স্থলে আঁচিলের ন্যায় উদ্ভেদ।
  4. নাইট্রিক এসিড- আঁচিল যেন ভিজা ভিজা, ফুলকপির মত, শক্ত, ছুঁইলেই রক্ত পড়ে। মুখে, চক্ষুর পাতায়, বাহুতে, আঙ্গুলে আঁচিল।

উচ্চ শক্তি 1 এম থেকে শুরু করতে হবে, নিন্মশক্তি তেমন ফলদায়ক না।

  1. শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেবড়া থেবড়া ও রস জমে আঁচিল, অনেক সময় হাতে গায়ে বড় বড় অসংখ্য দেখা যায়, কলমের নিবের মত সুচালাে, বড় চেপ্টা আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum) । কার্যকারিতা ৭৫%
  2. হাতে আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum),নেট্রাম মিউর, নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid),থুজা (Thuja Occidentalis)
  3. চোখের পাতায় আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum),নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid),থুজা (Thuja Occidentalis)
  4. ঘাড়ে আঁচিল - থুজা (Thuja Occidentalis),কষ্টিকাম (Causticum),নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid)
  5. শক্ত আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum), নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid), এন্টিম ক্রুড (Antim Crud), সাইলেসিয়া, থুজা (Thuja Occidentalis) , কেলি মিউর (Kali Mur)।
  6. ছােট আঁচিল - কষ্টিকাম (Causticum), নাইট্রিক এসিড (Nitric Acid), থুজা (Thuja Occidentalis), ডালকামারা (Dulcamara)

রিলেশনশিপ


ক্রিয়ানাশক ঔষধ- এসাফিউটিডা, ডালকামারা, ওয়েকাম, নাক্স ভম ।
সম্পূরক ঔষধ- কার্বোভেজ, কলোসিন্থ।
পরবর্তী ঔষধ- কেলি আয়োড, লাইকো, নাক্স ভম, পালস, রাসটক্স।
ক্রিয়া স্থিতিকাল- ৫০ দিন।

উপশম ও বৃদ্ধি


বৃদ্ধিঃ বৃদ্ধি শুষ্ক, ঠান্ডা, পরিষ্কার আবহাওয়ায় কষ্টিকামের লক্ষণগুলি বৃদ্ধি পায়। এই সময় গাড়িতে চললে বা ঠান্ডা বাতাসে থাকলে অসুবিধা হতে পারে।

উপশমঃ ভিজে, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বা উত্তাপে কষ্টিকামের লক্ষণগুলি উপশম হতে পারে। গরম বিছানায় বা গরম আবহাওয়ায় এটি প্রশমিত হয়।
Natrium Muriaticum
July 16, 2025
Pneumonia

Natrium Muriaticum / নেট্রাম মিউর

রাসায়নিক চিহ্নঃ নেট্রাম মিউরের রাসায়নিক চিহ্ন nacl.

প্রতিশব্দঃ নেট্রাম মিউরের প্রতিশব্দ- সোডি ক্লোরিডাম, সোডিয়াম ক্লোরাইড, নেট্রাম মিউরিয়েটিক, কমনভল্ট, টেবলন্ট।

নেট্রাম মিউর এর অপর নাম – সডিয়াম ক্লোরাইড (Sodium Chloride)
সাধারণ লবণ (NaCl)
নেট্রাম মিউর সাধারণ লবণের বিচুর্থ বা জলীয় দ্রকণ থেকে প্রস্তুত হয়।

উৎস ও বর্ণনাঃ নেট্রাম মিউরের উৎস ও বর্ণনা- পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে শিলা লবণ, খনিজ লবণ বা সৈন্ধব লবণ হিসাবে ইহা দৃষ্ট হয়, সমুদ্র জল হইতেও ইহা নিষ্কাশন করা হয়। ইহা লবনাক্ত স্বাদযুক্ত বর্ণ গন্ধহীন ঘন দানাকারে বা সানা স্ফটিক চূর্ণকারে পাওয়া যায়। ৩ ভাগ জলে ইহা দ্রবীভূত হয় কিন্তু সুরাপানে দ্রবীভূত হয় না । সিলভার নাইট্রেটের দ্রবণের সহিত ইহা সাদা বর্ণের তলানি সৃষ্টি করে।

প্রস্তুতের ফরমূলাঃ নেট্রাম মিউরের প্রস্তুতের ফরমূলা- এ-৫-এ (তরল), বিচূর্ণ-৭।

প্রস্তুত প্রণালীঃ নেট্রাম মিউরের প্রস্তুত প্রণালী- ক্লোরাইড অব সোডিয়াম আর্থাৎ সাধারণ লবণ, সুগার অব মিল্কের সহিত প্রথম বিচূর্ণ প্রস্তুত হয়। পরিশ্রুত বদলে দ্রব করিয়া পরে সুরাসার সহযোগে তরল ক্রম প্রস্তুত হয়।

ক্রিয়াস্থানঃ নেট্রাম মিউরের ক্রিয়াস্থান- ইহা রক্ত, পরিপাক পথের শৈষিত ঝিলী এবং যকৃতের উপর ক্রিয়া প্রকাশ করিয়া রক্তের মন্দাবস্থা আনয়ন করে। শরীরের রস, রক্ত, শুক্র ইত্যাদি।


রোগ নির্দেশনা (Indication)

  • মাথা ব্যথা (Headache)
  • এলাজিজনিত হাঁচি, ঠান্ডা (Allergic Rhinitis, Cold)
  • চুল পড়া (Hair Fall)
  • কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)
  • শ্বেতপ্রদর (Leucorrhoea)
  • নাসারন্ধে শুভতা (Dry Nose)
  • হাঁপানি (Asthma)
  • যোনীপথের শুদ্ধতা (Vaginal Dryness)
  • মূত্রবেগ ধারণে অক্ষমতা (Enuresis) ইত্যাদি।

সেবনমাত্রা ও সেবনবিধি (Dosage and Administration)
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ৪-৬ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩-৪ বার,
অপ্রাপ্ত বয়স্কা ২-৩ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩-৪ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

জিনাস্থন (Center of Action) ইহ্য রক্ত, পরিপাকতন্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী এবং যকৃত ও প্লীহার উপর ক্রিয়া প্রকাশ করে। এই ঔষধের ক্রিয়ার ফলে চর্মে নানা প্রকার উদ্ভেদ ও ক্ষত এবং বিষম জ্বরের লক্ষনাদি উৎপন্ন হয়। শরীরের রস, রক্ত ইত্যাদি তেজস্কর কোন পর্দাথের ক্ষয় হয়েই হোক কিংবা মানসিক বৈকল্য কারণে হোক কোন ব্যক্তি বক্তহীন হয়ে পড়লে নেট্রাম মিউর সেই ক্ষেত্রে উত্তম ক্রিয়া প্রকাশ করে থাকে।

সাধারণ ক্রিয়া (General Action) নেট্রাম মিউর নামত এই লাবণিক পদার্থ মানব পতীতের প্রত্যেক জলীয় এবং কঠিন অংশ উভয়ের প্রধান উপাদান। ইহার প্রধান কাজই হইতেছে কোষসমূহের মধ্যে আবশ্যকমত জলীয় পদখি সরবরাহ করা। ইহা শরীরের অর্দ্রেতা রক্ষা করে। ইহা খাদ্য ও পানীয় সমস্ত দ্রব্য হতে জলীয় পদার্থ শোষণ করে কোষ সমূহে পৌঁছে দেয়। মানব দেহে প্রায় ৭০ ভাগ জলীয় পদার্থ আছে কিন্তু উহা সোডিয়াম ক্লোরাইও ছাড়া কার্যকরী হয় না। মানব দেহে যদি এই লাবণিক পদখি ঠিক মত থাকে তাহলে আবশ্যকমত জলীয় পদাখ সর্বশরীরে পরিচালিত হয়। ইহা পরীর হতে অনিষ্টকারী পদার্থসমূহকে বের করে দেয়। ফোস্কায় পানি জমলে, দেহের কোন স্থান দিয়ে পানির ন্যায় প্রাব হলে, যে কোন পীড়ায় যদি দেহে পানি জমে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে, মুখ দিয়ে লালাস্রাব হয় এবং অত্যন্ত তৃষ্ণা থাকলে ইহা উপযোগী।

গুরুত্বপূর্ন লক্ষণ (Important Symptoms)
  • প্রচন্ড শিরঃপীড়া যেন কেহ মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মারিতেছে, বাম পার্শ্বগত শিরঃবেদনা, উহা সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বৃদ্ধি।
  • উত্তম ক্ষুধা কিন্তু খাইতে অনিচ্ছা।
  • গ্রীষ্মকালীন উদারাময়ে ভুগিয়া শিশুদের ঘাড় ও গলা শীর্ণ হয়ে আসে।
  • জিহ্বায় যেন চুল জড়িয়ে আছে এইরুপ অনুভব।
  • তিক্ত দ্রব্য, লবণ কিংবা লবণাক্ত দ্রব্য আহারে অত্যন্ত ইচ্ছা, রুটিতে বিতৃষ্ণা।
  • কোষ্ঠবদ্ধতা, বোষ হয় যেন মলদ্বার সংকুচিত, মল শুদ্ধ, শক্ত অতিকষ্টে বাহির হয়, রক্ত পড়ে।
  • রুটি, অম্ল, অতিরিক্ত লবণ আহার, কুইনাইন সেবন, কষ্টিক দ্বারা পোড়ানো, বহুদিনের শোক, তাপ, ক্রোধ ইত্যাদি কারণজনিত পীড়া।

বৃদ্ধিঃ সান্তনা ও সহানুভূতি প্রর্দশনে, মানসিক পরিশ্রমে, সর্বপ্রকার গরমে, সূর্য্যতাপে, সমুদ্র তীরে, ঋতুস্রাবের পর, বেলা ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে। উপশমঃ নির্মল বায়ুতে, ডান পার্শ্বে শয়নে, শীতল জল পানে ও স্নানে, দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগে, অন্ধকারে, বিশ্রামে, অভুক্ত অবস্থায়, শিরোবেদনা-শয়নে।

নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ

বিভিন্ন জীবাণু নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে। তাদের মধ্যে বায়ু-বাহিত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস অগ্রগণ্য। আমাদের শরীরর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত এই জীবাণু দের থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু কোন কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা দুর্বল হলে, সংক্রমণ হয়। এরফলে ফুসফুস ফুলে যায় এবং সেখান থেকে তরল শ্লেষ্মা (mucus) বের হয়।

প্রধান প্রধান নিউমোনিয়া সৃষ্টি কারক জীবাণু হোল -

স্ত্রেপটোক্ককাস নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া প্রায় শতকরা 50 টি নিউমোনিয়ার কারন। - এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সরাসরি হতে পারে। আবার সাধারণ সর্দি এবং ফ্লু-র পর এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

অন্যান্য নিউমোনিয়া সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া হোল - হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, ক্লামিদোফিলিয়া নিউমোনিই, লেজিওল্লা নিমফিলিয়া এবং মরাক্সেল্লা কাতারহালিস। অতিরিক্ত মদ্যপানে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি হয়।

ব্যাকটেরিয়ার মতন জীবাণু যেমন মাইকোপ্লাসম নিউমোনিই (Mycoplasma pneumoniae) থেকেও ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে।

ভাইরাসের কারণে সাধারণত প্রায় একতৃতীয়াংশ নিউমোনিয়ার সংক্রমণ হয়। সর্বাধিক নিউমোনিয়া-কারক ভাইরাস হোল - রাইনোভাইরাস, করোনা ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেস্পিরেটোরি সিঙ্কসাইটাল ভাইরাস, আডেনো ভাইরাস ইত্যাদি। অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং দুর্বল ইমুনিটির কারণ ভাইরাল নিউমোনিয়া হতে পারে।

ছত্রাক-জাত নিউমোনিয়ার হার অত্যন্ত কম। এই ধরনের ছত্রাকদের নাম - হিসটোপ্লাসম কাপ্সুলাটাম, ব্লাসটোমাইসেস, ক্রিপ্টোকক্কাস নিওফরমান্স ইত্যাদি। দুর্বল ইম্মুনিটির কারনে ছত্রাক থেকে নিউমোনিয়ার সংক্রমন হয়ে থাকে।

বিভিন্ন পরজীবী থেকেও নিউমোনিয়া হতে পারে যেমন - ট্যাক্সোপ্লাসম্ গণ্ডী, স্ত্রোঙ্গিলইদেস স্তেরকরালিস, আস্কারিস লাম্ব্রিকইদেস ইত্যাদি।

শিশুদের নিউমোনিয়ার

শিশুদের নিউমোনিয়ার সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
  • শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
  • কাশির সময় ব্যথা
  • বুকে ব্যথা
  • কাশি যা শ্লেষ্মা তৈরি করে
  • দ্রুত বা কঠিন শ্বাস
  • জ্বর
  • ঝগড়া
  • মাথা ব্যাথা

নিউমোনিয়া নির্ণয়ে পরীক্ষার নামঃ

নিউমোনিয়া রোগটি প্যাথলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন এর দ্বারা নির্ণয় করতে হলে বেশ কিছু টেস্ট করা যেতে পারে। যেমন-
  • Chest X-ray
  • Chest CT scan
  • CBC
  • Blood culture
  • Sputum culture
এই সকল প্যাথলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন দ্বারা রোগটির নির্বাচন এবং তীব্রতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।
যাই হোক, অর্গাননের ১৫৪ সূত্রে মহাত্মা হ্যানিমান বলছেন, “যোগ্যতম ঔষধের লক্ষণতালিকা হইতে যে প্রতিরূপ প্রস্তুত করা হয় তাহার মধ্যে যদি সেই সকল বিচিত্র, অসাধারণ, অনন্য এবং বিশিষ্ট (পরিচায়ক) লক্ষণসমূহ বিদ্যমান থাকে- যেগুলি অধিকতম সংখ্যায় ও অধিকতম সাদৃশ্যসহ যে রোগ চিকিৎসা করতে হইবে তাহার মধ্যে দেখা যায়, তাহা হইলে সেই ঔষধই হইবে সেই রোগে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত আরোগ্যদায়ক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। রোগ যদি খুব বেশি পুরাতন না হয় তা হইলে সাধারণত প্রথম মাত্রাতেই বেশি গোলযোগ ব্যতীত তাহা দূরীভূত ও বিনষ্ট হইবে।”

নেট্রাম মিউর মানসিক এবং চরিত্রগত লক্ষণ

মানসিক লক্ষণঃ
  • মানসিক কারণে রোগ, শোক, ভয়, ক্রোধ প্রভৃতি হইতে পারে।
  • অবসাদগ্রস্ত, পুরাতন রোগে। সান্তনা দিলে বৃদ্ধি। ক্রোধপ্রবণ, অতি সামান্য কারণেই ক্রোধান্ধ হয়।
  • নির্জনে বিলাপ করার ইচ্ছা, বিনা কারনে অশ্রুত্যাগ।
  • স্নায়বিক দুর্বলতা বশতঃ হাত হইতে জিনিস পড়িয়া যায়।
  • চোর ডাকাতের স্বপ্নদেখে, জাগিবার পর বাড়ী ভাল করিয়া যতক্ষণ তলাশ করিয়া না দেখা যায় ততক্ষণ ঐ স্বপ্ন যে সত্য নয় তাহা তাহার বিশ্বাস হয় না।
চরিত্রগত লক্ষণঃ
  • প্রচুর ক্ষুধা ও আহার সত্ত্বেও শরীরের মাংসক্ষয় হয়, গ্রীষ্মকালীন উদরাময়ে ভূগিয়া শিশুদের ঘাড় ও গলা শীর্ণ হইয়া আসে।
  • উত্তম ক্ষুধা কিন্তু খাইতে অনিচ্ছা।
  • প্রচণ্ড শিরঃপীড়া যেন কেহ মাথায় হাতুড়ি মারিতেছে, বাম পার্শ্বগত শিবেনা, উহা সূর্যোদয় হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বৃদ্ধি ।
  • শিশুর উত্তেজিত ভাব, আবদার করিলেও রাগিয়া উঠে, সামান্য কারণে চীৎকার করিয়া কাঁদে, বয়স্কগণ-বিমর্ষ, রোদন পরায়ন, সান্তনা করিলে দুঃখবেগ উপলিয়া উঠে।
  • জ্বরে মর্ম হইলেই ধীরে ধীরে মাথা ব্যথার উপশম।
  • জিহ্বায় যেন চুল জড়াইয়া আছে এইরূপ অনুভব।
  • অত্যন্ত অবসাদ ও বুক ধড়ফড়ানি, শয়নে বৃদ্ধি ।
  • আহারের পর বুক জ্বালা।
  • তিক্ত দ্রব্য, লবণ কিংবা লবণাক্ত দ্রব্য আহারে অত্যন্ত ইচ্ছা, রুটিতে বিতৃষ্ণা।
  • কোষ্ঠবদ্ধ, বোধহয় যেন মলদ্বার সংকুচিত মল শুষ্ক, অতিকষ্টে বাহির হয়, গুঁড়াইয়া যায়, রক্ত পড়ে।
  • হাতের তালুতে আঁচিল।
  • নখ আলগা হয়, নখের নীচের চর্ম ফাটে।
  • মলদ্বারের ও হাঁটুর ভাঁজের মধ্যে হার্পিস নামক চর্মরোগ।
  • চলিতে হাঁটিতে কাশিতে কাশিতে অসাড়ে প্রস্রাব নির্গমন।
  • নিদ্রিত অবস্থায় শয্যা হইতে উঠিয়া বেড়ায়।
  • স্ত্রীলোকদের ঋতুস্রাব কালীন ও ঋতু স্রাবের পূর্বে বা পরে মাথাব্যথা। তাহার সাথে মস্তিষ্ক গরমবোধ ও বমি, গা বমি। সকাল ভেলায় নিদ্রাভঙ্গের পর মাথা ব্যথা ।
  • স্ত্রী সহবাসের পরেও স্বপ্ন দোষ, অত্যন্ত কামেচ্ছা। কিন্তু ইন্দ্রিয়ের দুর্বলতা, ধ্বজভঙ্গ।
  • যোনীর উপরের চুল উঠে যাওয়া।
  • সবুজ রঙ্গের প্রদর স্রাব।
  • রোগীর হাত পা খুব ঠাণ্ডা, আগুনেও যেন গরম করা যায় না।

নিউমোনিয়ার ঔষধের নাম কি?

ওফুক্সিন ২০০ এম জি ইনজেকশন (Ofuxin 200 MG Injection) কমিউনিটি-অ্যাকুইয়ার নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় যা স্ট্রিপ্টোকোকাস নিউমোনিয়া, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা দ্বারা সৃষ্ট সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ফুসফুস সংক্রমণ।

নিউমোনিয়ার জন্য কি টেস্ট করতে হয়?

নিউমোনিয়া সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং অন্যান্য অণুজীবের দ্বারা কম হয়। দায়ী প্যাথোজেন সনাক্ত করা কঠিন হতে পারে । রোগ নির্ণয় প্রায়ই লক্ষণ এবং শারীরিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে। বুকের এক্স-রে , রক্ত ​​পরীক্ষা এবং থুতনির কালচার রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।

বাংলাদেশে নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন কী?

শিশুদের সুরক্ষায় এক নবদিগন্ত: শিশুদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধে নতুন ভ্যাকসিন 'ইভিমার-১৩' নিয়ে এলো ইনসেপ্টা দেশে প্রথমবারের মতো নিউমোনিয়ার জন্য নিজস্বভাবে তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। 'ইভিমার-১৩' নামের এই ভ্যাকসিন সব বয়সী মানুষের জন্য উপযোগী।


Disease Medicine Description of the medicine
নিউমোনিয়াBryonia Alba নিউমোনিয়া থেকে মুক্তি : ব্রায়োনিয়া (Bryonia Alba) হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি নিউমোনিয়ার জন্য আল্লাহ্‌র একটি বিরাট রহমত স্বরূপ। সাধারণত নিম্নশক্তিতে (৩০ বা ২০০) খাওয়ালে ঘনঘন খাওয়াতে হয় কয়েকদিন কিন্তু (১০,০০০ বা ৫০,০০০ ইত্যাদি) উচ্চশক্তিতে খাওয়ালে দুয়েক ডোজই যথেষ্ট। হ্যাঁ, অধিকতর জটিল কেইসের ক্ষেত্রে কয়েকদিন খাওয়ানো লাগতে পারে। আপনি যদি বড়িতে উচ্চশক্তির এক ড্রাম ব্রায়োনিয়া কিনে আনেন এবং তা থেকে একটি বড়ি আধা বোতল পানির সাথে মিশান এবং তা থেকে এক চায়ের চামচ পানি করে রোগীকে রোজ ৩ বার করে অথবা আরো ঘনঘন খাওয়ান। তাহলে সহজেই সেরে যাবে।

ব্রায়োনিয়ার লক্ষ্মণঃ মুখ শুকিয়ে আসার সাথে ঘন ঘন বেশি পরিমাণে পানি খেতে চায়, চুপচাপ শুয়ে থাকে সাথে স্পর্শকাতরতা, নিঃশ্বাস নিতে গেলে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।
FeverAconite এটি অস্থিরতা এবং উত্তেজনা যুক্ত অসুস্থতা এর প্রতিকারে ব্যবহার করা হয়। ঐ সমস্ত রোগী এর মধ্যে ঠান্ডা জলের জন্য চেষ্টা এবং অসহনীয় গা হাত পা ব্যথা নিয়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। অ্যাকোনাইট ঠান্ডা বাতাসে যে সমস্ত রোগ প্রচন্ড বৃদ্ধি পায় তার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
FeverBryonia alba এটি গা হাত পা ব্যথা যুক্ত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই রোগ যুক্ত ব্যক্তিরা সারাদিন শুয়ে থাকতে চায় ব্যথা থেকে আরাম পেতে এবং এমনকি সামান্য সরে গেলেও তা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জলের জন্য একটি প্রচন্ড তৃষ্ণাও করা যায়।
FeverNux-vomica এটি কাঁপুনি যুক্ত জ্বরের প্রতিকার এ ব্যবহার করা হয়। এটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এবং কাঁপুনি ভাবের নিরাময়ের জন্য প্রচন্ড ভাবে সাহায্য করে। এরকম অসুস্থতা যুক্ত ব্যক্তি নিজেকে সব সময় ঢাকা দিয়ে রাখতে চায়।
FeverGelsemium এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যেটি মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং সহজে ভয় পাওয়া সম্ভব না যুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি তৃষ্ণার অনুপস্থিতির জন্য হতে পারে।
FeverRushtox এই প্রতিকারটি সেই সমস্ত রোগের চিকিৎসার জন্য প্রচুর ভাবে অনুমোদিত যারা প্রচন্ড অস্থিরতা অনুভব করেন এবং যাদের গা হাত পা ব্যথা আছে। এই সমস্ত রোগীরা সব সময় চলন্ত থাকতে চায়। এই প্রতিকারটি বৃষ্টিতে ভিজে থাকার কারণে হওয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
FeverArsenic Alb অবিরাম সবিরাম বাত জ্বর, ম্যালেরিয়া যে কোন জ্বরে লক্ষণ মিলিলে আর্সেনিক প্রয়োগ করা যায়। গাত্র দাহ, ছটফটানি,মৃত্যু ভয়,অবসাদ,অল্প পরিমানে ঘন ঘন জল পান, পায়খানায় ভীষণ দুর্গন্ধ।
FeverIpicac যে কোন জ্বরের সহিত বমি বমি ভাব অর্থাৎ গা বমি বমি জ্বর আসিবার পুর্বে রোগীর হাই উঠে। জ্বরের সময় রোগী চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে। ইপিকাকের জিহ্বা প্রায় পরিস্কার থাকে, মাথা নীচু করিলে বমির ভাব আরো বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি লক্ষণে ইপিকাক অব্যর্থ।
Feverসিনা- কৃমিগ্রস্ত শিশুদের জ্বর প্রায়েই বিকাল বা সন্ধায় আসে। খিট খিটে মেজাজ, ঘুমের ঘরে চিৎকার দিয়া উঠে। দাত কাটে নাক খোটে, ঘ্যান ঘ্যান, প্যান প্যান করে।
FeverPulsatilla হাত, পা, চক্ষুজ্বালার সহিত প্রায়ই বিকালে জ্বর আসে। মুখ শুকাইয়া যায়। তবু জল পিপাসা হয়না। শান্ত স্বভাব, কোমল মোন, গরমে কাতর, খোলা বাতাস পছন্দ করে এই ধাতুর রেগীতে ইহা উপকারী।
Feverমার্ক সল- জ্বরের সহিত ঘর্ম, ঘর্মের সহিত জ্বর। ঘর্মে জ্বরের উপশম না হইয়া বরং আরো বৃদ্ধি। শরীরের কোন স্হানে গ্ল্যান্ড প্রদাহিত হইয়া উক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে মার্কসল উপকারী।
FeverFerrum Phos টাইফয়েড জ্বরের বিকার অবস্হায় বাহ্যি প্রস্রাব অসাড়ে হয় বিড় বিড় করিয়া বকে। মুখে দুর্গন্ধ ঘা, দাতে ময়লা। অজ্ঞন হইয়া পরিয়া থাকে। অত্যান্ত দুর্বল। বালিশ হতে মাথা গড়াইয়া পড়ে। নীচের চুয়াল ঝুলিয়া যায়। এক দৃষ্টি চাহিয়া থাকে।
Feverফেরাম ফস- সর্ব প্রকার জ্বরের প্যথমাবস্হায় ফেরাম ফস উৎকৃষ্ট ঔষধ। কোষ্ঠবদ্ধ জিহ্বায় সাদা প্রলেপ শরীর বেদনা ইত্যাদি লক্ষণে উক্ত ঔষধ উপকারী।
FeverNatrum mure জ্বর আসিবার পুর্বে মাথা ব্যাথা ও জল পিপাসা হইতে থাকে। শীত করিয়া কম্প দিয়া বেলা ১০টা ১১টায় কিংবা বিকালে জ্বর আসে। নিম্ন ঠোটের মধে ভাগ ফাটা ফাটা, জ্বর ঠুটো।
FeverNatrum Sulph ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা বর্ষাকালে জলে ভিজিয়া অবিরাম সবিরাম জ্বরে শরীরের টাটানী ব্যথায় ইহা উপকারী। রোগীর চরিত্রগত লক্ষণ বা রোগলক্ষণের বৈশিষ্ট্য যেমন শীতাবস্হায় পিপাসা বা ঘর্মবস্হায় পিপাসা কিম্বা জলপান মাত্রেই বমি বা জলপানের কিছুক্ষণ পরে বমি, মানসিক লক্ষণ ইত্যাদি ঔষধ নির্বাচনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
Feverক্যালি সালফ- হাত, পা জ্বালার সহিত ঘর্ম বিহিন জ্বর। জ্বর সন্ধায় বৃদ্ধিতে ইহা আমোঘ।
Feverক্যালি ফস- টাইফয়েড জ্বরের রোগী অত্যান্ত দুর্বল, অনিদ্রা, পেট ফাপা, বাহ্যে প্রস্রাবে অত্যান্ত দুর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষণে ইহা অব্যর্থ।
CoughBryonia শুকনো কাশি, হলদে গয়ার, রক্তের ছিট, মাথাব্যথা। (30M)
CoughRumax গলা সুড়সুড় করে, অনবরত শুকনো কাশি। কাশির ধমকে প্রস্রাব নির্গত হয়, ঠান্ডা জলপানে কাশির উপশম। (30M)
CoughHyoscyamus কাশি শুকনো, রাতে বৃদ্ধি, শুইলে আরো বাড়ে, বসলে উপশম। আলজিভ বাড়ার জন্যে কাশি। (30M)
CoughArgent met ফ্যারিংস, লেরিংস, ব্রঙ্কাই এর পুরনো অসুখে, জোরে হাসলে,পড়লে কাশির উদ্রেক। (30M)
CoughBelladonna আপেক্ষিক শুষ্ক দম আটকানো কাশি, গলার ভেতর বেদনা, গরম বোধ। কুকুরের ডাক এর মত শব্দ, রাতে বৃদ্ধি, শক্ত ডেলা সর্দ্দি নির্গমন। (200M)
CoughCroton tig বালিশে মাথা রাখা মাত্রই কাশি, দম আটকায়, তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে, হেঁটে চলে বেড়ায়, বসে ঘুমিয়া যায়। (30M)
CoughEucalyptus বুড়োদের ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি। অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট সহ কাশি ও হাঁপানি সর্দিতে পুঁজ। (Q)
EyeArnica Mont চোখে আঘাত পাওয়া বা চোখ রগড়িয়ে লাল হলে। ৬-৩০ শক্তি। আঘাত পুরনো হয়ে গেলে Symphytum ১এম-উচ্চশক্তি উপকারী।
EyeBelladona -চোখ টকটকে লাল, চিরিক মারা ব্যথা, গরম, জল পড়ে ও জ্বালা করে। চোখসহ মাথায় দপদপানি ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে পারেনা। ৩x-৬ শক্তি ঘন ঘন প্রয়োগ। আঘাতের পর চোখে রক্তজমাট হলে ২০০ শক্তি উপকারী তদ্রূপ Ledum Pal ২০০ শক্তিও অব্যর্থ।
EyeArsenic Alb শীতকাতর, চোখ ফোলা, চোখ থেকে গরম জল পড়ে চুলকায় এবং জ্বালা যন্ত্রণা করে। গরম তাপে আরাম বোধ করে। ৩০-২০০ শক্তি প্রযোজ্য।
EyeEupresia চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। গাঢ় পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৬-৩০ শক্তি সেব্য এবং Q শক্তি ডিস্টিলড ওয়াটারে মিশিয়ে বাহ্যিক প্রয়োগ।
EyeMerc Sol চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। পাতলা পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৩০০-২০০ শক্তি।
EyeApis Mel ত্রিয়াস্থলঃ- মন, চক্ষু, ডিম্বকোষ, কিডনী, মূত্র থলি, গল নালী, সেরাম, গ্লান্ড ও চর্ম।
ঔষধের নিজস্ব কথাঃ
  • ১। মূত্র স্বল্পতা ও মুত্রকষ্ট।
  • ২। জ্বালা ও ফোলা, চোখের নিম্নপাতা ফোলা।
  • ৩। স্পর্শকাতরতা ও গরমকাতরতা।
  • ৪। সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা। পিপাসাহীনতা।
Eye:-- চোখ লাল, হুল ফুটানো ব্যথা, নিচের পাতা ফোলা, চোখের সাদা অংশ লালচে/ গোলাপী। গরমকাতর রোগী ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম বোধ করে। ৬-৩০ শক্তি।
EyePulsetilla শান্ত সংবেদনশীল মন। চোখ লাল, ঠান্ডা জল বা বাতাসে উপশম। নবজাতকের চোখে পিঁচুটি হয়ে চোখ জুড়ে থাকে। চোখের পাতা নাচা। ৩০ শক্তি অব্যর্থ। পরবর্তী ঔষধ Argent Nit ৩০-২০০ শক্তি। চোখের পাতা নাচলে Raphanus ঔষধটি ৩০-২০০শক্তি কার্যকারী।
EyeKali Carb চোখের যেকোন রোগে চোখের উপরের পাতা ফোলা, শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি।
EyeRhus Tox চোখ ব্যথা, চোখের পাতা ফোলা, গরম জল পড়া, আলোক সংবেদী। চোখ জ্বলে, ঘন পিঁচুটিতে চোখ জুড়ে থাকে। ঠান্ডায় যন্ত্রণা বাড়ে, চোখ বুজে থাকলে আরাম লাগে। জলে বা বৃষ্টিতে ভিজে চোখের পাতার পক্ষাঘাত। ৬ বা ৩০ শক্তি থেকে পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি।
EyeConium চোখে ছানি পড়া। গরমস্রাব, আলোক সংবেদী এবং শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি।
FrecleSulphur সালফারঃ অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন নোংড়া স্বভাবের রোগীদের ছুলিতে উহা উপযোগী।সালফারের বিশিষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।
FreclePsoralia Cory সোরেলিয়া কুড়িঃ ছুলি রোগের একটি উত্তম কার্যকারী ঔষধ। ইহা ব্যবহারে অনেক রোগী আরগ্য হইয়াছে।
FrecleAcid Nit এসিড নাইটঃ রোগী অতিশয় শীতে কাতর, ঠোটের কোনে ঘা,মুখে বিশ্রী দুর্গন্ধ,ঘুমের ঘরে বালিশে দুর্গন্ধ লালা পড়ে।প্রস্রাবে ভয়ানক দুর্গন্ধ এই ধাতু রোগীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুলিতে অমোঘ।
FrecleArsenic Alb আর্সেনিক এলবঃ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সৌখিন শীত কাতর ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানের ছুলিতে এই ঔষধ উপকারী। রোগীর মৃত্যুভয়,ছটফটানি অস্থিরতাসহ আর্সেনিক এলবমের বিশিষ্ট লক্ষণের রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী।
FrecleGraphites গ্রাফাইটিসঃ মোটা,থলথলে দেহের অধিকারী কোষ্ঠবদ্ধ ধাতুর রোগীর ছুলি চিকিৎসায় উপযোগী।
FrecleKali Mur
FrecleNatrum Mur

Note that we start the search in topic, to prevent filtering the table headers.







Videos
June 15, 2025
All Videos

Pneumonia / নিউমোনিয়া / ফুসফুস-প্রদাহ

Type something in the input field to search the table for first names, last names or others:




All Videos
Alumina
Selenium
Argentum Met
Lycopodium
Alumina
Alumina
FeverBryonia alba এটি গা হাত পা ব্যথা যুক্ত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই রোগ যুক্ত ব্যক্তিরা সারাদিন শুয়ে থাকতে চায় ব্যথা থেকে আরাম পেতে এবং এমনকি সামান্য সরে গেলেও তা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জলের জন্য একটি প্রচন্ড তৃষ্ণাও করা যায়।
FeverNux-vomica এটি কাঁপুনি যুক্ত জ্বরের প্রতিকার এ ব্যবহার করা হয়। এটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এবং কাঁপুনি ভাবের নিরাময়ের জন্য প্রচন্ড ভাবে সাহায্য করে। এরকম অসুস্থতা যুক্ত ব্যক্তি নিজেকে সব সময় ঢাকা দিয়ে রাখতে চায়।
FeverGelsemium এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যেটি মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং সহজে ভয় পাওয়া সম্ভব না যুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি তৃষ্ণার অনুপস্থিতির জন্য হতে পারে।
FeverRushtox এই প্রতিকারটি সেই সমস্ত রোগের চিকিৎসার জন্য প্রচুর ভাবে অনুমোদিত যারা প্রচন্ড অস্থিরতা অনুভব করেন এবং যাদের গা হাত পা ব্যথা আছে। এই সমস্ত রোগীরা সব সময় চলন্ত থাকতে চায়। এই প্রতিকারটি বৃষ্টিতে ভিজে থাকার কারণে হওয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
FeverArsenic Alb অবিরাম সবিরাম বাত জ্বর, ম্যালেরিয়া যে কোন জ্বরে লক্ষণ মিলিলে আর্সেনিক প্রয়োগ করা যায়। গাত্র দাহ, ছটফটানি,মৃত্যু ভয়,অবসাদ,অল্প পরিমানে ঘন ঘন জল পান, পায়খানায় ভীষণ দুর্গন্ধ।
FeverIpicac যে কোন জ্বরের সহিত বমি বমি ভাব অর্থাৎ গা বমি বমি জ্বর আসিবার পুর্বে রোগীর হাই উঠে। জ্বরের সময় রোগী চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে। ইপিকাকের জিহ্বা প্রায় পরিস্কার থাকে, মাথা নীচু করিলে বমির ভাব আরো বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি লক্ষণে ইপিকাক অব্যর্থ।
Feverসিনা- কৃমিগ্রস্ত শিশুদের জ্বর প্রায়েই বিকাল বা সন্ধায় আসে। খিট খিটে মেজাজ, ঘুমের ঘরে চিৎকার দিয়া উঠে। দাত কাটে নাক খোটে, ঘ্যান ঘ্যান, প্যান প্যান করে।
FeverPulsatilla হাত, পা, চক্ষুজ্বালার সহিত প্রায়ই বিকালে জ্বর আসে। মুখ শুকাইয়া যায়। তবু জল পিপাসা হয়না। শান্ত স্বভাব, কোমল মোন, গরমে কাতর, খোলা বাতাস পছন্দ করে এই ধাতুর রেগীতে ইহা উপকারী।
Feverমার্ক সল- জ্বরের সহিত ঘর্ম, ঘর্মের সহিত জ্বর। ঘর্মে জ্বরের উপশম না হইয়া বরং আরো বৃদ্ধি। শরীরের কোন স্হানে গ্ল্যান্ড প্রদাহিত হইয়া উক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে মার্কসল উপকারী।
FeverFerrum Phos টাইফয়েড জ্বরের বিকার অবস্হায় বাহ্যি প্রস্রাব অসাড়ে হয় বিড় বিড় করিয়া বকে। মুখে দুর্গন্ধ ঘা, দাতে ময়লা। অজ্ঞন হইয়া পরিয়া থাকে। অত্যান্ত দুর্বল। বালিশ হতে মাথা গড়াইয়া পড়ে। নীচের চুয়াল ঝুলিয়া যায়। এক দৃষ্টি চাহিয়া থাকে।
Feverফেরাম ফস- সর্ব প্রকার জ্বরের প্যথমাবস্হায় ফেরাম ফস উৎকৃষ্ট ঔষধ। কোষ্ঠবদ্ধ জিহ্বায় সাদা প্রলেপ শরীর বেদনা ইত্যাদি লক্ষণে উক্ত ঔষধ উপকারী।
FeverNatrum mure জ্বর আসিবার পুর্বে মাথা ব্যাথা ও জল পিপাসা হইতে থাকে। শীত করিয়া কম্প দিয়া বেলা ১০টা ১১টায় কিংবা বিকালে জ্বর আসে। নিম্ন ঠোটের মধে ভাগ ফাটা ফাটা, জ্বর ঠুটো।
FeverNatrum Sulph ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা বর্ষাকালে জলে ভিজিয়া অবিরাম সবিরাম জ্বরে শরীরের টাটানী ব্যথায় ইহা উপকারী। রোগীর চরিত্রগত লক্ষণ বা রোগলক্ষণের বৈশিষ্ট্য যেমন শীতাবস্হায় পিপাসা বা ঘর্মবস্হায় পিপাসা কিম্বা জলপান মাত্রেই বমি বা জলপানের কিছুক্ষণ পরে বমি, মানসিক লক্ষণ ইত্যাদি ঔষধ নির্বাচনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
Feverক্যালি সালফ- হাত, পা জ্বালার সহিত ঘর্ম বিহিন জ্বর। জ্বর সন্ধায় বৃদ্ধিতে ইহা আমোঘ।
Feverক্যালি ফস- টাইফয়েড জ্বরের রোগী অত্যান্ত দুর্বল, অনিদ্রা, পেট ফাপা, বাহ্যে প্রস্রাবে অত্যান্ত দুর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষণে ইহা অব্যর্থ।
CoughBryonia শুকনো কাশি, হলদে গয়ার, রক্তের ছিট, মাথাব্যথা। (30M)
CoughRumax গলা সুড়সুড় করে, অনবরত শুকনো কাশি। কাশির ধমকে প্রস্রাব নির্গত হয়, ঠান্ডা জলপানে কাশির উপশম। (30M)
CoughHyoscyamus কাশি শুকনো, রাতে বৃদ্ধি, শুইলে আরো বাড়ে, বসলে উপশম। আলজিভ বাড়ার জন্যে কাশি। (30M)
CoughArgent met ফ্যারিংস, লেরিংস, ব্রঙ্কাই এর পুরনো অসুখে, জোরে হাসলে,পড়লে কাশির উদ্রেক। (30M)
CoughBelladonna আপেক্ষিক শুষ্ক দম আটকানো কাশি, গলার ভেতর বেদনা, গরম বোধ। কুকুরের ডাক এর মত শব্দ, রাতে বৃদ্ধি, শক্ত ডেলা সর্দ্দি নির্গমন। (200M)
CoughCroton tig বালিশে মাথা রাখা মাত্রই কাশি, দম আটকায়, তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে, হেঁটে চলে বেড়ায়, বসে ঘুমিয়া যায়। (30M)
CoughEucalyptus বুড়োদের ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি। অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট সহ কাশি ও হাঁপানি সর্দিতে পুঁজ। (Q)
EyeArnica Mont চোখে আঘাত পাওয়া বা চোখ রগড়িয়ে লাল হলে। ৬-৩০ শক্তি। আঘাত পুরনো হয়ে গেলে Symphytum ১এম-উচ্চশক্তি উপকারী।
EyeBelladona -চোখ টকটকে লাল, চিরিক মারা ব্যথা, গরম, জল পড়ে ও জ্বালা করে। চোখসহ মাথায় দপদপানি ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে পারেনা। ৩x-৬ শক্তি ঘন ঘন প্রয়োগ। আঘাতের পর চোখে রক্তজমাট হলে ২০০ শক্তি উপকারী তদ্রূপ Ledum Pal ২০০ শক্তিও অব্যর্থ।
EyeArsenic Alb শীতকাতর, চোখ ফোলা, চোখ থেকে গরম জল পড়ে চুলকায় এবং জ্বালা যন্ত্রণা করে। গরম তাপে আরাম বোধ করে। ৩০-২০০ শক্তি প্রযোজ্য।
EyeEupresia চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। গাঢ় পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৬-৩০ শক্তি সেব্য এবং Q শক্তি ডিস্টিলড ওয়াটারে মিশিয়ে বাহ্যিক প্রয়োগ।
EyeMerc Sol চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। পাতলা পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৩০০-২০০ শক্তি।
EyeApis Mel ত্রিয়াস্থলঃ- মন, চক্ষু, ডিম্বকোষ, কিডনী, মূত্র থলি, গল নালী, সেরাম, গ্লান্ড ও চর্ম।
ঔষধের নিজস্ব কথাঃ
  • ১। মূত্র স্বল্পতা ও মুত্রকষ্ট।
  • ২। জ্বালা ও ফোলা, চোখের নিম্নপাতা ফোলা।
  • ৩। স্পর্শকাতরতা ও গরমকাতরতা।
  • ৪। সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা। পিপাসাহীনতা।
Eye:-- চোখ লাল, হুল ফুটানো ব্যথা, নিচের পাতা ফোলা, চোখের সাদা অংশ লালচে/ গোলাপী। গরমকাতর রোগী ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম বোধ করে। ৬-৩০ শক্তি।
EyePulsetilla শান্ত সংবেদনশীল মন। চোখ লাল, ঠান্ডা জল বা বাতাসে উপশম। নবজাতকের চোখে পিঁচুটি হয়ে চোখ জুড়ে থাকে। চোখের পাতা নাচা। ৩০ শক্তি অব্যর্থ। পরবর্তী ঔষধ Argent Nit ৩০-২০০ শক্তি। চোখের পাতা নাচলে Raphanus ঔষধটি ৩০-২০০শক্তি কার্যকারী।
EyeKali Carb চোখের যেকোন রোগে চোখের উপরের পাতা ফোলা, শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি।
EyeRhus Tox চোখ ব্যথা, চোখের পাতা ফোলা, গরম জল পড়া, আলোক সংবেদী। চোখ জ্বলে, ঘন পিঁচুটিতে চোখ জুড়ে থাকে। ঠান্ডায় যন্ত্রণা বাড়ে, চোখ বুজে থাকলে আরাম লাগে। জলে বা বৃষ্টিতে ভিজে চোখের পাতার পক্ষাঘাত। ৬ বা ৩০ শক্তি থেকে পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি।
EyeConium চোখে ছানি পড়া। গরমস্রাব, আলোক সংবেদী এবং শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি।
FrecleSulphur সালফারঃ অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন নোংড়া স্বভাবের রোগীদের ছুলিতে উহা উপযোগী।সালফারের বিশিষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।
FreclePsoralia Cory সোরেলিয়া কুড়িঃ ছুলি রোগের একটি উত্তম কার্যকারী ঔষধ। ইহা ব্যবহারে অনেক রোগী আরগ্য হইয়াছে।
FrecleAcid Nit এসিড নাইটঃ রোগী অতিশয় শীতে কাতর, ঠোটের কোনে ঘা,মুখে বিশ্রী দুর্গন্ধ,ঘুমের ঘরে বালিশে দুর্গন্ধ লালা পড়ে।প্রস্রাবে ভয়ানক দুর্গন্ধ এই ধাতু রোগীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুলিতে অমোঘ।
FrecleArsenic Alb আর্সেনিক এলবঃ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সৌখিন শীত কাতর ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানের ছুলিতে এই ঔষধ উপকারী। রোগীর মৃত্যুভয়,ছটফটানি অস্থিরতাসহ আর্সেনিক এলবমের বিশিষ্ট লক্ষণের রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী।
FrecleGraphites গ্রাফাইটিসঃ মোটা,থলথলে দেহের অধিকারী কোষ্ঠবদ্ধ ধাতুর রোগীর ছুলি চিকিৎসায় উপযোগী।
FrecleKali Mur
FrecleNatrum Mur

Note that we start the search in topic, to prevent filtering the table headers.







Ferrum Phos
June 05, 2025
  • Ferrum Phos ( ফেরাম ফস ) উভয় কাতর।
  • ধাতুদোষঃ এন্টি সোরিক এন্টি টিউবারকুলার।
সর্বপ্রকার দৈহিক রোগের প্রথম অবস্থায় F.P এবং K.M প্রয়োগ করলে বহু জটিল রোগ আরোগ্য লাভ করে এবং রোগ অঙ্কুরেই বিনাশ হয়।


ফেরাম
ফসের চিত্রঃ

সর্ব প্রকার প্রদাহের প্রথম অবস্থাঃ জ্বরের প্রথম অবস্থা উচ্চ তাপ,দ্রুতনাড়ী,অস্থিরতা,পিপাসা; শীরঃপীড়ায় চোখ মূখ রক্তবর্ণ; ফোঁড়া , বাত ইত্যাদিতে আক্রান্তস্থান উত্তপ্ত, লাল বর্ণ, দপদপানি বা টাটানি ব্যথা থাকে। রক্তস্রাব, রক্তাধিক্যতা রক্তহীনতা। সকল প্রকার প্রেসার নিয়ন্তক। অজীর্ণ ভুক্তদ্রব্য বমন। পেশীর শিথিলতা। আঘাত,চুনে বা আগুনে পোড়া।

অভাব জনিত লক্ষণঃ

রক্তাধিক্য, প্রদাহিক পীড়া , জ্বর, রক্তহীনতা, পেশীসমূহের শিথিলতা দূর্বলতা,বুক ধড়পড়ানি।
Pathological change প্যাথলজিক্যাল চেঞ্জঃ

পরিচায়ক লক্ষনঃ
  • কারণ যাইহোক মস্তিষ্কের রক্তাধিক্যের জন্য রোগী উম্মত্তের ন্যায় প্রলাপ বকে। অত্যন্ত বাচাল। নাম ভূলে যায়।
  • সর্বপ্রকার প্রদাহীক জ্বালাযুক্ত { জ্বর,সর্দি, হাম , চোখ উঠা , ফোঁড়া ইত্যাদি } পীড়ার প্রথমাবস্থায় {K.M}আবশ্যকীয়।
  • চুনে বা আগুনে পোড়া , গরম পানি বা তেলে পোড়া। K.M সহ পর্যায় ক্রমে।ক্যান্থারিস Q.
  • প্রসবের পর যাবতীয় উপসর্গের জন্য অদ্বিতীয়। K.M সহ পর্যায়ক্রমে।
  • মস্তকে রক্তাধিক্য বশতঃ অনিদ্রা। 30X.
  • মাথার উপরে চুলের গোড়ায় টাটানি ব্যাথা।
  • মাথা নত করলে চোখে দেখা যায়না।
  • যাদের ঠান্ডা সহ্য হয় না এবং সামান্য মাত্র ঠান্ডাতেই সর্দি হয় { C.P } সহ পর্যায়ক্রমে।
  • যে কোনো পীড়ার সহিতে ভুক্তদ্রব্য অজীর্ণাবস্থায় মল বমির সহিত নির্গত হলে ইহা মহৌষধ
  • আঘাতের ফলে সর্বপ্রকার পীড়ায় F.P অপ্রতিদ্বন্দ্বী। -আর্ণিকা।
  • দুপুর - টায় জ্বর আসা। যে-কোনো রোগের সাথে জ্বর।
  • সামান্য খাদ্য গ্রহণেই পাকস্থলীতে বেদনা।
  • সর্ব প্রকার পীড়াইসঞ্চালনে, চাপে, স্পর্শে, আহারকালীন , শীতল বায়ূতে , রাত্রে এবং প্রত্তসে বৃদ্ধি।
  • সকল প্রকার রক্তাধিক্য রক্ত স্রাবের প্রধান ঔষধ। (অন্য ঔষধ নির্দিষ্ট হলেও এটি পর্যায়ক্রমে ব্যবহার প্রয়োজন)
  • যে কোনো স্থান থেকে উজ্জল লাল বর্ণের রক্তস্রাব এবং স্রাবের পর জমাটি বাঁধা।

 রক্তাল্পতা রোগে —

  • ১ম C.P
  • ২য় F.P 3x
  • ৩য় N.S
  • ৪র্থ ধাপে C.F বিশেষ উপযোগী।
  • রক্তে লোহিত কণিকার ( R.B.C.) এর অভাব ও শ্বেতকণিকা ( W.B.C.) এর বৃদ্ধি।
গ্রীষ্মকালীন উদরাময়ের প্রধান ঔষধ (জলবৎ মল)।
শয়তানের দোষে ঘাড় আড়ষ্টতা বা বেদনা।
চর্মের ছাল উঠিয়া যায়।
দাঁতের ব্যথা শীতল জ্বলে উপশম, চা (গরম) পানে বৃদ্ধি।
টনসিল প্রদাহ —ডান থেকে বামে যায়।
মূত্রপথের পেশী সমুহের শৈথিল্যতা বশতঃ প্রস্রাব ধারণ করার ক্ষমতা হীনতা। অবিরত মূত্রত্যাগ প্রবৃত্তি।
মূত্রনালির প্রদাহজনিত মূত্র বন্ধ হয়ে মূত্রবিকার।

অভাব জনিত রোগঃ

  • রক্তাধিক্য, জ্বর ও প্রদাহিক রোগ।
  • পেশীসমূহের শিথিলতা ও দূর্বলতা।
  • রক্তাল্পতা,এনিমিয়া, ক্লোরোসিস,লিউকেমিয়া (শ্বেতকণিকার বৃদ্ধি )
  • ক্ষুধামন্দা, অল্পবুদ্ধি ও নিরুৎসাহ ভাব।
  • আঘাতজনিত ক্ষত ও কালশিরা দাগ।
  • ক্রমাগত ভুক্তদ্রব্য বমন।
  • রক্তাধিক্যজনিত অনিদ্রা।

রোগ উৎপত্তির কারণঃ

  • আঘাত।
  • গৃষ্মকালে ঘর্ম রোধ।
  • ঠান্ডা লেগে প্রদাহিক পীড়া বা উদরাময়।
  • সূর্যতাপ লাগা।

হ্রাসঃ ঠাণ্ডায় , ঠাণ্ডাপানীয় সেবনে, ঠাণ্ডা জল লাগাইলে, বিশ্রামে।

বৃদ্ধিঃ সকল লক্ষণ সঞ্চালনে উত্তাপে ও উত্তেজনায় বৃদ্ধি। এছাড়া - রাত্রে, ভোর ৪ টা হতে ৬টা পর্যন্ত, উত্তাপে, আহারের সময়।


Pneumonia
March 28, 2025
Pneumonia

Pneumonia / নিউমোনিয়া / ফুসফুস-প্রদাহ

Type something in the input field to search the table for first names, last names or others:


নিউমোনিয়া (ইংরেজি: Pneumonia) ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম।ইহা হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ বিশেষ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়া থেকে ফ্লু হবারও সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (RSV) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়।

উপসর্গসমূহ
নিউমোনিয়ার উপসর্গ গুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কি ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার উপর। নিউমোনিয়ার লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপ:

  • জ্বর
  • কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • কাপুনি
  • ঘাম হওয়া
  • বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে
  • মাথা ব্যথা
  • মাংসপেশীতে ব্যাথা
  • ক্লান্তি অনুভব করা

নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ

বিভিন্ন জীবাণু নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে। তাদের মধ্যে বায়ু-বাহিত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস অগ্রগণ্য। আমাদের শরীরর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত এই জীবাণু দের থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু কোন কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা দুর্বল হলে, সংক্রমণ হয়। এরফলে ফুসফুস ফুলে যায় এবং সেখান থেকে তরল শ্লেষ্মা (mucus) বের হয়।

প্রধান প্রধান নিউমোনিয়া সৃষ্টি কারক জীবাণু হোল -

স্ত্রেপটোক্ককাস নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া প্রায় শতকরা 50 টি নিউমোনিয়ার কারন। - এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সরাসরি হতে পারে। আবার সাধারণ সর্দি এবং ফ্লু-র পর এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

অন্যান্য নিউমোনিয়া সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া হোল - হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, ক্লামিদোফিলিয়া নিউমোনিই, লেজিওল্লা নিমফিলিয়া এবং মরাক্সেল্লা কাতারহালিস। অতিরিক্ত মদ্যপানে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি হয়।

ব্যাকটেরিয়ার মতন জীবাণু যেমন মাইকোপ্লাসম নিউমোনিই (Mycoplasma pneumoniae) থেকেও ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে।

ভাইরাসের কারণে সাধারণত প্রায় একতৃতীয়াংশ নিউমোনিয়ার সংক্রমণ হয়। সর্বাধিক নিউমোনিয়া-কারক ভাইরাস হোল - রাইনোভাইরাস, করোনা ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেস্পিরেটোরি সিঙ্কসাইটাল ভাইরাস, আডেনো ভাইরাস ইত্যাদি। অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং দুর্বল ইমুনিটির কারণ ভাইরাল নিউমোনিয়া হতে পারে।

ছত্রাক-জাত নিউমোনিয়ার হার অত্যন্ত কম। এই ধরনের ছত্রাকদের নাম - হিসটোপ্লাসম কাপ্সুলাটাম, ব্লাসটোমাইসেস, ক্রিপ্টোকক্কাস নিওফরমান্স ইত্যাদি। দুর্বল ইম্মুনিটির কারনে ছত্রাক থেকে নিউমোনিয়ার সংক্রমন হয়ে থাকে।

বিভিন্ন পরজীবী থেকেও নিউমোনিয়া হতে পারে যেমন - ট্যাক্সোপ্লাসম্ গণ্ডী, স্ত্রোঙ্গিলইদেস স্তেরকরালিস, আস্কারিস লাম্ব্রিকইদেস ইত্যাদি।

শিশুদের নিউমোনিয়ার

শিশুদের নিউমোনিয়ার সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
  • শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
  • কাশির সময় ব্যথা
  • বুকে ব্যথা
  • কাশি যা শ্লেষ্মা তৈরি করে
  • দ্রুত বা কঠিন শ্বাস
  • জ্বর
  • ঝগড়া
  • মাথা ব্যাথা

নিউমোনিয়া নির্ণয়ে পরীক্ষার নামঃ

নিউমোনিয়া রোগটি প্যাথলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন এর দ্বারা নির্ণয় করতে হলে বেশ কিছু টেস্ট করা যেতে পারে। যেমন-
  • Chest X-ray
  • Chest CT scan
  • CBC
  • Blood culture
  • Sputum culture
এই সকল প্যাথলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন দ্বারা রোগটির নির্বাচন এবং তীব্রতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।
যাই হোক, অর্গাননের ১৫৪ সূত্রে মহাত্মা হ্যানিমান বলছেন, “যোগ্যতম ঔষধের লক্ষণতালিকা হইতে যে প্রতিরূপ প্রস্তুত করা হয় তাহার মধ্যে যদি সেই সকল বিচিত্র, অসাধারণ, অনন্য এবং বিশিষ্ট (পরিচায়ক) লক্ষণসমূহ বিদ্যমান থাকে- যেগুলি অধিকতম সংখ্যায় ও অধিকতম সাদৃশ্যসহ যে রোগ চিকিৎসা করতে হইবে তাহার মধ্যে দেখা যায়, তাহা হইলে সেই ঔষধই হইবে সেই রোগে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত আরোগ্যদায়ক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। রোগ যদি খুব বেশি পুরাতন না হয় তা হইলে সাধারণত প্রথম মাত্রাতেই বেশি গোলযোগ ব্যতীত তাহা দূরীভূত ও বিনষ্ট হইবে।”


হোমিওপ্যাথিতে রোগের লক্ষণ বলতে কী বোঝায় ?

মেটেরিয়া মেডিকায় বর্ণিত প্রতিটি ওষুধ যেন এক একটি রুগ্ন মানুষের প্রতিচ্ছবি অর্থাৎ স্বতন্ত্র লক্ষণ সমষ্টির একক চিত্র। সুস্থ শরীরে ওষুধ পরীক্ষা করে যেমন ওষুধের লক্ষণ সমষ্টি জানা যায় তেমনি প্রতিটি মানব স্বত্ত্বার অখণ্ডতা বিবেচনায় রেখে সামগ্রিক লক্ষণ নির্ণয় করা হয়। রোগ বা রোগের নাম নয়, লক্ষণ সমষ্টিই ওষুধ নির্বাচনের একমাত্র নিয়ামক।

প্রসঙ্গতঃ অ্যালোপ্যাথিসহ অন্যান্য চিকিৎসাক্ষেত্র এবং সাধারণ মানুষ মানব স্বত্ত্বার অখণ্ডতায় বিশ্বাস করলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রোগের বিষয়টি দেখে থাকেন। রোগ যে অঙ্গেই আক্রমণ করুক না কেন, একই স্নায়ুমণ্ডলি ও রক্তস্রোতের অধীনে বলে পুরো মানুষটি রুগ্ন হয়ে থাকে। আধুনিক চিকিৎসায় এই বাস্তবতাকে গ্রহণ করা হয় না।

পক্ষান্তরে, রোগাক্রান্ত অঙ্গটিসহ পুরো মানুষটি রোগগ্রস্ত হয় হোমিওপ্যাথির এই বাস্তব বিশ্বাস এবং সেই নিরিখে দেহ, মন ও অঙ্গকে অবিচ্ছিন্নভাবে রুগ্ন ধরে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার নিয়মই হোমিওপ্যাথিকে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে আলাদা করেছে। উদরাময়,আমাশয়, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, গলগণ্ড, গলস্টোন, অর্শ, ভগন্দর,টিউমার,র হার্নিয়া, একশিরা, মাথাবেদনা, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, ক্যানসার প্রভৃতি রোগের নাম যাই হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে পুরো মানুষটিই রুগ্ন হয়। অতএব, রোগ যাই হোক, চিকিৎসা হবে সামগ্রিক- এটাই হবে প্রকৃত সত্য।

লক্ষণ কত প্রকার ও কি কি ?
১। ব্যক্তিনিষ্ঠ লক্ষণঃ Subjective Symptoms- রোগের যে সকল লক্ষণ শুধুমাএ রোগী স্বয়ং অনুভব করিতে পারেন এবং রোগী না বলিলে চিকিৎসক বা অন্য কেহ তাহা বুঝিতে পারে না উহাদিগকে ব্যক্তিনিষ্ঠ লক্ষণ বলে। যেমন- পিপাসা, মাথাব্যথা, ক্ষুধা, ব্যথা বেদনা প্রভৃতি।
২। বস্তুনিষ্ঠ লক্ষণঃ Objective Symptoms- রোগের যে সকল লক্ষণ রোগী নিজে না বলিলেও চিকিৎসক তাহার জ্ঞান ইন্দ্রিয়ের দ্বারা ও যান্ত্রিক পরীক্ষার দ্বারা, পার্শ্ববর্তী লোকজন প্রত্যক্ষ করেন উহাদিগকে বস্তুনিষ্ঠ লক্ষণ বলে। যেমন- জ্বর, প্রলাপ, পক্ষাঘাত, কাশি প্রভৃতি।
পূর্ণাঙ্গ রোগ লক্ষণ কাহাকে বলে ?
যে লক্ষণের অবস্থান, অনুভূতি, হ্রাসবৃদ্ধি ও আনুষাঙ্গিক অবস্থা আছে জ্ঞান ইন্দ্রিয় দ্বারা সহজেই বোধগম্য হয় তাহাকে পূণাঙ্গ রোগ লক্ষণ বলে।
প্রকৃত রোগ লক্ষণের বৈশিষ্ট্যসমূহ কি কি ?
প্রকৃত রোগ লক্ষণ রোগীর স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের বিকৃত অবস্থা প্রকাশ করে।
প্রকৃত রোগ লক্ষণ জ্ঞান ইন্দ্রিয় দ্বারা সহজেই বোধগম্য হইবে।
প্রকৃত রোগ লক্ষণের অবস্থান, অনুভূতি, হ্রাসবৃদ্ধি ও আনুষাঙ্গিক অবস্থা স্পষ্টভাবে বুঝা যাইবে।
লক্ষণ ও চিহ্নের মধ্যে পার্থক্য কি ?
চিকিৎসকের নিকট যখন রোগী নিজে রোগ সম্পর্কে বা কষ্টকর উপসর্গ সম্বন্ধে বর্ণনা দেয় তখন রোগীর বর্ণিত কষ্টকর উপসর্গগুলিকে লক্ষণ বলে।
অপরদিকে চিকিৎসক রোগী পর্যবেক্ষণ করিয়া এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা দ্বারা রোগ সম্পর্কে যাহা জানিতে পারেন তাহাকে চিহ্ন বলে।
সুতরাং লক্ষণ হইল রোগ সম্পর্কে রোগীর নিজের বর্ণনা, আর চিহ্ন হইল পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ দ্বারা রোগ সম্পর্কে চিকিৎসকের ধারন। অনেক সময় লক্ষণ ও চিহ্ন হইতে পারে। যেমন একজন রোগী বলিল আমার বমির সহিত রক্ত বাহির হয়। এখানে রক্ত বমি একটি লক্ষণ। আবার যদি রোগী চিকিৎসকের সামনে রক্তবমি করে বা চিকিৎসককে রক্তবমি আনিয়া দেখায় তাহা হইলে এখানে রক্তবমি চিহ্ন।

বলা বাহুল্য, রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগের নামের তেমন কোন মূল্য নেই। একিউট এবং ক্রনিক রোগ যেমনই হোক না কেন ব্যক্তিস্বাতন্ত্রীকরণ প্রণালীতে মানসিক ও সার্বদৈহিক, বিশেষ লক্ষণ সংগ্রহ করে তার সমন্বয়ে লক্ষণ সমষ্টি বা রোগচিত্র অংকন করা হয়। হোমিওপ্যাথিতে রোগ নির্ণয় ও ওষুধ নির্বাচনের এটাই একমাত্র পথ।

লক্ষণ স্বাস্থ্যের স্বাভাবিক অবস্থার বিকৃত পরিবর্তন বা পীড়ার অস্তিত্বের প্রমাণ। ইহা এমন একটি অবস্থা যাহা রোগী স্বয়ং তাহার নিকট আত্মীয় ও পার্শ্ববর্তী লোকজন এবং চিকিৎসক প্রত্যক্ষ করিয়া থাকেন।লক্ষণ শুধুমাএ রুগ্নাবস্থার বহিঃপ্রকাশ বা রোগের নিদর্শনই নয়, ইহা প্রতিকারক সদৃশ ঔষধ নির্বাচনের ও চাবিকাঠি।

What is symptoms according to homeopathy?

For a homeopath, symptoms are the important pointers to understand the sickness in the patient. These symptoms could be at the physical level known as physical symptoms or at mental level, commonly called mental symptoms.

একজন হোমিওপ্যাথের জন্য রোগীর অসুস্থতা বোঝার জন্য উপসর্গগুলি হল গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। এই লক্ষণগুলি শারীরিক স্তরে হতে পারে যা শারীরিক লক্ষণ হিসাবে পরিচিত বা মানসিক স্তরে, যাকে সাধারণত মানসিক লক্ষণ বলা হয়।

লক্ষ্মণ সংগ্রহের ব্যপারে আসা যাক। অর্গাননের ৮৩ থেকে ১০৩ পর্যন্ত সূত্রের ভিত্তিতে লক্ষ্মণ সংগ্রহ করতে হবে। যেমন—
Common diagnostic and uncommon individualistic symptoms অর্থাৎ PUSS—Peculiar, Uncommon, Striking and Singular;
Pathological symptoms অর্থাৎ morbid condition, location, sensation, modalities, physical changes, mental changes, subjective symptoms, objective symptoms;
Intellectual aspects;
Intellectual aspects;
Social aspects;
Environmental aspect;
Miasmatic Sphere;
Constitutional aspects;
Past history of the patient;
Family history;
Causation;
Iatrogenic sphere;
Generalities;

নিউমোনিয়ার ঔষধের নাম কি?

ওফুক্সিন ২০০ এম জি ইনজেকশন (Ofuxin 200 MG Injection) কমিউনিটি-অ্যাকুইয়ার নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় যা স্ট্রিপ্টোকোকাস নিউমোনিয়া, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা দ্বারা সৃষ্ট সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ফুসফুস সংক্রমণ।

নিউমোনিয়ার জন্য কি টেস্ট করতে হয়?

নিউমোনিয়া সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং অন্যান্য অণুজীবের দ্বারা কম হয়। দায়ী প্যাথোজেন সনাক্ত করা কঠিন হতে পারে । রোগ নির্ণয় প্রায়ই লক্ষণ এবং শারীরিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে। বুকের এক্স-রে , রক্ত ​​পরীক্ষা এবং থুতনির কালচার রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।

বাংলাদেশে নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন কী?

শিশুদের সুরক্ষায় এক নবদিগন্ত: শিশুদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধে নতুন ভ্যাকসিন 'ইভিমার-১৩' নিয়ে এলো ইনসেপ্টা দেশে প্রথমবারের মতো নিউমোনিয়ার জন্য নিজস্বভাবে তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। 'ইভিমার-১৩' নামের এই ভ্যাকসিন সব বয়সী মানুষের জন্য উপযোগী।


Disease Medicine Description of the medicine
নিউমোনিয়াBryonia Alba নিউমোনিয়া থেকে মুক্তি : ব্রায়োনিয়া (Bryonia Alba) হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি নিউমোনিয়ার জন্য আল্লাহ্‌র একটি বিরাট রহমত স্বরূপ। সাধারণত নিম্নশক্তিতে (৩০ বা ২০০) খাওয়ালে ঘনঘন খাওয়াতে হয় কয়েকদিন কিন্তু (১০,০০০ বা ৫০,০০০ ইত্যাদি) উচ্চশক্তিতে খাওয়ালে দুয়েক ডোজই যথেষ্ট। হ্যাঁ, অধিকতর জটিল কেইসের ক্ষেত্রে কয়েকদিন খাওয়ানো লাগতে পারে। আপনি যদি বড়িতে উচ্চশক্তির এক ড্রাম ব্রায়োনিয়া কিনে আনেন এবং তা থেকে একটি বড়ি আধা বোতল পানির সাথে মিশান এবং তা থেকে এক চায়ের চামচ পানি করে রোগীকে রোজ ৩ বার করে অথবা আরো ঘনঘন খাওয়ান। তাহলে সহজেই সেরে যাবে।

ব্রায়োনিয়ার লক্ষ্মণঃ মুখ শুকিয়ে আসার সাথে ঘন ঘন বেশি পরিমাণে পানি খেতে চায়, চুপচাপ শুয়ে থাকে সাথে স্পর্শকাতরতা, নিঃশ্বাস নিতে গেলে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।
FeverAconite এটি অস্থিরতা এবং উত্তেজনা যুক্ত অসুস্থতা এর প্রতিকারে ব্যবহার করা হয়। ঐ সমস্ত রোগী এর মধ্যে ঠান্ডা জলের জন্য চেষ্টা এবং অসহনীয় গা হাত পা ব্যথা নিয়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। অ্যাকোনাইট ঠান্ডা বাতাসে যে সমস্ত রোগ প্রচন্ড বৃদ্ধি পায় তার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
FeverBryonia alba এটি গা হাত পা ব্যথা যুক্ত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই রোগ যুক্ত ব্যক্তিরা সারাদিন শুয়ে থাকতে চায় ব্যথা থেকে আরাম পেতে এবং এমনকি সামান্য সরে গেলেও তা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জলের জন্য একটি প্রচন্ড তৃষ্ণাও করা যায়।
FeverNux-vomica এটি কাঁপুনি যুক্ত জ্বরের প্রতিকার এ ব্যবহার করা হয়। এটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এবং কাঁপুনি ভাবের নিরাময়ের জন্য প্রচন্ড ভাবে সাহায্য করে। এরকম অসুস্থতা যুক্ত ব্যক্তি নিজেকে সব সময় ঢাকা দিয়ে রাখতে চায়।
FeverGelsemium এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যেটি মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং সহজে ভয় পাওয়া সম্ভব না যুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি তৃষ্ণার অনুপস্থিতির জন্য হতে পারে।
FeverRushtox এই প্রতিকারটি সেই সমস্ত রোগের চিকিৎসার জন্য প্রচুর ভাবে অনুমোদিত যারা প্রচন্ড অস্থিরতা অনুভব করেন এবং যাদের গা হাত পা ব্যথা আছে। এই সমস্ত রোগীরা সব সময় চলন্ত থাকতে চায়। এই প্রতিকারটি বৃষ্টিতে ভিজে থাকার কারণে হওয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
FeverArsenic Alb অবিরাম সবিরাম বাত জ্বর, ম্যালেরিয়া যে কোন জ্বরে লক্ষণ মিলিলে আর্সেনিক প্রয়োগ করা যায়। গাত্র দাহ, ছটফটানি,মৃত্যু ভয়,অবসাদ,অল্প পরিমানে ঘন ঘন জল পান, পায়খানায় ভীষণ দুর্গন্ধ।
FeverIpicac যে কোন জ্বরের সহিত বমি বমি ভাব অর্থাৎ গা বমি বমি জ্বর আসিবার পুর্বে রোগীর হাই উঠে। জ্বরের সময় রোগী চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে। ইপিকাকের জিহ্বা প্রায় পরিস্কার থাকে, মাথা নীচু করিলে বমির ভাব আরো বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি লক্ষণে ইপিকাক অব্যর্থ।
Feverসিনা- কৃমিগ্রস্ত শিশুদের জ্বর প্রায়েই বিকাল বা সন্ধায় আসে। খিট খিটে মেজাজ, ঘুমের ঘরে চিৎকার দিয়া উঠে। দাত কাটে নাক খোটে, ঘ্যান ঘ্যান, প্যান প্যান করে।
FeverPulsatilla হাত, পা, চক্ষুজ্বালার সহিত প্রায়ই বিকালে জ্বর আসে। মুখ শুকাইয়া যায়। তবু জল পিপাসা হয়না। শান্ত স্বভাব, কোমল মোন, গরমে কাতর, খোলা বাতাস পছন্দ করে এই ধাতুর রেগীতে ইহা উপকারী।
Feverমার্ক সল- জ্বরের সহিত ঘর্ম, ঘর্মের সহিত জ্বর। ঘর্মে জ্বরের উপশম না হইয়া বরং আরো বৃদ্ধি। শরীরের কোন স্হানে গ্ল্যান্ড প্রদাহিত হইয়া উক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে মার্কসল উপকারী।
FeverFerrum Phos টাইফয়েড জ্বরের বিকার অবস্হায় বাহ্যি প্রস্রাব অসাড়ে হয় বিড় বিড় করিয়া বকে। মুখে দুর্গন্ধ ঘা, দাতে ময়লা। অজ্ঞন হইয়া পরিয়া থাকে। অত্যান্ত দুর্বল। বালিশ হতে মাথা গড়াইয়া পড়ে। নীচের চুয়াল ঝুলিয়া যায়। এক দৃষ্টি চাহিয়া থাকে।
Feverফেরাম ফস- সর্ব প্রকার জ্বরের প্যথমাবস্হায় ফেরাম ফস উৎকৃষ্ট ঔষধ। কোষ্ঠবদ্ধ জিহ্বায় সাদা প্রলেপ শরীর বেদনা ইত্যাদি লক্ষণে উক্ত ঔষধ উপকারী।
FeverNatrum mure জ্বর আসিবার পুর্বে মাথা ব্যাথা ও জল পিপাসা হইতে থাকে। শীত করিয়া কম্প দিয়া বেলা ১০টা ১১টায় কিংবা বিকালে জ্বর আসে। নিম্ন ঠোটের মধে ভাগ ফাটা ফাটা, জ্বর ঠুটো।
FeverNatrum Sulph ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা বর্ষাকালে জলে ভিজিয়া অবিরাম সবিরাম জ্বরে শরীরের টাটানী ব্যথায় ইহা উপকারী। রোগীর চরিত্রগত লক্ষণ বা রোগলক্ষণের বৈশিষ্ট্য যেমন শীতাবস্হায় পিপাসা বা ঘর্মবস্হায় পিপাসা কিম্বা জলপান মাত্রেই বমি বা জলপানের কিছুক্ষণ পরে বমি, মানসিক লক্ষণ ইত্যাদি ঔষধ নির্বাচনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
Feverক্যালি সালফ- হাত, পা জ্বালার সহিত ঘর্ম বিহিন জ্বর। জ্বর সন্ধায় বৃদ্ধিতে ইহা আমোঘ।
Feverক্যালি ফস- টাইফয়েড জ্বরের রোগী অত্যান্ত দুর্বল, অনিদ্রা, পেট ফাপা, বাহ্যে প্রস্রাবে অত্যান্ত দুর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষণে ইহা অব্যর্থ।
CoughBryonia শুকনো কাশি, হলদে গয়ার, রক্তের ছিট, মাথাব্যথা। (30M)
CoughRumax গলা সুড়সুড় করে, অনবরত শুকনো কাশি। কাশির ধমকে প্রস্রাব নির্গত হয়, ঠান্ডা জলপানে কাশির উপশম। (30M)
CoughHyoscyamus কাশি শুকনো, রাতে বৃদ্ধি, শুইলে আরো বাড়ে, বসলে উপশম। আলজিভ বাড়ার জন্যে কাশি। (30M)
CoughArgent met ফ্যারিংস, লেরিংস, ব্রঙ্কাই এর পুরনো অসুখে, জোরে হাসলে,পড়লে কাশির উদ্রেক। (30M)
CoughBelladonna আপেক্ষিক শুষ্ক দম আটকানো কাশি, গলার ভেতর বেদনা, গরম বোধ। কুকুরের ডাক এর মত শব্দ, রাতে বৃদ্ধি, শক্ত ডেলা সর্দ্দি নির্গমন। (200M)
CoughCroton tig বালিশে মাথা রাখা মাত্রই কাশি, দম আটকায়, তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে, হেঁটে চলে বেড়ায়, বসে ঘুমিয়া যায়। (30M)
CoughEucalyptus বুড়োদের ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি। অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট সহ কাশি ও হাঁপানি সর্দিতে পুঁজ। (Q)
EyeArnica Mont চোখে আঘাত পাওয়া বা চোখ রগড়িয়ে লাল হলে। ৬-৩০ শক্তি। আঘাত পুরনো হয়ে গেলে Symphytum ১এম-উচ্চশক্তি উপকারী।
EyeBelladona -চোখ টকটকে লাল, চিরিক মারা ব্যথা, গরম, জল পড়ে ও জ্বালা করে। চোখসহ মাথায় দপদপানি ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে পারেনা। ৩x-৬ শক্তি ঘন ঘন প্রয়োগ। আঘাতের পর চোখে রক্তজমাট হলে ২০০ শক্তি উপকারী তদ্রূপ Ledum Pal ২০০ শক্তিও অব্যর্থ।
EyeArsenic Alb শীতকাতর, চোখ ফোলা, চোখ থেকে গরম জল পড়ে চুলকায় এবং জ্বালা যন্ত্রণা করে। গরম তাপে আরাম বোধ করে। ৩০-২০০ শক্তি প্রযোজ্য।
EyeEupresia চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। গাঢ় পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৬-৩০ শক্তি সেব্য এবং Q শক্তি ডিস্টিলড ওয়াটারে মিশিয়ে বাহ্যিক প্রয়োগ।
EyeMerc Sol চোখ উঠা, জল পড়া, ব্যথা জ্বালা। পাতলা পূঁজে চোখ জুড়ে থাকে, আলোতে চোখ করকর করে। ৩০০-২০০ শক্তি।
EyeApis Mel ত্রিয়াস্থলঃ- মন, চক্ষু, ডিম্বকোষ, কিডনী, মূত্র থলি, গল নালী, সেরাম, গ্লান্ড ও চর্ম।
ঔষধের নিজস্ব কথাঃ
  • ১। মূত্র স্বল্পতা ও মুত্রকষ্ট।
  • ২। জ্বালা ও ফোলা, চোখের নিম্নপাতা ফোলা।
  • ৩। স্পর্শকাতরতা ও গরমকাতরতা।
  • ৪। সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা। পিপাসাহীনতা।
Eye:-- চোখ লাল, হুল ফুটানো ব্যথা, নিচের পাতা ফোলা, চোখের সাদা অংশ লালচে/ গোলাপী। গরমকাতর রোগী ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম বোধ করে। ৬-৩০ শক্তি।
EyePulsetilla শান্ত সংবেদনশীল মন। চোখ লাল, ঠান্ডা জল বা বাতাসে উপশম। নবজাতকের চোখে পিঁচুটি হয়ে চোখ জুড়ে থাকে। চোখের পাতা নাচা। ৩০ শক্তি অব্যর্থ। পরবর্তী ঔষধ Argent Nit ৩০-২০০ শক্তি। চোখের পাতা নাচলে Raphanus ঔষধটি ৩০-২০০শক্তি কার্যকারী।
EyeKali Carb চোখের যেকোন রোগে চোখের উপরের পাতা ফোলা, শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি।
EyeRhus Tox চোখ ব্যথা, চোখের পাতা ফোলা, গরম জল পড়া, আলোক সংবেদী। চোখ জ্বলে, ঘন পিঁচুটিতে চোখ জুড়ে থাকে। ঠান্ডায় যন্ত্রণা বাড়ে, চোখ বুজে থাকলে আরাম লাগে। জলে বা বৃষ্টিতে ভিজে চোখের পাতার পক্ষাঘাত। ৬ বা ৩০ শক্তি থেকে পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি।
EyeConium চোখে ছানি পড়া। গরমস্রাব, আলোক সংবেদী এবং শীতকাতর। ৩০-২০০ শক্তি।
FrecleSulphur সালফারঃ অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন নোংড়া স্বভাবের রোগীদের ছুলিতে উহা উপযোগী।সালফারের বিশিষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।
FreclePsoralia Cory সোরেলিয়া কুড়িঃ ছুলি রোগের একটি উত্তম কার্যকারী ঔষধ। ইহা ব্যবহারে অনেক রোগী আরগ্য হইয়াছে।
FrecleAcid Nit এসিড নাইটঃ রোগী অতিশয় শীতে কাতর, ঠোটের কোনে ঘা,মুখে বিশ্রী দুর্গন্ধ,ঘুমের ঘরে বালিশে দুর্গন্ধ লালা পড়ে।প্রস্রাবে ভয়ানক দুর্গন্ধ এই ধাতু রোগীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুলিতে অমোঘ।
FrecleArsenic Alb আর্সেনিক এলবঃ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সৌখিন শীত কাতর ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানের ছুলিতে এই ঔষধ উপকারী। রোগীর মৃত্যুভয়,ছটফটানি অস্থিরতাসহ আর্সেনিক এলবমের বিশিষ্ট লক্ষণের রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী।
FrecleGraphites গ্রাফাইটিসঃ মোটা,থলথলে দেহের অধিকারী কোষ্ঠবদ্ধ ধাতুর রোগীর ছুলি চিকিৎসায় উপযোগী।
FrecleKali Mur
FrecleNatrum Mur

Note that we start the search in topic, to prevent filtering the table headers.







Ads 728x90