Pulsatilla -পালসেটিলা
সমনামঃ উইনড ফ্লাউয়ার, হারবাভেন্টি।
মায়াজমঃ সোরিক, সাইকোটিক, টিউবারকুলার।
সাইডঃ ডানপাশ, ওপরে বামপাশ নিচে ডানপাশ।
কাতরতাঃ গরমকাতর।
উপযোগিতাঃ জৈব তরল পদার্থের ক্ষয়, স্তনদুগ্ধপায়ী শিশু, মেদ প্রবণতা, শ্লেষ্মাক্ষরণ বর্ধিত। সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, স্নেহপরায়ণ, নম্র, ভদ্র, ভীরু, প্রকৃতি- সহজেই বশে আসে এমন প্রকৃতি যাদের তাদের পক্ষে উপযোগী।
ক্রিয়াস্থলঃ মন, শিরা, মিউকাস মেমব্রেন, জিহ্বা, পাকস্হলী, চোখ, কান, মুখমন্ডল, চোখ, কান, মুখমন্ডল, মাথা, উদর, স্ত্রী এবং পুরুষদের জননযন্ত্র, মূত্রযন্ত্রগুলো, শ্বাস-প্রশ্বাস।
বৈশিষ্ট্যঃ পরিবর্তনশীলতা ( শারীরিক ও মানসিক), তৃষ্ণাহীন, খিটখিটে এবং শীতার্ত হলেও খোলা বাতাসে আরাম পায়।
এ উদ্ভিদ ইউরোপের উঁচুস্থানে, শুকনো, বালুকাময় ও অনাবৃত ভূমিতে জন্মে। অনাবৃত স্থানে ও বায়ু বইলে এ গাছের ফুল প্রস্ফুটিত হয় বলে একে উইন্ডফ্লাওয়ার বা বায়ুকুসুম বলে।
সারসংক্ষেপঃ
মেদ প্রবণতা, শ্লেষ্মাক্ষরণ বর্ধিত, ক্রন্দনশীলতা, স্নেহপরায়ণ, নম্র, ভদ্র, ভীরু প্রবৃতির ও পরিবর্তনশীলতা। তৃষ্ণাহীনতা। স্রাবগুলো ঘন, অবিদাহী এবং হলুদাভ সবুজবর্ণ। প্রাতে, অপরাহ্নে, সন্ধাকালে, রুটিতে, চর্বিতে, পিঠা খেলে, গরমে, আবরণে, ঋতুস্রাবের আগে, প্রারম্ভে ও সময়ে বাড়ে। খোলা বাতাসে, গোসলে, আক্রান্ত অঙ্গে পানি দিলে, সঞ্চালনে, মসলাদার খাদ্যে, হাঁটলে ও চাপে কমে। উৎকণ্ঠা, প্রার্থনাশীল, বসে থাকার প্রবৃত্তি, স্বল্পবাক, উত্তেজনাপ্রবণতা, উৎসাহহীনতা, সন্দেহযুক্ত, কাঁদে, প্রলাপ ও নিদ্রালুতা। খোলা বাতাসে ইচ্ছা। বশ্যতার সাথে নীরব শোক। শরীর সর্বদা উত্তপ্ত। সর্বদা শীত শীতবোধ সেই সাথে ব্যথা যতো বাড়ে শীতভাবও ততো বাড়ে তবুও ঠাণ্ডা ঘর চায়। ব্যথা হঠাৎ আসে ধীরে ধীরে যায় বা এর বিপরীত। মুখের তুলোর মতো শ্লেষ্মা। ঋতুস্রাবকালে পাগুলো অবশ হয়ে যায়।
বিশেষ লক্ষণঃ দুপুরের পর ২টার দিকে পিপাসা লাগে।
অনুভূতিঃ
- সন্ধ্যাবেলায় হৃদপিণ্ডস্হানে পূর্ণতবোধ হয়।
- উত্তাপের অনুভূতি: গরম খাদ্য খেলে।
ক্রম ও সহচর লক্ষণঃ
- প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় কাঁদে।
- আনন্দদায়ক বা বিষণ্নতার বিষয়ে কাঁদে।
বৃদ্ধিঃ প্রাতে, অপরাহ্নে, সন্ধাকালে, গোধূলিকালে, রাতে, অবস্হান পরিবর্তনে, ঠাণ্ডা লাগালে পরে, আহারের পরে, পেট ভরে আহারে, রুটিতে, মাখন রুটিতে, মাখনে, চর্বিতে, ফলে, পিঠা খেলে, মসলাদার খাদ্যে, উষ্ণতায়।
হ্রাসঃ খোলা বাতাসে, গোসলে, আক্রান্ত অঙ্গে পানি দিলে, ঠাণ্ডা লাগালে, শুয়ে থাকার পরে, চিৎ হয়ে শুলে, সঞ্চালনে, চাপে, হাঁটলে,
কারণঃ জৈব তরল পদার্থের ক্ষয়, গনোরিয়া চাপা পড়ে, হস্তমৈথুন, সূর্যালোকে থাকা, আঘাত, চর্বিযুক্ত খাদ্য, পিঠা, বরফ, চা, কফি, পারদের অপব্যহার, কুইনাইন, সালফার, ক্যামোমিলা, গর্ভপাত, অনিয়মিত মাসিক, ডিম্বাশয় এবং জরায়ুর সমস্যা, অবরুদ্ধের কারণে অসুস্হ হয়, পা ভিজিয়ে ঠাণ্ডা লাগালে।
পালসেটিলা উত্তেজককারণগুলো হল :
- ফুল আটকে রক্তস্রাব।
- ঠান্ডা লেগে ঋতুস্রাব বন্ধ।
- ভিজা পায়ে থাকার ফলে ঋতুবন্ধ।
- ঘি , তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার খেয়ে অসুস্থতা।
- ঋতু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উন্মাদ,চক্ষুপ্রদাহ বা হাঁপানি।
- হাম চাপা পড়ে বধিরতা কিংবা হাঁপানি।
- কুইনাইনের অপব্যবহার।
- কুইনাইন সেবনজনিত কোষ্ঠবদ্ধতা।
- গন্ধক এবং পারদের দোষ নষ্ট করে।
- অতিরিক্ত কুইনাইন সেবনের ফলে রক্তহীনতা।
- চুল কাটার পর কানে ঠান্ডা লেগে তালা লাগা।
ইচ্ছাঃ খোলা বাতাসে, অম্ল, মদ, ঠাণ্ডা খাদ্য, ঠাণ্ডা পানীয়, পেটেন্ট ওষুধ, পানি।
অনিচ্ছাঃ মাংস, চর্বি, মাখন, রুটি, দুধ, গরম খাবার এবং পানীয়, গুরুপাক খাদ্য, তামাক।
ক্রিয়ানাশকঃ অ্যাসে-অ্যাসি, অ্যান্টি-ক্রু, অ্যান্টি-টা, অ্যাসাফ, বেল, ক্যাল্ক-ফস, ক্যামো, চায়না, কফি, কলচি, ইগ্নে, লাইকো, নাক্স-ভ, প্লাটি, স্ট্যানা, সাল, সাল-অ্যাসি।
প্রয়োগঃ হামজ্বরের শুরুতে যখন উচ্চ জ্বর থাকে, তখন এটি কদাচ দেবেন না। ঐ অবস্হায় লক্ষণ সাদৃশ্যে অ্যাকোনাইট বা জেলসিমিয়াম দিয়ে শুরু করবেন। ডা. ফ্যারিংটন
0 Comments: