নিউমোনিয়া_Pneumonia

নিউমোনিয়া_Pneumonia

নিউমোনিয়া কাকে বলে ?

নিউমোনিয়া ( ইংরেজি: Pneumonia) ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম।ইহা হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ বিশেষ। সাধারণত ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়া থেকে ফ্লু হবারও সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। 

নিউমোনিয়া_Pneumonia

নিউমোনিয়ার উপসর্গসমূহঃ
নিউমোনিয়ার উপসর্গ গুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কি ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার উপর। নিউমোনিয়ার লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপ:
  • জ্বর
  • কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • কাপুনি
  • ঘাম হওয়া
  • বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে
  • মাথা ব্যথা
  • মাংসপেশীতে ব্যাথা
  • ক্লান্তি অনুভব করা
নিউমোনিয়ার লক্ষণসমূহঃ
  • কাশি- ৭৯-৯১%
  • ক্লান্তি- ৯০%
  • জ্বর -    ৭১-৭৫%
  • শ্বাসকষ্ট-    ৬৭-৭৫%
  • থুথু -     ৬০-৬৫%
  • বুক ব্যথা-    ৩৯-৪৯%
শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণঃ
  • কাশির সঙ্গে সঙ্গে কফ ওঠা
  • কাশির সময় বুকে ব্যথা
  • বমি কিংবা ডায়ারিয়ার প্রকোপ
  • খিদে কমে যাওয়া
  • ক্লান্তি চলে আসা
  • জ্বর আসা।
  • গরমকালেও যদি শিশুর ঠাণ্ডা লাগে
  • যদি শিশু জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়
  • শ্বাস নেওয়ার সময় যদি শিশুর মুখ থেকে সাঁইসাঁই শব্দ বের  হয়
  • জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে ঘাম হলে বা শিশুর শরীরে কাঁপুনি দেখা দিলে
  • যদি ভীষণ কাশির সঙ্গে সঙ্গে লালচে, গাঢ় হলুদ কিংবা সবুজ রঙয়ের কফ বের হয়। আর কফের সঙ্গে যদি রক্ত বের হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • যদি শিশুর খিদে কমে যায় কিংবা সে একেবারেই কিছু না খায়।

নিউমোনিয়ার কারণঃ
  • ব্যাকটেরিয়া->নিউমোক্কাস,স্ট্যাফাইলোক্কাস ইত্যাদি।
  • আদ্যপ্রানী-> এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা
  • ছত্রাক: মূলত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ছত্রাক দিয়ে হয়।
  • ভাইরাস।
  • কেমিকেল
  • হঠাৎ ঠান্ডায় উন্মুক্ত হওয়া
  • অপারেশনের পরর্বতী সময় ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া হলে কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ
১। অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
২। এছাড়াও
  • যারা বৃদ্ধ এবং শিশু
  • যারা ধূমপান করেন
  • যারা ফুসফুসে কোন আঘাত পেয়েছেন
  • যাদের কেমোথেরাপি (ক্যান্সারের চিকিৎসা) অথবা অন্য কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে

নিউমোনিয়ার শনাক্তকরণঃ
  • শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা
  • বুকের এক্স-রে
  • রক্ত এবং কফ/শ্লেষ্মা (Mucus) পরীক্ষা
নিউমোনিয়ার বাড়তি সতর্কতাঃ
প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে
প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে
চিকিৎসাঃ
অ্যান্টিবায়োটিক, প্রচুর তরল খাবার,পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করার উপায়ঃ
  • ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে
  • নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে
  • ধূমপান করা যাবে না।
  • অন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
  • টিকা দিতে হবে। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর।
  • ডায়াবেটিস,এইডস, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদির চিকিৎসা করাতে হবে।

বিস্তারিতঃ http://bn.m.wikipedia.org/wiki/নিউমোনিয়া

Previous Post
Next Post

post written by:

DHMS (BHB), PDT and MBA

0 Comments: