!! Subject: Anatomy !!
Urinary system
The
urinary system, also known as the renal system, produces, stores and
eliminates urine, the fluid waste excreted by the kidneys. The kidneys
make urine by filtering wastes and extra water from blood. Urine travels
from the kidneys through two thin tubes called ureters and fills the
bladder.
![]() |
Urinary system |
মূত্রনালী,
যা রেনাল সিস্টেম নামেও পরিচিত, প্রস্রাব উত্পাদন, সঞ্চয় এবং নির্মূল
করে, কিডনি দ্বারা নির্গত তরল বর্জ্য। কিডনিগুলি বর্জ্য এবং রক্ত থেকে
অতিরিক্ত জল ফিল্টার করে মূত্র তৈরি করে। মূত্র কিডনি থেকে ইউরেটার নামক
দুটি পাতলা নল দিয়ে ভ্রমণ করে এবং মূত্রাশয়টি পূর্ণ করে।
The
urinary system's function is to filter blood and create urine as a
waste by-product. The organs of the urinary system include the kidneys,
renal pelvis, ureters, bladder and urethra. The body takes nutrients
from food and converts them to energy.
There are a pair of kidneys that are purplish-brown and are located below the ribs in the middle of the back. Their function is to:
- Remove waste from the blood in the form of urine
- Keep substances stable in the blood
- Make erythropoietin, a hormone which helps make red blood cells
- Make vitamin D active
- Regulate blood pressure
The kidneys remove waste from the blood through tiny filtering units called nephrons. Each nephron is made up of a ball of small blood capillaries, called a glomerulus. There is also a small tube called a renal tubule, which drains the urine and joins other tubules carrying the urine out of the kidney to the ureter.
Urea, together with water and other wastes, forms the urine.
কিডনিগুলির একজোড়া রয়েছে যা বেগুনি-বাদামী এবং পিছনের মাঝখানে পাঁজরের নীচে অবস্থিত। তাদের কাজটি হ'ল:
- প্রস্রাব আকারে রক্ত থেকে বর্জ্য সরান
- রক্তে পদার্থ স্থির রাখুন
- এরিথ্রোপয়েটিন, একটি হরমোন তৈরি করুন যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে
- ভিটামিন ডি সচল করুন
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
ইউরিয়া, জল এবং অন্যান্য বর্জ্য একসাথে প্রস্রাব গঠন করে ।
Two ureters
Each kidney has a narrow tube called a ureter, which carries urine from the kidney to the bladder. Muscles in the ureter walls tighten and relax forcing urine down this tube, away from the kidneys. If urine backs up, or stands still, a kidney infection can develop. About every 10 to 15 seconds, urine is emptied into the bladder from the ureters.
প্রতিটি কিডনিতে ইউরেটার নামে একটি সরু নল থাকে যা কিডনি থেকে মূত্রাশয় পর্যন্ত প্রস্রাব করে। ইউরেটার দেওয়ালের পেশীগুলি কিডনি থেকে দূরে এই নলটির নিচে প্রস্রাবকে জোর করে দেয় এবং শিথিল করে। যদি মূত্র ব্যাক আপ হয় বা স্থির থাকে তবে কিডনিতে সংক্রমণ হতে পারে। প্রায় প্রতি 10 থেকে 15 সেকেন্ডে, মূত্রনালী থেকে মূত্রাশয়টিতে মূত্র খালি হয়।
Bladder
The bladder is a triangle-shaped, hollow organ located in the lower abdomen. It is held in place by ligaments attached to the pelvic bones. The bladder's walls relax and expand to store urine, and contract and flatten to empty urine through the urethra.
মূত্রাশয়টি একটি ত্রিভুজ আকারের, নীচের পেটে অবস্থিত ফাঁকা অঙ্গ। এটি পেলভিক হাড়ের সাথে সংযুক্ত লিগামেন্টগুলি দ্বারা স্থানে রাখা হয়। মূত্রাশয়ের দেওয়ালগুলি প্রস্রাব সংরক্ষণের জন্য আরাম এবং প্রসারিত হয় এবং মূত্রনালী দিয়ে খালি প্রস্রাবকে সঙ্কুচিত করে চ্যাপ্টা করে।
Urethra
The tube that allows urine to pass outside the body. The brain signals the bladder muscles to tighten, which squeezes urine out of the bladder. At the same time, the brain signals the sphincter muscles to relax to let urine exit the bladder through the urethra. When all the signals occur in the correct order, normal urination occurs.
নল যা মূত্রকে শরীরের বাইরে যেতে দেয়। মস্তিষ্ক মূত্রাশয়ের পেশী শক্ত করতে সংকেত দেয়, যা মূত্রাশয়ের বাইরে প্রস্রাব চেপে যায়। একই সময়ে, মস্তিষ্ক মূত্রনালীটি মূত্রনালী দিয়ে বেরিয়ে আসতে মস্তিষ্ক শিথিল করার জন্য স্পিঙ্কটার পেশীগুলিকে সংকেত দেয়। সমস্ত সংকেত যখন সঠিক ক্রমে ঘটে তখন স্বাভাবিক প্রস্রাব হয়।
Introduction to Kidney:
The kidneys are bean-shaped organs. Number: 2 in number
- Location-In the posterior abdominal wall, on either side of the vertebral column and below the ribs.
- Size: Length: 11 cm, Width : 6 cm,
- Thickness: 03 cm. The left kidney is longer than the right kidney.
- Weight : Male : 150 gm, Female: 135 gm.
- The structural unit : The structural unit of kidney is nephron. Each kidney is made of 10 lacs nephrons.
Functions of kidney : ( For remembering- A WET BED )
- A – controlling ACID-base balance.
- W – controlling WATER balance.
- E – maintaining ELECTROLYTE balance.
- T – removing TOXINS and waste products from the body.
- B – controlling BLOOD PRESSURE.
- E – producing the hormone ERYTHROPOIETIN.
- D – activating vitamin D.
In the medulla, 5-8 renal pyramids are separated by connective tissue renal columns.
Each pyramid creates urine and terminates into a renal papilla.
Each renal papilla drains into a collecting pool called a minor calyx; several minor calyces connect to form a major calyx; all major calyces connect to the single renal pelvis which connects to the ureter.
There are three major regions of the kidney:
- Renal cortex.
- Renal medulla.
- Renal pelvis.
Nephron is the structural and functional unit of the kidney.
There are about 10,00,000 nephrons in each human kidney.
Parts of Nephron:
Structure of Nephron: The structure of nephron comprises two major portions:
(a)Renal Corpuscle: The renal corpuscle consists of a glomerulus surrounded by a
Bowman’s capsule.
(b) Renal Tubule : The components of the renal tubule are:
- Proximal convoluted tubule
- Loop of Henle
- Distal convoluted tubule.
- Collecting tubule.
The renal corpuscle is responsible for the filtration of the plasma. It contains two structures: the glormerulus and Bowman's capsule.
The glomerulus is a cluster of capillary loops enclosed by Bowman's capsule, which is part of the renal tubule.
Bowman's capsule has two layers:
- The visceral layer is in contact with the glomerulus.
- The parietal layer is the outer layer.
The proximal convoluted tubule is the first segment of renal tubule. Maximum reabsorption takes place in PCT of the nephron. PCT is the region of renal tubule where reabsorption of essential substances like glucose, proteins, amino acids, a major portion of electrolytes and water takes place.
The surface area for reabsorption is facilitated by the lining of the simple cuboidal epithelium in them. Reabsorption takes place at the expense of energy, i.e., the process is active.
PCT selectively secretes ions such as hydrogen, ammonia, and potassium into the filtrate and absorbs HCO3–from it. Thus, PCT maintains the electrolyte and acid-base balance of the body fluids.
কিডনি কাকে বলে?কিডনি মেরুদন্ডী প্রাণীদেহের এক জোড়া সিম সদৃশ অঙ্গ বিশেষ যা উদরের পিছনের দিকে অবস্থিত, এবং যা মূত্র উৎপাদন ও বহিষ্করণ করে।
কিডনির একক কি?
নেফ্রন (ইংরেজি: Nephron) কিডনির গঠনগত এবং কার্যগত একক।
কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষন কি কি?
কিডনির পাথরের জন্য ব্যথা হলে ওপরের পেটের অথবা নিচের পিঠের ডানে বা বাঁয়ে মাঝে মৃদু ব্যথা হতে পারে। লাল প্রস্রাব বা প্রস্রাবে হালকা রক্ত যাওয়া আরেকটি লক্ষণ। পাথর যদি প্রস্রাবের নালিতে নেমে আসে তাহলে ওপরের পেট-পিঠ থেকে কুঁচকির দিকে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং সঙ্গে বমি, জ্বর ইত্যাদি থাকে।
একটা কিডনি নিয়ে কি মানুষ বাঁচতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোন বয়সে কিডনি দান করা যায় এবং একজন সুস্থ মানুষ একটি কিডনি নিয়ে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে।
মূত্র সৃষ্টির প্রথম ধাপের নাম কি?
মূত্র সৃষ্টির প্রথম ধাপ হল কিডনি রক্তের অতি পরিস্রাবণ।
কিডনির বাইরের স্তর কে কি বলে?
কিডনির বাহ্যিক স্তরকে রেনাল কর্টেক্স বলে।
কিডনি প্রতিস্থাপন বলতে কি বুঝ?
কিডনি প্রতিস্থাপন বা রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন হল শেষ পর্যায়ে কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া। কিডনি প্রতিস্থাপনকে সাধারণত উৎসের উপর নির্ভর করে মৃত-দাতা (পূর্বে ক্যাডেভারিক নামে পরিচিত ছিল) এবং জীবিত-দাতা প্রতিস্থাপন হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
হাইলাসের ভেতর থেকে কিডনিতে প্রবেশ করে কোনটি?
হাইলাসের ভেতর থেকে ইউরেটার ও রেনাল শিরা বের হয় এবং রেনাল ধমনি কিডনি প্রবেশ করে। ইউরেটারের ফানেল আকৃতির প্রশস্ত অংশকে পেলভিস বলে। কিডনি সম্পূর্ণরূপে এক ধরনের তন্তুময় আবরণ দিয়ে বেষ্টিত থাকে।
মূত্রে পানির পরিমাণ কত?
মূত্রের রাসায়নিক উপাদানের মধ্য ৯০-৯৭% জল এবং ৩-৫% কঠিন পদার্থের।
মূত্রের রং হালকা হলুদ হয় কেন?
রেচন পদার্থ ছাড়া ও মূত্রে ইউরোক্রোম নামে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ উপস্থিত থাকে। ইউরোক্রোম এর উপস্থিতিতেই মূত্রের রং হালকা হলুদ হয়।
কিডনি দেহের কোথায় থাকে?মানব দেহের অভ্যন্তরভাগে উদর গহ্বরের পশ্চাৎভাগে মেরুদণ্ডের দুই পাশে দুটি কিডনি অবস্থিত। কিডনির দৈর্ঘে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি। আকারে অনেকটা শিমের মতো।
প্রধান কি লক্ষণ দেখলে রোগী বুঝবে যে তার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে?
- শরীর যদি ফুলে যায়, আর সেই ফোলাটা যদি শুরু হয় মুখমন্ডল থেকে।
- প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলোনায় কমে গেলে।
- প্রস্রাব যদি লাল হয় বা রক্ত যায়।
- কোমড়ের দুই পাশে যদি ব্যথা হয়। এই ব্যথা তলপেটেও হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে।
মানবদেহে কয়টি কিডনি আছে?মানব দেহের অভ্যন্তরভাগে উদর গহ্বরের পশ্চাৎভাগে মেরুদণ্ডের দুই পাশে দুটি বৃক্ক অবস্থিত।
রেচন কী?উত্তর : রেচন মানবদেহের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে দেহে বিপাক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া হয়।
হাইলাস কী?উত্তর : বৃক্কের ভেতরের পার্শ্ব অবতল হয়। অবতল অংশের ভাঁজকে হাইলাস বলে।
পেলভিস কী?উত্তর : ইউরেটারের ফানেল আকৃতির প্রশস্ত অংশকে পেলভিস বলে।
মেডুলা কী?উত্তর : ক্যাপসুলের ভেতরের অংশকে মেডুলা বলে।
প্যাপিলা কী?উত্তর : মেডুলায় সাধারণত ৮ থেকে ১২টি রেনাল পিরামিড থাকে। এদের অগ্রভাগ প্রসারিত হয়ে রেনাল প্যাপিলা গঠন করে।
ইউরিনিফেরাস নালিকা কী?উত্তর : প্রতিটি বৃক্কে বিশেষ এক ধরনের নালিকা থাকে, যাকে ইউরিনিফেরাস নালিকা বলে।
ইউরোক্রোম কী?উত্তর : ইউরোক্রোম নামে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতিতে মূত্রের রং হালকা হলুদ হয়।
নেফ্রন কী?উত্তর : বৃক্কের ইউরিনিফেরাস নালিকার ক্ষরণকারী অংশ এবং কাজ করার একককে নেফ্রন বলে।
মালপিজিয়ান অঙ্গ কী?উত্তর : মালপিজিয়ান অঙ্গ ও রেনাল টিউব্যুল নিয়ে প্রতিটি নেফ্রন গঠিত। প্রতিটি মালপিজিয়ান অঙ্গ বা রেনাল করপাসল আবার গ্লোমেরুলাস ও বোম্যান্স ক্যাপসুল নিয়ে গঠিত। বোম্যান্স ক্যাপসুল গ্লোমেরুলাসকে বেষ্টন করে থাকে।
রেনাল টিউব্যুল কী?উত্তর : বোম্যান্স ক্যাপসুলে অক্ষীয়দেশ থেকে সংগ্রাহী নালি পর্যন্ত বিস্তৃত চওড়া নালিকাটিকে রেনাল টিউব্যুল বলে।
ডায়ালিসিস কী?উত্তর : বৃক্ক সম্পূর্ণ অকেজো বা বিকল হওয়ার পর বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ত পরিশোধিত করার নাম ডায়ালিসিস।
কিডনি সংযোজন কী?উত্তর : যখন কোনো ব্যক্তির কিডনি বিকল বা অকেজো হয়ে পড়ে তখন কোনো সুস্থ ব্যক্তির কিডনি তার দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়, তাকে কিডনি সংযোজন বলে।
রেচনতন্ত্রের কাজ কী?উত্তরঃ শরীর বৃত্তীয় ভারসাম্য রক্ষা করামানবদেহে নেফ্রন সংখ্যা কত?উত্তরঃ ১০-১২ লক্ষ।বৃক্কের নেফ্রনে ছাঁকনির মতো পর্দাটি কী?উত্তরঃগ্লোমেরুলাসমানুষের বৃক্কের রঙ কোনটি?উত্তরঃ লালচেমেডুলায় রেনাল পিরামিডের সংখ্যা কত?উত্তরঃ ৮-১২টিবৃক্ক নালিকার নিকটস্থ কোনটি ?উত্তরঃ প্রোক্সিমালমূত্রথলির নিচের দিকে থাকে ?উত্তরঃ ছিদ্রবৃক্কে প্রবেশকারী রক্তবাহী নালিটির নিয়ন্ত্রক কোনটি?উত্তরঃ স্নায়ুতন্ত্রবৃক্কে পাথর হলে কোন উপসর্গ দেখা যায়?উত্তরঃ কোমরে ব্যথা হয়মানুষের সব সময় কয়টি কিডনি কার্যকর থাকে?উত্তরঃ ১টি
লুপ:
লুপ এর কাজ হল আরও রক্তে পটাসিয়াম, ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম শোষণ করা।
কিডনীর ধমনী:
এটি পরিস্রাবণের জন্য কিডনিতে হৃদয় থেকে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত নিয়ে আসে।
রেনাল শিরা:
এটি কিডনি থেকে হৃদপিণ্ডে ফিরে ফিল্টার করা রক্ত বহন করে।
মূত্রনালী:
মূত্রনালী হ’ল পেশীর একটি নল যা মূত্রাশয়ে প্রস্রাবকে ধাক্কা দেয়, যেখানে এটি সংগ্রহ করে এবং শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।
রেচন পদার্থ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ রেচন পদার্থ বলতে মূলত নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থকে বোঝায়। মানবদেহের রেচন পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে আসে। মূত্রের প্রায় ৯০ শতাংশ উপাদান হচ্ছে পানি। অন্যান্য উপাদানের মধ্যে আছে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়াটিনিন ও বিভিন্ন ধরনের লবণ।
উত্তরঃ রেচন পদার্থ বলতে মূলত নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থকে বোঝায়। মানবদেহের রেচন পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে আসে। মূত্রের প্রায় ৯০ শতাংশ উপাদান হচ্ছে পানি। অন্যান্য উপাদানের মধ্যে আছে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়াটিনিন ও বিভিন্ন ধরনের লবণ।
দেহে বৃক্ক কিভাবে কাজ করে? ব্যাখ্যা করো।উত্তরঃ দেহের অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে অপসারণে বৃক্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৃক্কের ভেতরের নেফ্রন একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত মূত্র উৎপন্ন করে। উৎপন্ন মূত্র সংগ্রাহী নালিকার মাধ্যমে বৃক্কের পেলভিসে আসে এবং পেলভিস থেকে মূত্র ইউরেটারে আসে। ইউরেটার থেকে মূত্র মূত্রথলিতে এসে সাময়িকভাবে জমা থাকে। মূত্র পরে দেহের বাইরে নিষ্কাশিত হয়।
বৃক্কে কেন পাথর হয়?উত্তরঃ মানুষের কিডনিতে ছোট আকারের পাথরজাতীয় পদার্থের সৃষ্টিকে বৃক্কে পাথর বলে। অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, কিডনির সংক্রমণ, কম পানি পান করা ইত্যাদি বৃক্কে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
মানব দেহের সমুদয় রক্ত দিনে প্রায় ৪০ বার বৃক্কের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়াও দেহে পানি ও তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ বা ইলেকট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া এটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসাবে হরমোন নিঃসরণ করে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাবার যেমন প্রয়োজন, তেমনি খাবার থেকে তৈরি ক্ষতিকর বর্জ্য দেহ থেকে বের করে দেওয়াটাও খুব জরুরি। আর দেহের বর্জ্য নিষ্কাশনের এই কাজটা যে অঙ্গ করে, তাকে বৃক্ক বা কিডনি বলে। বৃক্ক হলো রেচন অঙ্গ। মানব দেহের ভেতরে, উদর গহ্বরের পেছনে মেরুদণ্ডের দুই পাশে দুটি বৃক্ক থাকে।
এই বৃক্ক দেখতে অনেকটা শিমের মতো। রং লালচে। বৃক্কের এক পাশ উত্তল আর আরেক পাশ অবতল হয়। অবতল পাশের ভাঁজটাকে হাইলাস বা হাইলাম বলে। হাইলামের মধ্য দিয়ে বৃক্কীয় ধমনি ও স্নায়ু প্রবেশ করে এবং বৃক্কীয় শিরা ও মূত্রনালি বেরিয়ে যায়। বাঁ বৃক্কটি ডানেরটার চেয়ে কিছুটা ওপরে থাকে। একজন সুস্থ মানুষের বৃক্কের ওজন পুরুষের প্রায় ১২৫-১৭০ গ্রাম এবং স্ত্রীদের প্রায় ১১৫-১৫৫ গ্র্রাম হয়। বৃক্কের গঠন ও কার্যকর একককে নেফ্রন বলে। প্রতিটি বৃক্কে প্রায় ১০ লাখ নেফ্রন থাকে। বৃক্কের প্রধান কাজ হলো দেহ থেকে বর্জ্য এবং ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষ অপসারণের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া। এ ছাড়া বৃক্ক ইলেকট্রোলাইটস এবং অন্যান্য তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। নানা রকম রোগের কারণে বৃক্কের স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। কিডনির প্রদাহ, প্রস্রাবে সমস্যা, কিডনিতে পাথর এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটিকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। বৃক্ককে সুস্থ রাখতে বাঁধাকপি, মাছ, রসুন, অলিভ অয়েল, ডিমের সাদা অংশ, লাল ক্যাপসিকাম, আপেল, লেবুর রস, ফুলকপি ইত্যাদি খাওয়া ভালো। এসব উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির মেরামত এবং কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে।
কিডনির বিস্ময়কর গঠন ও কার্যক্ষমতা
মানুষের শরীরের অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গের একটি হলো কিডনি। হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও মস্তিষ্কের পরই এটির স্থান। হৃৎপিণ্ড বন্ধ হলে যেমন দুই মিনিটেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তেমনি কিডনি বাদ দেয়া হলে ১২-২৪ ঘণ্টায় জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে। রক্তের জমে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কার করাই কিডনির কাজ। এটি কিডনি ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গকে দিয়ে করানো সম্ভব নয়।
কিডনির অবস্থান ও আকৃতি
মানবদেহে দুটি কিডনি থাকে। আকৃতি অনেকটা সিমের বিচির মতো। পূর্ণ বয়সে প্রতিটি কিডনি ১১ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার লম্বা, ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার প্রস্থ, ৩ সেন্টিমিটার মোটা ও প্রায় ১৫০ গ্রাম বা দুই ছটাকের কিছু কমবেশি ওজন হয়ে থাকে। শরীরে নাভির বরাবর পেছনের দিকে মেরুদণ্ডের দুই পাশে কিডনির অবস্থান।
বাম দিকের কিডনি ডান দিকের চেয়ে প্রায় ১-২ সেন্টিমিটার বড় থাকে এবং বাম দিকের কিডনি কিছুটা উপরে অবস্থান করে। কিডনির মোট আয়তনের বেশিরভাগ পাতলা আবরণে ঢাকা থাকে এবং এদের উপরিভাগে টুপির মতো দুটি গ্ল্যান্ড থাকে, যাকে ‘সুপরারেনাল গ্ল্যান্ড’ বলা হয়। প্রতিটি কিডনির মাঝখানে একটি গর্তের মতো থাকে, যেখান থেকে দুটি সরু রক্তনালি নেমে গিয়ে পেটের সবচেয়ে বড় রক্তনালিতে মিশে গেছে। এর একটি দিয়ে বিশুদ্ধ রক্ত প্রবাহিত হয়; অন্যটি দিয়ে দূষিত রক্ত বের হয়।
এ দুটি রক্তনালির পাশ দিয়ে আরও একটি নালি বের হয়ে মূত্রথলিতে মিশে গেছে। এটিকে ইউরেটার বা মূত্রনালি বলা হয়। কিডনিতে প্রস্রাব তৈরি হয়ে এই নালি দিয়ে জমা হয় মূত্রথলিতে এবং বেগ অনুসারে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বের হয়। মূত্রনালির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার এবং এর মাঝখানে যে ছিদ্র আছে, তাতে অনায়াসে এক সেন্টিমিটার মাপের পাথর আটকে যেতে পারে। মূত্রথলিতে প্রায় আধা লিটারের কিছু কম প্রস্রাব জমা থাকতে পারে এবং ২৫০ থেকে ৩০০ সিসি পর্যন্ত প্রস্রাব জমা হলেই আমরা প্রস্রাবের বেগ অনুভব করি।
কিডনির কাজ কি
সাধারণত কিডনির কাজকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
১. রক্তের ভেতর জমে থাকা আবর্জনা পরিশোধিত করা ও তা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়া
২. রক্তের পিএইচ (Ph), এসিডিটি, লবণ, ক্ষার ও পটাশিয়ামের মাঝে সমন্বয় সাধন করা
৩. রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা ও
৪. হরমোন তৈরিতে সাহায্য করা
দুটি কিডনিতে ২৪ লাখের মতো ছাকনি রয়েছে। এগুলো এতই সুক্ষ যে অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না। কিডনির রক্তনালি যেখানে শেষ হয়েছে, ঠিক সেখানেই শুরু হয়েছে ছাকনিগুলো। প্রতি মিনিটে এক লিটারের কিছু বেশি রক্ত কিডনিতে প্রবাহিত হয় এবং প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৭০ লিটারের মতো রক্ত ছাকনিতে পরিশোধিত হয়। পরিশোধিত রক্তের এক থেকে তিন লিটার ছাড়া বাকিটুকু আবার শরীরে ফিরে আসে। আর এক থেকে তিন লিটার প্রস্রাব তৈরি হয়ে বের হয়ে যায়। ছাকনির মাধ্যমে রক্তের লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা, অণুচক্রিকা কিছুই বের হতে পারে না। এমনকি রক্তের যে সমস্ত উপাদানের আণবিক ওজন ৬৯ হাজারের বেশি তারা ছাকনিতে আটকে যায়।
শরীরের কোনো প্রয়োজনে আসে না এমন জিনিস যেমন, রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনসহ নাম না জানা জৈব-অজৈব পদার্থ এমনকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট বের হয়ে আসে। এগুলো মিলেই তৈরি হয় প্রস্রাব। প্রস্রাবের রং হয় পানির মতো। তবে এসিডিটি বেশি থাকলে হলদে হয়। কোনো কারণে ছাকনি ভেদ করে লোহিত কণিকা এলে প্রস্রাব লালচে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বা ভিটামিন খাওয়ার কারণে প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন হতে পারে।
মনে রাখতে হবে, আমরা যে পানি পান করি তা প্রস্রাবে রূপান্তরিত হয় না। এই পানি রক্তে মিশে গিয়ে রক্তকে পরিশোধিত করে প্রস্রাবে রূপান্তরিত করে। আমরা প্রতিনিয়ত যে খাবার খাই, তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খনিজ, আমিষ, শর্করা, স্নেহ, ভিটামিন লবণ, ক্ষার ও পটাশিয়ামের মিশ্রন রয়েছে। এগুলো রক্তে মিশে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ, ক্ষার ও পটাশিয়াম কিডনির ছাকনিকে ভেদ করে বের হয়ে আসে।
লাখ লাখ ছাকনির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে লাখো ইংরেজি ‘U’ আকারের টিউব। এই টিউবের প্রতিটি অংশের প্রধান কাজ হলো, শরীরের পিএইচ, লবণ, ক্ষার ও পটাসিয়ামের সমতা রক্ষা করা। এ ছাড়া কোনো কারণে শরীরের রক্তচাপ অত্যাধিক কমে যায়, কিডনি এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করে।
আমরা জানি, হঠাৎ অত্যধিক পাতলা পায়খানা, বমি ও রক্তক্ষরণ হলে শরীরের জলীয় অংশ বের হয়ে যায়। শরীরের জলীয় অংশ বের হওয়ার কারণে রক্তচাপ কমে যায়। রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে অত্যাবশকীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ব্যাঘাত ঘটে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায়। এরপরে হৃদপিণ্ডে। এ সময় কিডনি তার ছাকনির কাজ কমিয়ে ফেলে এবং শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের হরমোন রক্তে বের করে দেয়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এ অবস্থা বেশিক্ষণ চললে শরীরে রক্তের আবর্জনা জমে যেতে পারে।
রক্তচাপ বেশি কমে গেলে কিডনিও রক্ত থেকে খাবার আহরণে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তী পর্যায়ে কিডনির যথেষ্ট ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে রক্তচাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কিডনির বাড়তি চাপ পড়তে পারে এবং কিডনির কার্যক্রমের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া কিডনি শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের হরমোন তৈরি করে থাকে, যা মানদেহের রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। এমনকি শরীরের অস্থি গঠনেও কিডনি যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে।
0 Comments: