Rectopen: Pharmacy

Download Free Android Apps

Ads 728x90

Showing posts with label Pharmacy. Show all posts
Showing posts with label Pharmacy. Show all posts
 Homeopathic medicine application method
September 15, 2021
 Homeopathic medicine application method- হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগ পদ্ধতি।

১৭৯০ সালে ওষুধ বিজ্ঞানের জগতে সূচনা হয় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান এ পরিবর্তনের সূচনা করেন। এ জন্য তাকে বলা হয় হোমিওপ্যাথি এর পিতা। ১৭৯৬ সালে তিনি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন আধুনিক হোমিওপ্যাথি এর পদ্ধতি। এরপর থেকেই এগিয়ে চলে নতুন ওষুধের অগ্রযাত্রা।

হ্যানিম্যানই প্রথম বলেন, ভেষজ বস্তুকে ওষুধ হতে হবে তার অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার গুণে। সাধারণ ভেষজগুণাবলি থাকলেই কোনো বস্তু ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত হবে না, যতক্ষণ না তার অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার বিকাশ ঘটানো হয়। একটি বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যখন তা সুস্থ মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে এবং তার ঔষধি গুণাবলির প্রকাশ দেখা যাবে, তখন তাকে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমনিভাবে কোনো বস্তুুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডাইনামাইজেশন বা পোটেন্টাইজেশন।

হোমিওপ্যাথিতে ওষুধ হচ্ছে শক্তির আধার। কোনো ওষুধ বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যখন শক্তিকরণ করা হবে, তখন তা ওষুধেরূপান্তরিত হবে। এ ওষুধ যখন রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হবে, তখন তা রিমেডি হিসেবে বিবেচিত হবে। এভাবে অনেক সাধারণ ভেষজ গুণাবলিহীন বস্তুু ও হোমিওপ্যাথিতে ওষুধে রূপান্তরিত হয়ে রোগীর জন্য রিমেডি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এককথায় হোমিওপ্যাথি ভেষজ দ্রব্যকে ওষুধে রূপান্তরিত করে রিমেডি হিসেবে ব্যবহার করে।

 Homeopathic medicine application method

হ্যানিম্যানের নতুন পদ্ধতিঃ
বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান ১৮৪২ সালে জীবনের শেষ মুহূর্তে অর্গানন অব মেডিসিনের ষষ্ঠ সংস্করণ রচনা সমাপ্ত করেন। এ সংস্করণে পঞ্চম সংস্করণের ওষুধ প্রস্তুত অনুচ্ছেদ ২৭০-২৭১ সম্পূর্ণ বদলিয়ে নতুন ভাবে লিখেছেন। ষষ্ঠ সংস্করণের ২৭০-২৭১ অনুচ্ছেদে ওষুধ তৈরির নতুন পদ্ধতি বর্ণনা করেন, যা ১৮৩৩ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত হ্যানিম্যানের গভীর পর্যবেক্ষণের ফসল। মূলত শততমিক পদ্ধতির তৃতীয় বিচ্ছুন্ন থেকেই নতুন পদ্ধতির যাত্রা।

কত শক্তি থেকে ওষুধ ব্যবহার শুরু হবে?
নতুন পদ্ধতির ওষুধ প্রথম শক্তি থেকেই প্রয়োগ শুরু করা যায়। তবে দ্বিতীয় শক্তি থেকে শুরু করা উত্তম। সুনির্বাচিত ওষুধ দীর্ঘক্রিয় হলেও রোগী উপকার পেলে মাসের পর মাস ধরে দৈনিক প্রয়োগ করা যায়। এ রকম ক্ষেত্রে ওষুধের প্রথম শক্তি (০১) শেষ হলে দ্বিতীয় শক্তি (০২), দ্বিতীয় শক্তি শেষ হলে তৃতীয় শক্তি (০৩) এভাবে ক্রমবর্ধমান হারে ব্যবহার করতে হবে।

কত সময় পরে রোগী ওষুধ খাবে?
নতুন পদ্ধতির ওষুধ ক্রনিক রোগগুলোতে প্রতিদিন বা এক দিন পরপর সেবন করা যায়। প্রয়োজনে দিনে কয়েকবারও সেবন করা যায় (অর্গা ২৪৮, ২৮২, ক, ৬ষ্ঠ)

একিউট রোগে ৬, ৪, ৩ ও ২ ঘণ্টা পরপর এবং অত্যন্ত জরুরি ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা পরপর কিংবা আরো কম সময়ের ব্যবধানে ঘন ঘন ওষুধ সেবন করা যায় (অর্গা-২৪৮, ৬ষ্ঠ)।

কিভাবে ওষুধ পুনঃপ্রয়োগ করবেনঃ
নতুন পদ্ধতির ওষুধ শক্তির (হসয়পষধী) কোনো রকম পরিবর্তন না করে একই ওষুধের একই মাত্রা একবার ও পুনঃপ্রয়োগ করা যায় না। মাত্রার শক্তি ক্ষেত্রে পূর্বমাত্রা থেকে পরবর্তী মাত্রা অবশ্যই ভিন্নতর হতে হবে (অর্গা ২৪৬, ২৪৭, ৬ষ্ঠ)।

সর্বতোভাবে সুনির্বাচিত ওষুধের একটি শুকনো গ্লোবিউল যদি প্রথমবার রোগীর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার সে ওষুধ শুকনো অবস্থায় আর ব্যবহার করা যায় না। এমনিভাবে পানির সাথে মিশ্রিত ওষুধও যদি প্রথম মাত্রায় বেশ কার্যকরী হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার তা ঝাঁকি না দিয়ে অর্থাৎ মাত্রার শক্তি পরিবর্তন না করে ব্যবহার করা যায় না। এজন্যই ওষুধ প্রতিবার ব্যবহারের আগে ৮, ১০, ১২ ঝাঁকি দেয়ার নিয়ম। কারণ মাত্রা শক্তির পরিবর্তন না হলে প্রাণশক্তি এ ধরনের অভিন্ন মাত্রা শক্তিকে বিনা প্রতিরোধে গ্রহণ করে না, ফলে রোগীর ক্ষেত্রে রোগ আরোগ্যের বদলে বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। এ জন্যই ওষুধের সত্যিকার ক্রিয়া লাভের জন্য ওষুধ ব্যবহারে মাত্রা শক্তির পরিবর্তন আবশ্যক (অর্গা ২৪৭, ক, ২৪৮, ৬ষ্ঠ)।

কত দিন পর্যন্ত ওষুধ চলবেঃ
একিউট রোগের ক্ষেত্রে নির্বাচিত ওষুধ প্রয়োগের পর যখন সুসপষ্ট উন্নতি দেখা দেয় এবং রোগী যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো বোধ করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আর কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে না (অর্গা-২৪৬, ৬ষ্ঠ)।

ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত একটা ওষুধ রোগীকে উপকার দিতে থাকে এবং নতুন কোনো লক্ষণ প্রকাশ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত ওষুধটি ক্রমোন্নত শক্তিতে বর্ধিত মাত্রায় চালিয়ে যেতে হবে। (অর্গা-২৮০, ৬ষ্ঠ)

এক সময় একটি ওষুধ প্রয়োগ করতে হবেঃ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এক সময় একটি মাত্র ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। একই সময় দুই বা ততোধিক ওষুধ প্রয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান বলেন, হোমিওপ্যাথিই হচ্ছে একমাত্র সঠিক এবং সহজ প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই হোমিওপ্যাথিতে একই সময়ে দু’টি ভিন্ন প্রকৃতির ওষুধ প্রয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ চিকিৎসাধীন রোগীকে এক সময় একটির বেশি ওষুধ প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই।

ক্ষুদ্র মাত্রার পরিমাণ কী হবেঃ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় শক্তিকৃত ক্ষুদ্র মাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। সর্বোত্তম আরোগ্য সাধনের জন্য মাত্রাকে কতটুকু ক্ষুদ্র করতে হবে? এ ব্যাপারে পরিমাণটা নির্দিষ্ট করা খুব কঠিন। তবে চিকিৎসকের গভীর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এবং রোগীর সংবেদনশীলতার নির্ভুল পর্যবেক্ষণই ক্ষুদ্রতম মাত্রার পরিমাণ ঠিক করে দেবে (অর্গা-২৭৮, ৫ম ও ৬ষ্ঠ)। 

সাধারণত শুকনো একটি ওষুধি গ্লোবিউলকে (যার ১০০টির ওজন এক গ্রেন) প্রাথমিকভাবে ক্ষুদ্র মাত্রার পরিমাণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় (অর্গা-২৭২, ৬ষ্ঠ)। মাত্রাকে আরো ক্ষুদ্র করার জন্য একটি ওষুধি গ্লোবিউলকে পরিশ্রুত পানির সাথে (৭-৮ টেবিল চামচ) মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে হয় (অর্গা-২৪৮, ক, ৬ষ্ঠ)। অত্যন্ত সংবেদনশীল রোগীর জন্য প্রথমবার ব্যবহৃত ওষুধ মিশ্রণ থেকে গ্লাস বদলানো পদ্ধতিতে মাত্রাকে আরো ক্ষুদ্রতম করে ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগী আরো বেশি সংবেদনশীল হলে ঘ্রাণে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

শিশুরা কিভাবে ওষুধ খাবেঃ
যারা দুগ্ধপোষ্য শিশু তারা কিভাবে ওষুধ সেবন করবে?
বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান বলেছেন, দুগ্ধপোষ্য শিশুর ওপর ওষুধ তার মায়ের দুধের মাধ্যমে বিস্ময়করভাবে কার্যকরী। শিশুর জন্য নির্বাচিত ওষুধটি তার স্তন্যদায়িনী মাকে প্রয়োগ করতে হবে (অর্গা-২৮৪, ক, ৬ষ্ঠ)। কিন্তু মাত্রা কী হবে? হ্যাঁ, মাকে ওষুধ প্রয়োগ করলেও এ ক্ষেত্রে মাত্রা হবে সাধারণ মাত্রার তুলনায় কম (শসনপড়থয়প নসঢ়প)। অর্থাৎ সাধারণ মাত্রা যদি হয় এক টেবিল চামচ পরিমাণ, তবে শিশুর মায়ের জন্য হবে এক চা চামচ বা তার চেয়ে কম। (ক্রনিক ডিজিজেজ-পৃঃ ২৬৫)।


ক্রনিক রোগে ওষুধ প্রয়োগঃ
ক্রনিক রোগে যতক্ষণ পর্যন্ত একটি ওষুধ উপকার দেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ওষুধটি চালাতে হবে। কিন্তু কিভাবে?

প্রথমত, নির্বাচিত ওষুধটি চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায়। ওষুধ প্রতিদিন কিংবা এক দিন পরপর ব্যবহার করতে হবে। ওষুধ ঘন ঘন প্রয়োগ করা ঠিক হবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে দিনে কয়েকবার পর্যন্ত ওষুধ দেয়া যেতে পারে (অর্গা, ২৮২, ক, ৬ষ্ঠ)।

দ্বিতীয়ত, ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে ক্রমোন্নত ও পরিবর্তিত শক্তিতে। অর্থাৎ ওষুধের প্রথম শক্তি উপকার দিলে দ্বিতীয় শক্তি, তৃতীয় শক্তি এভাবে এবং প্রতিবার সেবনের পূর্বে ঝাঁকি (৮, ১০, ১২) দিতে হবে।

তৃতীয়ত, উপকার প্রাপ্ত ওষুধের মাত্রাটাও ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে (অর্গা ২৮০, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)।

চতুর্থত, ওষুধ ব্যবহার করতে হবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ রোগী সাধারণভাবে সুস্থতা বোধ করবে এবং তার এক বা একাধিক পুরনো রোগ লক্ষণ পরিবর্তিত পর্যায়ে ফিরে না আসবে-(অর্গা, ২৮০, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)।

পঞ্চমত, পরিবর্তিত এবং ক্রমোন্নতি শক্তি ও বর্ধিত মাত্রায় ওষুধ ব্যবহারে যখন পুরনো রোগ লক্ষণ ফিরে আসবে তখন বুঝতে হবে যে রোগীর আরোগ্য আসন্ন। এ অবস্থায় রোগীর ওষুধ এক বা দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় রোগীকে প্লাসিবো দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে যেতে হবে (অর্গা, ২৮১, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)।

ষষ্ঠত, ওষুধবিহীন পর্যবেক্ষণকালে যদি আগত পুরনো রোগের লক্ষণগুলো কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চলে যায় এবং আর কোনো লক্ষণ ফিরে না আসে এবং রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে রোগী আরোগ্য লাভ করেছে (অর্গা-২৮১, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)। সুতরাং তাকে আর কোনো ওষুধ দেয়ার প্রয়োজন নেই।

সপ্তমত, ওষুধবিহীন পর্যবেক্ষণকালে যদি পুরনো রোগের লক্ষণগুলো আসতেই থাকেএবং তা চলে না গিয়ে থেকেই যায় তাহলে পুনরায় নির্বাচিত ওষুধের উচ্চতর শক্তির দ্বারা পূর্ব নিয়মে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে (অর্গা, ২৮১, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)।

অষ্টমত, এমনি অবস্থায় ওষুধ প্রয়োগে আগের মতো মাত্রাকে অবশ্যই ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে. কিন্তু রোগী যদি একটু বেশি অনুভূতিপ্রবণ হয় তাহলে কি মাত্রা একই হারে ক্রমান্বয়ে বাড়ানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত ধীর গতিতে এবং সামান্য পরিমাণে মাত্রা বাড়াতে হবে। অথচ সাধারণ ক্রনিক রোগীদের ক্ষেত্রে এ মাত্রা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাড়ানো যায়। রোগী যদি আরো বেশি অনুভূতিপ্রবণ হয় তাহলে মাত্রা যথাসম্ভব ক্ষুদ্র করতে হবে।

গর্ভবতী মাকে ওষুধ সেবনঃ
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে মাকে এন্টিসোরিক ওষুধ সেবন করানোর জন্য বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান পরামর্শ দিয়েছেন। এ সময় নতুন পদ্ধতিতে শক্তিকৃত সালফার প্রয়োগের জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে গর্ভস্থ সন্তান সোরামুক্ত হতে পারে। কারণ সোরা হচ্ছে অধিকাংশ ক্রনিক রোগের প্রধান কারণ এবং যা উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানের মধ্যে প্রবাহিত হয়। এভাবে জন্মের সময় থেকেই সন্তানকে সোরার প্রভাবমুক্ত করতে পারলে ভবিষ্যতে সে সুস্থ সবল জীবনযাপন করতে পারবে। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান জোর দিয়ে বলেছেন, সবার কাছে বিস্ময় লাগে যে, এভাবে চিকিৎসিত স্ত্রীলোকদের সন্তানরা সাধারণভাবে অধিকতর শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান হয়ে জন্ম নেয়, এটা আমার সোরাতত্ত্বের মহান সত্যেরই একটি প্রমাণ (অর্গা, ২৮৪, ক, ৬ষ্ঠ।

স্মরণ রাখা দরকার গর্ভবতী মাকে প্রথম পর্যায়ে সালফার দিয়েই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিন্তু তাকে লক্ষণ অনুযায়ী অন্যান্য ওষুধও সময় সময় দিতে হবে। এভাবে পূর্ণ গর্ভকালীন সময়টা একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকলে নিরাপদ প্রসবের নিশ্চয়তা দেয়া যায়।

মহিলাদের মাসিক স্রাবের সময়ে ওষুধ প্রয়োগ বিধানঃ
বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান মহিলাদের মাসিক স্রাব শুরুর আগে এবং মাসিক স্রাব চলাকালীন ক্রনিক রোগে ওষুধ প্রয়োগ করতে নিষেধ করেছেন। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে স্রাব চলার চতুর্থ দিন থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেমন অপরিপক্ব মাসিক, অত্যধিক রক্তস্রাব কিংবা দীর্ঘদিনস্রাব চলতে থাকলে চতুর্থ দিনে উচ্চশক্তির নতুন পদ্ধতির নাক্সভমিকা ঘ্রাণে প্রয়োগ করতে হয়। 

এরপর আবার ষষ্ঠ দিন থেকে এন্টিসোরিক ওষুধ দিতে হবে। যদি কোনো রোগী এসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল ও স্নায়বিক কাতর হয় তাহলে তাকে তার স্রাব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি তিন দিন পর একবার নাক্স ভমিকা ঘ্রাণে প্রয়োগ করতে হবে। এ সময় তার এন্টিসোরিক ওষুধ বন্ধ না রেখে চালিয়ে যেতে হবে। কারণ মাসিক স্রাবের এ নাজুক অবস্থায় মাঝে মধ্যে যদি নাক্স ভমিকা প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে ক্রনিক রোগের আরোগ্যের জন্য কিছুই করা যাবে না। 

বিশেষত নাক্স ভমিকা রোগীর স্নায়বিক বিশৃঙ্খলাকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। মাসিক স্রাবের অস্বাভাবিকতা রোগীর মধ্যে এক ধরনের মানসিক উত্তেজনা ও অস্থিরতার জন্ম দেয়, যা এন্টিসোরিক ওষুধের ক্রিয়াকে প্রচণ্ডভাবে বাধাগ্রস্ত করে। এ কারণেই মাঝে মধ্যে নাক্স ভমিকা প্রয়োগ করে এন্টিসোরিক ওষুধের ক্রিয়াকে গতিশীল করে নিতে হয় (ক্রনিক ডিজিজেজ, পৃঃ ২৩৫)।

Related Topics Click Here::





ভেষজ পরীক্ষণ এবং মাত্রাতত্ত্ব- Drug Proving and Posology
March 16, 2021
হোমিও ভেষজ বলতে কি বুঝায়ঃ
🌱 ভেষজ হল ঔষধি গুণ সম্পন্ন পদার্থ যা থেকে ঔষধ তৈরি করা হয়, ইহাতে রোগ উৎপাদন ও রোগ নাশক ক্ষমতা বিদ্যমান।

🌱 যে সকল পদার্থকে হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়ার নির্দিষ্ট নিয়মে প্রস্তত বা শক্তিকৃত করলে রোগ উৎপাদন করে এবং অসুস্থদেহের রোগ মুক্ত করে তাকেই হোমিওপ্যাথিক ভেষজ বলে।

🌱 যে সকল পদার্থ সুস্থ শরীরে প্রয়োগ করলে শরীর অসুস্থ হয় এবং অসুস্থ শরীরে  সদৃশ লক্ষণ মতে প্রয়োগ করলে শরীর সুস্থ হয়, তাকে ভেষজ বলা হয়। অর্থাৎ যে সকল পদার্থের রোগ উৎপাদিকা ও রোগনাশিনী উভয়বিধ শক্তিই বর্তমান থাকে উহাদিগকে ভেষজ বলে। কাজেই ভেষজ হল ঔষধী গুণসম্পন্ন বস্তু যা থেকে ঔষধ প্রস্তুত করা যায়। 
হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া ভেষজের উৎসের আলোচনা করঃ
🌱 উদ্ভিদজঃ একোনাইট, বেলেডোনা, সিঙ্কোনা।
🌱 প্রাণীজঃ এপিসমেল, ফ্যান্থারিস, ল্যাকেসিস।
🌱 খনিজঃ নেট্রাম-মিউর,ক্যালি-কার্ব, ফেরাম-ফস, ফসফরাস, সালফার।
🌱 গ্রন্থিজঃ ল্যাক-ক্যানাইনাম, থাইরয়ডিন, ইনসুলিন।
🌱 শক্তিজঃ এক্স-রে, রেডিয়াম।
ভেষজ পরীক্ষণ কাহাকে বলে ?
🌱 ভেষজকে আরোগ্যদায়িনী শক্তিরূপে ব্যবহার করিতে হইলে তাহার রোগোৎপাদিকা শক্তির পূর্ণ পরিচয় জানা আবশ্যক। প্রতিটি ভেষজ পরিমিত মাত্রায় সুস্থ মানবদেহের উপর প্রয়োগ করিয়া পরীক্ষা করা ব্যতীত তার সার্বিক পরিচয় জানার অন্যকোন নিশ্চিত পথ নাই। ভেষজের অন্তনির্হিত শক্তির সম্যক পরিচয় লাভ করার উদ্দেশ্যে সুস্থ মানবদেহে ভেষজের বিধিসম্মত পরীক্ষাকে ভেষজের গুণাগুণ পরীক্ষা বা drug proving বলে
ভেষজ (ঔষধ) পরীক্ষার উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনীয়তা কি ?
🌱 প্রতিটি ঔষধের রোগোৎপাদিকা শক্তির পূর্ণ পরিচয় বিশদভাবে জানা, অর্থাৎ সুস্থাবস্থায় দেহযন্ত্রের ক্রিয়ায় ও অনুভূতিতে কিরূপ বিকৃতি সাধন করে তাহা জানা
🌱 প্রতিটি ঔষধের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যাবলীর স্বাতন্ত্র অনুধাবন করা ও অন্য ঔষধ হইতে ইহাকে পৃথক করা
🌱 সদৃশ লক্ষণযুক্ত রোগে এই ঔষধের উপযুক্ত প্রয়োগবিধি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা 


🌱 ডাঃ রবার্টস বলেন, drug proving এর প্রকৃত উদ্দেশ্য হইল ঔষধ সৃষ্ট রোগের এক জীবন্ত চিত্র অংকন করা যাহাকে রোগীর দেহে দেখা মাত্র আমরা চিনিতে পারি।
হোমিও ঔষধের পরীক্ষণের শর্তাবলী কি কি ?
🌱 যাহার উপর ঔষধ পরীক্ষা করা হইবে তাহাকে সুস্থ, সবল ও স্বাভাবিক মানুষ হইতে হইবে। ইতর প্রণীর কোন বাকশক্তি নাই, তাই ঔষধের ব্যক্তিনিষ্ঠ ও মানসিক লক্ষণাবলী ইতর প্রাণী হইতে জানা যায় না। 
🌱 পরীক্ষাকরীকে অকপট, সত্যবাদী ও সৎব্যক্তির অধিকারী হইতে হইবে 
🌱 তীক্ষ্ন ও ত্বরিৎ বুদ্ধির অধিকারী ও কান্ডজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির উপর ঔষধ প্রয়োগ করিতে হইবে 
🌱 হোমিওপ্যাথির উপর আস্থা, দরদ, বিশ্বাস ও ভক্তি আছে এমন ব্যক্তির উপর ঔষধ পরীক্ষা করিতে হইবে
🌱 প্রত্যক্ষণ ও পর্যবেক্ষণলদ্ধ লক্ষণাবলী চিকিৎসার পরিভাষায় ব্যক্ত করার ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তির উপর ঔষধ পরীক্ষা করিতে হইবে
🌱 লক্ষণের প্রকারভেদ বুঝার জন্য সুশিক্ষিত ব্যক্তির উপর ঔষধ পরীক্ষা করিতে হইবে

নির্বাচিত ঔষধের শক্তি কিভাবে নির্ধারণ করিতে হয় ?
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহারিক ক্ষেত্রে নির্বাচিত ঔষধের শক্তি কিভাবে নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ঔষধ নির্বাচন করা যত কঠিন , ঔষধের শক্তি নির্ধারণ করা তাহা অপেক্ষা ও কঠিন। হ্যানিম্যান এবং তৎপরবর্তী কালের বিজ্ঞ চিকিৎসকগণের ব্যবহৃত শক্তি সম্বন্ধে পর্যালোচনা করিয়া মোটামুটিভাবে একটি শক্তিনীতি প্রস্তুত করা যায়

১. সাধারণতঃ তরুণ রোগ নিম্নশক্তি বা মধ্যশক্তি প্রয়োগ করিতে হয় এবং চিররোগে উচ্চশক্তি প্রয়োগ করিতে হয়

২. যে সকল রোগীর প্রতিক্রিয়া শক্তি দুর্বল সে সকল রোগীতে নিম্নশক্তি এবং যে সকল রোগীর প্রতিক্রিয়া শক্তি তীব্র সে সকল রোগীতে নির্বাচিত ঔষধ উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করা উচিত

৩. জড়বুদ্ধি ও যাহারা দৈহিক পরিশ্রম করেন এবং শ্লেম্মা প্রধান ধাতুর রোগীতে নিম্নশক্তি প্রয়োগ করিতে হয়

৪. স্নায়ু প্রধান , রক্ত প্রধান ধাতুর রোগী এবং বুদ্ধিজীবি ও আবেগপ্রবণ রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ শক্তি প্রয়োগ করিতে হইবে

৫. যে সকল ঔষধের ক্রিয়া অগভীর ও অল্পকাল স্থায়ী সে সকল ঔষধ নিম্নশক্তিতে এবং যে সকল ঔষধের ক্রিয়া গভীর ও দীর্ঘকাল স্থায়ী সে সকল ঔষধ  উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করিতে হয়


রোগের ডায়নামিক সূত্র কি ?
মানুষের সুস্থাবস্থা ও রুগ্নাবস্থা ও আরোগ্যবস্থা জীবনী শক্তির উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ মানুষের সুস্থাবস্থা ও রুগ্নাবস্থা ও আরোগ্যবস্থা- এই তিন অবস্থাই এক অখন্ড জীবনী শক্তির বিভিন্ন অবস্থা। এই তিন অবস্থাই জীবনীশক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয় ইহাকেই রোগের ডায়নামিক সূত্র বলে
Homeopathic Posology-ঔষধের মাত্রাসংক্রান্ত বিদ্যা
🌱 Posology-মাত্রাতত্ত্ব
মাত্রাতত্ত্বের ইংরেজি হইল Posology। Posology শব্দটি Posos এবং Logos এই দুইটি গ্রীক শব্দ হইতে উৎপত্তি হইয়াছে। Posos শব্দের অর্থ পরিমাণ এবং Logos শব্দের অর্থ জ্ঞান। অতএব Posology শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হইল পরিমাণ সম্বন্ধে জ্ঞান বা পরিমাণ বিজ্ঞান। চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখায় ঔষধের শক্তি এবং পরিমাণ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক আলোচনা হয় তাহাকে মাত্রাতত্ত্ব বলে

বাংলায় ‘মাত্রা’ ও ইংরেজিতে ‘Dose’ শব্দটি একটি গ্রীক শব্দ Posos থেকে উৎপন্ন হয়েছে যার অর্থ- পরিমাণ। সুতরাং মাত্রা বলতে কোন কিছুর নির্দিষ্ট পরিমাণকে বোঝায়। যেমন-এক ড্রাম, এক ফোঁটা ইত্যাদি। মাত্রাতত্ব (Posology) বলতে বোঝায় বিজ্ঞানের যে শাখায় মাত্রা বা পরিমাণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাত্রাতত্ত্ব (Homeopathic Posology) বলতে মূলত প্রুভিংয়ের সময় প্রুভারের উপরে অসুস্থতার সময় রোগীর উপর ঔষধ প্রয়োগের পরিমাণকে বুঝানো হয়ে থাকে। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যেহেতু শক্তি তাই এর মাত্রা বা পরিমাণ বলতে ঔষধের শক্তির পরিমাণকেই বোঝানো হয়। এই ব্যাপারটি হোমিওপ্যাথিক দর্শনের সাথে সরাসরি সর্ম্পকযুক্ত কারণ উপযুক্ত শক্তির উপযুক্ত মাত্রায় প্রয়োগের আগে ঔষধের শক্তি ও রোগের শক্তিকে ভালোভাবে উপলদ্ধি করতে হয় এবং তার সাথে, ঔষধের কোন শক্তিটি মানবদেহের কোন স্তরে সাধারণত কতক্ষণ কাজ করার ক্ষমতা রাখে তার একটা ধারণা থাকতে হয়।

রোগ হচ্ছে একপ্রকার শক্তি এবং তা জীবনীশক্তিকে আক্রমণ করার পর- তা মানবদেহের বিভিন্ন স্তরগুলোর (Level of Human being) মধ্যে কোন স্তরে অবস্থান করছে তার অবস্থান অনুযায়ী ঔষধেরও শক্তির মাত্রা পরিবর্তন করতে হবে।  বিভিন্ন প্রকার মাত্রা রয়েছে- কোন রোগীর ক্ষেত্রে রোগশক্তির পরিমাণ কতটুকু বা রোগশক্তি কোন রোগীর কতটুকু ক্ষতি করেছে, তার উপর র্নিভর করে ঔষধশক্তির মাত্রা নির্ধারিত হবে। হোমিওপ্যাথির একটি মৌলিক নীতি হচ্ছে রোগীর ব্যাক্তিস্বাতন্ত্রতা নির্ধারণ। এই নীতিটি মাত্রা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বিবেচনায় আনতে হবে। কারণ প্রত্যেকটি রোগীর ক্ষেত্রে রোগের ধরণ, তীব্রতা ইত্যাদি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন শক্তির, ভিন্ন ‍ভিন্ন মাত্রা নির্ধারিত হবে।
সূক্ষমাত্রা বা ক্ষুদ্রতম মাত্রা কাহাকে বলে?
সুনির্বাচিত ঔষধের যতটা পরিমাণ ব্যবহার করিলে ঔষধের কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে না অথচ রোগী স্থায়ীভাবে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নির্মল আরোগ্য লাভ করে ঐ পরিমাণকেই সূক্ষমাএা বা ক্ষুদ্রতম মাএা বলে
প্রথম মাত্রা কাহাকে বলে ?
যে পরিমাণ ঔষধ প্রয়োগের পর দেহে ঔষধের ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় তাহাকে প্রথম মাত্রা বলে
রোগমাত্রা ও আরোগ্য মাত্রার পার্থক্য কি?
  • রোগমাত্রা নীতি বহির্ভূত, আর আরোগ্যমাত্রা নীতি সম্মত
  • রোগমাত্রা অপরিবর্তিত মাত্রা হইয়া থাকে আর আরোগ্যমাত্রা পরিবর্তিত মাত্রা।
  • রোগমাত্রা দেহের ক্ষতি সাধন করে কিন্তু আরোগ্যমাত্রা দেহের উপকার করে।
  • রোগমাত্রা স্থুল মাত্রার অন্তর্গত আর আরোগ্যমাত্রা সূক্ষমাত্রার অন্তর্গত।
  • রোগমাত্রা যে কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় কিন্তু আরোগ্যমাত্রা সব সময় আরোগ্যের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
একক মাত্রার ঔষধ প্রয়োগের উপকারিতা কি?
একবারে একটি মাএায় ঔষধ প্রয়োগ হইলে উহা অতিশয় কার্যকরী হয়। যদি একটি মাএাকে পানিতে গুলিয়া বিভক্ত করিয়া প্রত্যেকবার প্রয়োগের পূর্বে ২ হইতে ১০/১২ বার ঝাঁকি দিয়া পরিবর্তিত একক মাএায় প্রয়োগ করা হয় তবে উহা অধিক কার্যকরী হয়। ঔষধকে পরিবর্তিত মাএায় প্রয়োগ করিলে মাএাটি অনেক সূক্ষ্ম হয়। ঔষধ রোগীর লক্ষণের সহিত যত বেশী সদৃশ লক্ষণ সম্পন্ন হয় ও উহার মাএা তত বেশী ক্ষুদ্র বা সূক্ষ্ম হইবে ততই আরোগ্যকারী পরিবর্তন পাওয়া যায়। এইজন্য ঔষধকে একক মাএায় প্রয়োগ করিতে যায়।
ঔষধের শক্তি ও মাত্রা বলিতে কি বুঝ?
ঔষধের শক্তিঃ- ফার্মাকোপীয়ার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসারে মূল আরককে তরল ভেষজবহ

Theory of Homoeopathy Action & amp; Duration.
(ঔষধের সেবন বিধি তত্ত্ব)
Q (মাদার টিংচার) থেকে CM পর্যন্ত শক্তির ঔষধ ব্যবহারঃ
———————————————————–
Q (এক দিন)=২ ঘন্টা পরপর ১০ ফোঁটা করে।
1x (১ দিন)=২ ঘন্টা পরপর ১০ ফোঁটা করে।
2x (১ দিন)= ২ ঘন্টা পরপর ১০ ফোঁটা করে।
3x (২ দিন)=৩ ঘন্টা পরপর ১০ ফোঁটা করে।
3০x (৩ দিন)= ৪ ঘন্টা পরপর ৫ ফোঁটা করে।
2০০x (৫ দিন)= ৬ ঘন্টা পরপর ৫ ফোঁটা করে।
[Q বা ১x বা 2x বা 3x বা 30x বা 200x সমূহ ক্রনিকের ক্ষেত্রেঃ গ্যাস, অর্শ, আমাশয়, মাসিকের অনিয়মের জন্য ৩ বার]
1M (৭ দিন)= প্রতিদিন একবার ৫ ফোঁটা করে।
[ বাচ্চাদের ক্ষেত্রেঃ (১-১০) বছরের বাচ্চা একদিন পরপর ২ ফোঁটা করে ]
10M (১০ দিন)= ২ দিন পরপর ৫ ফোঁটা করে।
[ বাচ্চাদের ক্ষেত্রেঃ (১-১০) বছরের বাচ্চা ৫ দিন পরপর ২ ফোঁটা করে ]
50M (১২ দিন)= ২ দিন পরপর ৫ ফোঁটা করে।
[ ১-১০ বছরের বাচ্চা ৬ দিন পরপর ২ ফোঁটা করে ]
CM (১৫ দিন)= ৩ দিন পরপর ৫ ফোঁটা করে।
[ ১-১০ বছরের বাচ্চা ৭ দিন পরপর ২ ফোঁটা করে ]
মোট=৫৬ দিন।
———————————————————–
3x থেকে 200x পর্যন্ত বাইওকেমিক ঔষধের ব্যবহারঃ
——————————————————
3x (২ দিন)= ৩ ঘন্টা পরপর ১-১০ বছর ক্ষেত্রে ২ টি / পূর্ণ বয়সে ৫ টি ট্যাবলেট।
6x (৪ দিন)= ৪ ঘন্টা পরপর ১-১০ বছর ক্ষেত্রে ২ টি / পূর্ণ বয়স ৫ টি ট্যাবলেট।
12x (৫ দিন)= ৪ ঘন্টা পরপর ১-১০ বছর ক্ষেত্রে ২ টি / পূর্ণ বয়স ৫ টি ট্যাবলেট।
30x (৩০ দিন)= ১২ ঘন্টা পরপর ১-১০ বছর ক্ষেত্রে ২ টি / পূর্ণ বয়স ৫ টি ট্যাবলেট।
200x (৩০ দিন)= ২৪ ঘন্টা পরপর ১-১০ বছর ক্ষেত্র ২ টি / পূর্ণ বয়স ৫ টি ট্যাবলেট। (দিনে ১ বার)।
[ ১-২ দিন বা ৬ মাসের শিশুদের ১ টি ট্যাবলেট করে ]
মোট= ৭৩ দিন।
হোমিও ঔষধের শক্তি মাত্রা নির্বাচন কৌশলঃ
পৃথিবীতে যারা ক্লাসিক্যাল (সর্বোত্তম) হোমিওপ্যাথ চর্চা করেন, তাঁরা অনেক কষ্ট করে রোগীকে আরোগ্য করে থাকেন। রোগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষণগুলি নিয়ে অনেক চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হয় এবং রোগ ও রোগীর অনেক গভীরে প্রবেশ করে থাকেন একজন ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথ। মূলকথা হলো ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথিতে ঔষধ নির্বাচন অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কষ্ট সাধ্য যদিও বর্তমানে কম্পিউটারাইজ রেপার্টরী ও ম্যাটেরিয়া মেডিকা ব্যবহার কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছে; তথাপি অন্য যে কোন চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথ অনেক কষ্ট করে ঔষধ নির্বাচন করে থাকেন। আবার ঔষধ নির্বাচন সঠিক হলেও তার শক্তি ও মাত্রা নির্ধারণ করা দ্বিতীয় কঠিন কাজ।

শক্তির বিষয়ে আলোচনার পূর্বে আমরা কিছুটা জানি যে হোমিওপ্যাথি ঔষধে কি কি ধরণের শক্তি হয়ে থাকে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলি ৩ টি স্কেলে পরিমাপ করা হয়।
১) ডেসিমেল স্কেল
২) সেন্টিডেসিমেল স্কেল
৩) কেপ্টি ডেসিমেল স্কেল

শক্তিকৃত ঔষধগুলিকে ৩ ভাবে বিভক্ত করা হয়ে থাকে।
১) নিম্নশক্তি- মাদার টিংচার থেকে ১২ পর্যন্ত।
২) মধ্যম শক্তি- ১২ থেকে ২০০ শক্তি পর্যন্ত।
৩) উচ্চ শক্তি ২০০ থেকে যত উচ্চ শক্তি করা যায়।

হোমিওপ্যাথ ডাক্তরগণ কেউ নিম্নশক্তি, কেউ মধ্যম শক্তি আবার কেউ উচ্চ শক্তি ব্যবহার করে চিকিৎসা করে থাকেন। উল্লেখিত ৩ ধরণের মাধ্যমেই রোগী আরোগ্য হয়ে থাকে। এটা কোন সুনির্ধারিত বিষয় নয় যে আপনাকে নিম্নশক্তি, মধ্যম শক্তি অথবা উচ্চ শক্তির ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে বিষয়টি মূলতঃ ডাক্তারদের উপরই নির্ভর করে থাকে যে তিনি কোন ধরণের শক্তি ব্যবহার করবেন। আর এটা বলাও ঠিক হবেনা যে তিনি এই ধরণের শক্তি ব্যবহার করছেন বলে তার সাফল্য আসছেনা বা রোগী আরোগ্য হচ্ছে না। আসলে সব ধরণের শক্তিতেই ফলাফল পাওয়া যায়।

কিছু কিছু দেশে ডাক্তারগণ নিম্নশক্তি ছাড়া উচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন না কেননা সে দেশের ঔষধ নীতিতে এমন বিষয় উল্লেখ আছে যে, “যে উপাদানের মাধ্যমে ঔষধ তৈরি করা হয়েছে অর্থাৎ ঔষধের মূল উপাদান ঔষধে অবশ্যই থাকতে হবে।” আমরা জানি ১২ শক্তি পর্যন্ত হোমিও ঔষধে উক্ত ঔষধের মূল উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরচেয়ে উচ্চ শক্তিকৃত করা হলে সেখানে শুধুমাত্র শক্তি বর্তমান থাকে। যখন পটেনটাইজেশন করা হয় তখন মলিকিউলস গুলি দূরে সরে যায় এবং এনার্জি বেরিয়ে আসে উক্ত এনার্জি এলকোহলে মিশে যায় বা জমা হয়ে যায় ফলে ১২ শক্তির উচ্চে উপাদানের আর অস্তিত্ব থাকে না। বিধায় সে দেশে নিম্নশক্তি ভিন্ন উচ্চ শক্তির ঔষধ পাওয়া যায় না। ফলে ডাক্তারগণ নিম্ন শক্তি দিয়েই চিকিৎসা করে থাকেন।

আমাদের দেশে নিম্ন মধ্যম ও উচ্চ শক্তি সবই ব্যবহার হয়। শুধু তাই নয় সাফল্যের সাথে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথির প্রচার ও প্রসার ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মানুষ হোমিওপ্যাথিতে ফল পাচ্ছে। হোমিওপ্যাথির পাওনিয়ারগণ যাদের হাত ধরে আজ পৃথিবীতে হোমিও ব্যাপক প্রচার পেয়েছে যেমন ডাঃ কেন্ট, ডাঃ ক্লার্ক, ডাঃ হেরিং, ডাঃ ন্যাস, ডাঃএলেন, ডাঃ বোনিং হোসেন আরও অনেকে যাদের নাম লিখলে তালিকাটা অনেক বড় হবে। তাদের মধ্যে অনেকেই নিম্নশক্তি ব্যবহার করতেন আবার অনেকে উচ্চ শক্তি ব্যবহার করতেন । উদহারন স্বরূপ বলা যায় ডাঃ কেন্ট উচ্চ শক্তি বেশি ব্যবহার করতেন এবং ডাঃ বোরিক নিম্নশক্তি বেশি ব্যবহার করতেন। মূলকথা হলো আমরা নিজস্ব বিবেচনায় রোগীর অবস্থা ঔষধের প্রাপ্তি গুণাগুণ মাথায় রেখে সুনির্বাচিত ঔষধ সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করলে সাফল্য পেতে পারি।
নিম্নে ঔষধের শক্তি প্রয়োগের কয়েকটি কৌশল উল্লেখ করা হলো যা অনেক বিজ্ঞ ডাক্তারগণ করে থাকেন-
১. যখন ঔষধ লক্ষণ ও রোগীর লক্ষণ বহুল অংশে মিলে যায় বিশেষ করে মানসিক লক্ষণ তখন আপনি উচ্চ শক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

২. যখন ঔষধের মানসিক লক্ষণ ও রোগীর মানসিক লক্ষণ খুবই কম মিলে তখন আপনি নিম্নশক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

৩. রোগী যদি শারীরিক পরিশ্রম খুবই কম করেন অর্থাৎ অফিসে বসে বসে কাজ করে, মানসিক চাপ বেশি থাকে শারীরিক কোন ধরণের পরিশ্রম হয় না এমন রোগীকে উচ্চ শক্তি দেওয়া যেতে পারে।

৪. রোগী যদি মানসিক পরিশ্রম কম ও শারীরিক পরিশ্রম বেশী করেন তাহলে নিম্নশক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৫. রোগীর রেজিষ্টান্ট (প্রতিরোধী) পাওয়ার, জীবনী শক্তি ভাল থাকলে যেমনটা কিশোর ও যুবকদের দেখতে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে উচ্চ শক্তি দেওয়া যেতে পারে।

৬. রোগীর বয়স বেশী, রেজিষ্টান্ট পাওয়ার কম, জীবনী শক্তি দূর্বল এমন হলে নিম্নশক্তি দ্বারা চিকিৎসা করা ভাল।

৭. যদি ঔষধ নোসড হয় তাহলে নিম্ন শক্তি না দিয়ে মাধ্যম বা উচ্চ শক্তি ব্যবহার করে রোগীর চিকিৎসা করা ভাল।

৮. রোগীর শারীরিক লক্ষণ বেশী এবং মানসিক লক্ষণ কম এমন অবস্থায় রোগীকে নিম্নশক্তি দেয়া উত্তম।

৯. যখন প্যাথলোজিক্যাল সিম্পটম বেশী কিন্তু মানসিক লক্ষণ কম এমন ক্ষেত্রে নিম্নশক্তি ব্যবহার করা ভাল। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে আলসার, ক্ষত।

১০. রোগী দেখার সময় যদি এমন মনে হয় যে রোগ তীব্র আকার ধারণ করেছে উদহারন স্বরূপ টিউবারকিউলোসিস, এইচআইভি, ক্যান্স্যার এর শেষ অবস্থা হলে নিম্নশক্তি ব্যবহার করাই ভাল।

১১. কিছু কিছু রোগী তীব্র ড্রাগ সেনসিটিভ হয়ে থাকে। সামান্য ঔষধ প্রয়োগেই ক্রিয়া প্রকাশ পায় এমন রোগীর ক্ষেত্রে নিম্নশক্তি ব্যবহার করা ভাল।

🌱 এমন কিছু ঔষধ আছে যেমন, হিপার সালফ, সাইলিসিয়া মেটেরিয়া মেডিকাতে কোন কোন ডাক্তারগণ উল্লেখ করেছেন নিম্নশক্তিতে যে ধরণের ক্রিয়া প্রকাশ করে উচ্চ শক্তিতে তার বিপরীত ক্রিয়া করে থাকে। উদহারণ স্বরূপ বলা যেতে পারে সাইলিসিয়া নিম্নশক্তি পুঁজ উৎপাদন করে কিন্ত উচ্চ শক্তিতে তা শুকিয়ে দেয়।

🌱  কিছু ঔষধ নোসড নয় তবু তীব্র ক্রিয়া প্রকাশ করে যেমন ফসফরাস, সাইলিসিয়া (মেটেরিয়া মেডিকা অনুযায়ী) তীব্র ও দীর্ঘ ক্রিয়া প্রকাশক। এ ধরণের ঔষধগুলি ব্রঙ্কাইটিস, টিউবারকিউলোসি এর মত তীব্র পীড়াদায়ক রোগে ব্যবহার করলে রোগীর শরীরে তীব্র ক্রিয়া প্রকাশ পায়; রোগীর রোগ কষ্ট বেড়ে যায়। তাই শুধু রেপার্টরি নির্ভর না করে মেটেরিয়া মেডিকা অনুসরণ করে ঔষধের মেরিট অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র করা উচিত।

Related Topics Click Here::


ঔষধ প্রস্তুতকরণ ও শক্তিকরণ। নবম অধ্যায়।
March 11, 2021
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তি বা ক্রম বলিতে কি বুঝায় ?
হোমিও ফার্মাকোপিয়ার নিদির্ষ্ট প্রক্রিয়া অনুসারে মূল আরককে তরল ভেষজবহ সহযোগে সূক্ষ হইতে সূক্ষতম অংশে বিভাজিত করা এবং কঠিন বা ধাতব পদার্থকে দুগ্ধ শর্করা সহযোগে বিচূর্ণ করিয়া সূক্ষ হইতে সূক্ষতম অংশে বিভাজিত করা অংশকে শক্তি বা ক্রম বলে 

 Method of Potentization_শক্তি বিকাশনের পদ্ধতি গুলি কি কি ?

 ১. Succussion সাক্কাশন বা ঝাঁকুনি- তরল আকারের ঔষধঃ তরলে দ্রবণীয় ঔষাধাদি পদার্থকে পরীশ্রুত পানি ও এলকোহল মিশিয়ে ঝাঁকুনি বা সাক্কাশনের মাধ্যমে ঔষধের শক্তি প্রস্তত ও বিকাশন করা হয়। সাধারণতঃ ঔষধের মূল আরক হইতে পরীশ্রুত পানি ও এলকোহল সহযোগে প্রতিটি পদক্ষেপে ঝাঁকুনি দিয়া শক্তি প্রস্তুত বা বিকাশ ঘটানোর নাম সাক্কাশন
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে তিনটি পদ্ধতিতে ঔষধ শক্তিকরণ করা হয়। যথা-
🌱 দশমিক পদ্ধতি
🌱 শততমিক পদ্ধতি
🌱 ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতি
 
দশমিক রীতিঃ ডাঃ হেরিং কর্তৃক এই রীতি প্রবর্তিত হয়এই রীতিতে মূল ঔষধের ১ ভাগের সাথে ৯ ভাগ ভেষজবহ মিশাইয়া ১ ঘন্টা কাল খলে ঘর্ষণ করিলে প্রথম দশমিক শক্তির ঔষধ প্রস্তুত হয়। প্রথম শক্তির ১ ভাগ আবার ৯ ভাগ ভেষজবহের সহিত মিশাইয়া দ্বিতীয় দশমিক শক্তির ঔষধ প্রস্তুত হয়। দশমিক শক্তির ঔষধ কে X চিহ্ন দ্বারা ঔষধের শক্তি প্রকাশ করা হয়। 
 
শততমিক রীতিঃ  ডাঃ হ্যানিমান কর্তক প্রবর্তিত হয়। শততমিক প্রক্রিয়ায় ১ ভাগ মূল আরকের সঙ্গে ৯৯ ভাগ সুরাসার মিশ্রিত করিয়া উত্তমরূপে ঝাঁকানি দিয়া প্রথম শততমিক শক্তির ঔষধ প্রস্তুত হয়। প্রথম শততমিক শক্তির ১ ভাগ আবার ৯ ভাগ সুরাসার মিশ্রিত করিয়া উত্তমরূপে ঝাঁকানি দিয়া দ্বিতীয় শক্তির ঔষধ প্রস্তুত করা হয়। এই ভাবে ক্রমান্বয়ে উচ্চ শক্তি ঔষধ প্রস্তুত হয়


ঔষধ প্রস্তুতকরণ ও শক্তিকরণ


পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তি কিভাবে প্রস্তুত করা হয় ?
 শততমিক ঔষধের চেয়ে ১০ গুণ বেশি ঝাঁকি দিতে হয় ৫০ সহস্রতমিক ঔষধ তৈরির ক্ষেত্রে।

পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তির ঔষধ সবসময় অবশ্যই পানিতে দ্রবণ করে  প্রয়োগ করতে হয়। একটি দানাতে কোটি কোটি অনু থাকে। যখনই কোন তরলে ঔষধীয় বস্তু দ্রবণ করা হয় তখন অণু বা পরমাণুসমূহের বন্ধন তরলের (দ্রাবকের) আকর্ষণে শিথিল হয় এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।শক্তিকৃত করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবক দিয়ে যতই তরল (Dilute) করা হয় ততই অণু ও পরমাণুসমূহ পরস্পর থেকে বন্ধনযুক্ত হয়,কোন কোন ক্ষেত্রে অণুসমূহ আয়নের (চার্জযুক্ত কণা) পরিণত হয়। কোন বস্তুর দানা থেকে তার মুক্ত অণু বা পরমাণু বা আয়নে কার্যকরী ক্ষমতা অনেক অনেক বেশি হয়। সাথে সাথে মানুষের বাযন্ত্রের ঝাঁকিরূপ শক্তি যোগ হয়ে ঔষধের শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সেইজন্য ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতির ঔষধ বহুগুণ শক্তিসম্পন্ন হয়। যথার্থ মাত্রা ও শক্তিতে প্রয়োগ না করলে ঔষধ টি সংহারীরূপ ধারণ করে রোগীর চরম ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে।

৫০ সহস্রতমিক ঔষধ প্রস্তুত করতে হলে প্রথমে (১ঃ১০০) অনুপাতে সেন্টিসেমাল স্কেলের তৃতীয় শক্তি পর্যন্ত প্রস্তুত করতে হবে। পারদ,পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি তরল পদার্থের ক্ষেত্রেও এক ফোঁটা নিতে হবে।

(All the medicinal substance, whether dry or oily (plants and animals as a whole),are triturated with sugar of milk up to the third centisimal potency)


পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তিকরণের পদ্ধতির বর্ণনা দাও।
মহাত্মা হ্যানিমান অর্গাননের ৬ষ্ঠ সংস্করণে এই নতুন পদ্ধতির উল্লেখ করিয়াছেন। মূল ঔষধ হইতে M/1 পর্যন্ত আসিতে ৫টি স্তর অতিক্রম করিতে হয়।

ঔষধি পদার্থঃ দুগ্ধ শর্করা = ১ গ্রেনঃ ১০০গ্রেন।
দুগ্ধ শর্করা ১০০ গ্রেন = সমান ৩ ভাগে ভাগ করতে হবে।
সময় ১ ঘন্টা = তিনটি পর্যায়ে কাজ।
১ ঘন্টা সমান = ২০ মিনিট + ২০মিনিট +২০ মিনিট।
প্রতি ২০ মিনিট=১০ মিনিট+১০মিনিট।
প্রতি ১০ মিনিট=৬ মিনিট ঘর্ষণ+৩ মিনিট স্প্যাচুলা দ্বারা চাছা+১ মিনিট মিশানো।

প্রথম পর্যায়ঃ ১গ্রেন ভেষজ ও ১০০ গ্রেন শর্করার তিন ভাগের এক ভাগ মর্টারে নিয়ে পেস্টল দ্বারা সজোরে ও সমান তালে একই ডিরেকশনে ৬ মিনিট ঘর্ষণ করতে হবে। তারপর ৩ মিনিট সময় স্প্যাচুলা দ্বারা ভালভাবে চেছে একত্রিত করতে হবে এবং ১ মিনিট ভালভাবে মিশাতে হবে। এভাবে প্রথম পর্যায়ের প্রথম ১০ মিনিট শেষ হবে।পুনরায় পূর্বের মতো ৬ মিনিট ঘর্ষণ, ৩ মিনিট চাছা,১ মিনিট মিশ্রিত করার পর প্রথম পর্যায়ের(১০+১০) মিনিট শেষ হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ঃ উপরিউক্ত বিচূর্ণের সাথে দ্বিতীয় ১/৩ ভাগ দুগ্ধ শর্করা মিশিয়ে (১০+১০) ২০ মিনিট সময় পূর্বের মতো একই নিয়মে কাজ করতে হবে।

তৃতীয় পর্যায়ঃ দুগ্ধ শর্করার শেষ ১/৩ ভাগ মিশিয়ে পূর্বের ন্যায় একই নিয়মে (১০+১০)২০ মিনিট শেষ করতে হবে।এভাবে তিনটি পর্যায় একঘন্টা কাজ করার পর শততমিক পদ্ধতির ১ম শক্তি বিচূর্ণ আকারে প্রস্তুত হবে।
পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তি প্রস্তুত করার নিয়ম।
প্রথম স্তর বা প্রথম শক্তির বিচূর্ণঃ মূল ভেষজ পদার্থের ১ ভাগের সাথে ১০০ ভাগ দুগ্ধ শর্করা ( তিনটি পর্যায়ে ১০ ভাগ +  ৪০ ভাগ + ৫০ ভাগ ) লইয়া এক ঘন্টাকাল ঘর্ষণ ও মিশ্রণের মাধ্যমে প্রথম শততমিক বিচূর্ণ প্রস্তুত করা হয়।
শক্তি-- ১/১০০ ।

দ্বিতীয় স্তর বা দ্বিতীয় শক্তির বিচূর্ণঃ প্রথম শততমিক বিচূর্ণের ১ ভাগের সাথে ১০০ ভাগ দুগ্ধ শর্করা ( তিনটি পর্যায়ে ১০ ভাগ +  ৪০ ভাগ + ৫০ ভাগ ) লইয়া এক ঘন্টাকাল ঘর্ষণ ও মিশ্রণের মাধ্যমে দ্বিতীয় শততমিক বিচূর্ণ প্রস্তুত করা হয়।
শক্তি-- ১/১০০ X ১/১০০ = ১/১০,০০০।

তৃতীয় স্তর বা তৃতীয় শক্তির বিচূর্ণঃ দ্বিতীয় শক্তির বিচূর্ণের ১ ভাগের সাথে ১০০ ভাগ দুগ্ধ শর্করা ( তিনটি পর্যায়ে ১০ ভাগ +  ৪০ ভাগ + ৫০ ভাগ ) লইয়া এক ঘন্টাকাল ঘর্ষণ ও মিশ্রণের মাধ্যমে তৃতীয় শততমিক বিচূর্ণ প্রস্তুত করা হয়।
শক্তি-- ১/১০০ X ১/১০০ X ১/১০০ = ১/১০,০০০০০

চতুর্থ স্তর বা চতুর্থ শক্তির বিচূর্ণ বা তরলে রূপান্তরঃ তৃতীয় শততমিক বা শক্তির বিচূর্ণ হতে ১ ভাগ বা গ্রেন নিয়ে ৫০০ফোঁটা ভেষজবহ (প্রথমে ৪০০ফোঁটা বিশুদ্ধ পানি + ১০০ ফোঁটা ডিসপেনসিং এলকোহল) মিশ্রিত করে তরলে পরিণত হবে। একে নতুন পদ্ধতির বা পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তির মাতৃশক্তি বলে (The mother potency of new method)
শক্তি-- ১/১০০ X ১/১০০ X ১/১০০ X ১/৫০০ = ১/৫০০,০০০০০০

পঞ্চম স্তরঃ এবার চতুর্থ পর্যায়ের মাতৃশক্তির ১ ফোঁটা ও ১০০ ফোঁটা ডিসপেনসিং এলকোহল নির্দিষ্ট বোতলে নিয়ে ১০০ ঝাঁকি দিলে পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তির M/1 প্রস্তুত হবে।
শক্তি-- ১/১০০ X ১/১০০ X ১/১০০ X ১/৫০০ X ১/১০০ = ১/৫০০০,০০০০০

M/2 শক্তি প্রস্তুতঃ M/1 শক্তির একটি ১০ং অনুবটিকাকে শুকাইয়া ১ ফোঁটা পানিতে দ্রবীভূত করে এর সাথে ১০০ ফোঁটা পিউর এলকোহল নির্দিষ্ট বোতলে নিয়ে ১০০ ঝাঁকি দিলে M/2 শক্তির ঔষধ প্রস্তুত হবে।

পঞ্চাশ সহস্রতমিক রীতির বৈশিষ্ট্য কি?
১. মহাত্মা হ্যানিমান অর্গাননের ৬ষ্ঠ সংস্করণে এই নতুন পদ্ধতির উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু হ্যানিমান জীবদ্দশায় ইহা প্রকাশিত হয় নাই।

২. এই রীতিতে ১ ভাগ পূর্ববর্তী শক্তির ঔষধের সহিত ৫০ হাজার ভাগ ভেষজবহ মিশ্রিত করিয়া শক্তিকৃত করা হয়।

৩. এই রীতির শক্তিকৃত ঔষধকে I, II, III বা ০১/, ০২/, ০৩/ বা  M/1, M/2, M/3 ইত্যাদি চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

৪. এই রীতির প্রথম শক্তির ঔষধে ৫০০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ মূল ঔষধ বিদ্যমান। 
গ্লোবিউলস বা বটিকা ও অনুবটিকা কি?
উৎকৃষ্ট বিশুদ্ধ ইক্ষু শর্করা হইতে ইহারা প্রস্তুত হয়ইহা গোলাকার ও কঠিন। অনুবটিকাগুলি পোস্তাদানার ন্যায় এবং বটিকাগুলি তাহা অপেক্ষা একটু বড়। এইগুলির সহিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ মিশ্রিত করিয়া ব্যবহার করা হয়। ইহাদিগকে ৫ নম্বর হইতে ৯০ নম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন নম্বরে পৃথকভাবে সনাক্ত করা হয়। আমাদের দেশে ২০ নম্বর হইতে ৪০ নম্বর পর্যন্ত অনুবটিকাগুলিই অধিক ব্যবহৃত হয়
গ্লোবিউলস বা বটিকা ও অনুবটিকা কি নম্বরীকরণ কিভাবে করা হয়?
বটিকা ও অনুবটিকা বিভিন্ন সাইজের হইয়া থাকে ইহাদিগকে ৫ নম্বর হইতে ৯০ নম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন নম্বরে পৃথকভাবে সনাক্ত করা হয়। নম্বরগুলি হইল ৫, ১০, ১৫, ২০, ২৫, ৩০, ৪০, ৫০, ৬০, ৭০, ৮০, ৯০ মিলিমিটার স্কেল দ্ধারা ইহার নম্বরীকরণ সনাক্ত করা হয়। দশটি সম-আকৃতির বটিকা ও অনুবটিকা এক লাইনে পশাপাশি একটার সাথে আর একটি লাগালাগি করিয়া মিলিমিটার স্কেল দ্ধারা মাপিতে হয়। দশটি বটিকার দৈর্ঘ্য যত মিলিমিটার হইবে, বটিকার নম্বর ও তত হইবে। অর্থাৎ ১০টি বটিকার দৈর্ঘ্য যদি ৩০ মিলিমিটার হয়, তাহা হইলে বটিকার নম্বর হইবে ৩০


Related Topics Click Here::


 Drug, Medicine, Remedy and Posology
January 29, 2021


Drug-ভেষজ

The word “drug" is derived from French word “drogue ” meaning a dry herb.

According to WHO the word drug is defined as any substance that ,when taken into the living organism, may modify one or more of its functions.

Drug, Medicine, Remedy and Posology
 Drug, Medicine, Remedy and Posology


যে সকল পদার্থ সুস্থ শরীরে প্রয়োগ করলে শরীর অসুস্থ হয় এবং অসুস্থ শরীরে  সদৃশ লক্ষণ মতে প্রয়োগ করলে শরীর সুস্থ হয়, তাকে ভেষজ বলা হয়। অর্থাৎ যে সকল পদার্থের রোগ উৎপাদিকা ও রোগনাশিনী উভয়বিধ শক্তিই বর্তমান থাকে উহাদিগকে ভেষজ বলে। কাজেই ভেষজ হল ঔষধী গুণসম্পন্ন বস্তু যা থেকে ঔষধ প্রস্তুত করা যায়



Impurities of drugs

Impurities in drugs may arise from various causes, the following are the common one:

1.Imperfect selection : This is due to the ignorance of collectors of crude vegetable drugs ,who are imperfectly acquainted with their botanical characters and therefore fall to distinguish them from allied species. Hence the substitution of an inferior or allied article for the genuine one.

2.Imperfect preservation: this is one of the cause of deterioration of many drugs. Several drugs are materially affected by light and air others by the lapse of time.

3.Imperfect preparation: Impurities are of two kinds

a. Those which exist in the crude drug

b. Those which arise as by products during the process of preparation

They can be avoided only by scrupulous care on the part of the manufacturing Pharmacist,

4.Adultaration: is the intentional and fraudulent admixture of forgein substances with drug. All hugely priced drugs are liable to adulteration.

ভেষজের উৎসের বিবরণ দাওঃ

  • উদ্ভিদজঃ একোনাইট, বেলেডোনা, সিঙ্কোনা
  • প্রানীজঃ এপিসমেল, ক্যান্থারিস, ল্যাকেসিস
  • খনিজঃ নেট্রাম মিউর, ক্যালিকার্ব, ফেরাম ফস, ফসফরাস, সালফার
  • গ্রন্থিজঃ ল্যাক-ক্যানাইনাম, থাইরয়ডিন, ইনসুলিন
  • শক্তিজঃ এক্স-রে, রেডিয়াম

ভেষজ পরীক্ষণ কাহাকে বলে ?

প্রাকৃতিক নিয়মে আরোগ্যদানকারী ঔষধের উৎস বা ভেষজের রোগোৎপাদিকা শক্তি জানার উদ্দেশ্যে বয়োপ্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ সুস্থ মানবদেহে তা বিধিসম্মত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাকে ভেষজ পরীক্ষণ বলে



Sources of Homoeopathic drugs
December 17, 2020
Sources of Homoeopathic Drugs:

  1. Vegetable kingdom
  2. Animal kingdom
  3. Mineral kingdom
  4. Nosodes
  5. Sarcodes
  6. Imponderabilia
  7. Synthetic source/Synthetic source of tautology
Sources of Homeopathic Medicines



Vegetable kingdom:
Plant consist of several parts-
  • Vegetable parts--leaves, stems, and roots
  • Reproductive parts--flowers ,fruits and seeds
Whole plants
  • Aconite napellus
  • Arnica Montana
  • Belladonna
  • Chamomilla
  • Pulsatilla nigricans
ROOTS:
  • Fresh--Bryonia alba,phytolacca
  • Dried--Rauwolfia serpentine
  • Aerial--Ficus indica
  • Roots and rhizome--Aletris farinosa
Stem and bulb
  • Only stem-- Cactus grandiflorus
  • Bulb-- Allium cepa, Allium sativum

Leaves:
  • Dried--Coca ,Eucalyptus
  • Fresh--Digitalis purpurea
Flowers:
  • Flower bud--Prunus spinosa
  • Flower Stigma--Crocus sativus
  • Flowering head--Cannabis sativa,Cina ,Calendula (with leaves)
Fruits:
  • Fleshy fruits--Agnus castus ,Viscum album(fresh leaves and berries)
  • Dried fruits--1. Nuts-(Aesculus hippocastanum) 2. Pods-(Dolichos prurients)
Seeds:
  • Fresh--Avena sativa,Ignatia amara
  • Dried--Nux vomica,Coffea crude
Bark:
  • Outer bark--Abies Canadensis ,Salix nigra
  • Dried --Cincona officinalis
Wood:
  • Santalum album (cambium & Xylem)
Extract and Plant constituents:
  • Juices--Opium
  • Volatile oils--Oleum santali
  • Alkaloids--Aconitine ,Atropine,Codeine ,Morphine,Quinidine
  • Glycosides--Adoninin ,Digitalin
  • Racenoids--podophyllin,xanthoxylin
Animal source:
  • Apis mellifica (Honey bee)--Tincture of live bees
  • Formica rufa (The Ant )--Tincture of live ants
  • Blatta Americana(American Cockroach)--Tincturation of live insect
  • Cantharis (Spanish fly)--Tincture of the whole dried fly.
  • Ovi gallinae pellicula -- Fresh membrane of the shell of a hen’s egg.
  • Lacs(milk & milk product)-------Sarcodes
  • Lac vaccinum : Cow’s milk
  • Lac felinum : Cat’s milk
  • Koumyss : Fermentation from ass’s milk
  • Lac canium : Bitch’s milk
Chemical Source:
Elements
1. Metal
  • Aluminium metallicum
  • Argentum metallicum
2. Non Metal
  • Iodium
  • Phosphorus
  • Sulpher
3. Metaloids
  • Antimonium
Acids
1. Inorganic acid
  • Acidum boracicum
  • Acidum phosphoricum
2. Organic acid
  • Acidum ascorbicum
  • Acidum camphoricum
Compounds:
1. Inorganic
  • Calcarea arsenicum
  • Ferrum lacticum
2. Organic
  • Bwenzolum nitricum
  • Camphora bromata
Mineral:
1. Mineral springs
  • Aqua petra
  • Aqua silicate
Minerals :
  • Alumina silicate or kaolin
  • Benzoaris
  • Graphites (black lead)
  • Sal marinum (sea salt)
  • Anthrakokali (caustic potash)
NOSODES:
  1. Agaricus Muscaris--entire fresh fungus found in dry pine woods.
  2. Cholesterinum--prepared from gall stone
  3. Tuberculinum avis--prepared from Mycobacterium tuberculosis aviare.
  4. Bacillinum testium--prepared from the testicle of tuberculosis patient
  5. Carcinosin pulmonale-pulmonary cancer
  6. Tubercunum Koch--culture of Mycobacterium tuberculosis
  7. Bacillinum Burnell--from the sputum of tuberculosis patients containing the bacteria
  8. Yersin(pestinum)--nosodes of plague
  9. Ourlianum--lysate from the saliva of a patient suffering from mumps
  10. Calculus renalis--Prepared from renal calculus
Sarcodes:
Sarcodes means ‘’fleshy’’.Sarcodes are preparations from the secretions of healthy organisms, healthy animal tissues and secretions.
  • Adrenalin (secretion of medulla of supra renal gland) +Epinephrine
  • Insulin (beta cells of Islets of Langerhans of pancreas)
  • Cerebellum
  • Colon
  • Colostrun
Imponderabilia:
1. Natural:
Magnets:
  • magnetis poliambo--the magnet
  • luna : Full moon
2. Human made (artificial)
  • Electricitas --Electricity, at atmospheric or static
  • Sol--Sun’s ray
  • Radium--Radium bromide
  • Magnetis artificials
  • X-ray
Synthetic source:
  • Benzyl penicillin
  • Amoxycillin
  • Levodopa
  • Neomycin
  • Salbutamol
Sources of Homeopathic Medicines

The following are the six sources of homeopathic medicines:

Herbs: The whole plant, root, leaves, bark, seeds, flowers and plant resins are used according to the rules laid down in homeopathic pharmacopoeia.

Animal or animal products: Some homeopathic medicines are derived from animal or products such as spiders, honey bee, snake poison, spider poison.

Minerals: This group includes metals, non-metals, and their compounds.

Diseased products / tissues: Few homeopathic medicines are prepared using tissues or secretions from diseases containing bacteria, viruses, and other microorganisms.

Healthy tissues or products: Healthy human/animal tissues and secretions are also used to prepare homeopathic medicines.

Imponderables: Certain energy sources, such as magnetism, x-ray, radiation, etc., are also used to prepare homeopathic medicines.

The medicines prepared from herbs are free of side effects or reactions. This is the reason why herbal treatment is growing in popularity across the globe. The herbs used in homeopathy are mostly derived from angiosperms (flowering plants), though some conifers and ferns as well as fungi, including lichens, brown and red algae are also used.

Process of Collection of Drug (Vegetable Kingdom):
  • Vegetable Kingdom – Purity and genuinity of the original drug substances must be ensured. All vegetable drug substances should be procured fresh, as far as possible, except the substances which has to be imported from outside.
  • It should be collected only in healthy or well developed state; free from worms, insects, or as per direction of the particle drug preparation given in Homoeopathic pharmacopoeia. All those are in decayed state should be discarded.
  • They shall show no discolouration, abnormal odour, slimness or any sign of deterioration. The wild ones are preferable to cultivated ones. They should be collected when their medicinal virtue is greatest.
  • They must not be packed too closely in carrying; and be used quickly in preparing the substance after collection, so that they may yield their full medicinal strength unchanged.
  • Never collect them during morning dew, nor immediately after a shower, nor during too heat of the day.
  • They should be gathered when the weather has previously been sunny and dry, and just after disappearance of the morning dew. Cleaning of the drug materials, so collected, should be done carefully so that any part of it is not eroded.
  • Never wash with profuse water; if become unavoidable, use only too little water for washing.
  • Exotic drug substances should never be imported in powder form, and without proper identification of their genuineness
  • ‘Narcotic’ plants should be collected while in bloom and: partly just before or when coming into bloom. The general directions are as follow, with the few exceptions:
  • Whole Plant-By the term ‘whole plant’ is meant the whole plant with root. The whole plants should be collected in sunny whether, when they are partly in flowers and partly in bud.
  • Root- They should be used fresh. Roots of ‘Annuals’ must be collected early in the autumn, as they die after ripening of the seeds. Roots of ‘Biennials’ should be collected in the spring and of ‘Perennials’ should be collected in the 2nd and 3rd year, before they develop woody fibres; and should be free of moulds, dampness and woody appearance and must not be cleaned with much water.
  • Stems-Should be collected after the development of leaves.
  • Woods- Collected early in the spring or late in autumn before the juice are not exhausted and also from mature young trees and tree like shrubs.
  • Barks- Barks should be collected from mature, vigorous young trees. Barks of ‘Resinous’ trees should be collected at or about the time of development of leaves and blossoms. ‘Non-resinous’ barks are to be collected late in the autumn. The same principle is also for root-barks.
  • Young Shoots- They are collected in the spring, when the whole plant is in full vigour.
  • Leaves- Only fully developed leaves should be collected just the before or during the flowering time. In cases of Biennials plants the leaves which first appear in the spring of the second year are the best and so these should be collected as soon as any the flowering stems begin to shoot.
  • Twigs- Twigs of current year’s growth only.
  • Herbs- Fullly developed herbs are to cut above the root leaves.
  • Flowers- Should be collected in dry whether, when they are partly in bud and partly in blossoms.
  • Fruits, Seeds and Berries- If not otherwise specified, are to be collected when they are fully ripe. Succulent fruits, seeds or berries should be used while fresh. Only dried fruits, seeds or berries may be stored in well-closed glass containers. Fresh fruits when collected are to be used immediately after their collection.
Process of Collection of Drug (ANIMAL KINGDOM):
ANIMAL KINGDOM – Animal substances must be collected from perfectly healthy specimen, wild animals are preferable, as they are natural specimens. Secretions and excretions should be obtained in hygienic conditions and from healthy beings. Medicines from them should be prepared in their pure and unadulterated state, without mixing with any other substances. The animal drug substances are obtained from either the young wild or domestic ones and zoological gardens. 

Some are gathered by fishing, e.g., Asterias rubens, Cod fish (for Oleum .rousJec. Aselli). Cuttle fish (for Sepia). Jellyfish(Medusa)etc.

Wild animal procured by hunting, e.g., Sperm whale (Ambra grisea), Musk deer (Moschus), Beaver (Castoreum) etc. 

Insects like Cantharides (Cantharis), Apis melifica, Cochneal (Coccus cacti) etc. are procured wild, or they are also cultivated in scientific way. Toads (bufo) ; different spiders (Aranea avicularis, A. diadema, Mygale, etc.); Lizards (Lacerta agilis etc.) are also caught by different processes. Venoms are either collected from wild snakes or cultivated ones from the snake farms, e.g, Coral viper (Elaps cor.), Lachesis mutus (Lachesis), German Viper (Vipera), Spectacled snake (Naja tripudians) etc., venoms are collected in glass container by experts of the line. Different ‘Lacs’ are generally collected from domestic animals.

COLLECTION OF POISONS ETC.
  • Bufo -The live toad is fastened to a slab of cork by four strong pins stuck through the webs of the feet. Next the poles of an ‘induction apparatus’ in action are slowly drawn over the back of the animal, whereupon the poison exudes from the dorsal glands of the toad, which is removed with a small horn knife.
  • Hydrophobinum- (The saliva of a live rabid dog) Most carefully collected in milk sugar
  • Venoms of serpents- May be obtained from the live snake by collecting the poison on milk sugar by pressing the fang upwards against the ‘poison sac’. Different types of venoms may also be obtained from serological laboratories.
  • MINERALS AND CHEMICALS – The minerals, metals and chemicals should be collected in natural state and natural source or in pure chemical form if not available from natural source as stated for the individuals.
  • SARCODES AND NOSODES: The ‘endocrine’ products and few ‘enzymes’ may be collected from cattle, sheep etc. from the slaughter houses. Collections of these drug substances require some special and elaborate techniques and should have sufficient knowledge in morbid anatomy and physiology of the particular specimens.

PRESERVATION OF DRUGS:
PRESERVATION OF DRUGS: There are specific directions for the preservation of homoeopathic drug substances in the monographs of the Homoeopathic Pharmacopoeia of India and other Pharmacopoeias but the general rules are:
  1. A container or jar should be properly labelled while preserving a drug in it.
  2. All substances should be preserved in natural glass or earthenware vessels or jars, being well stoppered.
  3. For corrosive substances, such as acids or alkalies hard glass bottles with glass stoppers should be used.
  4. For storing Fluoric acid, gutta purcha bottles must be used, otherwise it may dissolve the glass.
  5. Drugs which may be affected by the light or sunlight ‘actinic’ glass bottles (coloured) covered outside with a solution of asphaltum or black varnish should be used.
  6. Avoid blue-coloured container, as blue colour has some on dynamic effects injurious to drugs.
  7. Yellow or amber coloured bottles exposed to sunlight (or” sometime, acquire medicinal virtue, so they should be avioded.
  8. Keep the container with the medicinal substances away from dust, odours, smoke, moisture, damp, strong light etc.
  9. Strong smelling drugs, such as Asafoetida, Camphor, Iodine, Kreosote, Moschus, Terebinthinae, oleum etc. should be kept isolated in tightly closed bottles, so that the peculiar odours of such drugs may not contaminate other drugs.
  10. The drug substances should be used for the preparation immediately after their collections.
  11. If a fresh drug cannot be used immediately, it must not be allowed to dry; by keeping them in a cold air space.
  12. Drugs which are to be preserved for a considerable time may be dried in a chamber , allowing hot air to flow for drying the drug substances.
  13. Drugs possessing the power of mutual reaction should be preserved separately.
  14. If fresh drugs are to be collected from a distant place, they should be packed loosely and carefully in paper-pulp cases and kept as cool as possible.
  15. Drugs which need drying before transportation or preserving, they should be carefully dried by tying in loose bundles, and hanging in a shade away from direct sun light, ram. dust, worms, insects etc.
  16. Plants or their parts should be kept in a dry, cool, dustless, odourless place or a little amount of purified (distilled) water may be sprinkled upon them from time to time.
  17. For preserving pulverised drugs, they should be perfectly dry, otherwise their moisture content may mould, Their dryings should be made by spreading the pulverised materials on a water-bath, or for a bigger quantities, in a temperature adjustable drying chamher.
  18. Animals and animal products decompose very quickly hence they should beused immediate after collections, If required they may be preserved in freeze.Venoms can be preserved in deep freeze being kept in glycerine; or sometimeafter collections, they are quickly freezed and preserved properly
PRESERVATION OF MOTHER PREPARATIONS
  1. The mother tinctures should be kept at an even temperature of about 60 f (15.6″C)-Lawrence Ashwell.
  2. They should be stored in new well. cleansed, colourless, neutral flint glass bottles.
  3. Pyrex, or other anticorrosive glass bottles with glass stoppers should be used for storing acid or caustic preparations.
  4. Medicines which are not affected by sunlight, as such, or glass bottles covered wIth a solution of asphalum or black varnish, should be used.
  5. Dr. Burt advises to avoid blue-coloured bottle, as they have certain dynamic effects injurious to medicines.
  6. Yellow or amber-coloured bottles should not be used, as even nonmedicinal substances contained in these bottles exposed to sunlight for sometime. acquire medicinal viruces.
  7. They should be stored in a dry, cool place in airtight well closed glass bottles.
  8. (8) Avoid too much heat or cold. Some mother tinctures may become turbiid with muddy sediment, or even form crystals if exposed to great cold.
  9. Avoid everything that will in the least affect the purity of the mother tinctures, such as strong light, direct sunlight, smoke, dust, damp, strong odour etc.
  10. Strong-smelling mother tinctures, such as Asafoetida, Camphor, Iodine, Moschus, Terebinthinae oleum, jacoris etc. should be kept separately in airtight well-closed glass bottles.
  11. In case of glass stoppered bottle, both the bottle and the stopper should be of hard potash glass to avoid introduction of glass particles in the mother tincture.
  12. Mother tinctures should be well. filtered before storing or when dispensing.
  13. All containers should be properly labelled in proper pharmaceutical name mentioning their strength/potencies and alcohol contained by % v. v., date of manufacturing, name of manufacturer, as far as possible, while storing, The sign is affixed after the name of each mother tincture, e.g., Avena Sativa@.

PRESERVATION OF POTENTISED MEDICINES
  1. Potentised medicines after putting in well-stoppered bottles, should be preserved in boxes or drawers.
  2. For preserving potentised medicines coloured bottles should be avoided.
  3. Medicines which may be affected by light or sunlight actinic glass bottles covered with a solution of asphaltum or black varnish should be used.
  4. They should be preserved in a dry cool place, protecting from too heat or cold.
  5. Avoid everything that in the least affect the purity of the potentised medicines, e.g., dust, odours, smoke, damp, strong light etc.
  6. Name of the potentised medicine with the respective potency and the scale used. should be distinctly marked both on the cork and on the container’s label, e.g. Belladonna 6x, Belladonna 6 or Belladonna 0/6 etc. In marking the label the date of manufacturing and the name of the manufacturer should also be stated.The original manufacturer should also write down the batch number and the percentage of alcohol contents by volume, if possible the date of Expiry should also be given.
  7. Bottles should not be filled entirely full, as the potentised medicines shall come in contact with the corks.
  8. Potentised medicines should be preserved separately from thc crude drug substances and mother tinctures.
  9. If the liquid or solid potentised medicines change their normal colours, they should be rejected immediately.
  10. Preparations of camphor should always be kept separate, otherwise they may antidote almost all medicines of vegetable origin.
  11. In the rooms where potentised or Mother drug substances are to stored, no other odorous or non-odourous evaporating substances should be kept strictly. For storing the potentised medicines in small 5 ML or 10 ML vials, suitable wooden boxes should be made and they should be arranged alphabetically with gradual increasing potency horizontally. Separate boxes for different potencies may also be used.

Ads 728x90